বিকেল পাঁচটা বাজে।
কলিংবেলের টুংটাং
আওয়াজ শুনে
দরজা খুলে
মিশার দুলাভাই।
সালাম দিয়ে
ওঝাকে বৈঠকখানায়
নিয়ে যায়।
বৈঠকখানায় রাখা
খাটে এতক্ষণ
মিশা ঘুমাচ্ছিল।
পাশের সোফায়
জামাল বসে
আছে। সেই
সকালবেলা এসেছে।
এখনও তার
নাওয়া-খাওয়া
হয়নি। অনেক
করে বলার
পরও সে
কিছুই খায়নি।
বন্ধুর এমন
অবস্থা দেখে
নাওয়া-খাওয়া
পর্যন্ত সে
ভুলে গেছে।
ওঝা রুমে পা
রাখতেই মিশার
ঘুম ভেঙে
যায়।
ওঝা আজ সুর
পাল্টে তার
কথা বলা
শুরু করেছে।
শুরুতে বলল,
-তো আপনি
এখন কেমন
আছেন?
আত্মাটি বলল,
-আমি সবসময়
ভালো থাকি।
কিন্তু কেউ
আমার ক্ষতি
করতে আসলে
তখন খারাপ
হয়ে যাই।
সেই সাথে
তার জীবনটা
একেবারে নরক
বানিয়ে দিই।
ওঝা, তুমি
চলে যাও।
এখানে আর
এসো না।
ওঝার হাতে একটা
বড় সাইজের
বোতল ছিল।
ওটাকে আত্মাটির
সামনে উঁচিয়ে
উত্তেজিত হয়ে
ওঝা বলল,
-যদি নিজের
ভালো চাও
তবে এখনও
সময় আছে।
ওকে ছেড়ে
আপন ঠিকানায়
চলে যা।
নইলে এই
যে আমার
হাতে বোতলটা
দেখতে পাচ্ছিস
সারাজীবন এই
বোতলের মধ্যেই
তোমাকে বন্ধী
জীবন কাটাতে
হবে।
আত্মাটি খুব অস্থির
হয়ে বলল,
দেখ ওঝা, তোমার
সাথে আমার
কোন শত্রুতা
নেই। তুমি
শুধু শুধু
আমার সাথে
লাগতে এসেছো।
আমি তোমার
সাথে কোন
ঝগড়ায় জড়াতে
চাই না।
এবার ওঝা কোমল
গলায় বলল,
-ঠিক আছে।
আমি চলে
যাব। কিন্তু
তোমাকে আগে
আমায় কথা
দিতে হবে
তুমি ওর
শরীর থেকে
একেবারে চলে
যাব।
আত্মা আবার রেগে
গিয়ে বলল,
-না, আমি
একা যাব
না। আজ
ওকে আমার
সঙ্গে করে
নিয়ে যাব।
পারলে ঠেকাও।
আত্মার কথাটি শোনার
পর মিশার
পরিবারের সবাই
আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে
পড়ে। ওঝা
আসার পর
তারা যা
একটু আশার
আলো দেখেছিল
তাও মুহূর্তে
ক্ষীণ হয়ে
এলো।
এরপর সকলকে সান্ত্বনা
দিয়ে ওঝা
আবারো জোরে
জোরে মন্ত্র
ঝপা শুরু
করলেন।
এদিকে আত্মাটি অস্থির
হয়ে চিৎকার
শুরু করলো।
বেশকিছু সময়
পর মিশা
দাঁড়িয়ে খাটের
ওপর ধপাস
করে পড়ে
গেল। মিশার
মা-বাবা
উতলা হয়ে
ছেলের কাছে
ছুটে গেলো।
ওঝা সবাইকে
শান্ত হতে
বললেন।
কিছুক্ষণ পর জ্ঞান
ফিরে পেয়ে
মিশা বলে
ওঠলো,
-এখানে এতো
মানুষ কেন?
হঠাৎ পাশে বসে
থাকা বাবা-মা, বোনের
দিকে তাকিয়ে
সে অবাক
চোখে বলল,
-আবার কি
হয়েছে? তোমরা
এভাবে কাঁদছো
কেন?
ওঝা একটু হেসে
বললেন,
-আপাতত আর
কোন টেনশন
নেই। ও চলে গেছে।
এখন আর
আসতে পারবে
না। আমি
একটা তাবিজ
দিচ্ছি। এটা
মিশার কোমরে
শক্ত করে
বেঁধে দেবেন।
অনেক চেষ্টা
করেও যাতে
ও খুলতে
না পারে।
আজ কিন্তু
শনিবার। এ ধরনের রোগীদের
জন্য শনিবার
দিনটা মোটেই
ভালো নয়।
রাত বারোটার
আগ মুহূর্ত
পর্যন্ত সোপানেসবা
সুযোগ খুঁজবে।
যেকোন মুহূর্তে
ও মিশাকে
আক্রমণ করতে
পারে। প্রয়োজনে
আজ সারাদিন
এমনকি রাত
অবধি জেগে
ওকে পাহারা
দিতে হবে।
আর একটা
কথা, আপনাদের
কেউ কি
কুরআন পড়তে
জানেন?
মিশার মা আর
জামাল হাত
উঁচিয়ে সমস্বরে
বললেন, - আমি
পারি।
ওঝা বললেন,
-ওর পিছনে
যে আত্মাটি
লেগেছে সে
খুবই খারাপ
আত্মা। আজ
যেভাবে আমাকে
চ্যালেঞ্জ করেছে
তাতে মনে
হচ্ছে ও যেকোন ধরনের
একটা অঘটন
ঘটাতে চাইবে।
তবে আশার
কথা হলো
এই ধরনের
খারাপ আত্মারা
আবার কুরআনের
বানীকে ভয়
পায়। দোয়া-কালাম পাঠ
করলে ওরা
কাছে আসে
না। আসলেও
ভয়ে পালিয়ে
যায়।
এই কথা বলে
ওঝা মিশার
দুলাভাইয়ের সাথে
সাক্ষাত করে
চলে যায়।
এবার পরিবারের সবাই
মিশাকে ঘিরে
বসলো। মিশা
অবুঝের মতো
সবার মুখের
দিকে তাকিয়ে
থাকে। কেউ
কিছু বলছে
না। মা-বাবা, বোন-দুলাভাই সবাই
নির্বাক চোখের
জল ছাড়ছে।
সবাইকে এভাবে
কাঁদতে দেখে
মিশাও হাউমাউ
করে কাঁদতে
লাগলো।
এরপর মিশার দুলাভাই
স্বাভাবিক হয়ে
বলল,
-আর চিন্তা
করতে হবে
না। আল্লাহর
রহমতে ওর
কোন ক্ষতি
হবে না।
বাবা-মা'র দোয়া
পাশে থাকলে
পৃথিবীর কোন
অশুভ শক্তি
কারোর কোন
ক্ষতি করতে
পারে না।
মিশা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে
বলল,
-তোমাদের কথার
কোন মানেই
আমি বুঝতে
পারছি না।
থাক, তোমরা
ওসব কাল্পনিক
চিন্তা-ভাবনা
নিয়েই থাকো।
আমার খুব
ক্লান্তি লাগছে।
এই কথা বলে
পাশ থেকে
কোল বালিশটা
টেনে নিয়ে
ঘুমানোর চেষ্টা
করে সে।
এরপর সবাই
ভিতরের রুমের
দিকে চলে
গেলেও মমতাময়ী
মা ছেলের
শিতানে বসে
ছেলের মাথার
চুলে আলতোভাবে
পরশ বুলিয়ে
দিচ্ছেন। মায়ের
স্নেহময়ী হাতের
স্পর্শে মিশার
ক্লান্তদেহে গভীর
ঘুম নেমে
আসে।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments