রসগোল্লার সন্দেশ বিজয় ।। আবদুশ শাকুর

রসগোল্লা জন্মগ্রহণ করে ১৮৬৭ সালে। সূত্রে রসের গোলা রবীন্দ্রনাথ রসগোল্লার বড়দা, যিনি জন্মগ্রহণ করেন তাঁর এই ছোটভাইটির সাতটি বছর আগে, ১৮৬১ সালে। স্বভাবতই বড় গোলার রস ছোট গোল্লার রসের চেয়ে অনেক বেশি। হতে পারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনশ্বর রসের উৎস সন্ধানে এই নশ্বর রসের দোরেও উঁকি মেরে দেখা- হয়রান আবদুশ শাকুরের বেহাল দশা প্রমাণ করা ছাড়া আর কোনো দিশাই দেয় না। তবে কবিগুরুর কবি শব্দটির সঙ্গেও একটা রসের সম্পর্ক আছে রসগোল্লার। কারণ নবীন এই মিষ্টান্নটির উদ্ভাবক ছিলেন কবিওয়ালা ভোলা ময়রার জামাতা বাগবাজারের নবীনচন্দ্র দাস। নবীনচন্দ্রের রসগোল্লা উদ্ভাবন বাঙালির মিষ্টিকে অন্য স্তরে তুলে দিয়েছিল।
 
অষ্টাদশ শতকের শেষার্ধে জন্মগ্রহণ করা, হরু ঠাকুরের শিষ্য, ভোলানাথ মোদক ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের প্রসিদ্ধ কবিওয়ালাদের একজন। ভোলা বাগবাজারে মিষ্টি বিক্রি করতেন তাই ভোলা ময়রা নামের পরিচিতিটি ইতিহাসে স্থায়ী হয়ে গিয়েছে, যদিও কবিয়াল হিসাবে খ্যাতিমান হয়ে উঠতেই মিষ্টি বিক্রি ছেড়ে কবিগানেই হোলটাইমার হয়ে যান শ্রীমোদক। কবির দল গড়ার আগেও তিনি বহু রসোত্তীর্ণ কবিতা রচনা করেছিলেন। সমাজের ত্রুটির প্রতি নির্দেশ করে রচিত এই কবিয়ালের শ্লেষপূর্ণ কবিতার বিষয়ে বিদ্যাসাগর মহাশয় বলেছিলেন, বাঙলাদেশের সমাজকে সজীব রাখিবার জন্য মধ্যে মধ্যে রামগোপাল ঘোষের ন্যায় বক্তা, হুতুম পেঁচার ন্যায় লেখক এবং ভোলা ময়রার ন্যায় কবিওয়ালার প্রাদুর্ভাব বড়ই আবশ্যক।
 
আমাদের রন্ধনশিল্পটি সুপ্রাচীন হলেও, তার সৃজনশীলতা কিন্তু চিরনবীন। যেমন মিষ্ট অন্নের কথাই ধরা যাক। সুপ্রাচীন ঘরানাটি হল সন্দেশের- যার প্রকার অশেষ, স্বাদও অনেক। তবু মিষ্টান্নের ভুবনে একটি অর্বাচীন ঘরানার সৃষ্টি হয়ে গেল বলতে গেলে এই সেদিন, রসগোল্লার। খান্দানি ময়রা নবীনচন্দ্র দাস উদ্ভাবিত বিস্ফোরক এই মিষ্টান্নটিকে বিশ্ববিজয়ী নতুন একটি ঘরানারূপে প্রতিষ্ঠিত করেন তাঁর সুযোগ্য পুত্র কৃষ্ণচন্দ্র দাস ওরফে কে. সি. দাস- যে-কারণে নামটি অবিচ্ছেদ্যরূপে যুক্ত হয়ে গিয়েছিল রসগোল্লার সঙ্গে- কেসি দাসের রসগোল্লা। ভোজনশিল্পের সার কথাটি যদি হয় রসের আস্বাদন, তবে প্রকৃত রসের বিচারে বাংলার রসগোল্লার কোনো জুড়ি নেই এই বিশ্বব্রহ্মা-নেই।
 
বাংলা মিষ্টান্নের অভিনবত্ব তার উপকরণে। ভারতবর্ষে ছানার ব্যবহার আদৌ ছিল না। অন্যান্য রাজ্যে মিষ্টান্ন প্রস্তুত হয় ছোলা, ডাল, বেসন, আটা ইত্যাদি সহযোগে। বাংলা মিষ্টান্ন জগতে ছানার ব্যবহার অত্যন্ত মৌলিক এক উদ্ভাবন। বস্তুত, এই অঞ্চলে অন্যান্য স্থূল উপকরণের স্থানই নেই মিষ্টান্নে। ছানা অথবা খোয়া বা জমাটি ক্ষীর কিংবা উভয়েই আমাদের মিষ্টান্নের মুখ্য উপকরণ।
 
বাঙালি মিষ্টির দুটি ধারা- সন্দেশ এবং রসগোল্লা। সন্দেশের ইতিহাস সুপ্রাচীন, বরং আবহমান বাংলার লুচিরই সাথী সে। রসগোল্লার মাত্র সার্ধশতবর্ষ পূর্ণ হবে আরো আট বছর পরে ২০১৮ সালে। রসগোল্লার আবিষ্কারক নবীনচন্দ্র দাস কবেই তাঁর সাধনার কেন্দ্র বাগবাজারের দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন। মহৎ শিল্পের মৃত্যু হয় না। উত্তরসূরীরা সাধনায় রত থাকেন। এখন পৃথিবীর সর্বত্রই রসগোল্লা পাওয়া যায়। তবে বিস্ময়েরই ব্যাপার যে, গঙ্গা পার হলেই তার স্বাদগন্ধ একটু পিছিয়ে পড়ে।
 
সাম্প্রতিক কালের সর্বশ্রেষ্ঠ রসগোল্লাশিল্পী সম্ভবত কলকাতার শ্যামবাজার স্ট্রিটের ওপর . ভি. স্কুলের নিকটবর্তী চিত্তরঞ্জন মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। এমন হালকা, অতি কোমল জুঁই ফুলের মতো পবিত্র রসগোল্লার তুলনা আমার অভিজ্ঞতায় নাই। পথিকৃৎরা চলে যাবার পর সভ্যতা স্তব্ধ হয়ে যায় না বরং অগ্রসর হয়। তার কারণ নতুন সাধকেরা যোগ দেন, ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখেন, মহিমান্বিত করেন। নবীনচন্দ্রের সৃষ্টিকে চিত্তরঞ্জন মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মতো চিরকালই কোনো না কোনো মহৎ মিষ্টান্নশিল্পী চিরনবীন করে রাখবেন। এমনিতে কোয়ালিটি রসগোল্লার স্রষ্টা কলকাতা শহরে অনেক, যাঁদের মাপের কেউ ঢাকায় নেই; বস্তুত বাংলাদেশেই নেই। কারণ রসগোল্লা-বস্তুটি কেন যেন গাঙ্গেয়, যেমন ইলিশ-জিনিসটি কেন যেন পাদ্মেয়।
 
 
 
গঙ্গা পার হলেই রসিকরা অনুভব করেন, রসগোল্লার জাত বদল হল। গঙ্গা-পার চন্দননগরের এবং নাটোরের কাঁচাগোল্লার কথা ভেবে বিভ্রান্ত হবার অবকাশ নেই। কারণ গোল্লা রসের নয়, সন্দেশের। সেজন্যেই আমার -লেখাটার শিরোনাম রসগোল্লার সন্দেশবিজয়। কাঁচাগোল্লা-যে সন্দেশ হিসেবেও জাতের নয়, তার প্রমাণ সন্দেশ দ্রুত খাওয়া যায়; এবং পানির সাহায্য ছাড়াই। কারণ -সন্দেশে রসগোল্লার চারিত্র্য বর্তেছে বলেই এর নামও বদলে কাঁচাসন্দেশ-এর স্থলে হয়েছে কাঁচাগোল্লা।
 
 প্রসঙ্গত স্মর্তব্য যে প্রতীচ্যে ফাস্টফুড আবির্ভাবের শতবর্ষ পূর্বে প্রাচ্যে আবির্ভূত রসগোল্লা আজো সমগ্র বিশ্বের একনম্বর ফাস্টফুড। কারণ -ফুড খাওয়ার আনুষঙ্গিক পানি এর ভেতরেই থাকে। (স্পঞ্জ-রসগোল্লার কথা ভাববেন না, কারণ দাঁত দিয়ে কেটে খাওয়ার -বস্তু রসগোল্লা নামপদবাচ্য নয়; ওটার নাম হতে পারে বড়জোর স্পঞ্জগোল্লা) পানির সাহায্য ছাড়া সন্দেশ খাওয়ানো কেমন প্রাণঘাতী শাস্তি তা অনুধাবন করার জন্য নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিখ্যাত গল্প একটি কৌতুকনাট্য থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছি।
 
গল্পকারের ডাক্তারমামার প্রথম পৌত্রের অন্নপ্রাশনের সময় দেয়া তাঁর তিন ভরি সোনার হারটি চুরি করেছে সন্দেহে এক ভুখা মানুষকে পুত্র টোকনের মেরে রক্তাক্ত করে ফেলার পরেও লোকটা স্বীকার করছে না। টোকন তাকে আরো একটা লাথি দিতে উদ্যত হতেই মামা ডিসপেন্সারি থেকে ফিরে তাকে থামিয়ে শুনলেন যে সে- চোরটাকে ধরেছে। মামা তাকে দিয়ে এক সের সন্দেশ আনিয়ে কয়েকদিনের না-খাওয়া লোকটিকে একথালা খাইয়ে জিজ্ঞেস করলেন :
হারটা কোথায়?
হার আমি জানি না বাবু। একটু জল দ্যান।
বল্, হার কোথায়?
হার নিই নাই বাবু- লোকটা বোবা-ধরার মতো গলায় বললে- জল দ্যান বাবু। সন্দেশ বুকে আটকাইয়া গেছে। মইরা গেলাম, জল দ্যান।
হার কোথায় আছে না বললে জল দেওয়া হবে না।
এক সের সন্দেশের রহস্য বোঝা গেল এতক্ষণে। লোকটার সারা মুখে তখন মরণান্তিক যন্ত্রণা- সাদা সাদা চোখ দুটো ঠেলে বেরিয়ে আসার উপক্রম করছে। বুকে হাত চেপে লোকটা ঝুঁকে পড়ল :
বাবু- জল- মইরা- গেলাম- জল-
বল্ হার নিয়েছিস কিনা?
উদভ্রান্ত পাগলের মতো তাকালো লোকটা। বললে :
নিছি নিছি। এখন একটু জল দ্যান-
বল্- হার কী করেছিস?
-বাজারে একজনরে বেইচ্যা দিছি। একশো টাকা পাইছিলাম- হারাইয়া গেছে! – লোকটা গোঙানির মতো সুর তুলে বলে যেতে লাগল : হইল তো? এখন আমারে থানা পুলিস যেখানে খুশি দ্যান- তার আগে একটু জল দ্যান।
জলের ঘটিটা মামাই এগিয়ে দিলেন। এক ঘটি জল শেষ করে ঝিম মেরে বসে রইল লোকটা।
মামা আমাকে ডাকলেন ছাতে। রাত এগারোটার সময়। রেলিং ধরে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছেন, বিষণœ চাঁদের আলো চোখে মুখে চিকচিক করছে তাঁর। এই মুহূর্তে আমি বুঝতে পারলুম, মামা অনেক- অনেক বুড়ো হয়ে গেছেন। গম্ভীর মৃদুস্বরে তিনি বললেন :
টোকন একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। হারটা সে- বিক্রি করে এসেছিল। আমার চেনা স্যাঁকরা- তারই গড়ানো- সে- আমাকে ডিসপেন্সারিতে ফেরৎ দিয়ে গেল।
লোকটা যে নিজের মুখে কবুল করল মামা!
যে দুদিন খেতে পায় না, তাকে এক থালা সন্দেশ খাইয়ে জল না দিলে চুরি তো চুরি- তিনটে খুনও সে কবুল করত সুকুমার।
কিন্তু সব জেনেশুনে-
বাড়িভর্তি আত্মীয়ের সামনে ঘরের কেলেঙ্কারি ফাঁস করব? এই তো ভালো হল সবচাইতে। অনেক মার খেয়েছে, পেট ভরে সন্দেশ খাইয়ে বিদেয় করে দিলুম। বলো ভালো করিনি?
মামা বোধ হয় হাসতে চেষ্টা করলেন। কিন্তু আওয়াজটা আমার কানে কান্নার মতোই ঠেকল।
 
সন্দেশ খাওয়ানোর করুণ বর্ণনার পরে এবার রসগোল্লা খাওয়ানোর মধুর বর্ণনা দিচ্ছি সৈয়দ মুজতবা আলীর রসগোল্লা-নামক গল্প থেকে :
ঝান্ডুদা টিন-কাটার হাতে নিয়ে ফের চুঙ্গিওলাকে বললেন, তোমাকে কিন্তু ওই মিষ্টি পরখ করতে হবে নিজে, আবার বলছি।
চুঙ্গিওলা একটু শুকনো হাসি হাসলে। শীতে বেজায় ঠোঁট ফাটলে আমরা যে-রকম হেসে থাকি। ঝান্ডুদা টিন কাটলেন। কী আর বেরবে? বেরল রসগোল্লা। বিয়ে-সাদিতে ঝান্ডুদা ভুরি ভুরি রসগোল্লা স্বহস্তে বিতরণ করেছেন- ব্রাহ্মণ-সন্তানও বটেন। কাঁটা-চামচের তোয়াক্কা না করে রসগোল্লা হাত দিয়ে তুলে প্রথমে বিতরণ করলেন বাঙালিদের, তারপর যাবতীয় ভারতীয়দের, তারপর আর সবাইকে অর্থাৎ ফরাসী, জার্মান, ইতালীয় এবং স্প্যানিয়ার্ডদের।
মাতৃভাষা বাংলাটাই বহুত তকলিফ বরদাস্ত করেও কাবুতে আনতে পারিনি, কাজেই গন্টা তিনেক ভাষায় তখন বাঙালির বহু যুগের সাধনার ধন রসগোল্লার যে বৈতালিক গীতি উঠেছিল তার ফটোগ্রাফ দি কী প্রকারে?
ফরাসীরা বলেছিল, এপাতাঁ!
জর্মনরা, ক্লর্কে!
ইতালিয়ানরা, ব্রাভো!
স্প্যানিশরা, দেলিচজো, দেলিচজো!
আরবরা, ইয়া সালাম, ইয়া সালাম!
 
তামাম চুঙ্গিঘর তখন রসগোল্লা গিলছে। আকাশে বাতাসে রসগোল্লা। কিউবিজ্ম বা দাদাইজ্মের টেকনিক দিয়েই শুধু এর ছবি আঁকা যায়। চুঙ্গিঘরের পুলিস-বরকন্দাজ, চাপরাসী, স্পাই সক্কলের হাতে রসগোল্লা। প্রথমে ছিল ওদের হাতে কিয়ান্তি, আমাদের হাতে রসগোল্লা। এক লহমায় বদলা-বদলি হয়ে গেল। আফ্রিকার এক ক্রিশ্চান নিগ্রো আমাকে দুঃখ করে বলেছিলেন, ক্রিশ্চান মিশনারিরা যখন আমাদের দেশে এসেছিলেন তখন তাঁদের হাতে ছিল বাইবেল, আমাদের ছিল জমিজমা। কিছুদিন বাদেই দেখি, ওঁদের হাতে জমিজমা, আমাদের হাতে বাইবেল।”…
 
ততক্ষণে কিন্তু তাবৎ চুঙ্গিঘরে লেগে গিয়েছে ধুন্দুমার। চুঙ্গিওলার গলা থেকে যেটুকু মিহি আওয়াজ বেরুচ্ছে তার থেকে বোঝা যাচ্ছে সে পরিত্রাণের জন্য চাপরাসী থেকে আরম্ভ করে পুলিসকনসাল, অ্যাম্বসেডরকারুরই দোহাই পাড়তে কসুর করছে না।কিন্তু কোথায় পুলিস? চুঙ্গিঘরের পাইক বরকন্দাজ ডান্ডা-বরদার, আস-সরদার বেবাক চাকর-নফর বিলকুল বেমালুম গায়েব! কি ভানুমতী, কি ইন্দ্রজাল!
 
দেখি, ফরাসী উকিল আকাশের দিকে দু হাত তুলে অর্ধনিমীলিত চক্ষে, গদগদ কণ্ঠে বলছে, ধন্য পুণ্যভূমি ইতালি, ধন্য পুণ্যনগর ভেনিস! ভূমির এমনই পুণ্য যে হিদেন রসগোল্লা পর্যন্ত এখানে মিরাকল্ দেখাতে পারে। কোথায় লাগে মিরাকল অব মিলান এর কাছে- যে সাক্ষাৎ জাগ্রত দেবতা, পুলিস-মুলিস সবাইকে ঝেঁটিয়ে বার করে দিলেন এখান থেকে! ওহোহো, এর নাম হবেমিরাকল দ্য রসগোল্লা
 
উকিল মানুষ, সোজা প্যাঁচ না মেরে বলতে পারে না। তার উচ্ছাসের মূল বক্তব্য, রসগোল্লার নেমকহারামি করতে চায় না ইতালীয় পুলিস-বরকন্দাজরা। তাই তারা গা-ঢাকা দিয়েছে।
কে একজন ঝান্ডুদাকে সদুপদেশ দিলেন, পুলিস ফের এসে যাবে। ততক্ষণে আপনি কেটে পড়ন।
 
তিন মিনিটের ভিতর (চুঙ্গিওলার) বড়কর্তা ভিড় ঠেলে এগিয়ে এলেন। বড়কর্তা রসগোল্লা একটি মুখে তুলেই চোখ বন্ধ করে রইলেন আড়াই মিনিট। চোখ বন্ধ অবস্থায়ই আবার হাত বাড়িয়ে দিলেন। ফের। আবার।
 
এবারে ঝান্ডুদা বললেন, এক ফোঁটা (ইতালির) কিয়ান্তি?
কাদম্বিনীর ন্যায় গম্ভীর নিনাদে উত্তর এল, না। (বাংলার) রসগোল্লা।
ইতালির প্রখ্যাত মহিলা কবি ফিলিকাজা গেয়েছেন :
ইতালি, ইতালি, এত রূপ তুমি কেন ধরেছিলে, হায়!
অনন্ত ক্লেশ লেখা -ললাটে নিরাশার কালিমায়।
আমিও তাঁর স্মরণে গাইলুম :
রসের গোলক, এত রস তুমি কেন ধরেছিলে, হায়!
ইতালির দেশ ধর্ম ভুলিয়া লুটাইল তব পায়!
এহেন নবীন রসের অন্তত গোল্লাটুকু ধার নিয়ে ধন্য তো হতেই হবে রসহীন প্রবীণ সন্দেশের বনেদি বংশটিকে। তাই রসগোল্লার শুধু গোল্লাটুকুর মহিমাতেই কাঁচাগোল্লা আজ সকলের প্রিয়তম সন্দেশ।

⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN

🔗 MY OTHERS CHANNELS

🔗 FOLLOW ME

🔗 MY WEBSITE

🔗 CALL ME
+8801819515141

🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com

No comments

নির্বাচিত লেখা

আফসার নিজাম’র কবিতা

ছায়া ও অশ্বথ বিষয়ক খ-কবিতা এক/ক. সূর্য ডুবে গেলে কবরের ঘুমে যায় অশ্বথ ছায়া একচিলতে রোদের আশায় পরবাসী স্বামীর মতো অপেক্ষার প্রহর কাটায় প্রাচী...

Powered by Blogger.