দাদাজানের পাখির রাজ্য_ সোলায়মান আহসান : পর্ব-১০

 
মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যারা এসেছিল তাদের সবাই যে যার পথে চলে গেছে। সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলো সব। অনেকদিন পর জমিদার বাড়িতে সরগরম আয়োজন। তাও শাহি খানাদানা॥ তাই উৎসাহে কমতি ছিলো না গ্রামবাসীর। সবাই তা নিয়ে মাতামাতি করলো। যারা বয়স্ক তাদের অনেকে আবেগে আপ্লুত। চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে দোয়া করলো। কেউ কেউ খাওয়া শেষে দেখতে আসে পাখি বিশারদকে।
এভাবে দুপুর গড়িয় মাধান। মাধান গড়িয়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো। আকাশের সূর্যটা শেষ লাল আবির ছড়িয়ে বিদায়ের আয়োজন করছে।
জমিদার বাড়ির অনতিদূরে প্রায় সাতশো বছরের আদি মসজিদ থেকে মাগরিবের আজান ভেসে আসে।
সবুজ বাড়ির পাখি সেবকরা ব্যস্ত হয়ে ওঠে। পাখিদের আধার দিতে। বিকেলের আগ থেকেই আয়োজন শুরু হয়। বিভিন্ন জাতের পাখিদের আধার বিভিন্ন ধরনের। আধার কোন পাখির কতটুকু এবং কী তা ঠিক করাই আছে। সকাল এবং সন্ধ্যা পাখিদের আধার দেয়ার সময়।
মিশু বারান্দায় বসে বই পড়ছিল। পাখি সম্পর্কিত। ভারত-বাংলাদেশ-মায়ানমার অঞ্চলের পাখিদের বিচরণ নিয়ে লেখা বইটি। ইদানিং সে পাখি সম্পর্কিত বই পড়ায় মনোযোগী হয়ে উঠেছে। যতই পড়ছে পাখিদের জগৎ সম্পর্কে জানতে পারছে। যত জানছে তত পাখিদের ওপর মমতা জেগে উঠছে তার। এভাবেই বুঝি একদিন ছোটো চাচা পাখি প্রেমে পড়েছিলেন। মিশু যে বইটি পড়ছিল সেখানে একটা তথ্য তাকে ভীষণ নাড়া দেয়। দুনিয়া কাঁপানো মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরও পাখির প্রেমে পড়েছিলেন। এ কেমন কথা। জাহাঙ্গীরকে সে একজন নিষ্ঠুর বদমেজাজি শাসক হিসেবেই জানত। তিনিও পাখির মতো সামান্য প্রাণীর মহব্বতে পড়েছিলেন কীভাবে।
ছোটো চাচা... ছোটো চাচা... ছোটো চাচা ব্যাকুল কণ্ঠে ডাকতে ডাকতে মাথিসের উপস্থিত।
মিশু বই থেকে মুখ উঠিয়ে তাকায়। উঠোনে মাথিস। দৌড়ে এগিয়ে আসছে। পেছনে বিন্দিয়া। সেও দৌড়াচ্ছে ভাইয়ার সঙ্গে। একটু পেছনে।
ছোটো চাচা! ময়ুর-ময়ূরী দুটো খাঁচায় নেই। মাথিস হাঁপাতে থাকে।
হ্যাঁ ছোটো চাচা, নেই- ময়ূর দুটো নেই! বিন্দিয়াও ভাইয়ার সঙ্গে যোগ করলো কথা।
চুপ! একদম চুপ! মিশু আঙুল দিয়ে নিজের মুখ চেপে ইশারায় চুপ করতে বলল।
ওরাও একদম চুপ মেরে যায়। চোখেমুখে আতংকের ছাপ।
শোন-মাথিস-বিন্দি! এ খবর চাচাজানকে দেয়া যাবে না। পাখি হারানোর শোকে তিনি অসুস্থ। বুঝেছ?
ছোটো চাচা! চলো দেখে আসবে ময়ুর-ময়ূরীর খাঁচা। মাথিস কথাটা গলা চেপে ফ্যাঁস ফ্যাঁসে উচ্চারণে বলল।
মিশু মাথিসের প্রস্তাবে সাড়া দেয়। না দেখে বিষয়টা আঁচ করা যাবে না। তাই বারান্দা থেকে সিঁড়ি ভেঙে উঠোনে নামে। চলো। দেখে আসি!
বারান্দা থেকে নেমে উঠোন পেরিয়ে ফটিক মানে মেহমানখানা অতিক্রম করে আবার সিঁড়ি। আঠারোটা সিঁড়ি। মাথিসের এসব সিঁড়ি অনেক আগেই গোনা। সেই সিঁড়ি পেরিয়ে হাতের বাম দিকে কাঁঠাল বাগান। তারপর আম বাগান। বাগান পেরিয়ে ডান দিকে টার্নিং নিলেই পাখিদের আস্তানা। এখানেই আফ্রিকানটার মুখোমুখি হলো মিশু। হন্তদন্ত ভাব ছিলো তার চলায়।
এ্যাই কোথায় যাচ্ছিস। মিশু আফ্রিকানটার গতিরোধ করে দাঁড়ায়।
হুজুরের ধারো। আফ্রিকানটা জবাব দিলো।
খবর দিতে নি?
জিয়ো। আফ্রিকানটা মাথা চুলকায়।
ছোটো চাচাকে খবর দিতে হবে না চল আমার সঙ্গে বলে মিশু হাঁটা দেয়। মাথিসও। আফ্রিকানটা ওদের সহযাত্রী হলো। উপায় নেই বলে।
মিনিট পাঁচেক হাঁটার পর মিশু মাথিস ময়ূর-ময়ূরীর খাঁচার সামনে এলো। খাঁচার দরজা খোলা। একটা তালা ছিলো তাও নেই। পাশেই তিতির, বন মোরগ, কালো সারস, জল পায়রার ঘর। পাশের ঘরে হামলা হওয়ার ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী এসব পাখি। মিশুকে দেখেও খানিকটা সতর্ক হয়ে উঠল। ভয় পেয়েছে ভীষণ ওরা। একটু আগে আধার দিয়ে গেছে পাখি সেবকরা। ছোঁয়নি একটুও। পড়ে আছে। ওরা নীরব সাক্ষী ঘটনার। কী ঘটেছে ময়ূর-ময়ূরীর তা দেখেছে। লাল বনমোরগ দু’টো চোখ পাকিয়ে ওদের দেখছে। সন্দেহ করছে। আর কালো হলদে রঙের বনমুরগিগুলো চুপচাপ মাথা দোলাচ্ছে বার বার। ওরাও ভয় পেয়েছে।
মিশু খাঁচার খুব কাছে গেল। কয়কেটা পালক খাঁচার ভেতর পড়ে। এখানে দু’জোড়া ময়ূর-ময়ূরী বাস করতো। ময়ূর-ময়ূরীগুলো ছোটো চাচার প্রিয় কালেকশন। ভারতের কেরালা রাজ্য থেকে আনা। যেমন ছিল বিশাল আকৃতির তেমন ছিলো ওদের সুন্দর পাখনা। মেঘলা দিনে পেখম মেলে ধরলে এক অপূর্ব সৌন্দর্য সৃষ্টি হতো। ওদের রঙিন সবুজ-নীল-কালোয় আঁকা শরীর যেই দেখত সেই মুগ্ধ হতো। মিশু ও মাথিস বহুবার ময়ুর-ময়ূরীদের দেখে নীরবে তাকিয়ে থেকেছে। আজ তাদের খাঁচা শূন্য। বুকের ভেতর কেমন করে ওঠে মিশুর। পাখিদের ওপর ভালোবাসার টান সে অনুভব করে। ছোটো চাচার কষ্টটা সে এবার খানিকটা আঁচ করতে পারে।
মাথিস! একটা বিহিত করতেই হবে! ছোটো চাচার শখের পাখি-
শোন, হুজুরকে কিন্তু এসব বলবি না- হুজুরের এখন ব্যারাম, বুঝেছিস? মাথিস বলল।
মাথিস মিশু ফিরে এলো।
বৈঠকখানায় লাল রঙের ভেলভেট কাপড়ের নরম সোফায় ওরা দুজন মুখোমুখি বসে। কয়েক মিনিট মিশু মাথিস উভয়ে নীরব।
ছোটো চাচা! আমার মনে হয়...।
নীরবতা ভঙ্গ করে মাথিস কী যেন বলতে যাচ্ছিল হাতের ইশারায় থামিয়ে দেয় মিশু।
এবার বলো। মাথিসকে পূর্বের কথা বলার জন্য অনুমতি দিলো।
আমার মনে হয় টাকার লোভে পাখি সেবকদের কেউ এই দুষ্কর্ম করছে- অপরাধী এই বাড়ির।
তা তো অবশ্যই- ঘরের লোক জড়িত না থাকলে এটা হতেই পারে না। তবে এগুলো সংগ্রহে যারা নেমেছে তারা বাইরের এবং বড়ো ধরনের গ্যাং। মিশু বলল।
আমার তো মনে হয় বিদেশের সঙ্গে কানেকশন আছে। মাথিস বলল।
তারা জানে পাখি বিশারদ মোস্তাকিম আলীর সংগ্রহে এমন সব বিরল পাখি আছে যা কোথাও নেই বা পাওয়া দুষ্কর। অবৈধ পথে সংগ্রহ করতে লেগেছে। পাচারকারীদের ধরতে হবে। খুব সাবধানে এগোতে হবে।
ছোটো চাচা, পুলিশকে জানাল কেমন হয়?
পুলিশ যে পাচারকারীদের দ্বারা পারচেজ হয়নি, তা কীভাবে বুঝবো? আমাদের দেশে যত দুষ্কর্ম ঘটে তা পুলিশের পাতে কিছু দিয়েই।
তা অবশ্য মন্দ বলোনি। তা হলে আমরা দুজনে বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করি। মাথিস অনেকটা চিন্তিতভাবে বলল।
শুধু পর্যবেক্ষণ নয়, যাকে বলে গোয়েন্দাগিরি, পারবি না?
অবকোর্স! বিন্দিয়াকে আমাদের সঙ্গে নিলে-
ইয়েস! বিন্দিয়াকে সঙ্গে রাখতে হবে। বেশ বুদ্ধি রাখে। আজকাল গোয়েন্দা সোর্স হিসেবে মেয়েরা ভালো।
তা হলে বিন্দিয়াকে ডাকি?
এখন না, সময় এলে বলব।
মিশু ও মাথিস কথা বলে দু’জনে উঠে যাচ্ছিল। ছোটো দাদার ঘরে যেতে পথে আফ্রিকানটার সঙ্গে দেখা। আফ্রিকানটা বুদ্ধিতে কম যায় না।
মাথিস দাঁড়িয়ে যায়। আফ্রিকানটার গতি লক্ষ্য রাখে। মাথিসের দিকে এগিয়ে এলো।
ঠাকুর! খবর আছে। আফ্রিকানটা ফিসফিস স্বরে বলল। এখানে জমিদার পরিবারের পুরুষদের ঠাকুর বলে।
কী খবর? জলদি বল!
দুইডা কালা ব্যাডা আমরার ধারিত ঘুরাঘুরি করতে দেখছি-তারারে আমি চিনছি না- আমারে দে-খিয়া দৌড় দিলা।
চোখমুখ নাচিয়ে অভিনয় করে আফ্রিকানটা এতক্ষণ কথাগুলো বলল।
ঠিক আছে তুই যা। দাদাজানকে ময়ূর হারানোর কথা জানাবি না কিন্তু!
মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়। বোঝা গেল আফ্রিকানটা কিছু একটা আঁচ করতে পেরেছে। হতে পারে সে খানিকটা জানেও। বলতে সাহস পাচ্ছে না। কিন্তু এ মুহূর্তে সন্দেহের তালিকা থেকে কাউকে বাদ দেয়া যাবে না। খোলামেলা কথা বলাও ঠিক না। যা করার ছোটো চাচা করবে। সে কোনো বিষয় আগ বাড়িয়ে বলতে বা করতে যাবে না।
আফ্রিকানটা চলে যাচ্ছিল। মাথায় একটা বুদ্ধি এলো মাথিসের। গতিবিধি নজরে রাখার জন্য বললে কেমন হয়। এতে অন্তত দুটো জিনিস বোঝা যাবে। যদি আফ্রিকানটা অপকর্মে যুক্ত থাকে তা তার দেয়া তথ্য থেকে আন্দাজ করা যাবে। আর যদি না থাকে তবে এমন অনেক তথ্য পাওয়া যাবে, কজে লাগবে অপরাধীদের ধরতে।
শোন! তোকে একটা কাজ দেব, পারবি?
মাথা নেরে সম্মতি জানাল। পারবে বলেই মনে হয়।
কাউকে বলতে পারবি না কিন্তু!
মাথা উপর-নিচ করে বোঝাল কাউকে বলবে না। আফ্রিকানটা এরকম। কথা কম বলে। মানে বাকপটু নয়, কর্মপটু। যারা কথা বলে বেশি তারা কর্মতে পটু নয়। এটা আব্বু বলেছে তাকে। সেই কথা মতো আফ্রিকানটা কর্মপটু হতে পারে।
শোন! আফ্রিকানটার কাছে ঘেঁষে মাথিস ফিস্ফিস্ স্বরে বলল-। তোর কাজ হচ্ছে এ বাড়িতে পাখি সেবকদের ওপর নজর রাখা। আমাকে জানাবি।
কুন্ সময়?
রাতে।
রাইত?
হ্যাঁ, এবার যা!
আফ্রিকানটা দৌড় দিলো।
মাথিস ছোটো দাদার ঘরের দিকে এগিয়ে যায়। এমন সময় বিন্দিয়া এসে হাজির।
ভাইয়া! তোমাকে খুঁজছিলাম।
কেন রে?
কেন আবার ছোটো দাদা সন্ধ্যার সময় তোর কথা বলছিল।
ছোটো দাদা এখন কেমন আছেন?
বেশ ভালো। কাল ভীম কবরেজ দাদা আসবে। ভাইয়া আমি না ভীম কবরেজ দাদাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখেছি। শুনবে?
বল!
আমাদের কবরেজ দাদা ভীম,
খায় শুধু আলু আর সিম
ইয়া মোটা ভুঁড়ি
নেই যার জুড়ি;
রং তার কুচকুচে কালো,
ছড়ায় আঁধারেতে আলো।
বিন্দি, কালো রং আঁধারে আলো ছড়ায় কীভাবে?
কবিতায় মিল দিতে হলে আলো ছড়াতে হয়।
শোন একটা কাজ করত হবে। পারবি?
আগে বলো কী কাজ, তবে না বলব পারব কি না!
কাজটা হচ্ছে ছোটো দাদাজানের পাখি চুরি হওয়ার ব্যাপার গোয়েন্দাগিরি করা, পারবি?
মানে, কে কী করছে ঘুরেফিরে নজর রাখা?
ইয়েস! তোর মাথা পরিষ্কার- আর মেয়েরা সোর্স হিসেবে উত্তম। তা হলে লেগে যা আমাকে জানাবি।
বিন্দিয়া কাঁধে ঝুলানো দুটো বেণি দুলিয়ে মাথা নেড়ে সম্মতি জানাল। বিন্দিয়া বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারে না। বসে থাকতে পারে না।
ভাইয়া চলি! বলে ছুটতে থাকে।
 
হ্যারিকেনের আলো বলে ঘরটি তেমন আলোকিত নয়। আর ছোটো চাচা সলতে কমিয়ে আলো-আঁধারী পরিবেশে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
মাথিস প্রবেশ করে দেখে ছোটো চাচা বিছানায় শুয়ে।
ঢুকেই ডাক দেয়- ছোটো চাচা- ছোটো চাচা-
কে? মাথিস- এদিক আয়।
ছোটো চাচা নড়েচড়ে ওঠে। বোঝা গেল ঘুমে নয়। জেগেই।
মাথিস পালংকের কাছে গিয়ে দাঁড়ায়।
বোস, উঠে বোস।
পালংক বেশ উঁচু। দুটো ইট পায়ার নিচে। মাথিস তাই একটু হাতে ভর রেখে পালংকে উঠে বসে।
ছোটো চাচা, একটা খবর আছে। আফ্রিকানটা বলছিল আমরা যখন বাগান থেকে ফিরছিলাম তার একটু পর দুটো অচেনা লোক আমাদের মসজিদের কাছ দিয়ে ঘুরঘুর করছিল। ব্যাপারটা আমার মতে পুলিশের কানে দেয়া উচিত। কারণ একটা দুটো নয় এ পর্যন্ত অনেকগুলো পাখি চুরি হলো। তা ছাড়া ভবিষ্যতে ব্যাপারটা বড়ো ধরনের ঘটনার রূপ নিতে পারে। এ ব্যাপারে আব্বুর সঙ্গে কথা বলা দরকার।
ছোটো চাচা ও মাথিস এলো বৈঠকখানায়। গ্রামের বেশ কয়েকজন লোকের সঙ্গে মাথিসের আব্বু কথা বলছিলেন। ছোটো দাদাকে গ্রামের লোকেরা ভালোবাসে। তাই হরহামেশা লোকজন এসে দেখে যায়। কেউ কেউ নিজের গাছের পেঁপে আনারস পাকা বেল ইত্যাদি নিয়ে আসে। ঘরে প্রচুর ফলফলাদি জমে গেছে।
লোকজন থাকায় মাথিস ও মিশু অপেক্ষা করতে থাকে। গ্রাসবাসীদের সামনে তো এ বিষয়ে কথা বলা যাবে না। তাই অপেক্ষা করতে থাকে মাথিস মিশু।
কী ব্যাপার। তোমরা কিসের জন্য? মাথিসের আব্বু জিজ্ঞেস করলো উভয়কে।
মাথিস ছোটো চাচার দিকে তাকায়। তার চাহনিতে বোঝা যায় কিছু একটা রহস্য আছে। উপস্থিত লোকদের সামনে বলা যাচ্ছে না। একটু পর গ্রাসবাসী। সালাম জানিয়ে বিদায় নিলো। বৈঠকখানায় এখন ওরা তিনজন।
কাছে আয়, শুনি কী ব্যাপার। বলল মাথিসের আব্বু।
আগের সোফা ছেড়ে পরস্পর কাছাকাছি বসল। মিশু বসল বড়ো ভাইয়ের ডান পাশে। মাথিস বামে।
ভাইয়া, ছোটো চাচার অসুখের কারণ কিন্তু পাখি চুরি যাওয়া।
হুঁ- । গালে হাত দিয়ে মাথিসের আব্বু জবাব দেন।
আজও মূল্যবান সংগ্রহ ময়ূর চুরি গেছে। আমার মনে হয় কোনো সংঘবদ্ধ চক্র চুরি করছে। আর চুরিতে ছোটো চাচার পাখি সেবকদের কেউ কেউ জড়িত। ব্যাপারটা খুব ছোটো নয় ভাইয়া!
এখন কী করতে চাস। কম কথায় বল। ওদিকে ছোটো চাচার ঘরে যাব।
আমার মনে হয় থানায় একটা জিডি এন্ট্রি করে রাখা ভালো। কিন্তু পুলিশ হাঁটাহাঁটি করবে- আমাদের বাড়িতে, কোনো দিন পুলিশ হাঁটতে সাহস পায়নি-
না-না- পুলিশকে আমরা ডাকব না আপাতত- তবে প্রয়োজন পড়লে খবর দেব। আইন-শৃঙ্খলা-অপরাধ এসব দেখার দায়িত্ব তো ওদের তাই না?
তা তো-তা তো বটেই- যেটা ভালো মনে কর করগে- মাথিসের আব্বু হাঁটা দেন।

⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN

🔗 MY OTHERS CHANNELS

🔗 FOLLOW ME

🔗 MY WEBSITE

🔗 CALL ME
+8801819515141

🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com

No comments

নির্বাচিত লেখা

আফসার নিজাম’র কবিতা

ছায়া ও অশ্বথ বিষয়ক খ-কবিতা এক/ক. সূর্য ডুবে গেলে কবরের ঘুমে যায় অশ্বথ ছায়া একচিলতে রোদের আশায় পরবাসী স্বামীর মতো অপেক্ষার প্রহর কাটায় প্রাচী...

Powered by Blogger.