মাজার পূজা ও পীর পূজা_শাহিন আলম
মক্কার বুকে যখন ইসলামের বাণী প্রচারিত হয় তখন সে সমাজের লোকেরা এক আল্লাহকে বাদ দিয়ে বিভিন্ন দেব দেবীর ইবাদত করতো। নিজেদের জীবনের আশা আকাংখা পূরনের জন্য তারা শরণাপন্ন হতো বিভিন্ন দেবতার মন্দিরে। দেবতাদের নামে মানত করতো। তাদের নামে পশু উৎসর্গ করতো। এসব দেবতার মধ্যে কিছু প্রসিদ্ধ দেবতা ছিলো যাদের কথা মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে উল্লেখ্য করেছেন।আল্লাহ বলেন-
এরপর রাসুল সা. যখন মক্কা বিজয় করেন তখন তিনি এই সমস্ত দেবতা ও মন্দির সমূলে ধ্বংস করেন। মক্কার বুকে মূর্তিপূজার সমাপ্তি ঘটে। কিন্তু শয়তান বসে থাকেনি। সে তার ওয়াদা মতো মানুষকে বিপথে পরিচালনার চেষ্টা অব্যাহত রাখে।সে মুসলিম সমাজের ভিতরে ভিন্নরুপী দেব দেবীর উদ্ভব করে এবং মানুষ যেন তাদেরকে অনুসরণ করে, তাদেরকে পূজা করে সে জন্যে এ কাজকে মানুষের চোখে, মানুষের মগজে শোভনীয় করে উপস্থাপন করে।
মানুষ রুপী কিছু শয়তানের মাধ্যমে সে ইসলামী পরিভাষার ভুল ব্যাখ্যা এবং আকীদা বিকৃতি করে দলে দলে মানুষকে এই সব দেবতাদের দিকে আহবান করে। এ কাজের মাধ্যমে সে তার উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য অনেকগুলো দলের সৃষ্টি করে। তার মধ্যে অন্যতম হলো সূফিবাদের নামে ঘরে ঘরে খেলাফত ব্যবস্থা প্রবর্তন করা।সমাজের ভিতরে পীর, আউলিয়া, দরবেশ খেতাবধারী কিছু লোক তৈরী করা। যারা ইসলামের ভিতরে থেকে ইসলামের পোষাক পরে ইসলাম বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এই ভন্ড সূফির দল কোরআন হাদিসের নির্দেশকে উপেক্ষা করে, নিজেদের মনগড়া কিছু ইবাদত সৃষ্টি করে, বিভিন্ন জাল হাদিস তৈরী করে, পবিত্র কোরআনের আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে।
রাসুল সা. এর আদর্শের পরিবর্তে বিভিন্ন বুযুর্গ ব্যক্তির জীবনাদর্শকে অনুসরণ করা শুরু করে। এই সূফিবাদের মোড়কে তারা রাষ্ট্রীয় খেলাফত ব্যবস্থাকে বিসর্জন দিয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে খেলাফত ব্যবস্থা চালু করে এবং তাদের হাতে বায়াত গ্রহন করাকে ফরজ বলে প্রচার করে। এই সমস্ত খলিফাদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারনা হলো যে, তারা নায়েবে রাসুল সা. ও আল্লাহর প্রিয় বান্দা। তাদের হাতে হাত দিয়ে বায়াত গ্রহন না করলে রাসুলের দলে শামিল হওয়া যায় না।
পীর যেহেতু রাসুলের প্রতিনিধি তাই সে পরকালে রাসুল (সাঃ) এর সাথে আলোচনার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে মুরিদের ব্যাপারে সুপারিশ করবে। এই সুপারিশের ব্যাপারে মক্কার কাফের মোশরেকদের বিশ্বাস এবং মুসলিম সমাজে পীরের শিষ্যদের বিশ্বাস এক ও অভিন্ন। লাত মানাতের স্থান এখন পীর সাহেবেরা দখল করে বসেছে। সুপারিশের ব্যাপারে পবিত্র কোরআন বলছে-
বর্তমানে মুসলিম সমাজে প্রচলিত পূজার মধ্যে কবর পূজা অন্যতম। আমাদের দেশে অনেক মাজার আছে যেমন, হযরত শাহজালাল, শাহপরাণ, খানজাহান আলী, বায়েজীদ বোস্তামীর রহঃ এর মাজার। এই সমস্ত মাজারে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমায়।প্রতি বছর ঔরশের নামে বিরাট আয়োজন করা হয়। লোকেরা তাদের মাজারে বিভিন্ন রোগমুক্তির জন্য মানত করে।তাদের মাজারে সেজদা করে। বন্ধ্যা নারীরা সন্তান লাভের জন্য তাদের কাছে প্রার্থনা করে।
এই প্রসিদ্ধ মাজারগুলো ছাড়াও বিভিন্ন শহরে, রাস্তার মোড়ে, গ্রামাঞ্চলে হাজার হাজার মাজার রয়েছে এবং নিয়মিত সেখানে বিভিন্ন প্রকার ইবাদত চলছে।মানুষেরা মনে করে এই সমস্ত পীর আউলিয়ারা সবকিছু শোনেন। তারা হয়তো অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত। তাই তারা বিভিন্ন মাজারে ভিড় করে এবং জীবিত পীরদের কথাকে ধ্রুব সত্য বলে মনে করে। কোন মানুষের ভাগ্য গননার ক্ষমতা আছে কিনা, অদৃশ্যের কোন জ্ঞান আছে কিনা তা আমরা কোরআনের ভাষায় জানবো।পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে -
শারীরিক অসুস্থতা সহ যেকোন বালা মুসিবত থেকে রক্ষার জন্য একমাত্র আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে।অন্য কারও দরবারে যাওয়া জায়েজ নয়।মহান আল্লাহ বলেন-
মুসলিম সমাজের কিছু মানুষ সন্তান লাভের জন্য পীর ফকিরদের শরণাপন্ন হয়।কেউ কেউ আবার পুত্র সন্তান বা কন্যা সন্তান লাভের জন্যেও তদবির নিয়ে থাকে।এবং মানত পূরনের জন্য পীরের মাজারে বা বাৎসরিক ঔরশে গরু খাসি বা নগদ টাকা দিতে দেখা যায়।মানুষের এই সব ভ্রান্ত ধারণা বা বিশ্বাসের মূলৎপাটন করে আল্লাহ বলেন-
আল্লাহর ইচ্ছা অনুসারে আল্লাহ সন্তান দান করে থাকেন। এ ব্যাপারে কোন মানুষের কোন ক্ষমতা নেই।মানুষের কোন ক্ষমতা আছে যদি কেউ এই বিশ্বাস করে তবে সে ব্যক্তি শেরেকে লিপ্ত হয়ে যায়। এ ছাড়াও আমাদের সমাজের মানুষেরা সংসারের সুখ শান্তি ব্যবসায়িক উন্নতি সহ যে কোন কাজে সফলতার জন্য এই সব পীরদের আস্তানায় ধর্না দেয়। আইয়্যামে জাহিলিয়াত যুগের কাফেরদের বৈশিষ্ট্যের সাথে এদের বৈশিষ্ট্যের কোন পার্থক্য নেই। তারা লাত মানাত ইত্যাদি দেব দেবীর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতো আর এরা বিভিন্ন পীর ফকিরের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য চায়। রাসূলের যুগের মানুষেরা যদি আল্লাহকে বিশ্বাস করার পরও শুধু মূর্তিকে আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছানোর মাধ্যম হিসেবে পূজা করার অপরাধে মুশরিক হয়ে থাকে তাহলে বর্তমান যুগে যারা পীরদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার মাধ্যম হিসেবে গ্রহন করে, পীরের দরবারে মানত করে, পীর সাহেব মুরিদের মনের অবস্থা জানে, কেয়ামতের মাঠে পীর সুপারিশ করতে পারবে এই ধারনা পোষন করে তারাও মুশরিক তাতে কোনই সন্দেহ নেই।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Facebook: facebook.com/samoiki
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments