জুয়া_অলভ্য ঘোষ

 
বৈকালিক ভ্রমণে বেরিয়ে রোজ দেখি সেই ছেলেটি পার্কের দরজায় দাড়িয়ে জুয়া খেলছে! সেনাদের শহীদ বেদিতে যে মোমবাতি জ্বেলে ছিল। ইংরেজিতে স্পিচ দিতে শুরু করেছিল; Are you love Indian Army? পরনে জিন্সের প্যান্ট আর টি শাট। দেখে তো ভদ্র ঘরের ছেলে বলেই মনে হয়। পাবলিক টয়লেটের পাশে যায় বোতল আর গ্লাস রাখা থাকে। মাঝে মাঝে গলা ভিজিয়ে আসে।
 
কোনো কোনো দিন পার্কে ঢুকেই দেখি পরিচিত ছেলে মেয়ে জোড়ায় জোড়ায় বসে!ওরা জুয়া না ছোঁয়া ছুঁই কি খেলে জানিনা। আমার সেই সেই দিন হাঁটা হয় না বাড়ি ফিরি। পার্কের রাস্তায় পাক খেলে ওরাকি ভাববে!
 
একদিন ঘণ্টা খানেক হেঁটে একটু  বসেছিলাম এক বৌদিও এসে বসল পাশে। আমাকে বললেন; লাইটার আছে?
আগুন জ্বালানোর কিছুই নেই আমার কাছে।আগুন নেভানোরও কিছু না। চোখ দুটো তার  চকমকি পাথরের মত চকচক করছিল।
তবু শুকনো সিগারেট হাতে নিয়ে ফোনে মনোযোগী হল। কি ইনফরমেটিক্স মানুষের ফোনে আড়িপাতা। এক পক্ষের কথা শুনেই ঠিক বুঝে যাচ্ছি; ভদ্র মহিলা এক জন মহিলা উকিলের সাথে কথা বলছেন। যে কিনা তাকে লেজে খেলাচ্ছে। এও কি জুয়া! হাসব্যান্ড ওয়াইফ এখনো এক বাড়িতে থাকেন ডিভোর্স কেস ফাইল করেছে। একটি মেয়ে আছে। তার আঁকার স্কুল ভদ্রমহিলা চালাতে পারবেন না তার বাবা টাকা না দিলে। তিনি একটি বিউটি পার্লারে কাজ করে। তার স্বামী দুই রাত্রি ঘুস ঘুসও করেছেন তার সাথে শুতে! তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আগে ওই মেয়ে ছেলেটিকে ফেসবুক থেকে আন-ফ্রেন্ড করতে  হবে। তারপর  সবকিছু আগের মত স্বাভাবিক  হবে।Everything will be normal as usual.
 
ভারত বন্ধও তবে জুয়া।
 
লোকের একান্ত ব্যক্তিগত কথা চুপ করে বসে চোরের মত শোনা কি উচিৎ! কিন্তু ভদ্র মহিলা তো আমি পাশে আছি জেনেও।
 
মাঝে মাঝে তবু পার্কের বেঞ্চে পাশে এসে বসে কেউ না কেউ।কেউ কেউ কথাও বলে। এই গতকাল যেমন কথা হল হারাধন হালদারের  সাথে। একাত্তর সালের রায়টে এপারে এসেছে।মুদির দোকান ছিল ঢাকায়। রায়টের সময় দুই হাতে তরোয়াল  নিয়ে ছুটেছে  যাদবপুর ময়। একাশি বছর বয়স। এখন কোমরের হাড় কুচকির হাড় ভেঙে বসে। পাত্তি, বল-বেয়ারিং শরীরের ভেতরে আনাচে কানাচে।
-কিভাবে ভাঙল?
-ইঁদুর পচা গন্ধ।ঘাটের ওপর দাঁড়িয়ে শুকে গন্ধটির দিক অনুমান করতে চইলাম। তারপর কখন যে খাটের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছি টের পাইনি। পা বাড়াতেই ধপাস মেঝেতে।
 
এক ছেলে  হোটেল  সিঙ্গার কে বিয়ে  করেছে। তাদের ছয় বছরের মেয়ে। তবু বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। বাপের বাড়ি প্রমোটিং হচ্ছে। ছেলে ঘর চেয়েছে কত দিন ভাড়া বাড়িতে থাকবে। বুড়োর সাফ কথা;
-ঠিক আছে ঘর দেব। প্রতি মাসে খোরপোষ কত দেবে বলও?
 
এও এক খেলা।জুয়ার দর হাঁকা হাঁকি। সবি জুয়া।
 
দশ পাক শেষ করে আমি এগারো বারের দিকে এগোই।এগারো বার শেষ করে বারো। .....এও যেন মানুষের আদিম খেলা গ্যাম্বলিং; আর কত চক্কর খেতে পারি দেখি।দেখি আর কতদিন হাঁটতে পারি পৃথিবীতে।

⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN

🔗 MY OTHERS CHANNELS

🔗 FOLLOW ME

🔗 MY WEBSITE

🔗 CALL ME
+8801819515141

🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com 

No comments

নির্বাচিত লেখা

আফসার নিজাম’র কবিতা

ছায়া ও অশ্বথ বিষয়ক খ-কবিতা এক/ক. সূর্য ডুবে গেলে কবরের ঘুমে যায় অশ্বথ ছায়া একচিলতে রোদের আশায় পরবাসী স্বামীর মতো অপেক্ষার প্রহর কাটায় প্রাচী...

Powered by Blogger.