পুজা সংখ্যা ২০২০ : পর্ব-১
শরৎ মানেই মায়ের আগমনের ঋতু। সেই সময় আকাশে বাতাসে মায়ের আগমনের গন্ধ বিকশিত হয়। কাশবনের ছটা মানুষের মনে এক নতুন স্নিগ্ধতা শুরু করে। শারদীয়া উৎসব হিন্দুদের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব। শারদীয়া উৎসবকে ঘিরে মানুষের মনে কল্পনা জল্পনার শেষ থাকে না। সমস্ত দেব কূলকে ওষুরদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য মা দুর্গা ওষুর বধ করেছিলেন। তারপর থেকেই দুর্গাপুজার প্রচলন। এই দুর্গাপুজাকে ঘিরে যেমন যত উল্লাস,তেমনি নারীদের মধ্যেও আমরা দুর্গার রুপ দেখতে চাই। মা দুর্গাকে নিয়ে বিভিন্ন কবি বিভিন্ন কবিতা তুলে ধরেছেন। আর শারদীয়া বিষয়ে কবিদের সেই কবিতা নিয়েই বাংলাদেশের ‘মোলাকত’ ডটকম পুজো সংখ্যা ২০২০’র আয়োজন করেছেন। আশা করি প্রথম পর্বের সকল কবিতা পাঠকদের পাঠে মুগ্ধতা রাখবে।
পুন্ডিবাড়ী, ভারত,
পুজো সংখ্যা ২০২০
সম্পাদিকা, মোলাকত ডটকম।
তৈমুর খান :: দুঃখ মোচন
আমার দুর্গা :: রীতা দেব (বেরা)
মায়ের কাছে :: রিয়াদ হায়দার
শারদ প্রাতে :: কমল কুজুর
তুই যে আমার সই :: রিয়া চক্রবর্তী
সব চরিত্র কাল্পনিক: ঝুমা মল্লিক
অপেক্ষা :: রিয়া ভট্টাচার্য
রাবণ জানতেন :: সিদ্ধার্থ সিংহ
মা আসছে এই বাংলায় :: চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু
কোন এক বনলতা সেন :: গৌতম চট্টোপাধ্যায়
শারদীয় দূর্গায় শুভেচ্ছা :: মুহাম্মদ ইব্রাহিম বাহারী
হাসি :: চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী
মায়া :: অলোক রায়
কৃত্রিম সভ্যতা :: উত্তম দেবনাথ
দুর্গা মায়ের রূপ :: সৌমেন দেবনাথ
ময়না কথায় ঈশ্বরের হাত :: রঘুনাথ চট্টোপাধ্যায়
..................................................
বিশ্বজিৎ কর
মা এসেছেন ঘরে,
আকাশে-বাতাসে মিষ্টি গন্ধ,
আলোর বেণুর সুরে!
থিমপুজোর লাল চোখে -
সাবেকি গেছে হারিয়ে,
"যা দেবী সর্বভূতেষু"-
মন দেয় ভরিয়ে!
১০৮ প্রদীপের তাপ -
লাগুক সকল হৃদয়ে,
ধুনুচি নাচের ছন্দ -
মন্ডপ দিক মাতিয়ে!
মহামিলনের মহামঞ্চে-
অটুট থাকুক সম্প্রীতি,
মানুষ তো মানুষের জন্য -
ধ্বনিত হোক্ ঐক্যগীতি!
..................................................
দুঃখ মোচন
বয়সের তীরভূমি ভেঙে পড়েছে প্রবল প্রবাহে
তাড়িত আকাশ থেকে বিদ্যুৎ ঝলকানি
মেঘলা দুপুরে বিষণ্ণ বর্ষা ফুঁফিয়ে কেঁদে গেছে
কাদামাখা রাস্তায় কোনও কুশল আসেনি
আজ ফুটো হয়ে যাওয়া হৃদয় সেলাই করে
শারদীয়া কুড়োতে এসেছি পৃথিবীতে
বলতে এসেছি আমার আমি কেমন আছে
আমিই শুধু নির্বাসনে দুঃখ মোচন করি
..................................................
রীতা দেব (বেরা)
সমাজ ভাঙ্গার অবক্ষয় হয়েছে সেও আজ যন্ত্রী
মহিষাসুরের রূপ ধরে যখন তারা আসে,
লালসার আগুনে পুড়ে মড়ে ।
তোমার দুর্গা সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মায়
আমার দূর্গা সন্ধ্যে হলেই মুখে রং মেখে মালিক খোঁজে
তোমার দুর্গা তখন নাসায় বসে
মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন দেখে ।
আমার দুর্গা রাতের বাসে হয় ধর্ষিত
ধর্ষকেরা ছাড়া পায় আইনের বেড়া জাল করে ছিন্ন।
দামিনীরা আজও হাসপাতালে রোগশয্যায় কাঁদে
আর বীরপুরুষেরা বাসনার আগুনে তৃপ্ত হয়ে
বুক ফুলিয়ে হাটে ।
আমার দুর্গা দিনের আলোতে হয় ধর্ষিত
লোকো সমাজের সব অবক্ষয় দেখেও
চুপ করে থাকে স্বার্থপর মুখগুলো ।
অসুর রুপী পুরুষগুলো কামনার রসে সিক্ত হয়ে
জন্ম দেয় কতশত জারজ সন্তান।
নাম গোত্রহীন দুর্গা তখন রাস্তায় পড়ে কাঁদে
তাঁরও ঠাঁই হবে আবার কোন বেশ্যারই কোলে।
আমার দুর্গা লোকের বাড়ি এঁঠো বাসন মাজে
রাস্তার ধারে চায়ের দোকান চালিয়ে
সেও সংসার পালন করে।
শিরদাঁড়া সোজা করে সেও প্রতিবাদে গর্জে ওঠে
দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন মূলমন্ত্র তার
কোন সমাজ বা সামাজিক প্রভাব
হার মানাতে পারবে না তাকে আর।
তাই বলি
"মহিষাসুর নিরনাসি ভক্তানাং সূখদে নমঃহা
রুপাং দেহি জয়ং দেহি যশো দেহী দ্বিষো জহি"।
..................................................
বিজন মজুমদার
হও সবে সাবধান
একটু ভুলে জীবনের পাতা
হতে পারে খান খান !
জানালা গুলো কাঁপে
বয়ষ্কদের কান ঝালাপালা
বিকট শব্দের চাপে !
করে দেয় বড় ক্ষতি
সীমারেখা অতিক্রম করার
না যেন হয় দুর্মতি !
রাখা চাই বুকে ধরে
দীপাবলি হবে তবেই মধুর
ছোট বড় সবার তরে।
..................................................
রিয়াদ হায়দার
অপূর্ব এক টান!
কমল কুজুর
ছড়ায় আলো দেখায় স্বপন,
আকাশের নীল ক্রমশঃ ছড়িয়ে পড়ে
শিরায় শিরায়, করে আঘাত মানব সভ্যতায় ।
সে আগুনে পুড়ে ছাই
এতো দিনের সাজানো সংসার ।
জ্ঞানী গুণী, ধনী গরীব, পাপী সাধু এক কাতারে
সব অসহায় আত্মসমর্পণের ডালা সাজায়।
রক্তে রক্তে পথের নেশায় লাগে দোল,
শঙ্খের মধুর আহ্বানে
দশভুজার আগমন সিংহের গর্জনে ।
সন্তানের অমাবস্যা করতে দূর
সমুদ্রস্রোত আর নদীজলে
ভেসে ভেসে আসা শারদীয়া সুর
বিপদ মুক্ত করে আবার সবাইকে রাঙিয়ে যায়।
..................................................
রিয়া চক্রবর্তী
আসবি কখন তুই?
তুই যে আমার সই।
সবুজ মাঠের ধারে
চলনা ওদের মিলন দেখি
লুকিয়ে ঝিলের পাড়ে।
উথাল পাথাল মন,
সই, আমার কথা শোন।
দেখ গোধূলির প্রেমে
ও সই, তোর হাতটা ধরে
চাঁদ ও আসুক নেমে।
উদাসী দুপুর
কৈলাস ছেড়ে আয় না চলে
বাজিয়ে নুপুর।
সই, সাপ মই এর খেলা
শরৎ এলো, আয় চলে তুই
আর করিস না বেলা।।
..................................................
ঝুমা মল্লিক
উড়িয়ে দিয়ে সকল বাঁধা
চলো ঘুরে দেখি দেশটা।
পাহাড় দেখবো বলে ঝর্ণা হলাম ।
কতো কথা বললাম, নিজের নাম লিখলাম।
পাহাড় ভালোবাসা দিল, সাথে নিল কঠিন শপথ।
আমাকে কঠিন তিরষ্কারে আটক করলো।
বন ডেকে ছিল।জমি দিল।নুড়ি পাথর দিল।
ভালোবাসার গল্প লিখলো নরম মাটিতে, কিন্তু
বন্য জীবজন্তু সব কেড়ে নেবে বললো।কাছাকাছি
ছিল মরুভূমি।আত্মীয় হবার আমন্ত্রণ জানালো।
বালির মতোই হলো জীবন, যন্ত্রণা আপন ।
এইটুকু সুখ, আকাশ দেখেছে সব।সত্য কথা
বলেছে, নেবার ইচ্ছে যাদের তারা নেবে শুধু সুখ।
আর দেবার বেলায় শুধু অসুখ।
..................................................
রিয়া ভট্টাচার্য
অনেকগুলো দিন কেটে গেছে পড়ে থাকা খুচরো গুনে।
তাকের কোনায় তুলে রাখা পারফিউমের শিশিটায় জমাট বাঁধা মরচে
একরাশ শিউলি শুকিয়ে আছে পায়ের নীচে।
আজকাল আর কথা দিতে ইচ্ছে করে না।
কাঁচ ভাঙার শব্দটা কাঁপিয়ে দিয়েছে অস্তিত্ব।
খোলামকুচির মত কথা বিক্রি করেছি সময়ের বাজারে
এবার অন্তত শান্তিতে ঘুমিয়ে পড়তে চাই।
আজকাল আর অপেক্ষা করতে ভালো লাগেনা।
ঘড়ির কাঁটা থমকে গেলে আস্তাকুড়ে পড়ে থাকে বাতিল অবস্থায়।
দম দেওয়া কলের পুতুলের ঘাড় ভেঙেছে কবেই
কোনো ফেভিকলই তাকে ক্ষমতা রাখে না জুড়বার।
আজকাল ভালোটাকেই ভালো লাগেনা বিন্দুমাত্র।
পিপাসার্ত পথিকের মুখে তুলে দিই দাহ্য গরলের পেয়ালা।
পথভোলা মানুষের ইতিহাস লিখছি জাবদা খাতার পাতায়;
..................................................
শংকর ব্রহ্ম
তোর জন্য বুকের ভিতর আজও অনেক জায়গা আছে,
ছুটে এসে বুকে আমার ঝাঁপিয়ে পড়িস,
যেমন ফুলের পাপড়ি থেকে শিশির ঝরে
মন খারাপের ভাবনাগুলো আমাকে দিস,
আমার কাছে জমা রাখিস
কেউ না চিনুক তুই তো আমায় ভাল চিনিস,
তোর জন্য অনেকখানি জায়গা আছে
ভীষণ রকম মন খারাপের দিনগুলোতে
চলে আসিস আমার কাছে।
..................................................
সিদ্ধার্থ সিংহ
আমি ঠিক তার বাইরে বের করে আনব তোমাকে
দু'বাহুতে বন্দি করে রাখব।
রাবণ সীতাকে হরণ করেননি
তিনি ভাল করেই জানতেন
ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনও নারীকে ছুঁলেই
তাঁর ন'টা মুণ্ডুই তৎক্ষণাৎ খসে যাবে।
ফলে আপনারা যা ভাবছেন, সে মতলবেও নয়,
সীতা আসলে লক্ষ্মী
লক্ষ্মীকে নিজের রাজ্যে রাখতে পারলে
ধন-সম্পদ-শস্যে উপচে পড়বে দেশ
তাই শুধুমাত্র প্রজাদের মঙ্গলের জন্যই
তিনি সীতাকে হরণ করেছিলেন।
আমি তার বাইরে ঠিক বের করে আনব তোমাকে
দু'বাহুতে বন্দি করে রাখব।
আমার ঘর নিষ্প্রদীপ, মলিন
তুমি থাকলে ঝলমল করে উঠবে ঘর
এবং দুয়ার।
..................................................
চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু
এসো এসো মাগো তুমি এই বাঙালির ঘরে,
অঞ্জলি দেয় মায়ের পায়ে কত্তো আশা করে,
দুঃখ ব্যথা সব ভুলে যায় তোমায় কাছে পেয়ে,
ভক্তগুলোর তুমি মাগো একটু ভালবেসো,
..................................................
গৌতম চট্টোপাধ্যায়
আমার বড় যত্নে লাগানো গাছটির
অনেক ডাল ভেঙে গেছে...
দাপট না সামলাতে পেরে বৃক্ষহীন হয়ে ঝরে গেছে…
দু' চার ফুল ফলের আশায় থাকা আমি
আজ বহু কষ্টে এক একটি করে
সব কোমর ভাঙা সময়ের ডাল সযত্নে তুলে
সব ঝরে যাওয়া পাতাকে সরিয়ে দেওয়ার সময় একটা তছনছ হওয়া ভাঙ্গা বাসা দেখলাম..
এক পাখি নিজের তছনছ হওয়া বাসা দেখছে…
বনলতা সেন'এর ভালবাসার এ প্রলাপ
আমি দেখিনি কখনো...
মুহাম্মদ ইব্রাহিম বাহারী
মোলাকাত কোলাকোলি হয় হেসে
উৎসবে যোগ দেয় দুই জাতি
নেই কোনো গোলযোগ হাতাহাতি।
কোনো জাতির হয়না মাথা নিচু
হিন্দু -মুসলিম এক সাথে
চলাচলে ভেদাভেদ নেই তাতে।
সহনশীল সকলেই ধকলের
শারদীয় দূর্গায় শুভেচ্ছা
মিলেমিশে থাকতে খুব ইচ্ছা।
..................................................
চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী
যদি প্রশান্তির প্রতিটি পাপড়ি কেটে দেয় দুষ্টকীট
কি করে ই বা গাভীন আশা মেলতে পারে অঙ্কুর।
জীবন আসলে আঁকড়ে ধরার ভরসাটুকু নিয়ে
বিশ্বাসের হাতে সঁপে দেওয়া একটি তরতাজাফুল,
শেষমেশ খড়কুটো ধরে ডিঙতে চায় জল পিপীলিকা জীবন।
হন্যে হয়ে খুঁজলেও, যদি না পায় ধরার কোন ডাল
চোখের পাতায় মরে যায় যাবতীয় ইচ্ছের সুকুমার পরাগ।
এমন তো কিছুই না শুধু দুঃখ ভুলে থাকার সবুজ
বাসনায় যতটুকু রাখলে পাখিটির ঠোঁটে ভোরের সঙ্গীত
ঠিক ততটুকু লাবণ্যে চুবিয়ে তৃষিত আকাঙ্ক্ষা
সে যে বাজাতে চায় মনোসন্তোষের কোজাগরী ঘুঙুর ।
বহুদিন বহুদিন দুর্ভিক্ষ ছেয়ে আছে মাটি
চিবুকের নরম জোছনা মরে পড়ে আছে বালুকায়
এখন যারা জীবিত হেঁটে যাচ্ছে পথ, ছুঁয়ে দেখ
বুকের ভেতর ফুসফুস কতখানি বিকল হলে
ভুলে যাওয়া সহজ প্রিয় হাসিটির কথা।
দাও দাও ফিরিয়ে দাও সরল মানুষের সরল হয়ে থাকার দিনলিপি
ওরা একটু হাসতে চায়, ওরা একটু হাসতে চায়।
হাসি আসলে দুঃখকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেবার মহৌষধ ।
..................................................
অলোক রায়
অবিদ্যার কালো ছায়া করলে গ্রাস,
ভ্রান্ত জ্ঞানী আজ ভ্রাম্যমাণ সবখানে,
মুক্তির জ্ঞান দেয় মায়ার স্বরূপ বলে,
আসলে দুঃখ কষ্ট যাই বলো সবই মায়ার খেলা,
মুক্তি পাবে না থাকো যদি জীবনে টানের অবস্থানে,
ভাবছো মায়ার বন্ধন মুক্তি সে তো বড়ো দায়,
আসে আর খালি হাতেই ফিরে যায়।
..................................................
উত্তম দেবনাথ
সভ্যতার ঘোলা জলে -- হাবুডুবু খেতে খেতে
মিথ্যার বেড়াজালে আষ্টেপৃষ্টে বাঁধা সমাজে
সহজ সারল্য, নিপাট সত্যকে বিশ্বাস করতে
ভীষম খেতে হয়।
মনে হয় অন্তরালে আছে কোন মতলব ভাজ।
সময়ের অযোগ্য ভেবে-
আফসোসও করি,
এই কপট আমাদেরকেই-
নিত্য জ্বলে- মানবিক অবক্ষয়ের ভারে
ন্যুব্জ হয়ে চলতে হয়- নত শিরে।
আর তখন-
..................................................
সৌমেন দেবনাথ
মনটা যায় যে ভরে,
করেছি কতই ভুল।
বিষ্ণু দেবের চক্র,
হয়ো না মা বক্র।
বরুণ দেবের শঙ্খ,
করি লম্ফঝম্ফ।
অগ্নি দেবের শক্তি,
করি না তো ভক্তি।
ঐরাবতের ঘণ্টা,
সঁপে দিলাম মনটা।
ইন্দ্র দিলেন বজ্র,
আমরা ধরার বর্জ্য।
দিলেন রশ্মি সূর্য,
বাড়বে শৌর্য-বীর্য।
আরো দিলেন ধনু,
অণু আর পরমাণু।
আরো কমণ্ডলু,
নয় কো আলুথালু।
বিশ্বকর্মা অস্ত্র,
হয়ে ভীষণ রুদ্র।
যম দিলেন কালদণ্ড,
ক্ষিপ্র তাই প্রচণ্ড।
স্বর্গে দেবে বিভাস।
ধনের দেব কুবের,
হয়ে যাবেন বের।
শক্তির সাথে যুক্ত,
স্বর্গ করলেন মুক্ত।
..................................................
সৌরভকুমার ভূঞ্যা
আনন্দ আর খুশির টানে নাচছে সবার মন।
কিন্তু সবাই মনে রেখো সময়টা নয় ভালো
আলোর আকাশ ঘিরে আছে রাক্ষুসী এক কালো।
অসুর এবার মণ্ডপে নেই ঘুরছে আশেপাশে
ভুল করেও পা দিও না তার বাড়ানো ফাঁসে।
একটি বার পড়লে ধরা রক্ষেটি আর নেই
জানবে না তো তখন তোমার কোথায় হবে ঠাঁই।
বিশ্ব জুড়ে মৃত্যু মিছিল চলছে হাহাকার
থাকলে জীবন এমন পুজো আসবে বারংবার।
আনন্দটা থাক না তোলা পরের বছর তরে
পুজোর কটা দিন এবার সবার কাটুক ঘরে।
হয়তো অনেক কষ্ট হবে, হয়তো বা আপশোশ
ভুল করেও দেখিও না কোনোই দুঃসাহস।
বুকের মাঝে বাঁচিয়ে রাখো একটুখানি ভয়
সেটাই হয়তো রুখতে পারে জীবন বিপর্যয়।
..................................................
রঘুনাথ চট্টোপাধ্যায়
সাকার আরশি বাজাচ্ছে লঘু পাপে গুরু দন্ড
অমানবিকতার চওড়া পায়ে পদপিষ্ট সময়
সময়ের ভেতরে বুকচাপা বোবা অগ্নিগর্ভ
মানুষের হাঁটা এখন তারের উপর ব্যালান্স খেলা
এক হাতে ফিতে ধরা অন্য হাতে নিত্তি
বজ্র-বিদ্যুত হুমকিতে পর্যুদস্ত যাবতীয় প্রতিবাদ
পৈতৃক মুলুক ছেড়ে উড়ে গেছে দ্বীপান্তরে
স্বস্তি বলতে অন্তরালে বিশুদ্ধ ময়না কথা:
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments