ইসলামে কাব্যচর্চার গুরুত্ব ।। আসাদ বিন হাফিজ
নবীজী
কেবল কবি ও কবিতা ভালোবাসতেন এবং কাব্যচর্চাকে উৎসাহ ও পৃষ্ঠপোষকতা করতেন বিষয়টি শুধু এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তিনি তাঁর সাহাবীদের দিয়ে কবিতার এক বিশাল ভুবন নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। এ জন্য তিনি তাঁর অনুসারী কবিদেরকে কাব্যচর্চা করার জন্য বার বার নির্দেশ দিয়েছেন। কাব্যচর্চা করাকে যেনো কেউ গুরুত্বহীন ভাবতে না পারে সে জন্য তিনি কবিতা রচনাকে জেহাদের সাথে তুলনা করেছেন। কবিতার জেহাদে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য তিনি তার সাহাবী কবিদেরকে কঠোর নির্দেশ দিতেন।
হযরত
আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত হাদীস থেকে জানা যায়, তিনি কি ভাষায় কবিদেরকে সেই নির্দেশনা প্রদান করেছিলেন। উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রা. বলেন, ‘মহানবী সা. বললেন, তোমরা কাফির মুশরিকদের নিন্দা করে কাব্য লড়াইয়ে নেমে পড়। তীরের ফলার চেয়ে তা আরো বেশী আহত করবে তাদের।’ এ হুকুম জারী হওয়ার পর ইবনু রওয়াহাকে পাঠানো হলো। সম্পূর্ণ মুগ্ধ হতে পারলেন না রাসুল সা.। কা’আব বিন মালিকও এলন। অবশেষে যখন হাসসান রা. আলেন, নবীজী বললেন, ‘সবশেষে তোমরা পাঠালে ওকে? ওতো লেজের আঘাতে সংহারকারী তেজোদৃপ্ত সিংহশাবক। কথা শুনে আনন্দে জিভ নাড়তে লাগলেন হাসসান রা.। বললেন, যিনি আপনাকে সত্যবাণী দিয়ে পাঠিয়েছেন সেই আল্লাহর শপথ! এ জিভ দিয়ে ওদের মধ্যে চামড়া ছুলে ফেলার মতো গাত্রদাহ সৃষ্টি করেই ছাড়বো।’ এ হাদিসটিই অন্য রেওয়াতে একটু ভিন্নভাবে উল্লেখিত হয়েছে। হাদিসটিতে বলা হয়েছে: রাসুল সা. সাহাবীদের সম্বোধন করলে উঠে দাঁড়ালে হাসসান বিন সাবিত রা.। বললেন, ‘আমিই রইলাম তার জন্যে। তিনি আপনার জিভ মেলে ধরলেন। পুনশ্চ বলে উঠলেন, ‘আল্লাহর শপথ। বুসরা থেকে শুরু করে সানসানর নিভৃত বস্তি পর্যন্ত আমার কথা নির্ঘোষিত হবে আজ থেকে ইনশাআল্লাহ।
হাসান বিন সাবিত রা.-এর এই তেজোদৃপ্ত ঘোষণা শুনে মহানবী সা. বললেন, ‘তা বেশ, কিন্তু আমি যে কুরাইশ গোত্রের। তাহলে কিভাবে ওদের ব্যঙ্গ করবে তুমি? জবাব দিলেন হাসসান বিন সাবিত রা., ‘ময়দার পাকানো মন্ড থেকে যেভাবে চুল বেছে আনা হয়, দেখবোন, ঐভাবেই আমি আপনাকে ওদের থেকে পৃথক করবো।’ এ রকম চমৎকার উপমা দিতে পারতেন বলেই হাসসান বিন সাবিত রা. আরবের শ্রেষ্ঠ কবির মর্যাদা লাভ করেছিলেন।
মুহম্মদ
ইবনে সীরীন আরও বলেছেন, ওই দিন থেকেই আনসারদের তিনজন ইসলামী কবি হাসসান বিন সাবিত রা., কা’আব বিন মালিক রা. এবং আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রা. কাফিরদের বিরুদ্ধে কবিতার লড়াইয়ে নেমে পড়লেন। হাসসান বিন সাবিত রা. এবং কা’আব বিন মালিক রা. কাফিরদের সুরে সুরে মিলিয়ে তার জবাব দিতেন। কাফিরদের পরাজয়ের ঘটনা, তাদের বংশীয় কুখ্যাতি এবং ঐতিহাসিক ত্র“টি-বিচ্যুতি ফুটে উঠতে লাগলো কবিদ্বয়ের কবিতায়। কিন্তু আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা? তিনি তার নিন্দাকাব্যে ফুটিয়ে তুলতে লাগলেন তাদের ঈমান গ্রহণ না করার আসল রহস্য। সে সময় হাসসান ও কা’আবের কবিতা ছিলো কাফির মুশরিকদের জন্য সুতীক্ষè তীরের অসহ্য আঘাতের মতো। ইবনে রাওয়াহার কবিতায় তেমন আহত হতো না তারা। কালক্রমে তারা সবাই মুসলমান হলেন। তখন তাঁরা উপলব্ধি করতে পারলেন ইসলামের অন্তনিহিত শিক্ষা ও এর অবদান সমূহ এবং তখন তারা বুঝলেন ইবনে রাওয়াহ’র কবিতাই ছিলো তাদের জন্য বিষমিশ্রিত শেল। যা দারুণ বেদনাদায়ক এবং প্রদাহ সৃষ্টিকারী ব্যঙ্গ। এর কারণ ছিলো, ইবনে রাওয়াহার কবিতার শিল্পকুশলতা অন্যদের তুলনায় তীর্যক, তীক্ষè এবং অনেক বেশি উন্নতমানের ছিলো।
এ রকম আরো ঘটনা আছে। একবার এক সাহাবী আলী ইবনে আবু তালিব রা.কে অনুরোধ জানিয়ে বললেন, ‘ওরা যেভাবে কবিতার বাণী আমাদের দিকে ছুঁড়ছে, সে ক্ষেত্রে আমাদের হয়ে আপনিও এর জাবাব দিন না।’ তিনি উত্তরে বললেন, হ্যাঁ দেয়া যায়। তবে মহানবী সা. অনুমতি দিলে তবেই তা সম্ভব।’ তারপর
ঐ সাহাবী সোজা গেলেন মহানবী সা.-এর কাছে। আরজ করলেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ যারা আমার বিরুদ্ধে ব্যঙ্গ কবিতার তুফান তুলছে তাদের জবাব দেয়া দরকার। আপনি আলীকে অনুমতি দিন। মহানবী তাকে বুঝালেন, আলী এর জন্য যথোপযুক্ত নন। কারণ আলী রা.-এর উচ্চাঙ্গে ভাষা এবং ভাবের গভীরতা বুঝা সর্বসাধারণের পক্ষে বেশ কঠিন ছিলো। চলমান কাব্যধারায় আঘাত আসছিলো সর্বসাধারণের বোধগম্য ভাষায়, এর জাবাবও সেভাবেই দেয়া প্রয়োজন। এরপর রাসুল সা. আনসারদের সমবেত করে তাদের সামনে আবেগময় ভাষায় বক্তব্য রাখলেন। তিনি উচ্ছ্বসিত ভাষায় তাদের বললেন: ‘এতো অনস্বীকার্য, আল্লাহর রাসুলকে হেফাজত করার জন্য অস্ত্র হাতে নিয়ে তোমরা অতন্দ্র প্রহরী হয়ে কাজ করছো, কলমের ভাষা দিয়ে তাঁকে আজ হেফাজত করার সময় এসে গেছে। কে আছো তীক্ষè মসীর আঁচড় নিয়ে এগিয়ে আসবে?’ অন্য এক হাদিসের বিষয়টি এসেছে এভাবে: যারা হাতিয়ার দ্বারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে সাহায্য করে, কথার দ্বারা (অর্থাৎ কবিতার দ্বারা] আল্লাহকে সাহায্য করতে কে তাদের বাঁধা দিয়েছে?’
রাসুল
সা.-এর মুখ থেকে এমন আবেগদীপ্ত আহবান শোনর পর সেই ডাকে সাড়া না দিয়ে কেউ কি থাকতে পারে? তাই সাহাবীগণ সাথে সাথেই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কাব্য লড়াইয়ে নেমে পড়লেন। এ কথাটি আমরা জানতে পারি কা’আব ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত অন্য এক হাদিস থেকে। হাদিসটি হচ্ছে: ‘কা’আব ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল সা. আমাদের নির্দেশ দিলেন, ‘যাও, তেমরা মুশরিকদের প্রতিপক্ষে কবিতার লাড়াইয়ে লেগে যাও। কারণ মুমিন জিহাদ করে জান দিয়ে মাল দিয়ে। মুহম্মদের আত্মা যাঁরা হাতের মুঠোয় তাঁর শপথ! তোমাদের কবিতা, তীরের ফলা হয়ে তাদের কলজে ঝাঁঝরা করে দেবে।’ এভাবে রাসুল সা. আল্লাহর কালামের অনুগত কাব্যকলাকে উৎসাহিত করে তাঁর নেতৃত্বে নব উত্থিত সমাজ বিপ্লবে সাহাবি কবিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে এক নব উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছিলেন।
কাব্যচর্চা যে কবিদের জন্য জিহাদ সে তথ্যও আমরা জানতে পারি রাসুলের হাদিস থেকেই। উপরোক্ত হাদিসগুলোতে কাব্যচর্চঅকে রাসুল সা. নিজেই জেহাদের সাথে তুলনা করেছেন। তিনি এও বলেছেন, সশস্ত্র লগাইয়ের চাইতেও প্রতিক্ষের বুকে তীক্ষè আঘাত হানতে পারে কবিতা। রাসুল যখন বলেন, ‘ তোমরা কাফির মুশরিকদের নিন্দা করে কাব্য লড়াইয়ে নেমে পড়। তীরের ফলার চেয়ে তা আরো বেশি আহত করবে তাদের তখন আমাদের বুঝতে বাকি থাকে না, কাব্যচর্চা কোনো সাধারণ ব্যাপার নয়, ইসলামের অস্তিস্ত রক্ষার জন্য জিহাদ যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি গুরুত্বপূর্ণ কাব্য জিহাদ করা। অথবা যখন কা’আব ইবনে মালিক রা.বলেন, রাসুল সা. আমাদের নির্দেশ দিলেন, ‘যাও, তোমরা মুশরিকদের প্রতিপক্ষে কবিতার লড়াইয়ে লেগে যাও। কারণ মুমিন জিহাদ করে জান দিয়ে, মাল দিয়ে। মুহম্মদের আত্মা যাঁর হাতের মুঠোয় তাঁর শপথ! তোমাদের কবিতা, তীরের ফলা হয়ে তাদের কলজে ঝাঁঝরা করে দেবে।’ তখন কবিতা লেখার যোগ্যতা আছে এমন কোনো মুসলমানের পক্ষে এই কাব্য লড়াই থেকে বিরত থাকা আর জেহাদ থেকে পালিয়ে বেড়ানোকে আমরা সমান অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে পারি।
সবাই
জানেন, জিহাদে জয় লাভের পর মুজাহিদগণের মধ্যে মাল গণীমতের একটি অংশ ভাগ করে দেয়অ হতো এবং অপর অংশটি পেতো ইসলামী রাষ্ট্র। মুজাহিদগণ ছাড়া এ মালে গনীমতের আর কেউ হকদার হওয়ার যোগ্য বিবেচিত হতো না। যুদ্ধ অংশ না নিলে যদি গণীমতের মালের অংশ পাওয়া না যায় তবে কবিরা মালে গনীমত পাবেন কেমন করে? আবার কাব্যচর্চা যদি জিহাদ হয় তবে কবিরা মালে গনীমত পাবেন না কেনো? সাহাবিদের মধ্যে এমন প্রশ্ন দেখা দিলে মহানবী সা. কবিদেরকে মালে গনীমতের হিস্যা প্রদানের নির্দেশ দেন। এভাবেই কাব্যচর্চা জিহাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। ফলে কবিরা সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ না নিয়েও রাসুলের সা. নির্দেশে গনীমতের মালে অংশ পেতেন।
আজকে
আমরা যারা নিজেদেরকে রাসুলের উম্মত বলে দাবি করি তাদের দায়িত্ব হচ্ছে রাসুল সা. যে বিষয়কে যেমন গুরুত্ব দিয়েছেন সেই বিষয়কে ঠিক তদ্রুপ গুরুত্ব প্রদান করা। যেহেতু তিনি কাব্যচর্চাকে জিহাদের সাথে তুলনা করেছেন তাই আমাদেরও কাব্যচর্চাকে জিহাদ বলেই গণ্য করতে হবে। তিনি যেভাবে যুদ্ধলব্ধ মালে গনীমত মুজাহিদদের মধ্যে বন্টন করার আগে সেই তালিকায় কবিদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন সেইভাবেই আমাদেরও কবিদের ন্যায্য হিস্যা ও পাওনা আদায় করতে হবে। লড়াই করার জন্য সামর্থ অনুযায়ী অস্ত্র সংগ্রহ করার যে গুরুত্ব রয়েছে কবিতার বই বের করাও তেমনি সমান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কবিতাই হচ্ছে কবিদের অস্ত্র। কবির বুকের ভেতর কবিতা লুকিয়ে থাকলে তাতে মুসলিম মিল্লাতের কোনো লাভ হবে না। সেই কবিতার প্রচার ও প্রসার ঘটাতে হবে। এই প্রচার ও প্রসার ঘটানোর প্রাথমিক কাজ হচ্ছে বই বের করা। এরপর সেই বই জনগণের সামনে উপস্থাপনের যতো উপায় আছে সে উপায়গুলো কাজে লাগিয়ে কবিতা তথা ইসলামী ধারার সাহিত্য জনগণের মাঝে ছাড়িয়ে দিতে হবে। নিয়মিত কবিদের বই কিনতে হবে, অন্যদেরকে কিনতে উৎসাহিত করতে হবে, প্রয়োজনে ফান্ড গঠনের মাধ্যমে সেসব বই সংগ্রহ করে তা জনগণের মাঝে বিলিয়ে দিতে হবে, এটাই কাব্য জিহাদের অনিবার্য দাবি।
এ হাদিসগুলো থেকে আরো যা শেখার তা হচ্ছে, যখনই কোনো সমাজে ইসলাম বিরোধী শক্তি ইসলাম ও মুসলমানদের হেয় করার চেষ্টা করবে তখন তার বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়ে রুখে দাঁড়ানো ঈমানদার কবির ঈমানী দায়িত্ব। ঈমানদার কবিরা কাব্যচর্চা করে শখের বশে নয়, ঈমানের এ অপরিহার্য দাবি পূরণের জন্য। দ্বিতীয় যে জিনিসটি গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে, কবি ও লেখকরাই প্রতিপক্ষের জবাব দেবে ঠিক, কিন্তু তাদেরকে এ কাজে লাগিয়ে দেয়া এবং তাদের দিকনির্দেশনার দেয়ার দায়িত্ব পালন করতে হবে ইসলামী নেতৃবৃন্দকে। কারণ রাসুলে খোদা নিজে এ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এই দিকনিদের্শনা ও পৃষ্ঠপোষকতা যথার্থ মানে না হলে প্রতিপক্ষের লেখার উপযুক্ত জবাবদানের ব্যর্থতার দায় লেখকের চাইতে নেতৃবৃন্দ্রকেই বহন করতে হবে। কারণ যুদ্ধে ব্যর্থতার সর্বোচ্চ দায় সেনাপতিকেই ভোগ করতে হয়, সৈনিককে নয়। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, রাসুল সা. যেভাবে সাহাবি কবিদেরকে পরিচালনা করেছিলেন সেভাবে আজও কবিদের পরিচালনা করা ইসলামী নেতৃবৃন্দের ওপর সুন্নাতে রাসুলের অপরিহার্য দাবি। তৃতীয় যে বিষয়টি আমাদের মনে রাখতে হবে তা হচ্ছে, যারা গবেষণা ও কাব্যচর্চা করবেন তাদের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দেয়াও ইসলামী নেতৃবৃন্দের দায়িত্বের অন্তর্গত। মহানবী সা. যেভাবে জ্ঞানচর্চাকারীদের আসহাবে সুফফায় রেখেছিলেন, তাদের ভরণপোষণ করেছিলেন তেমনি লেখকদের থাকা খাওয়ার উপযুক্ত ব্যবস্থা করাও ইসলামী নেতৃবৃন্দের দায়িত্ব। জ্ঞানচর্চা করার মতো অফিস ও লাইব্রেরীর ব্যবস্থা করা, তথ্যউপাত্ত সংরক্ষণ করার মতো অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করা, এসব কাজের জন্য উপযুক্ত ও যোগ্য লোক নিয়োগ দেয়া এসব দায়িত্ব তাদেরই পালন করতে হবে, যারা আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন বাস্তবায়ন করা প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দেবেন। কারণ আধুনিক জামানায় অস্ত্রের চাইতেও প্রতিপক্ষ মুসলিম মিল্লাতকে ঘায়েল করার জন্য তথ্য ও প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছে অধিক হারে। ফলে এ আঘাতের মোকাবেলার জন্য যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে এ অঙ্গণকে এগিয়ে নিতে হবে। বর্তমানে এর প্রয়োজনিয়তা উপলব্ধি করার মতো লোকের অভাব নেই, এ অঙ্গণ শক্তশালী হোক এ স্বপ্ন দেখার লোকেরও অভাব নেই, অভাব স্বপ্ন পূরণের বাস্তব সম্মত ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের। এ কার্যকরী পদক্ষেপের ওপরই নির্ভর করছে কাব্যজেহাদের সফলতা ও বিজয়।
হাসান বিন সাবিত রা.-এর এই তেজোদৃপ্ত ঘোষণা শুনে মহানবী সা. বললেন, ‘তা বেশ, কিন্তু আমি যে কুরাইশ গোত্রের। তাহলে কিভাবে ওদের ব্যঙ্গ করবে তুমি? জবাব দিলেন হাসসান বিন সাবিত রা., ‘ময়দার পাকানো মন্ড থেকে যেভাবে চুল বেছে আনা হয়, দেখবোন, ঐভাবেই আমি আপনাকে ওদের থেকে পৃথক করবো।’ এ রকম চমৎকার উপমা দিতে পারতেন বলেই হাসসান বিন সাবিত রা. আরবের শ্রেষ্ঠ কবির মর্যাদা লাভ করেছিলেন।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments