মাকিদ হায়দার’র কবিতা
যে আমাকে প্রেম শেখালো
জোৎস্না রাতে ফুলের বনে
সে যেন আজ সুখেই থাকে
সে যেন আজ রানীর মত
ব্যক্তিগত রাজ্যপাটে
পা ছড়িয়ে সবার কাছে
বসতে পারে
বলতে পারে মনের কথা
চোখের তারায়
হাত ইশারায়
ঐ যে দেখ দুঃখি প্রেমিক
যাচ্ছে পুড়ে রোদের ভিতর
ভিক্ষে দিলে ভিক্ষে নেবে
ছিন্ন বাসে শীর্ন দেহে
যাচ্ছে পুড়ে রোদের ভিতর
কিন্তু শোন প্রজাবৃন্দ
দুঃসময়ে সেই তো ছিলো
বুকের কাছে হৃদয় মাঝে
আজকে তারে দেখলে শুধু
ইচ্ছে করে
চোখের পাতায় অধর রাখি
যে আমাকে প্রেম শেখালো
প্রেম শিখিয়ে চিনিয়েছিলো
দুষ্টু গ্রহ অরুন্ধতী
বৃষ্টি ভেজা চতুর্দশী
জোৎস্না রাতের উজ্জ্বলতা
ভোরের বকুল শুভ্র মালা
নগর নাগর ভদ্র ইতর
রাজার বাড়ি
সেই তো আবার বুঝিয়েছিলো
যাওগো চলে আমায় ছেড়ে
যে আমাকে প্রেম শেখালো
জোৎস্না রাতে ফুলের বনে
সে যেন আজ সুখেই থাকে
নিজের দেহে আগুন জ্বেলে
ভেবেছিলাম
নিখাদ সোনা হবোই আমি
শীত বিকেলের টুকরো স্মৃতি
রাখবো ধরে সবার মত
হৃদয় বীণার মোহন তারে
ভুলেই গেলাম
যখন তুমি আমায় ডেকে
বললে শুধু
পথের এখন অনেক বাকি
যাও গো শোভন
যাও গো চলে বহুদুরে
কণ্ঠে আমার অনেক তৃষা
যাও গো চলে আপন পথে
এই না বলেই
হাসলে শুধু করুন ঠোঁটে
বাজলো দুরে শঙ্খ নিনাদ
কাঁদলো আমার বুকের পাথর
কাঁদলো দুরে হাজার তারা
একলা থাকার গভীর রাতে
একলা জাগার তিন প্রহরে
তাইতো বলি সবার কাছে
যে আমাকে দুঃখ দিলো
সে যেন আজ সবার চেয়ে
সুখেই থাকে
যে আমাকে প্রেম শেখালো
প্রেম শিখিয়ে বুকের মাঝে
অনল দিলো
সে যেন আজ সবার চেয়ে
সুখেই থাকে
সুখেই থাকে
..................................................
তোমার মনের সাধ
তুমি অথৈ জলে খুঁজেছিলে
পূর্নিমারই চাঁদ
ভয়াল নদী সাঁঝের বেলা
সেই জলের মাঝে খুঁজতে তুমি
দুর গগনের সাঁঝের তারা
মেঘের ছায়া
নীল সাগরে ভাসিয়ে দিতে
আমার অপরাধ
তুমি অথৈ জলে খুঁজেছিলে
পূর্নিমারই চাঁদ
ক্লান্ত চোখে তাকিয়ে আছে
প্রাণের ভয়ে জলের দিকে
দাড়িয়ে আছে গাছের মত
গভীর শোকে স্তব্ধ পায়ে
নিঃস্ব জলের বুকের ভেতর
দাড়িয়ে আছে অষ্টপ্রহর
মুষ্টিমেয় কয়টি লোকে
চালায় গাড়ি জ্বালায় বাতি
দিন দুপুরে ইচ্ছেমত ছিটিয়ে কাঁদা
শখের গাড়ি যাচ্ছে দেখো যাচ্ছে দেখো
রাজার মত নিজের বাড়ি
ছিটিয়ে থুথু
আমরা যারা দাড়িয়ে আছি
নিঃস্ব জলের বুকের ভেতর
কলার পাতে নিজের ছেলে
শুইয়ে দিয়ে ভাবছি শুধু
এবার থেকে তোমার চোখে পড়িয়ে দেব
কোন সে মায়ার ফাঁদ
তুমি অথৈ জলে খুঁজেছিলে
পূর্নিমারই চাঁদ!
..................................................
শুনেছি আপনারা খুবই নিরীহ এবং সুবিধেমতো জল থেকে উঠে আসেন
ডাঙ্গায়, গ্রীষ্মকালে ডুবে থাকেন গভীর জলে_কেন যে থাকেন,
আমি শুধু সেই রহস্যটুকু জানার জন্যেই
আপনাদের সাথে গল্প করতে যাবো
যে কোন একদিন৷
বোকা কুমির এবং চতুর শিয়ালের নিকট থেকে শুনেছি, আপনারা নাকি
ভীষণ সুবিধেবাদী,
আপনাদের সমাজ-সংসার-সুযোগ সুবিধে নিয়ে কথা উঠলেই
অনেকে তুলনা করেন আমার
ভাইবোনদের সাথে৷
যে-কোন সামাজিক উত্সবে অথবা নাগরিক কোলাহলে আপনারা নাকি
আপনাদের সরু গলাটাকে শক্ত আবরণের ভেতরে লুকিয়ে না রেখে
আমার প্রিয় ভাইবোনদের মতো
কখনো উঠে আসেন ডাঙ্গায় আবার কখনো ডুব দেন গভীর জলে,
কথাগুলো সত্যি নাকি মিথ্যে, শুধু ঐটুকু জানার জন্যেই
যে কোন একদিন গিয়ে জেনে আসবো
সত্যমিথ্যে কতটুকু৷
সুযোগ সুবিধে পেলেই যে-কোন জায়গায় আপনারা নাকি
ঘুমিয়ে নিতে পারেন
রোদে অথবা ছায়ায়,
আপনাদের জীবনবৃত্তান্ত পড়তে গিয়ে হঠাত্ লক্ষ্য করলাম, উভচর প্রাণীদের
ভেতরে সবচে’ দীর্ঘ আয়ুষ্কাল আপনাদের,
ধর্মকর্ম, রাজনীতি, আপনাদের সমাজে প্রচলিত থাকলেও ইদানিং
অনেকেই নাকি যাচ্ছেন মৌলবাদীদের দলে, এবং আপনারা
নাকি শীতের সকালে ধানের শীষের নীচ দিয়ে গিয়ে
উঠে বসেন নৌকোর
গলুইয়ে
পাটাতনে?
জীবনবৃত্তান্তে আরো দেখলাম, এক খরগোশের সাথে দৌড়াদৌড়ি খেলায়
আপনাদেরই একজন প্রথম হয়েছিলো,
ঐ কথা জানবার পরপরই আমি আমার ভাইবোনদের সাথে নিয়ে
ঐকমত্যে পৌঁছে গেছি,
কখনো থাকবো জলে, কখনো ডাঙ্গায়,
এবং সুবিধে মতো দৌড়াদৌড়ি খেলায় আমিই প্রথম হবো,_তাই,
যে কোন একদিন৷
..................................................
থাকবে শুধু আমার পাশে
থাকবে তুমি।
কাঁদলে শুধু কাঁদবো আমি
বিজন রাতে একলা আমি
তোমার পাশে।
জোনাক আলো জ্বালবো আমি
যেথায় তুমি একলা থাকো
আমায় ছেড়ে।
ডাকবে লোকে হঠাৎ করে
সাতসকালে সাঁঝের বেলা
তখন তুমি বাসর ছেড়ে
একপা দু’পা তিনপা করে
বেড়িয়ে এলে দেখতে পাবে।
দাঁড়িয়ে আছি তোমার পাশে।
..................................................
[কবি সোহরাব পাশা স্নেহাস্পদ]
তিনি বললেন
টিপসহি দিন৷
আমি বাদে, অনেকেই বললেন
আমরাতো লেখাপড়া জানি, এমনকি
স্বাক্ষর টাক্ষরও দিতে পারি_ অযথা
টিপসহি কেন?
টিপসহি সংগ্রহকারী তাকালেন আমার দিকে,
আমি তখন সকলকে বুঝিয়ে বললাম,
আমাদের এই দোহারপাড়া নামক
গ্রামটার নাম পরিবর্তন করে আগের মতো
পূর্বপাড়া রাখতে চাই,
আপনাদের টিপসহি
শুধু মাত্র
সম্মতি পত্র৷
আর কিছু নয়৷
..................................................
চিঠি পাইবামাত্র জুতা কিনিবা,
আমি জানি তোমার পদযুগলে কোন জুতা নাই
জুতা ছাড়া ঢাকা শহরে তুমি চলাফেরা
করিতেও পারিবেনা।
শুনিলাম জুতার দাম আগের মত নাই
আরো শুনিলাম ঢাকা শহরের
একদল লোক
সারা বছরই
রাস্তায়, খাল-খন্দক কাটিতে পছন্দ করে
তাই ভয় হয় তুমি যদি
সেই খানা-খন্দকে একবার পড়িয়া যাও
তোমাকে ডাঙ্গায় তুলিবার মতো লোকজন আজকাল
নাই বলিলেই চলে
তাই তোমাকে বলিতেছি তুমি দুই জোড়া জুতা কিনিবা।
একজোড়া তোমার জন্য
আরেক জোড়া মুক্তিযুদ্ধের নামে।
মুক্তিযুদ্ধ যেন সেই জুতা পায়ে দিয়া তোমার সাথেই
আমাদের দোহার পাড়ার বাড়ীতে একবার আসিয়া
বেড়াইয়া যায়।
ইতি
তোমার মা।
..................................................
(কবি মাহমুদ আল জামানকে, শ্রদ্ধাসহ)
না হলে ফ্যাক্সে খোঁজ নিন৷
তারপরেও যদি না পাওয়া যায়
তাহলে সার্চ করুন ইন্টারনেটে৷
এই বলে তিনি
দ্রুত পায়ে চলে এলেন
অফিসের গেটে
দাঁড়ানো গাড়ীর কাছে৷
বোশেখের তপ্তরোদে
চারিদিক যখন পুড়ে ছারখার
তখন কাউকে কিছু না জানিয়ে
গাড়ীর মালিক
পায়ে হেঁটে
কিছুদূর যেতে না যেতেই
সেই লোকটির সাথে দেখা,
যাকে তিনি
একটু আগেই ধরতে চেয়েছিলেন
ইন্টারনেটে
ফ্যাক্সে
ওয়েব সাইটে৷
ধৃত লোকটি বললেন–কণ্ঠ ভোটে
পার্লামেন্ট পাশ করে দিয়েছে
এখন থেকে আমরা সকলেই
গাইতে পারবো
পুরাতন জাতীয় সংগীত৷
..................................................
সর্বাগ্রে উচ্চারণ করে
আমাদের নাম৷
দেশ বিদেশে যে কেউ এসে জিজ্ঞেস করলেই
একবাক্যে সকলেই উচ্চারণ করেন
ছেলে গুলো ভালো৷
কর্তব্য পরায়ন৷
নির্দেশ মতো সব কিছু করে৷
সমপ্রতি একদল লোক মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসেছেন
পর্যবেক্ষক হয়ে৷
আমরা ঠিক মতো মাতৃপরায়ণ প্রতি
অবহেলা কতটুকু করি
সেই সাথে বিরোধিতা কতটুকু
বহুটুকু শুধু দেখবেন
পর্যবেক্ষক দল৷
কর্তব্য পরায়নে এ মহল্লায় অদ্বিতীয় বলে
আশা করি আমরা ক-ভাই
অচিরেই পেয়ে যাবো৷
হীরকের মালা৷
..................................................
যেতে হবে সাথে নিয়ে তাকে
দেখবেন তিনি
চৈত্র সংক্রান্তির মেলা।
গিয়ে দেখি শহরের সব লোকজন
উঠে বসে আছে
নাগরদোলায়।
হঠাৎ আমায় সেই তিনি বললেন
চলো যাই দূরে যাই
যাওয়া যাক দূরে কোথাও।
পুনরায় সম্মতি দিতে গিয়ে মনে হলো
হয়তোবা মেয়েটির প্রিয় হতে পারে
গুড়ের বাতাসা।
কিছু না বলে হঠাৎ
তাকালেম আকাশের দিকে
চেয়ে দেখি চৈত্রের শেষ মেঘ দ্রুত লয়ে
আসছে আমার দিকে।
অদূরের নাগরদোলায়
কেউ নেই আর।
চৈত্র সংক্রান্তির মেলায়
শুধু ছিলেম দুজনে।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments