ব্যাচেলর_অলভ্য ঘোষ : পর্ব-৬

 
ভারতবর্ষে নেতার অভাব নেই।তবে নেতার মত নেতার অভাব আছে দেশে। প্রকৃত নেতা যে জনগণকে স্বাধীনতার আশ্বাস দিতে পারে। যে সদর্পে বলতে পারে তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব। আজ আমরা সেই নেতার পথ চেয়ে বসে। আজও ভারতবর্ষের প্রতিটি মানুষ স্বপ্ন-দেখেন নেতাজী ফিরে আসবেন। নেতাজী মানে প্রকৃত স্বাধীনতার আশ্বাস। আজও আমরা পরাধীন। বাড়ির ছাদে পরিবারের সাথে নেতাজী বন্দনায় শুরু হলো তেইশে জানুয়ারির সকাল। একটা কথাই বলতে পারি। আমাকে মানায় না। কিছুই মানায় না আমাকে। কিছুই সাজেনা আমার। একটা কথাই বলতে পারি; কিছুই হলো না আমার। কিছুই হবে না আমার দ্বারা। একটা কথাই বলতে পারি। আমি অচল।
 
ছোট বেলায় সাপের সঙ্খ লাগলে ভাবতাম খেলা দেখাচ্ছে; কুকুরের সঙ্গম দেখে ভাবতাম তারা মারা মারি করছে; লাঠি নিয়ে তাড়াতে যেতাম। দুটো কুকুর কিভাবে জুড়ে যায়। অবাক হতাম।কেন জুড়ে যায়? কেউ বুঝিয়ে দিত না। মা বড়মা মুখ টিপে হাসতেন। ছাগলের প্রসব হলেও সেখানে ছোটদের থাকার অধিকার ছিল না। এই অনধিকারই কৌতূহলী করেছিল। উকি ঝুঁকি মেরে যা বুঝে ছিলাম পায়ু পথেই আমাদের জন্ম।
 
কেন যোনি পূজা।যোনিই জন্মের পথ।
 
অনেক অনেক বছর পর এক বন্ধু খিস্তি করে আবডালে বুঝিয়ে ছিল আমাদের জন্ম রহস্য। এতটাই বোকা ছিলাম আমি।জন্ম রহস্য বা সৃষ্টির রহস্য নিয়ে এখনো আমি ধোঁয়াশায়। জরায়ুর মতনই জট পাকিয়ে জটিল হয়ে পড়ি ভাবতে বসলে।
 
গতকাল দুই গ্রামের মুসলিম মহিলা এস আই সি হসপিটালের ওয়েটিং রুমে কথা বলছেন। আমি উল্টোদিকে বসে। প্রবীণ মহিলাটি বলছেন;
-এক সময় কাঁকে করে ধানের বস্তা নিয়ে কলে কত দূরে ভাঙ্গাতে যেতাম। তোরা পাঁচ কেজি মাল নিয়ে যেতে পারিস না। তোরা একটা দুটো ছেলে মেয়ে মানুষ করতে হিমশিম খাচ্ছিস। আমরা দশটা বারো টা করে বিইয়েছি।
নবীনা বললেন;
- মাসী একটা দুটোই হোক। ভাল করে মানুষ হোক।বাজারের যা অবস্থা। খাওয়াবো কি।
প্রবীণা রেগে গেলেন;
-ওরে আল্লার ক্ষেত বীজ যতদিন ফলবে ফসল হবে। সব সময়-তো হবে না।সবাই তাই আশা করে। ফল, পাতা দিয়ে ঘর ছাইবে, ডালপালা শাখা প্রশাখা যত বাড়বে সংসার ছায়াময় মায়াময়। ঘন হয়ে উঠবে। শিকড় বাঁচে কাণ্ডের টানে। কাণ্ড খাড়া থাকে শিকড়ের আঁটুনিতে।
 
দাদীমা বৈজ্ঞানিক না অবৈজ্ঞানিক কথা বলছেন জানিনা। তবে বেশ কাব্যিক কাব্যিক শোনাচ্ছিল।
 
নবীনা বললেন;
-দেখো মাসী ঝড়ে ঝাঁকড়া গাছের উপড়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশী। ন্যাড়া গাছ দিব্যি সামাল দিয়ে দেয় বড় বড় ঝড় ঝাপটা।
 
প্রবীণার কাব্য সৌন্দর্য কে প্রত্যাখ্যান করে এক পোস্ট-মডার্ন ভাবের জন্ম দিলেন কালো ওড়নায় মাথা থেকে বুক অবধি সুনিপুণ ভাবে ঢাকা মেয়েটি। রোজ পথে ঘাটে কত এমনি উপাদান সংগ্রহ করতে করতে এগিয়ে চলেছি তার হিসেব নেই।
 
মেয়ো রোডে গন্ধী মূর্তির পাদদেশে একবার এক মাঝবয়সী লোক বাসে উঠতে গিয়ে পাদানিতে পা হড়কে পড়ে গেলেন। আমি শহীদ মিনার প্রান্ত থেকে ফুটপাত ধরে আসছি। বাস বের হয়ে গেছে। মুখ থুবরে পড়েছেন ভদ্রলোক। পাদানিতে লেগে কপাল ফেটেছে। চশমা মোবাইল পয়সা সব রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে। ফুটপাতে লোক সিনেমা দেখছে। রাস্তার ওপারে ট্রাফিক পুলিশ এমন ভান করছেন কিছুই হয়নি। হু হু করে ছুটে চলেছে গাড়ি। ভদ্র লোক দিশেহারা নার্ভাস হয়ে গেছেন। বাঁচার জন্য হামাগুড়ি দিয়ে ফুটপাতে আসার চেষ্টা করছেন। কিন্তু চশমা খুলে যাওয়ায় নাকি ঘাবড়ে যাওয়ায় ভুল ডিরেকশনে যাচ্ছেন। লোকটা গাড়ি চাপা পড়বে। আমি ছুটছি।পাশের মাঠে হকি খেলছিল আরো কয়েকজন পাঞ্জাবি ছেলে তারাও ছুটে এলো। চ্যাংদোলা করে ফুটপাতে এনে তোলা হল ভদ্র লোককে। ভদ্র লোকের নাম?বাড়ির ফোন নম্বর কিছুই বলতে পারছেন না। তিনি কেবল থর থর করে কাঁপছেন। আমি বললাম মোবাইল টা দেখো। মোবাইলটা খুচরো পয়সা চশমা রাস্তায় পড়ে গেছিল। কুড়িয়ে আনতে গিয়ে দেখি চশমার ভাঙ্গা কাঁচ ছাড়া আর কিছু পড়েনেই। সব হাওয়া। ভদ্রলোককে হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে। একটা ট্যাক্সি দাঁড়াচ্ছে না। অবশেষে ট্রাফিক পুলিশের বোধয় দয়ার উদয় হল। একজন বিহারী ট্যাক্সিওয়ালা পাকড়াও করে গাড়ির নম্বর লিখে বীরত্ব দেখালেন। দেহাতী ড্রাইভারও ঘাবড়ে পেশেন্ট নিয়ে চললেন হাসপাতালে।পাঞ্জাবি ছেলে গুলো সাথে গেল।
-রাস্তায় একটা দুর্ঘটনা ঘটলে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব কি কেবল বিহারী ট্যাক্সি ড্রাইভার ধরা।
মোটা গম্ফুমান ট্রাফিক পুলিশটি কেবল আমার দিকে খটমট চেয়ে রইলেন। কোন উত্তর করলেন না।
 
আর একবার যাদবপুর সুলেখার মড়ে এক ভদ্র লোক চলন্ত অটোর কিনারায় বসে ঝিমতে ঝিমতে পড়ে গেলেন। লোক জন হই হই করে উঠলেন। উটকো ঝামেলার ভয়ে অটোওয়ালা দিলেন চম্পট। একটু শুশ্রূষা করাতেই মানুষটি সুস্থ হলেন।
 
কলকাতা মহানগরীর মহানুভবতা মানবতা তা বলে নেই তা বলব না। এখানে এমন মানুষও আছে নিজের জীবন পণ করে অন্যের জন্য। এম আর বাঙুর হসপিটালে একজন খোঁড়া ভিখারি কে দেখে ছিলাম। যার একটা পা খোঁড়াছিল স্টেশনে ভিক্ষা করতো। একদিন বাড়ি ফেরার পথে লাইনের মাঝে দেখে একটা বস্তির নির্বোধ শিশু খেলা করছে। আর সে লাইনেই অজগরের মতো ছুটে আসছে যন্ত্রদানব। ছেলেটা কোনক্রমে লাইনের বাইরে ছুঁড়ে ফেলে শিশুটাকে। আর ওর হাতের ক্রাচ টা পড়ে যায়; সেই মুহূর্তে। এক পায়ে লাফিয়ে লাইন পাড় হতে গিয়ে অবশিষ্ট পাটাও কাটা গেছে। এরা বীরত্বের জন্য কোন পুরস্কার পায় না। এদের নিয়ে কোন খবরের কাগজওয়ালা কিছু লেখে না। আমার দাদা বলেছিল একটা ডকুমেন্টারি কর ছেলেটাকে নিয়ে। ইচ্ছেত করে অনেক কিছু করি। কিন্তু ওই ছেলেটার পা- মতই আমারও হাত কাটা। দুটো হাত কেটে দেয় পুঁজিবাদ দানব। সিনেমা বানাতে কম বেশি পয়সা লাগে। লাভ না হোক পয়সাটা না উঠলে আর ছবি হবে না। আমারত গচ্ছিত অনেক টাকা নেই। ভিখিরি কে নিয়ে তথ্যচিত্রকে দেখবে। এমনিতেই তথ্যচিত্র কেউ দেখতে চায়না। তথ্যের কচকচানির চেয়ে ঢ়ের ভাল একটা আষাঢ়ে প্রেমের গল্প। দেব আর কোয়েল মল্লিক হলেত কথাই নেই। জমে ক্ষীর। এটাই বাজার।আর এই বাজারি অর্থনীতিতে একচেটিয়া হাত, পা, গলা কাটা পড়ে সত্যিকারের সব কিছু। ভেজাল নকল বেঁচে থাকায় আমরা হয়ে উঠি অভ্যস্ত।
 
ছেলেটা রসিকতা করে বলেছিল;
-আমার আগে এক পা কাটাছিল ভিক্ষা করতাম। এখন দুই পা কাটা।এখনো ভিক্ষা করবো। লোকে বেশি ভিক্ষা দেবে। আগে না হয় লাঠি ধরে চলতাম এখন না হয় পোদ ঘসে চলব তাতে কি। ফুটো বাটিতে একটা ফুটো বেশি হলে কি যায় আসে।
 
জীবন নিয়ে রসিকতা কষ্টগুলো নিয়ে রসিকতা করতে সবাই পারে না।
 
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা বাচ্চাটা বড় হয়ে জানবেত কে তার ঈশ্বর। জন্মদিয়ে বাবুর বাড়ি কাজে যায় মা। বাবা নেশা করে সারাদিন উল্টে থাকে। রাষ্ট্র তার জন্য মশা মাছি আর দুর্গন্ধ ময় দখলে রেল-ঝুপড়ি আর সরকারি কলের জল ছাড়া কিছুই দেয়নি। তাকে প্রাণ দিয়েছে একটা মানুষকে বলে আমাদের ক্ষমতা নেই
 
অভিমান জমতে জমতে মনটা যেমন গুমরে ভারী হয়ে ওঠে। চোখ থেকে যেন এক্ষুনি গড়িয়ে পড়বে জল। তেমনি বৃষ্টি হবে;আকাশটা মেঘলা করে আছে। সমরজিৎ এর চোখদুটো মেঘলা আকাশের মত লাগছে। ফেসবুক থেকে একটার পর একটা বিরহ প্রেমের কবিতা পড়ে শুনাচ্ছে আমাকে। প্রেমে বিরহে বাঙালি কবি হয়ে ওঠে সমরজিৎ তার ব্যতিক্রম নয়।সমরজিৎ এর বাইকে চেপে আমিও চললাম সামালি, আমতলা, বারাইপুর, শাসন একটু গ্রাম্যতার নিরিবিলির সন্ধানে। আমার মন ভাল নেই।প্রকৃতির মত আমিও ভারাক্রান্ত। ক্যামেরাটা সাথে নিলাম।
 
 
ফেসবুকে একটার পর একটা বিরহ প্রেমের কবিতা পড়ে চলেছিল সমরজিৎ। প্রেম প্রেম ছাড়া জগতে কেউ নেই। কিছু নেই। জগত প্রেমময়। সে বাঁধন আলগা হলে আলোড়ন হয়। ভূমিকম্প হয় মনের জগতে। হৃদয়টা কাঁটার মুকুট পরে রক্তাক্ত হয়ে ওঠে বিরহ প্রেমিকের। মনকে ডাইভার্ট করার জন্য বুদ্ধদেব গুহর বাবলি পড়ছিল সমরজিৎ। মন বিমুখ হওয়া তো দূরে থাক আরও চনচনে ব্যথায় ভরে গেলো। না তার গার্ল-ফ্রেন্ডের নাম্বার থেকে আর একটাও ফোন আসে না সমরজিৎ এর মোবাইলে। তার মেসেজ বক্সে একটাও ম্যাসেজ আসে না। সমরজিৎ অপেক্ষা করে থাকে চাতকের মত। ফোন বাজলেই মনটা আনন্দে ভরে ওঠে। পরক্ষনেই আশাহত হয়ে বিষণ্ণতা ছেয়ে যায়। না ফোনটা তার বাবলির নয়। সমরজিৎ ফিল্মি কায়দায় গান গায়।
-"সেই যে হলুদ পাখি বসে জামরুল গাছের ডালে করতো ডাকাডাকি আমার শৈশবের সকালে একদিন গেল উড়ে জানিনা কোন সুদূরে ফিরবেনা সেকি ফিরবেনা ফিরবেনা আর কোনদিন..."
 
ক্ষতবিক্ষত সমরজিৎ এর কি প্রতিশোধের ইচ্ছাও জাগে।
-না গো আজ আমাকে পাত্তা দেয় না বলে বলব না মেয়েটা খারাপ।
 
মোবাইল থেকে মেয়েটির ছবি গুলো ডিলিট করে দিতে চায়। হাত কাঁপে বোধয়। ডিলিট করতে পারে না। অনেক অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ধরা আছে। আজকাল এই ছবি গুলো অনেকেই প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর অন্তর্জালে ছেড়ে দেয়। মেয়েটার বদনাম রটাতে। পুলিশ কেস হয়। কোর্টকাছারি সাইবার ক্রাইম। কিন্তু তবুও এসব ঘটনা জলভাত। বেড়েই চলেছে। এই তো সমরজিৎ এর কলেজে; ওর এক বন্ধু ফাঁস করে দিয়েছিল কলেজের ফাঁকা ক্লাসরুমে কলেজের একটা মেয়ের সাথে মোবাইল ক্যামেরায় ধরা ইন্টুপিন্টু সিন।
 
মেয়ের পক্ষের উকিল প্রতিষ্ঠিত করতে চায় মেয়ে নাবালিকা নির্দোষ। মেয়েটিকে ফুসলে ছেলেটি কাজ করেছে।
 
ছেলের পক্ষের মহিলা উকিল বলেন;
-সম্মতি না থাকলে একটা চুমু খাওয়াও কঠিন। এটা সম্মতিক্রমে হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মেয়েটা স্বেচ্ছায় মেলে দিচ্ছে নিজেকে। বৈদ্যুতিন সাক্ষ্যপ্রমাণ আইন অনুযায়ী ফুটেজ মহামান্য আদালতের হেফাজতে রয়েছে ধর্মাবতার পুঃরায় তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ রইলো।
 
মেয়েটির পক্ষের পুরুষ উকিল  বলেন;
-অনুষ্কা ত্রিবেদী কে চক্রান্ত করে নেশাগ্রস্থ করা হয়েছিল। পর্ণ-ছবি বানাতে।
 
ছেলের পক্ষের মহিলা উকিল খণ্ডন করে বলেন;
-একদম নয়। ধর্মাবতার সতেরই ডিসেম্বর দুই হাজার সতেরো আমার ক্লাইন্ট  তার সেল ফোনে কলেজে যে ভিডিও ছবি ধরেন অনুষ্কা ত্রিবেদীর সাথে তা নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ কবে করা হয়? দোসরা মার্চ দুই হাজার আঠারো। মানে ঠিক দুই মাস উনিশ দিন পরে। মহামান্য আদালত তবেকি আমরা ধরে নেব আমার লার্নেড ফ্রেন্ড বলতে চাইছেন মিস অনুষ্কা ত্রিবেদী এতদিন Intoxication বা নেশার ঘোরে ছিলেন।
 
-অবজেকশন ইউর অনার আমার লার্নেড ফ্রেন্ড তার মক্কেলের ঘোরতর অপরাধকে আড়াল করে আদালতকে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন। যে অপরাধ ঘটিয়েছে তার মক্কেল, তার শিকার  এক সাধারণ ছাত্রী ঘটনার সময় থেকেই ভয়ে লোক লজ্জায় আতঙ্কে প্রবল মানসিক অবসাদে ভুগছে। আত্মহত্যার কথাও মাথায় আসেছে তার। বার বার অনুনয় বিনয় করেছিল ভিডিওটা ডিলিট করে দিতে। কিন্তু অপরাধী তা অন্তর্জালে ছেড়ে দিলে মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে পড়ে। বাড়ি থেকে বেরনোর সাহস পেতান না আমার ক্লায়েন্ট তার বাবা মা রও মানহানি হয় প্রচণ্ড অস্বস্তিতে পড়েন। আদালতের পথ ছাড়া তাদের কাছে আর কোন পথ খোলা থাকে না। চক্রান্ত, ধর্ষণ তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয় অপরাধীর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে ওয়েবসাইটগুলো থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে ভিডিওটি। তবে ওয়েবসাইট গুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, আদালতের নির্দেশ ছাড়া তারা ভিডিও সরাতে বাধ্য নয়।
 
-Point to be noted sir. ভিডিও প্রকাশিত না হলে সব ধামা চাপা পড়ে যেত। তার মানে মিস ত্রিবেদী নেশার ঘোরে নয় সম্মতিক্রমে সতেরই ডিসেম্বর দুই হাজার সতেরোর ঘটনায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং পরে ভিডিও ফাঁস হয়ে লোকজন জানাজানি হলে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন নিজের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি গড়তে।
 
-অবজেকশন ইউর অনার। মহামান্য আদালতের সামনে একজন নিরপরাধ মহিলার সম্ভ্রম ধুলোয় মিশিয়ে আমার বন্ধু অপরাধীকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।
 
-প্রেমের অভিনয় করে কিছু সুযোগ সুবিধা নেওয়া অথবা ভাল ছেলেদের গলা ধরে ঝুলে পড়ে একজন নিরাপদ জীবন সঙ্গীর সন্ধান; এমন ঘটনা মিস ত্রিবেদীর প্রথম নয় আগেও বহু ছেলের সাথে বহুবার ঘটেছে। আর এবার তার নতুন বয় ফ্রেন্ড এর জন্য সে আমার  ক্লায়েন্ট এর সাথে দূরত্ব তৈরি করে ছিলেন।এর থেকেই মনোমালিন্য ঝগড়া।
 
-ক্ষোভ এবং প্রতিশোধ পরায়ণতা। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে প্রেমিকার নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে
 
-সমস্তটাই মিথ্যে।
 
-না এটাই সত্যি।
 
দুই উকিলের তর্কযুদ্ধ শেষ পর্যন্ত চিৎকার চেঁচামেচি হয়ে দাঁড়ালো।
 
সমরজিৎ আবার ফিল্মি কায়দায় গান ধরলো।
"কি সহজ ভুলতে পারা তাই না \পাঁজরে বিঁধছে যে আলপিন\ মন আমার মশাল শরীর জ্বলে\পুড়ে যাক পৃথিবী রাত্দিন যে কথায় কবিতা জন্মাত\সে কথায় শিরায় শিরায় বিষ\এক একটা কথার ছোবলে\কবিতার খাতা পুড়িযে দিস সে ধোঁয়ায় জ্বলছে মাথা চোখ\ সাধ হয় তোকেও জ্বালাই\জ্বালাতে গিয়েও বাঁচাই আগুন\চাই না বাজে খরচা তাইবুকের খাঁচায় জ্বলুক আগুন\ভালোবাসা সর্বনাশা হায়\এতদিনে বুঝতে পারি ভাষা\তোর এবার নতুন বাসা চাই
 
যা পাখি উড়তে দিলাম তোকে\খুঁজে নে অন্য কোন বাসা\খুঁজে নে অন্য কোন মন\ভুলে যা বন্য ভালোবাসা..."

⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN

🔗 MY OTHERS CHANNELS

🔗 FOLLOW ME

🔗 MY WEBSITE

🔗 CALL ME
+8801819515141

🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com

No comments

নির্বাচিত লেখা

আফসার নিজাম’র কবিতা

ছায়া ও অশ্বথ বিষয়ক খ-কবিতা এক/ক. সূর্য ডুবে গেলে কবরের ঘুমে যায় অশ্বথ ছায়া একচিলতে রোদের আশায় পরবাসী স্বামীর মতো অপেক্ষার প্রহর কাটায় প্রাচী...

Powered by Blogger.