ভয়ংকর জিনের আছর_কবির কাঞ্চন : পর্ব-৭

 

দিনে দিনে মিশার শরীরের অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। চোখের নিচে কালো দাগ পড়েছে। নাদুসনুদুস গালেও ভাঙনের চিহ্ন স্পষ্ট হয়ে আছে। লম্বা সুঠাম দেহের অধিকারী মিশার দেহ মাত্র কয়দিনে হাড্ডিসার কঙ্কালে পরিণত হয়েছে। যে ছেলে সারাদিন বাইরে পড়ে থাকতে ভালবাসতো, বন্ধুদের নিয়ে মাতমাতি করে সময় কাটানো যার অভ্যাস ছিল। আজ বিছানায় শুয়ে-বসে সময় কাটাচ্ছে সে। কাছের মানুষেরা তাকে নিয়ে যেসব মন্তব্য করছেন তা তার একদম বিশ্বাস হয় না। তার কল্পনার জগতে কোন ভূত বা আত্মার অস্তিত্ব নেই। তবুও সবাই বলে তার সাথে নাকি একটা নয়; দুই দুইটা জিন আছে। এসব ভাবতেই ভয়ে তার গায়ে কাটা দিয়ে ওঠে।
ইতিমধ্যে তার অসুস্থতার কথা শুনে গ্রামের বাড়ি থেকে তার বাবা-মা এবং একমাত্র ছোটবোনও চলে এসেছে। স্বাভাবিক হলে বাবা-মা তার পাশে বসে চোখের জলে একাকার হয়। কিন্তু মিশা অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে। একসময় মিশা জানতে চায়-
আমার সাথে তোমরা সবাই এরকম করছো কেন? আমি আবার কী করেছি?
ছেলের এমন বক্তব্যে বাবা-মা আরো চিন্তিত হয়ে পড়েন। তারপর মেয়ে আর মেয়ের জামাইকে নিয়ে আলোচনায় বসলেন।
মিশার বাবা বললেন,
-জামাই, এই শহরে কি বড় কোন ওঝা নেই? যত টাকা লাগুক আমি তা দেব। প্রয়োজনে আমার চাষের জমি বিক্রি করে দেব। তবু আমাদের ছেলেকে বাঁচাতে হবে। আমাদের বংশের একমাত্র প্রদীপ। ওর কোন কিছু হলে আমরা কী নিয়ে বাঁচবো!
মিশার মা স্বামীর এমন কথায় হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন।
শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে মিশার দুলাভাই বলল,
-আব্বা-আম্মা, আপনারা এতো ভেঙে পড়বেন না। শীঘ্রই সব ঠিক হয়ে যাবে। আজ বিকেলে ওঝার আবার আসার কথা।
মিশার বাবা কেঁদে কেঁদে বললেন,
-তাই যেন হয়, বাবা।

⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN

🔗 MY OTHERS CHANNELS

🔗 FOLLOW ME

🔗 MY WEBSITE

🔗 CALL ME
+8801819515141

🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com

No comments

নির্বাচিত লেখা

আফসার নিজাম’র কবিতা

ছায়া ও অশ্বথ বিষয়ক খ-কবিতা এক/ক. সূর্য ডুবে গেলে কবরের ঘুমে যায় অশ্বথ ছায়া একচিলতে রোদের আশায় পরবাসী স্বামীর মতো অপেক্ষার প্রহর কাটায় প্রাচী...

Powered by Blogger.