নাসিমা হক মুক্তা’র কবিতা

 
মহলোর্ক
 
ঝড়ের চিৎকার শেষে
মাঠ-ঘাট ভেলায় ছড়ানো বন্যজল
লুকিয়ে খুঁজে
নতুন রবি উদয়।
 
মেঘ থামল
বেঁচে গেল- রোগ ব্যাধি থেকে নলের শির
এখন ঘুমাও মানব, নায়াগ্রার নিচে।
 
মাটির তলাপাত্রের ঘিলুকে
হজম করে -বক্ষ থেকে পাহাড়ের চূড়া
এরপর চক্ষুর অস্হিতে
তারাসপ্তকেশ গুনতে গুনতে
ঢলে পড়ে- মহলোর্ক।।
……………………………………………
 
মশকারা
 
সুখ লাগে, জ্যোৎস্না হাসে
বান ভেঙ্গে তা থৈ তা থৈ
পুলকে ওঠে জগত
অন্ধ সড়কপথে বাতির আলো
পানি স্রোতে পাক খেলে ধারালো।।
 
বড় রোমাঞ্চিত লাগে, বয়া ভাসে
শিরায় শিরায় সোনালি হরকরা
বহুভাবে আল-বাল খেয়ে
সুঁড়িপথে ঘুমায় - মশকারা।।
……………………………………………
 
স্নানপাত্র
 
আগুনের দেয়াল চারপাশে
মৃত বুকে এক উজ্জীবিত আলোর স্পর্শ
শিশু ত্বকের মত
মধুময় আভা শিলা ছুঁয়ে
আঁধার অবতীর্ণ হয়ে স্নানপাত্রে শতাব্দীর শিল্প
কচি ভোরে জেগে জেগে ওঠে রঙ্গমন্ঞে
রাঙিয়ে দেয় তস্কর চুমো...
 
লাজুক লতার অবয়বে - লালার রস
গভীর আগ্রহে - জন্মায় আবেগ
দারুণ মহতী উৎসবে
সিক্ত হয় শুভ্র সুখ
সুখের খুপরিতে ঘুমায়
প্রেমময় ভালবাসা।।
……………………………………………
 
তাল তরী
 
-রাতের আঁধার ক্ষণে
জীবন পথে শুধুই হাঁটি
কোথায়, কোন্ অচিন কূলে
তুমি আমি রটি।।
 
বাজুক বাজনা, আরও সানাই
কপাট খোলার আনন্দে
হাওয়ায় ভাঙে তাল তরী
ভাঙে সব ভরাট দ্বদ্ধে।।
……………………………………………
 
প্রিয়মুখ
 
নিজের দৃষ্টি আলগা হয়ে
কুটিরের ফাঁকফোকরে
গলা টানে
তো এক লোভ
কাছে যাওয়ার,
তালখেজুরের রসালো অাঁঠা- মুখচোষা সুখ
অন্নাপূর্ণার বুকের দিঘি
সবার প্রিয়মুখ...
……………………………………………
 
ভাগ্য
 
চার আঙ্গুল কপালে
ভাগ্যরেখা
শূণ্যে উড়ে
হারিয়ে গেছে - ফুটো হয়ে।।
 
কার আকাশে ছেঁদা ফুটলো
মাটিতে পড়ে
গড়ায় ধড়ফড়িং
ভাগ্যরে তুই এখন মন্ডুকজ্বালা।।
……………………………………………
 
ধুমধাড়াক্কা বুলি
 
কথাকলির ঢাকের বাদ্যে
ধুমধাড়াক্কা বুলি
জীবন সমাচারে ফাল মুখে
বমির কুলি।।
 
চারিদিকে জিহ্বাহীন মুখে
সময়ে সময়ে একতাল
সারাদিন শিকার একসঙ্গে
ভোর হতেই বেতাল।।
……………………………………………
 
বহমান সৈকত
 
দাবানলে পড়ে নিঃশব্দ গতি
ধাবিত হলো পর্বত
পরম ক্ষুধার্তে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে
উতলে ওঠে বহমান সৈকত...!
 
জলের ধারা নাচে ধ্বনির রঙ্গে
ঢেউে ঢেউে ঝড় তুলে সর্ব অঙ্গে।।
……………………………………………
 
সমতল
 
একমুঠো জল
গড়ায় অবিরল
নিয়মই এমন
বিধির পথ
সোজা সরল।।
 
লোভে পড়ে
আচমকা ছুঁয়ে দিয়ে
ছিঁড়ে ফেলে ফল
সেই থেকে মাটি আর মানুষ
জন্মান্তরের এক সমতল।।
……………………………………………
 
তত্ত্ব
 
পাপ ছুঁয়ে কলি হতে ফুল ফুটে
প্রভুর দয়ায় শান্ত ঋতু সন্তপর্ণে
জেগে ওঠে জন্মদাগ
বৃক্ষতলে পড়ে থাকে ঝলসানো বাগান
লালসার শিকারে তত্ত্বের তালাশ
গর্জে ওঠে রক্তের দাগ।।
 
পুরুষ সেতো প্রতীকি নাম
বুঝে না তত্ত্বের কত দাম।।
……………………………………………
 
চিত্রকর
 
একবিন্দু তারা আলো
আলো হলো-
আমি, গাছ, পাতা, পোষাক ঘূর্ণি ধূলো!
 
সাদা একটুকরো মেঘ
ঘটায় যত কালো
বায়ু, অগ্নি জল
কালো করো যত পৃথিবীর আলো।।
 
একবিন্দু আলোতে দিগন্ত লাল
একবিন্দু মেঘেতে দিগন্ত কাল।।
 
দয়াল, তুমি বড়ই চিত্রকর।।
……………………………………………
 
মশকারা
 
সুখ লাগে, জ্যোৎস্না হাসে
বান ভেঙ্গে তা থৈ তা থৈ
পুলকে ওঠে জগত
অন্ধ সড়কপথে বাতির আলো
পানি স্রোতে পাক খেলে ধারালো।।
 
বড় রোমাঞ্চিত লাগে, বয়া ভাসে
শিরায় শিরায় সোনালি হরকরা
বহুভাবে আল-বাল খেয়ে
সুঁড়িপথে ঘুমায় - মশকারা।।

⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN

🔗 MY OTHERS CHANNELS

🔗 FOLLOW ME

🔗 MY WEBSITE

🔗 CALL ME
+8801819515141

🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com

No comments

নির্বাচিত লেখা

আফসার নিজাম’র কবিতা

ছায়া ও অশ্বথ বিষয়ক খ-কবিতা এক/ক. সূর্য ডুবে গেলে কবরের ঘুমে যায় অশ্বথ ছায়া একচিলতে রোদের আশায় পরবাসী স্বামীর মতো অপেক্ষার প্রহর কাটায় প্রাচী...

Powered by Blogger.