অসমাপ্ত সম্পর্ক_শফিক নহোর

 
আমি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হবার সময় দুজন মানুষ আমার জন্য| খেয়ে না খেয়ে রাত দিন পরিশ্রম করছে। এমন টা বুঝানো হত আমায়, আমি তাদের কথায় মুগ্ধ। আমার জন্য বিশেষ কিছু উপহার থাকতো প্রতিদিন। আমি খুব সাধারণ ঘরের মেয়ে। ক্রমশ আমার ভিতর এক ধরণের লোভ! আমি সংবরণ করতে পারছি না। চারি দিকে নতুন আলোর আভাস, আমি ভেসে যাচ্ছি অজানা পথে। কেউ-কেউ আমার দিকে আড় চোখে চায় নির্বোধ এর মত। আমার রুমমেট শ্রদ্বেয় বড় আপুর দোষ গুন সম্পর্কে জেনে যাই মেস এ উঠার কিছুদিন পরেই। রাত জেগে ছেলেদের সঙ্গে আড্ডা, দেখা করবার নানান শর্ত জুড়ে দিত, আমাকে খাওয়াবে কিন্তু! চিকেন ফ্রাই আমার খুব প্রিয়, আইসক্রিম, এমন ডজন খানেক কথা বলে রাখতোআমাকে নানান রকম উপদেশ। ভয়াভহ রকমের প্রতারনা করা হয় ছেলেদের সঙ্গে। কেউ কেউ বারতি টাকা আয়ের জন্য রুম ডেটিং করে, রুম ডেটিং সম্পর্কে আমি ওয়কিবহাল নই। সব কিছুর একটা স্বচ্ছ ধাবরা চলে আসলো কয় দিনের ভিতর। সেই দুই বড় ভাইয়ের নিকট থেকে আমার অফার আসলো তাদের সঙ্গে প্রেম করতে হবে! আমি তো অবাক!
 
লিমন, আমার ডিপাটমেন্টের বড় ভাই  আমার প্রতি তার বিশেষ আকর্ষনতার দেওয়া উপহারে আমার রুম ভর্তি। আমার রুমমেটদের আবদার ছিল। লিমন, এর সঙ্গে দেখা করবার বিশেষ একদিন আমি তাদের পরিচয় করিয়ে দিলাম। তার মধ্যে অন্যতম ছিল লীনা। অল্প কিছুদিন সে আমাদের মেসের মেম্বার হিসাবে ছিল। লিমনের দৃষ্টি চলে যায় লীনার দিকে তা থেকে যায় অপ্রকাশিত! লীনার সঙ্গে আমার অন্তরঙ্গতা ছিলনা একদম। পরের মাসে সে মেস ছেড়ে দিলো। লিমনের, সঙ্গে আমার কয়েক দফা রুম ডেটিং হয়েছে। লিমনের অফার ছিল চলো আমরা বিয়ে করি। এমন করে চলতে আর ভাল লাগে না শেষের দিকে এসে লিমন কে আমার খুব অসহ্য লাগতো, কেন? এমন হয়েছিল আমি জানি না। লিমনকে এড়িয়ে চলতে লাগলাম অনেক কিছুর যোগ-বিয়োগ করে আমি সুমনের সঙ্গে সম্পর্ক করি। তার পিছনের কলকাঠি ছিল আমার রুমমেট। আমি বেপরোয়া হয়ে উঠলাম। টাকার নেশায় আমি বুদ হয়ে থাকতাম কারো কারো চোখের ভাষা বুঝে নিতাম সহজে, চলে যেতাম রুম ডেটিং এ। লিমন আমার প্রিয় শত্রু এখন।
 
লিমন বিয়ে করেছে তিনমাস। লিমনের বাবা আমাকে অনুরোধ করেছিল লিমন কে বিয়ে করতে আমি চাই নিই লিমনের সুন্দর জীবনটা আমার সঙ্গে জড়াতে ।আমি এড়িয়ে চলেছি লিমন কে! এখনো তার বউয়ের আড়ালে আমাকে কল দেয়। আমি তা কে ব্লক করে দিয়েছি। তার পরেও শত চেষ্টা তার।
 
আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল,অবিচল, অনড়। আমকে ভয় দেখাতো সে প্রায় সময়। আমার অনেক কিছু তার মোবাইলে আছে। ছেলেদের নানান বাহানায়, নানান ভঙ্গীতে আমি বেসামাল। আমি ভাবছি লিমন আরও কিছুদিন সংসার করুক, তার পর আমি বিয়ের কথা ভাববো। যাতে করে আমার সংসারে কোন ইফেক্ট না পরে। লিমনের কান্না ছিল অস্বাভাবিক! আমি জানতে পারলাম ওর বাবা মায়াময় সংসার ছেড়ে চির দিনের জন্য চলে গেছে। আমার চোখ ঝাপসা হয়ে আসতে লাগলো, প্রচণ্ড মায়া হচ্ছে, লিমনের জন্য। আমার চোখের কিনার দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। নিজেকে লুকিয়ে সান্ত্বনার কথা বলে রেখে দিলাম লিমনের ফোন। তার পর! লিমনকে খুঁজেছি আর কখনো লিমনের সন্ধান পেলাম না অতঃপর একদিনসে আমার স্বপ্নে এসেছিল।

⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN

🔗 MY OTHERS CHANNELS

🔗 FOLLOW ME

🔗 MY WEBSITE

🔗 CALL ME
+8801819515141

🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com

No comments

নির্বাচিত লেখা

আফসার নিজাম’র কবিতা

ছায়া ও অশ্বথ বিষয়ক খ-কবিতা এক/ক. সূর্য ডুবে গেলে কবরের ঘুমে যায় অশ্বথ ছায়া একচিলতে রোদের আশায় পরবাসী স্বামীর মতো অপেক্ষার প্রহর কাটায় প্রাচী...

Powered by Blogger.