লন্ডনে যাপিত জীবন_সাঈদ চৌধুরী : পর্ব-১৫

 

পঞ্চরত্নের জনক মাহতাব মিয়া একজ মননশীল মানুষ
 
বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিবিসিসিআই) ডাইরেক্টর এবং নর্থ ইস্ট রিজিওনের প্রেসিডেন্ট মাহতাব মিয়া একজন মননশীল মানুষ। পেশাগত সফল ও মেধাবী পঞ্চরত্নের জনক তিনি। তার ৫টি মেয়ের সকলেই উচ্চ শিক্ষিত। ৩ জন ডাক্তার, ১জন ব্যারিস্টার ও ১জন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট। তারা আপন মহিমায় উদ্ভাসিত।
বিদ্যাকে কাজে প্রয়োগের দক্ষতাকে যদি জ্ঞান বলি, তাহলে জ্ঞানের সদিচ্ছা প্রণোদিত ভাবনাকে মননশীলতা বলা যেতে পারে। চিন্তাশক্তি সম্পন্ন মননশীল মানুষ বন্ধু হলে প্রয়োজনীয় বুদ্ধিগত সহায়তা নেয়া যায়। আমার এমন কিছূ বন্ধু আছেন, জনগন সংশ্লিষ্ট কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন কালে এসব আপন জনের সাথে সাধারণত আলাপ করি। নিউক্যাসলের মাহতাব মিয়া তাদের অন্যতম।
নিউক্যাসল আপন টাইন উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের একটি শহর। টাইন নদীর উত্তর তীরে এই শহর গড়ে উঠেছে। অতীতে এটি রোমান সাম্রাজ্যভুক্ত পন্স অ্যালিয়াস নামে অবহিত ছিল। প্রথম উইলিয়ামের জ্যেষ্ঠ্য পুত্র দ্বিতীয় ডিউক কর্তৃক ১০৮০ সালে নির্মিত নিউক্যাসল প্রাসাদ থেকে এই শহরের নামকরণ হয়েছে।
উল ব্যবসা ও কয়লা উত্তোলনের জন্য নিউক্যাসল আপন ট্যাইন গুরুত্বপূর্ণ নগরে পরিণত হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে নিউক্যাসল বন্দর ও জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্র পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ছিল। এই শিল্প ক্রমে বন্ধ হয়ে গেলেও এটি এখনো বৃটেনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। রক এবং পপ কনসার্টের জনপ্রিয় ভেন্যু হিসেবে খ্যাত সিটি হল এবং থিয়েটার ও যাদুঘর সমূহ বেশ জনপ্রিয়। ইউরোপের ফেরি এবং ক্রুজ জাহাজগুলির পাশাপাশি শহরের চারপাশে নৌকা ভ্রমণের জন্য এখনো আকর্ষণীয়।
বৃহত্তর সিলেটের সুনামগঞ্জ অঞ্চলের মত নিউক্যাসলের মানুষ বেশ প্রাণখোলা বলে আমার কাছে মনে হয়। হাসিতে হৃদয় জয়, হাসিতে ভুবন জয়। যতবার সেখানে গিয়েছি, কী অপরিমেয় আতিথেয়তা। মাহতাব মিয়ার আতিথেয়তার বিপুল আতিশয্যে মুগ্ধ হতে হয়। প্রথম যখন নিউক্যাসল গেলাম, তখন ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন তাছবিরুল আহমদ চৌধুরী সহ বেশ ক’জন বন্ধু সমেত ছিলাম। খাওয়ার কথা ছিল রেষ্টুরেন্টে। গিয়ে দেখি মাহতাব ভাইর বাসায় এই আয়োজন। আস্ত মাছের কোপ্তা সহ কত বাহারি খাবার দাবার। আমাদের সকলের অন্তকরণে স্মৃতিময় হয়ে আছে সেদিনের কথা।
মাহতাব মিয়া চিন্তাশীল ও সৃজনশীল মানুষ। যার হৃদয় মনে আপামর জনগণ তথা সমাজ চিন্তা সদা জাগ্রত। তিনি সমাজের বৃহত্তর জনকল্যাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পরিবার ও সমাজ উন্নয়নে নিজস্ব মনন-মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। তবে তার এসবের মূলে একজন মননশীল সহধর্মীনি সৈয়দা সালমা মাহতাব অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকায় রয়েছেন।
মননশীল মানুষ তার প্রতিবেশী বা কমিউনিটিকে উদ্যমী ও আশাবাদী করে তোলেন। সামাজিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তাদের সততা ও নিষ্ঠা অন্যদের অনুপ্রাণিত করে। ইউরোপের রেনেসাঁ বা নবজাগরণ কিংবা শিল্প বিপ্লবের সূত্রপাত ও চালিকাশক্তি রূপে মননশীল মানুষের ভূমিকাই মুখ্য। অলিভার গোল্ডস্মিথ বলেছেন, 'কোনো কাজে যার নিজস্ব মননশীলতা নেই, তার সাফল্য অনিশ্চিত।’
অত্যন্ত পরিকল্পিত জীবন যাপনে অভ্যস্ত মাহতাব মিয়া দম্পতি আমাদের সমাজের জন্য বিশেষ করে প্রবাসিদের জন্য এক রোল মডেল। পরিশুদ্ধ ও মানবীয় গুনাবলির জন্য এসব মানুষ সময়ে সময়ে পুরষ্কৃত হন। স্থানীয়, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মননশীলতা বা সৃজনশীল চিন্তার গুরুত্বকে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য নানা পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়।
এমনি একটি সম্মাননা হচ্ছে ’মা আমার মা’। ২০১৩ সালে এটিএন বাংলা ইউকে এই এওয়ার্ড প্রদান করে। সৈয়দা সালমা মাহতাব ‘মাদার অব দ্যা ইয়ার’ খেতাবে ভূষিত হন। এমন একটি মননশীল আয়োজনের জন্য এটিএন বাংলা ইউকে’র সিইও হাফিজ আলম বক্সকে অভিবাদন জানাতে হয়।
সৈয়দা সালমা মাহতাব সত্যিই রত্নাগর্ভা মা। দুচোখ ভরা স্বপ্ন তিনি সত্য করেছেন। তার সন্তানদের সকলেই উচ্চ শিক্ষিত। মাহতাব মিয়া ও সৈয়দা সালমা মাহতাব তাদের সুশিক্ষা দিয়েছেন। মানুষ করেছেন। এটি আলোকিত জীবনের সফলতার স্বাক্ষর। সন্তানের সাফল্যে গর্বিত মাকে সম্মাননা জানানো হলেও মূলত এটা তাদের যৌথ প্রয়াসের ফসল। সৃষ্টি সুখের উল্লাসে সকল বাবা-মা’র আনন্দিত হবার কথা।
২০০৪ সালের আগস্ট মাসে নিউক্যাসলের অত্যন্ত জনপ্রিয় ইংরেজি ম্যাগাজিন ’নর্থ ইস্ট এক্সক্লোসিভ’ Our Father বা আমাদের পিতা শীরোনামে কভার স্টোরি করে। সেখানে মাহতাব মিয়া দম্পতির ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। দীর্ঘ প্রতিবেদনে নিউক্যাসল আপন টাইন অঞ্চলে মান সম্পন্ন খাবারের জন্য মাহতাব মিয়ার রেসিপির অকপট স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। সেখানকার ইন্ডিয়ান রেষ্টুরেন্ট সমূহের মালিক যে বাংলাদেশি সিলেটি সেটাও গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হয়েছে।
জাতীয়ভাবে মাহতাব মিয়ার এওয়ার্ড উইনিং রেষ্টুরেন্ট ‘ভোজন’ অস্কারখ্যাত বৃটিশ কারি এয়ার্ড সহ বহুবার জাতীয় ভাবে শ্রেষ্ঠ রেস্তোরাঁ সমূহের র‌্যাংকিং গাইড মিশেলিন স্টারে স্বীকৃতি পেয়েছে। ‘ভোজন’ রেস্তোরাঁর অভিজাত খাবার পরিবশেনের প্রশংসা করে ’নর্থ ইস্ট এক্সক্লোসিভ’ প্রতিবেদনে বৃটেনের মূল ধারার মানুষ এখন কারি ফুডে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে বলেও অভিমত প্রকাশ করেছে।
বৃটেনে 'কারি' সাম্রাজ্য গড়ে ওঠার পেছনে ’ভোজন’ এর মতো অভিজাত বাংলাদেশি রেষ্টুরেন্ট সমূহের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমাদের ক্যাটারিং সেক্টরের আধুনিকায়ন ও খাবারে নিত্য নতুন বৈচিত্র সৃষ্টিতে নতুন মাত্রা পেয়েছে। রেস্টুরেন্ট ব্যবসার ক্ষেত্রে এই সাফল্য ও খ্যাতি মেইন স্ট্রিম মিডিয়া ও মেইন স্ট্রিম রাজনীতিতেও ঈর্ষনীয় ভাবে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে।
দেশের সুনাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বৃটেনের এসব বাংলাদেশি মানুষের প্রেরিত রেমিটেন্সে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে। বিনিয়োগের মাধ্যমেও তারা দেশ গড়ায় বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। বৃটেনের মূল ধারায় সুনামের সঙ্গে নিজেদের জায়গা করে নেয়া এসব স্বদেশিদের নিয়ে আমরা গর্বিত। আমাদের নতুন প্রজন্ম আজ এ দেশে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, ম্যানেজম্যান্ট স্পেশালিস্ট এমনকি তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসা ও পেশায় সফলভাবে বিচরণ করছে।
সূক্ষদর্শী মাহতাব মিয়া ১৯৬৭ সালে ১৫ বছর বয়সে বিলেত আসেন। তার দেশের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলাধীন নবিগঞ্জের রাধাপুর। বাবা মো: গৌছ মিয়া একজন সমাজসেবী। দাদা মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক সর্ব মহলে পরিবিত এবং দ্বীনের খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন।
মাহতাব মিয়া ১৯৭৬ সালে মৌলবী বাজার শহরের শাহ মোস্তফা রোডের অধিবাসী জনপ্রিয় এডভোকেট সৈয়দ সরফরাজ আলীর কন্যা সৈয়দা সালমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭৭ সালে মহিয়সী সালমা স্বামীর মাধ্যমে বিলেত আসেন।
ব্যবসায়িক জীবনে মাহতাব মিয়া ১৯৭৪ সালে যৌথ মালিকানায় সান্দারল্যান্ডে মতিরাজ তান্দুরি করেন। ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সান্দারল্যান্ডে মাহতাব ক্যাটরিং সার্ভিস আজো সগৌরবে অব্যাহত আছে। ১৯৮০ সালে তিনি সাউথশিল শহরে তান্দুরি ইন্টারন্যাশনাল চালু করেন। সবশেষে নিউক্যাসলে চালূ করেন ‘ভোজন’ রেস্তোরা। ১৯৯০ সাল থেকে এটি সাফল্যের সাথে চালিয়ে আসছেন। এছাড়াও তিনি ’কাট পে মার্চেন্ট সাভিস লিমিটেডের’ চেয়ারম্যান।
সমাজসেবী মাহতাব মিয়া অল্প বয়স থেকেই সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ১৯৭১ সালে তরুণ বয়সে মানচেষ্টার অঞ্চলে প্রবাসী নেতা এম এ মতিন ও ড. কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে সক্রিয় ভাবে কাজ করেছেন। ১৯৭৪ সালে সান্দারল্যান্ড জামে মসজিদের কো অর্ডিনেটর ও চেয়ারম্যান ছিলেন। একই সময়ে সান্দারল্যান্ড শাপলা যুব সংঘের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
কমিউনিটি নেতা মাহতাব মিয়া ১৯৭৫ সালে টাইন এন্ড ওয়্যার বাংলাদেশি এসোসিয়েশনের ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি, ১৯৭৬ সালে টাইন এন্ড ওয়্যার কমিউনিটি রিলেশন সার্ভিসের নির্বাহী সদস্য, ১৯৭৮ সালে নর্থামব্রিয়া পুলিশ ও কমিউনিটি লিয়াজো গ্রুপের সদস্য হিসেবে কমিউনিটির বিকাশে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।
রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগনঠনের নেতৃত্বে মাহতাব মিয়ার বুদ্ধিবৃত্তিক প্রয়াস সর্ব মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। তিনি ১৯৮১ সালে জাতীয় জনতা পার্টি নর্থ ইস্টের সেক্রেটারি জেনারেল, ১৯৯৬ সালে নর্থ ইস্ট যুব সংঘের চেয়ারম্যান, ১৯৯৩ সালে যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যন, ১৯৯৩ সালে গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল ইউকে'র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দেশের এবং প্রবাসিদের কল্যাণে ব্যাপক কর্মকান্ড পরিচালনা করেন।
২০১১ সাল থেকে মাহতাব মিয়া নিউক্যাসল বাংলাদেশি এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। তার নেতৃত্বে এসোসিয়েশনের প্রকল্প বাংলা স্কুল, নিউক্যাসল বাংলাদেশি কমিউনিটি সেন্টার ও জামে মসজিদ সুচারুরূপে পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষ করে ২০১৬ সালে মসজিদটির নতুন ভবন গড়ে তুলা হয়েছে।
মাহতাব মিয়া বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন ইউকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে সংগঠনের মাধ্যমে ২৫ হাজার পাউন্ড ফান্ড সংগ্রহ করা হয়, যা প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডর ও সুনামি সংকটে ক্ষতিগ্রস্থদের দেয়া হয়েছে।
২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর নিউক্যাসল বাংলাদেশি এসোসিয়েশনের উদ্যোগে রোহিঙ্গা মরণার্থিদের বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা কল্পে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে অক্সফামের সহায়তায় গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়। এতে দৈনিক ১৫ হাজার মানুষ বিশুদ্ধ পানি পান করতে সক্ষম হচ্ছেন।
মাহতাব মিয়ার নেতৃত্বে ২০১৭ সালের ৩ নভেম্বর সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অর্থ সহায়তা দিয়েছে নিউক্যাসল বাংলাদেশি এসোসিয়েশন ইউকে। উপজেলার শাহীদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে ৭০০ জনের মাঝে জনপ্রতি ২ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহতাব মিয়ার সভাপতিত্বে ও শাল্লা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাছুম বিল্লাহ।
অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের সহসভাপতি সূফী আহম্দ, বাংলাদেশ ডাচ্ চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি (হল্যান্ড) ফারুক চৌধুরী, সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক হিজকিল গুলজার, দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিবলী আহমেদ বেগ, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, শাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস ছত্তার মিয়া, আটগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম আজাদ। অনুষ্ঠানে হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল, শাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামান চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান আবু লেইছ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মাহতাব মিয়ার উপস্থিতিতে ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী নবীগঞ্জ ইউকে আইসিটি ইন্সটিটিউট এর শিক্ষা সনদ বিতরণ করা হয়।নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের অর্থায়নে পরিচালিত সনদ পত্র বিতরণ অনুষ্ঠান ইন্সটিটিউট এর মাঠে অনুষ্টিত হয়।
নিউক্যাসল বাংলাদেশি এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে’র উপদেষ্টা মাহতাব মিয়ার সভাপতিত্বে ও ইন্সটিটিউটের প্রিন্সিপাল ফয়সল আহমেদ চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম, নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের উপদেষ্টা এডভোকেট রুখসানা জামান, ট্রাস্টের সাবেক সভাপতি মাহবুব নুরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান চুনু মিয়া, সহ-সভাপতি ফখরু উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মিয়া, নির্বাহী সদস্য হাবিবুর রহমান বেলায়েত, শামীম বুরহানি, ট্রাষ্টি আব্দুল মান্নান, ট্রাষ্টি আব্দুল আউয়াল, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ সরওয়ার শিকদার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া, ইন্সটিটিউটের কার্যকরি কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক রেজাউল আলম, ইন্সট্রাক্টর পলি জামান চৌধুরী, নাজমিন বেগমসহ শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে ৯৪ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ পত্র বিতরণ করা হয়। পরে অতিথিরা নবীগঞ্জ ইউকে আইসিটি ইন্সটিটিউট এর নিজেস্ব ভবনের কাজ পরিদর্শন করেন। ২০২০ সালের মধ্যেই নতুন ভবনটি উদ্বোধন করতে পারবেন বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
এছাড়াও জনদরদি মাহতাব মিয়া ব্যক্তিগত ভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থাকে নানা রকম সহায়তা করে থাকেন। তিনি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার মানসে দেশের রাজনীতি ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় ভাবে জড়িত রযেছেন।

⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN

🔗 MY OTHERS CHANNELS

🔗 FOLLOW ME

🔗 MY WEBSITE

🔗 CALL ME
+8801819515141

🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com

No comments

নির্বাচিত লেখা

আফসার নিজাম’র কবিতা

ছায়া ও অশ্বথ বিষয়ক খ-কবিতা এক/ক. সূর্য ডুবে গেলে কবরের ঘুমে যায় অশ্বথ ছায়া একচিলতে রোদের আশায় পরবাসী স্বামীর মতো অপেক্ষার প্রহর কাটায় প্রাচী...

Powered by Blogger.