ফারহানা হোসেন’র কবিতা
বুক পকেটের চিঠি
একটা চিঠি লেখা হয়েছে সেই
কবে,
জমানো যত কথা, ব্যথা
আর আনন্দ গাথা
পোস্ট করা হয়নি স্ট্যাম্পখচিত খামের অভাবে...
বুক নরম কুটিরে সযত্নে তুলে রাখা,
অপেক্ষা শুধু একটা সঠিক ঠিকানা।
বড্ড মলিন হয়ে গেছে চিঠিখানা
অস্পষ্ট, এখন আর বোঝা যায় না অক্ষরগুলো।
কিছুটা ভাঁজের দাগও রয়েছে বটে,
দিন যায় মাস যায় বছর চলে যায়,
শীত গ্রীষ্ম বর্ষা পেরিয়ে বছরের পর বছর ধুলো জমা বুকেই রইলো
হয়ে আধছেঁড়া সযত্নে রাখা কাগজ টুকরা।
হয়তো চিঠির মালিক জানবে না কখনো,
বুকের কুটিরে কি যত্নে তোলা রইলো
চিঠিচ্ছলে এক অসাধারণ ভালোবাসা।
..................................................
ভালোবাসার সুপেয় জল চাই
ভালোবাসার মরুভূমিতে
আজ বৃষ্টি চাই, চাই সুখের সুপেয় জল।
তৃষ্ণার্ত হৃদটাকে ভিজিয়ে দিয়ে যাক সেই সুপেয় জলের জলোচ্ছ্বাস।
আজ শুষ্ক হৃদয়ের জন্য প্রার্থনা করছি
কিছু হিম শীতল জল যা শুধু হৃদয়কে মঙ্গা পীড়িত হওয়ার হাত থেকে উদ্ধার করবে।
গ্রীষ্মের প্রখর তাপে শুকিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় শঙ্কিত সবুজ পাহাড়ের জন্য দরকার,
কলকল স্রোতধারার উচ্ছল ঝরনা।
আসলে পাহাড়ের জন্যেই এই স্বচ্ছ ঝরনা জল - যা কিনা সতেজতার আবেশে সৎকার হবে তার ভেতরের খরখরে আত্মার।
আজ ভালোবাসার মরুভূমিতে সবুজ পাহাড় চাই।
চাই অবিরাম বৃস্টি চাই ,সুপেয় জল !!!
..................................................
শূন্যতা
মাঝে মাঝে মনের বাসনা অতিক্রম করে।
বুকের ভেতর কিসের যেন এক শূন্যতা অনুভব হয়,
পাওয়া কি-না পাওয়ার, বেদনা নাকি সুখের?
কার জন্য কাঁদায় এ মন
ছন্নছাড়া আবেগ বুঝে উঠতে পারে না।
নিজের মনের অবিন্যস্ত অনুভূতিগুলো ভীষণভাবে এলোমেলো লাগে।
দিনগুলো উড়ে উড়ে চলে যাচ্ছে, মনে হতেই বুকের ভেতর এক শূন্যতা গ্রাস করে।
কি পেলাম আর কি হারালাম আর কি পেতে চায় এ অবিচ্ছিন্ন হৃদয় তাও বোঝা বড় দায়।
আজ পূর্ণিমা কিন্তু
গাঢ় অন্ধকার চাঁদটাকে ঘিরে রেখেছে বাইরের কুয়াশা।
কুয়াশায় চাঁদটা দেখতে বুড়ি বুড়ি লাগছে।
বরাবরই চাঁদকে আমার চিরযৌবনা লাগে,
আজ কুয়াশার জন্য চাঁদের যৌবনে ভাটা পড়েছে।
কুয়াশার রাত্রিতে আমি সব সময়ই বিষণ্ন থাকি আজও তাই,
মনে হয় রাত যেন আর শেষ হয় না দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর মনে হয়।
অনুভূতির পাখনা মেলে অধরা স্বপ্নগুলো বার বার ঝরে পড়ে।
টুকরো টুকরো কুয়াশায় কেটে যায় আমার ঘন কালো পূর্ণিমার রাত।
ভেসে যাই স্মৃতির রাজ্যে, মৌনতার মিছিল চারিদিকে হাহাকার।
অধরা স্বপ্নরা ফিরে ফিরে আসে,
রাতের শরীরে আলিঙ্গনে পূর্ণিমার আচঁল।
দূরে বহু দূরে ট্রেনের হুইসেল ভেসে আসছে ...
স্মৃতির মনিকোঠায় একটি মুখ বার বার মনে করার চেষ্টায় ব্যর্থ হচ্ছি সব ঝাপসা,
এক জীবনের ব্যবধানে আমি ভুলে গেছি শেষ কবে আমি এই মুখ মনে করেছি।
আমি চাঁদের বাড়ি ছুঁতে চাই ... দূরে বহু দূরে বিষণ্ন কুয়াশায় হারিয়ে যাচ্ছে। আমার জল ভরা চোখ, হারিয়ে যাচ্ছি আমি ...
..................................................
অলীক স্বপ্ন
ভেবেছিলাম একটা চাঁদ কিনবো
এরপর অমাবস্যায় তাকে বের করে ছড়িয়ে দেব মনের গহীনে।
কেউ একজন বলেছিলো... তুমি তো চাঁদের সাথে বন্ধুত্ব করে চাঁদকে নিঃস্ব করে দিয়েছো।
বড় ইচ্ছে হয়, তোমাকে নিয়ে চাঁদের আভায় স্নান করার পাড়ি দেবার গহীন অরণ্যের।
আজ কি মন পাগল করার মতো জোসনা উঠেছে?
গহীন অরণ্যে হারিয়ে যাবার মতো উথাল পাথাল জোসনা? তবে সত্যি সত্যি এবার চাঁদটাকে কিনেই ফেলবো,
এবার জোসনাটা আমার সম্পত্তি হয়েই যাবে বুঝি!
..................................................
ভালোলাগার দেনা
আমার আয়ত্তে শুধু টিউলিপ মোঙ্গোলিয়া আর গোলাপের ঝাড়
কোনদিন ছুঁয়ে দেখিনি কাশফুল,
দেখা হয়নি পড়ন্ত শীতে হলুদ সরিষার মাঠ।
আমার কল্পনাতে যা, বা অনুভবে যতটুকু পথ হেঁটেছি
ততটুকুই আমার স্বপ্ন মিশ্রিত বিস্মিত হওয়ার পালা...
দেখা হয়নি নয়ন মেলে জোনাকির রাতে তারাদের মেলা,
মনে পড়েনা কখনো কোনদিন শুনেছি বাঁশঝাড়ের ঝিঁঝিঁপোকার ডাক,
সোডিয়াম বাতির কৃত্রিম ঝলকে দেখেছি বড়দিনের আলোকসজ্জা।
বিশাল আকাশে রুপোর থালার মতো চকেচকে পূর্নিমা রাত দেখা হয়নি,
সুরম্য অট্টালিকার ফাঁকে
এক চিলতে আধ দেখা চাঁদ, চাঁদ বলতে এটুকুই বুঝেছি।
উপভোগ্য হয়ে কখনো আসেনি নৌকাবাইচ কিংবা লাঠিখেলা,
বেসবল সকারে অভিজাত্যে অজান্তে হারিয়েছে এসব।
জারি সারি ভাটিয়ালি মোষের গাড়িতে গাড়িয়াল ভাই
আজ পাশ্চাত্যের সুরে হৃদয়ে মম মৃতপায়।
তাই চোখ মেলে দেখি আজ জমে আছে ভালোলাগার মত কত অদেখা।
..................................................
ভার্চুয়াল
নাগরিক কোলাহল কাটিয়ে
হাজারো প্রেমিকা ভার্চুয়াল প্রেমিকের সাথে কর্পোরেট ভালোবাসায় মশগুল।
ভালোবাসার রঙ সেখানে এতোটাই চটকদার যে দিন শেষে কেউই বোঝে না
কি পেল কিংবা কি খোয়া গেল!
এ যেন চায়না প্রোডাক্টের মত,
আমদানি হয়েছে সুদূর চীনদেশ হতে
কিছুদিন পর যা মেয়াদোত্তীর্ণ জঞ্জাল।
যখন সাদা কালো ফ্রেমে বন্দী হয়ে যাবে প্রণয়ের স্মৃতি তখন জানান দেবে মনের আকুলতা।
হে ভার্চুয়াল প্রেমিকা প্রেমিকের দল, হুশে ফিরে এসো পৃথিবী ও প্রেমকে চেনো জানো,
এইসব ওয়ান টাইম প্রোডাক্ট ছুঁড়ে ফেলে ভালোবেসে বেঁচে থাকো স্বার্থের বিপরীতে।
..................................................
সমুদ্র
সমুদ্র আর আকাশ আমাকে ভীষণভাবে টানে,
সমুদ্র আর আকাশের ভালোবাসায় ডুবে যাই পরমতায়... কি বিস্ময়!
আমি অবাক হয়ে দেখি যুগল প্রণয়,
বুকের ভেতর ছটফট
একটা ব্যাথা অনূভব হলো,
পুরো বুকজুড়ে আমার তৃষ্ণা
সামনে নীল জল ভরা বিশাল সমুদ্র
তবুও আমার পিপাসা মেটার জন্যে যথেষ্ট নয়।
বিশাল আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে মনে হলো-
নেই কোন ছাদ নেই কোন ছায়া, শুধুই খাঁখাঁ জীবন...
..................................................
সাকরাইন
ঘুড়ি তুমি কার আকাশে উড়ো
তার আকাশ কি আমার চেয়ে বড়ো...
তোমার নিকট অতীত
আমার এক যুগ আগের শীত
পৃথিবী তোমার অনুকূলে থাকে
আমার বিপরীত”
..................................................
নষ্ট কাব্য
আকাশ ছড়িয়ে দিলো নীলআভা,
সেখানে উড়ছে ডানাকাটা নীলপরী।
আঁধারের সমস্ত পাপ ধুয়ে সে উড়ছে...
জীবনের নষ্টনীড় ভেঙে নিজেকে উজার করে দিচ্ছে!
মদির বাতাসের স্রোতে যৌবনের বহ্নিশিখা,
লজ্জাহীনা যুবতীর মত শরীর কেঁপে কেঁপে সাপের মত ফনা তুলছে।
নগ্ন রাত, পুরো আকাশ জুড়ে মগ্ন মশাল জ্বালা তারা-
সেই সুসজ্জিত রাতে মাতাল শরীর নিয়ে যুবতী যৌবনের হোলি খেলছে।
তিমির রাতে বর্ষার কুন্তলে যুবতীর উদ্দাম স্রোত-
যুবতী নিজেও কি জানে এই খেলার শেষ কোথায়?
একটা চিঠি লেখা হয়েছে সেই
কবে,
জমানো যত কথা, ব্যথা
আর আনন্দ গাথা
পোস্ট করা হয়নি স্ট্যাম্পখচিত খামের অভাবে...
বুক নরম কুটিরে সযত্নে তুলে রাখা,
অপেক্ষা শুধু একটা সঠিক ঠিকানা।
বড্ড মলিন হয়ে গেছে চিঠিখানা
অস্পষ্ট, এখন আর বোঝা যায় না অক্ষরগুলো।
কিছুটা ভাঁজের দাগও রয়েছে বটে,
দিন যায় মাস যায় বছর চলে যায়,
শীত গ্রীষ্ম বর্ষা পেরিয়ে বছরের পর বছর ধুলো জমা বুকেই রইলো
হয়ে আধছেঁড়া সযত্নে রাখা কাগজ টুকরা।
হয়তো চিঠির মালিক জানবে না কখনো,
বুকের কুটিরে কি যত্নে তোলা রইলো
চিঠিচ্ছলে এক অসাধারণ ভালোবাসা।
..................................................
ভালোবাসার সুপেয় জল চাই
ভালোবাসার মরুভূমিতে
আজ বৃষ্টি চাই, চাই সুখের সুপেয় জল।
তৃষ্ণার্ত হৃদটাকে ভিজিয়ে দিয়ে যাক সেই সুপেয় জলের জলোচ্ছ্বাস।
আজ শুষ্ক হৃদয়ের জন্য প্রার্থনা করছি
কিছু হিম শীতল জল যা শুধু হৃদয়কে মঙ্গা পীড়িত হওয়ার হাত থেকে উদ্ধার করবে।
গ্রীষ্মের প্রখর তাপে শুকিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় শঙ্কিত সবুজ পাহাড়ের জন্য দরকার,
কলকল স্রোতধারার উচ্ছল ঝরনা।
আসলে পাহাড়ের জন্যেই এই স্বচ্ছ ঝরনা জল - যা কিনা সতেজতার আবেশে সৎকার হবে তার ভেতরের খরখরে আত্মার।
আজ ভালোবাসার মরুভূমিতে সবুজ পাহাড় চাই।
চাই অবিরাম বৃস্টি চাই ,সুপেয় জল !!!
..................................................
শূন্যতা
মাঝে মাঝে মনের বাসনা অতিক্রম করে।
বুকের ভেতর কিসের যেন এক শূন্যতা অনুভব হয়,
পাওয়া কি-না পাওয়ার, বেদনা নাকি সুখের?
কার জন্য কাঁদায় এ মন
ছন্নছাড়া আবেগ বুঝে উঠতে পারে না।
নিজের মনের অবিন্যস্ত অনুভূতিগুলো ভীষণভাবে এলোমেলো লাগে।
দিনগুলো উড়ে উড়ে চলে যাচ্ছে, মনে হতেই বুকের ভেতর এক শূন্যতা গ্রাস করে।
কি পেলাম আর কি হারালাম আর কি পেতে চায় এ অবিচ্ছিন্ন হৃদয় তাও বোঝা বড় দায়।
আজ পূর্ণিমা কিন্তু
গাঢ় অন্ধকার চাঁদটাকে ঘিরে রেখেছে বাইরের কুয়াশা।
কুয়াশায় চাঁদটা দেখতে বুড়ি বুড়ি লাগছে।
বরাবরই চাঁদকে আমার চিরযৌবনা লাগে,
আজ কুয়াশার জন্য চাঁদের যৌবনে ভাটা পড়েছে।
কুয়াশার রাত্রিতে আমি সব সময়ই বিষণ্ন থাকি আজও তাই,
মনে হয় রাত যেন আর শেষ হয় না দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর মনে হয়।
অনুভূতির পাখনা মেলে অধরা স্বপ্নগুলো বার বার ঝরে পড়ে।
টুকরো টুকরো কুয়াশায় কেটে যায় আমার ঘন কালো পূর্ণিমার রাত।
ভেসে যাই স্মৃতির রাজ্যে, মৌনতার মিছিল চারিদিকে হাহাকার।
অধরা স্বপ্নরা ফিরে ফিরে আসে,
রাতের শরীরে আলিঙ্গনে পূর্ণিমার আচঁল।
দূরে বহু দূরে ট্রেনের হুইসেল ভেসে আসছে ...
স্মৃতির মনিকোঠায় একটি মুখ বার বার মনে করার চেষ্টায় ব্যর্থ হচ্ছি সব ঝাপসা,
এক জীবনের ব্যবধানে আমি ভুলে গেছি শেষ কবে আমি এই মুখ মনে করেছি।
আমি চাঁদের বাড়ি ছুঁতে চাই ... দূরে বহু দূরে বিষণ্ন কুয়াশায় হারিয়ে যাচ্ছে। আমার জল ভরা চোখ, হারিয়ে যাচ্ছি আমি ...
..................................................
অলীক স্বপ্ন
ভেবেছিলাম একটা চাঁদ কিনবো
এরপর অমাবস্যায় তাকে বের করে ছড়িয়ে দেব মনের গহীনে।
কেউ একজন বলেছিলো... তুমি তো চাঁদের সাথে বন্ধুত্ব করে চাঁদকে নিঃস্ব করে দিয়েছো।
বড় ইচ্ছে হয়, তোমাকে নিয়ে চাঁদের আভায় স্নান করার পাড়ি দেবার গহীন অরণ্যের।
আজ কি মন পাগল করার মতো জোসনা উঠেছে?
গহীন অরণ্যে হারিয়ে যাবার মতো উথাল পাথাল জোসনা? তবে সত্যি সত্যি এবার চাঁদটাকে কিনেই ফেলবো,
এবার জোসনাটা আমার সম্পত্তি হয়েই যাবে বুঝি!
..................................................
ভালোলাগার দেনা
আমার আয়ত্তে শুধু টিউলিপ মোঙ্গোলিয়া আর গোলাপের ঝাড়
কোনদিন ছুঁয়ে দেখিনি কাশফুল,
দেখা হয়নি পড়ন্ত শীতে হলুদ সরিষার মাঠ।
আমার কল্পনাতে যা, বা অনুভবে যতটুকু পথ হেঁটেছি
ততটুকুই আমার স্বপ্ন মিশ্রিত বিস্মিত হওয়ার পালা...
দেখা হয়নি নয়ন মেলে জোনাকির রাতে তারাদের মেলা,
মনে পড়েনা কখনো কোনদিন শুনেছি বাঁশঝাড়ের ঝিঁঝিঁপোকার ডাক,
সোডিয়াম বাতির কৃত্রিম ঝলকে দেখেছি বড়দিনের আলোকসজ্জা।
বিশাল আকাশে রুপোর থালার মতো চকেচকে পূর্নিমা রাত দেখা হয়নি,
সুরম্য অট্টালিকার ফাঁকে
এক চিলতে আধ দেখা চাঁদ, চাঁদ বলতে এটুকুই বুঝেছি।
উপভোগ্য হয়ে কখনো আসেনি নৌকাবাইচ কিংবা লাঠিখেলা,
বেসবল সকারে অভিজাত্যে অজান্তে হারিয়েছে এসব।
জারি সারি ভাটিয়ালি মোষের গাড়িতে গাড়িয়াল ভাই
আজ পাশ্চাত্যের সুরে হৃদয়ে মম মৃতপায়।
তাই চোখ মেলে দেখি আজ জমে আছে ভালোলাগার মত কত অদেখা।
..................................................
ভার্চুয়াল
নাগরিক কোলাহল কাটিয়ে
হাজারো প্রেমিকা ভার্চুয়াল প্রেমিকের সাথে কর্পোরেট ভালোবাসায় মশগুল।
ভালোবাসার রঙ সেখানে এতোটাই চটকদার যে দিন শেষে কেউই বোঝে না
কি পেল কিংবা কি খোয়া গেল!
এ যেন চায়না প্রোডাক্টের মত,
আমদানি হয়েছে সুদূর চীনদেশ হতে
কিছুদিন পর যা মেয়াদোত্তীর্ণ জঞ্জাল।
যখন সাদা কালো ফ্রেমে বন্দী হয়ে যাবে প্রণয়ের স্মৃতি তখন জানান দেবে মনের আকুলতা।
হে ভার্চুয়াল প্রেমিকা প্রেমিকের দল, হুশে ফিরে এসো পৃথিবী ও প্রেমকে চেনো জানো,
এইসব ওয়ান টাইম প্রোডাক্ট ছুঁড়ে ফেলে ভালোবেসে বেঁচে থাকো স্বার্থের বিপরীতে।
..................................................
সমুদ্র
সমুদ্র আর আকাশ আমাকে ভীষণভাবে টানে,
সমুদ্র আর আকাশের ভালোবাসায় ডুবে যাই পরমতায়... কি বিস্ময়!
আমি অবাক হয়ে দেখি যুগল প্রণয়,
বুকের ভেতর ছটফট
একটা ব্যাথা অনূভব হলো,
পুরো বুকজুড়ে আমার তৃষ্ণা
সামনে নীল জল ভরা বিশাল সমুদ্র
তবুও আমার পিপাসা মেটার জন্যে যথেষ্ট নয়।
বিশাল আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে মনে হলো-
নেই কোন ছাদ নেই কোন ছায়া, শুধুই খাঁখাঁ জীবন...
..................................................
সাকরাইন
ঘুড়ি তুমি কার আকাশে উড়ো
তার আকাশ কি আমার চেয়ে বড়ো...
তোমার নিকট অতীত
আমার এক যুগ আগের শীত
পৃথিবী তোমার অনুকূলে থাকে
আমার বিপরীত”
..................................................
নষ্ট কাব্য
আকাশ ছড়িয়ে দিলো নীলআভা,
সেখানে উড়ছে ডানাকাটা নীলপরী।
আঁধারের সমস্ত পাপ ধুয়ে সে উড়ছে...
জীবনের নষ্টনীড় ভেঙে নিজেকে উজার করে দিচ্ছে!
মদির বাতাসের স্রোতে যৌবনের বহ্নিশিখা,
লজ্জাহীনা যুবতীর মত শরীর কেঁপে কেঁপে সাপের মত ফনা তুলছে।
নগ্ন রাত, পুরো আকাশ জুড়ে মগ্ন মশাল জ্বালা তারা-
সেই সুসজ্জিত রাতে মাতাল শরীর নিয়ে যুবতী যৌবনের হোলি খেলছে।
তিমির রাতে বর্ষার কুন্তলে যুবতীর উদ্দাম স্রোত-
যুবতী নিজেও কি জানে এই খেলার শেষ কোথায়?
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments