মজনু মিয়া’র কবিতা

 
তুমি পাশে থাকলে
 
চন্দ্রটাকে সুন্দর লাগে বাগানের গোলাপ ফুল
বানিয়ে বানিয়ে গল্প আর ছোটখাটো ভুল।
কখনো চেপে হাত ধরতে কখনো চুমু দেই
মুচকি মুখের মিষ্টি হাসি তার তুলনা তো নেই।
বেণীগাঁথন চুল যে তোমার পিঠের পরে নামা
আঁটোসাটো কাপড় তোমার কলসী হাতা জামা।
গুনগুনিয়ে গান শুনিয়ে চুলে বিলি কাটা
তামশা করে মন্দ কথায় হঠাৎ তুলা ঝাঁটা।
 
তোমার গায়ের মিষ্টি ঘ্রাণে হৃদয় যায় যে ভরে
টোলপড়া গাল কথায় হাসে দেখি আড়ে আড়ে।
তুমি পাশে থাকলে আমার এই জীবন যে ধন্য
তুমি আমার পর করো না ভেবো নাকো পণ্য।
..................................................
 
নাগাম দিলাম মনে
 
বেহায়া ঘোড়া আটকানোর পথ
শক্ত রশির নাগাম,
মন ছুটাছুটি করে, মন চায় শাড়ি কিনি
চূড়ি কিনি কাউকে দেই কিনে কিন্তু,
পৃথিবীর যে অসুখ করেছে তা তো সহজে
সারবার নয় ভীষণ ছোঁয়াচে!
মুখে নাগাম দিয়েছি নাকে নাগাম দিয়েছি
এবার মনেও নাগাম দিলাম,
ঘরের বাহির হব না।
দোকান পাঠে ডাকে নিত্য ঈদের আনন্দ খোঁজে
আমায়, বলেছি নাগাম পড়া সময় এখন সেব থাক।   
তবু আয়ুটুকু বেঁচে থাকুক জীবনের সাথে
নির্ঘুম রাত পেরিয়ে আসবে ঘুমের রাত অন্ধকার
দূর হয়ে আলোয় হাসবে পৃথিবী।
..................................................
 
ত্যাজদিপ্ত
 
আয়ুকাল ক্রমশ কমে আসছে
ভাইরাস নিত্যদিন গিলে খাচ্ছে
যেমন কামুক কামের জন্য ছুটে
তেমন ভাইরাস ছুটছে মারার জন্য।
ভয় আর হয় না! তবে নিরাপদ থাকা
কোনো ভাবেই হয়ে উঠে না আর
যেদিকে তাকাই হা করে আছে মরণ
আমি নিরুপায় তথাকথিত ভাইরাসে।
 
মানে না ছোট বড় জানে না মান অসম্মান
হৃদয় কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছ, আয়ু হারাচ্ছে দম।
..................................................
 
নীরব কান্নার শব্দ বাতাসে
 
না পারি মুখ ঢেকে রাখতে না পারি কিছু কইতে
নিরব কান্না বয়ে বেড়াই না পারি তা সইতে।
অনল জ্বালা বুকে পেটে চোখে নদীর জল
কান্নার শব্দ বাতাসে শুনি অনাহারীর দল।
বাহিরে পা বাঁধা আমার ঘরে ক্ষুধার জ্বালা
অবুঝ শিশু পায় না দুধ তার গলে কণ্টক মালা!
কর্ম কাজে ভাটা এখন নিদান দ্বারে খাঁড়া
মৃত্যু মিছিল চলছে বিশ্বে কাড়তে প্রাণ দেয় তাড়া!
উদাস দুপুর নিথর রাত্রি নির্ঘুম চোখ
কারে যেন খোঁজে ফেরে কই সেই লোক?
ডেকে যায় মনে মনে ক্ষণে ক্ষণে তোমাকে প্রভু
তুমি যদি বাঁচাও এই আশা ছাড়িনি তবু।
..................................................
 
তুমিই আসবে
 
তুমিই আবার আসবে ফিরে
কুমুদ ভাসা জলে
ঘোমুট বধূ কলসি কাখে
নাদুস নুদুস হাঁটে।
কিংবা
শেওলা জলের বিলে ধরতে
ছোট মাছ,চিকন সূতার জালে
ফুঁসে ওঠে মাথা তুলে ছোবল মারে সাপ
বিষ সর্বাঙ্গে হয় ছড়া।
নয়তো,
রূপের কচুরি পানার ফুল নিতে
বসা কানা বক
উপোস দুপুর নাক ডেকে ঘুম যায়।
তবু তুমি আসবে জানি
হৃদয় গহিন জমানো ফর্মালিন নয়
কোথাও তো খোঁজতে হবেই।
..................................................
 
নতুনের গন্ধ
 
পুরাতন নিপাত যাক ভেঙে আবার গড়
দেখার সময় নাই যে কে বাঁচ কে মর!
 
অন্ন কষ্ট তুমি পাবে আমার পেট তো ভরা
মনে রেখো জীবন আমার আনন্দেতে গড়া।
 
হাহাকার শুনেছি দেখি না দুচোখ ঘৃণায় জ্বলে
পা দিয়ে চলি চটির উপর জানি না কে তলে!
 
চাকচিক্য আমার জৌলুস কান্না দেখার নয়
কে কাঁদে কার দুঃখ তাতে আমার কি বা হয়?
 
কোনো বাঁধাই বাঁধা নয় আমার আংগুল নড়ে
ইশারাতে চলে সবাই সবাই আমায় ডরে!
 
বিকিকিনি করতে হবে দৌলতের দরকার
একটু আধটু হলে কিছু তো বলবেই সরকার!
 
চালিয়ে যাও বলব মুখে নিরাপদে আছি
কে দেখবে তা ভেতরে কে কেমন বাঁচি?
 
এমন আশা নতুনের নয় জাগো নতুন জাগো
প্রতিহত করো মশকিল নাহি কভু ভাগো!
..................................................
 
রহমতের পথ
 
সয়তান দূর হয় রমজান এলে এটা কতটা সঠিক আল্লাহ জানেন
তবে সয়তান রূপে মানুষ সয়তানি করে বেড়ায় সব সময়।
পৃথিবীতে মহামারি চলছে তবু কি সয়তান ভয় পায় দেখেন?
পায় না তারা তাদের কুকর্ম করেই চলছে।
রহমতের দ্বার খোলা আছে তাদের জন্য, যাদের ঈমান আছে মুমিন সৎ মানুষ।
আশা করি মানুষের মনে রহমত আসবে রহমতের মাসে
বিশ্বাসের  সাথে রোজা নামাজ করলে আর সৎ পথে চললে মানুষকে ভালোবাসলে অবশ্যই রহমতের পথ খোলা।

⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN

🔗 MY OTHERS CHANNELS

🔗 FOLLOW ME

🔗 MY WEBSITE

🔗 CALL ME
+8801819515141

🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com 


No comments

নির্বাচিত লেখা

আফসার নিজাম’র কবিতা

ছায়া ও অশ্বথ বিষয়ক খ-কবিতা এক/ক. সূর্য ডুবে গেলে কবরের ঘুমে যায় অশ্বথ ছায়া একচিলতে রোদের আশায় পরবাসী স্বামীর মতো অপেক্ষার প্রহর কাটায় প্রাচী...

Powered by Blogger.