ধর্ষণ বিরোধী কবিতা : ৩য় সংখ্যা
সম্পাদনায় : আফসার নিজাম
ধর্ষক ধর্ষকই যে দলেরই হোক সে :: তাজ ইসলাম
হে বাংলাদেশ, তুমি নির্লজ্জ হয়ে গেছো :: আরিফুল হাসান
শোনো ধর্ষক, নারী মাত্রই আমাদের মা :: শম্ভু সরকার
অভ্যাস :: রোকন রেহান
প্রতিবাদে নির্বিবাদে :: দিল মুহাম্মদ
আমার হাতের অস্ত্রটি নাই :: মোঃ মোস্তফা কামাল
আমার ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল :: আনোয়ার আল ফারুক
বিবস্ত্র স্বদেশ :: মুহাম্মদ ইব্রাহিম বাহারী
আর কত? :: সোহানুর রহমান সোহাগ
আমার সমাজ! :: মুন্সি আব্দুল কাদির
অহল্যা হও :: রাজীব চক্রবর্ত্তী
কলংকিত সমাজ :: কবিতা সুলতানা
কোন দিকে যাই? :: গোপাল বিশ্বাস
আক্রোশ :: নেহাল মাহমুদ
মোবাইলে প্রেম, অতঃপর ধর্ষণ, শেষে হত্যা! :: সাকিব জামাল
..................................................
প্রায় বিবস্ত্র নারী
ছেড়া শাড়ির ফাঁকে দেখায় শরীর
অশ্রুতে ভাসে চোখে, সম্ভ্রম
কিছু কষ্ট লেগে আছে সন্ধ্যার গায়ে
কিছু যন্ত্রণা ফুটে আছে শরীরে লজ্জায়।
এ ধর্ষিতা আমার স্ত্রী, আমার কন্যা
আমি কার পুত্র,
না কি আমিও বেজন্মা এক।
কিছু কিছু যন্ত্রণা বোধের মৃত্যু ঘটায়
কিছু কিছু অপমান সমগ্র জাতির, রাষ্ট্রের,
সার্বিক হয়ে সমগ্র মানবতার।
..................................................
ধর্ষক ধর্ষকই সে যেই হোক।
মসজিদ মন্দির প্যাগোডার লোক
স্কুল কলেজের শিক্ষক হোক
ধর্ষক ধর্ষকই সে যেই হোক না
সমাজের কিট সে আমাদের লোক না।
ধর্ষক ধর্ষকই যত বড় লোক সে
সমাজের কিট সে আমাদের লোক না
ধর্ষক ধর্ষকই সে যেই হোক না।
ধর্ষক ছাড়া কোন পরিচয় তার না
আর কোন পরিচয় নাই তার
একটাই পরিচয় তাই তার।
পাপিষ্ট নরাধম বিকৃত লোক সে।
আরিফুল হাসান
..................................................
একই রকম হিসেব তোমার মা ও বোনের জন্য?
মানুষরূপী শ্বাপদ তুমি শিকার খুঁজে ফেরো
পারলে এবার নিজের ভিতর পশুটাকে মেরো।
ফুলের মতন জীবন নিয়ে মেটাও মনস্কাম
কাপুরুষের ঘৃন্যকাজে পুরুষের বদনাম।
দৃষ্টি তোমার ভীষণ কামুক রক্তে দারুণ জোশ
একলা মেয়ে হাঁটবে কেন? মেয়েটারই দোষ।
পোশাক নিয়ে আপত্তি খুব শরীর দেখা যায়
দুই বছরের শিশুর আবার শরীর কোথায় হায়!
নারী হয়ে জন্মানোটাই এই দেশে আজ পাপ
ধর্ষকেরা পায় না সাজা এ কোন অভিশাপ?
আমরা তবু স্বপ্ন দেখি হয়তো অলীক সুখ
প্রতি নারীর মুখে আঁকা আমার মায়ের মুখ।
..................................................
রোকন রেহান
সে বারবার মিথ্যা কথা বলবে, কেননা
ক্ষমা চাইবার জন্য মিথ্যা কথা বলা জরুরী বিষয়।
যে লোক একবার ভুল করে, ম্বেচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক, সে আবার ভুল করবে, কেননা
ভুল ছাড়া কোন শিক্ষাই পূর্নতা পায় না।
যে লোক একবার রুচি বদলায়, যেভাবেই হোক
সে সুযোগ পেলেই রুচি বদলাতে চাইবে, কেননা
জিহ্বাকে শাষন করার মতো ক্ষমতা খুব কম মানষেরই থাকে।
বেপথু বাতাস বেপথু মানুষকে ডাকবে
বেপথু জীবন সেই মানুষকে নিয়ে খেলবে,
খেলতে খেলতে এক সময় প্রকাশিত হয়ে আমাদের বেচে থাকার সংগ্রামকে কন্টকাকির্ন করবে। এই তো জীবনের অংক।
সেই অংকে জীবন মানে অন্য আরো অনেক কিছু!
অজস্র সংগ্রামের একটি দূর্দান্ত সংকলন হচ্ছে জীবন।
পাওয়া না পাওয়া, সুখ দুখ, উত্থান পতন আরো কত কত শব্দরাজি অনুভূতি প্রকাশের তীব্রতাকে ধারনে বেহাল, কিছু কিছু অব্যক্ত, অনুক্ত থাকে,
জলাধারে, স্বপ্নেরে কিনারায়, দৈনন্দিন পাঠশালায়,
ঘূর্নায়মান পৃথিবী সব ঘটনাকে কিভাবে যে সহনীয় ও রুচিমগ্ন করে আমাদের সামনে চলমান রাখে, সেটা একটা বিপুল বিস্ময়। কারো কারো অংক মিলে যায়, কারোটা মিলে না।
..................................................
তোমায় বেঁধে বউকে নিয়ে মেতে উঠে কামের রথে
বাঁচাও বাঁচাও ডাকের স্বরে কাঁদছো তুমি অঝোর ঝরে
শত চেষ্টায় ব্যর্থ তুমি বউকে রক্ষায় চেষ্টা করে
এমন যদি হয়গো সবার সকল দম্পতিরা ভাবো
নেতা, পুলিশ, ইটিশ-বিটিশ রক্ষা কি কেউ, কারো পাবো
আজ ক্ষমতার দম্ভ তোমার রদবদল কাল হয় যদি দল
প্রতিশোধের শোধটা যদি হয় অবিকল লাল চোখে জল
সেদিন হয়তো অনুতাপের করবে না কেউ হায়! হতাশ আর
রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ নয় মিছিল মিটিং মিষ্টি খাবার
তোমার যদি মা, বো্ন, বউ, ঝি হয় আত্মীয়, হয় প্রিয়জন
আজকে নিরব চাওনা বিচার কালকে যদি হয় প্রয়োজন
কোথায় পাবে তারে সেদিন যারে ঢাকলে অন্ধকারে
সান্ত্বনার কেউ পাবে না তয় বুক ভাঙা খুব আহাজারে
আসুন দলহীন প্রতিবাদে পক্ষহীন ও নির্বিবাদে
সামাজিক অবক্ষয়, ক্ষতে মলম মেখে হক জাগাতে
..................................................
আমার হাতে অস্ত্র ছিল,
আমি তখন গর্জে উঠে,
মন্ডু টা তার নিলাম টুটে।
আমার যেন, পুনর জন্ম হলো।
নতুন করে বাঁধি বাসা,
মনে তখন অনেক আশা।
আমার জীবন ভরিয়ে দিল।
ঘটা করে বিয়ে দিলাম
জান্নাত যেন কিনে নিলাম।
আমার হাতের অস্ত্রটি নাই।
অসহায় এক পিতা কাঁদি
মুক্তিসেনা আছো কি ভাই?
..................................................
লালসবুজের মানচিত্রের আব্রু হরণ করে উন্মত্ততায় গণ ধর্ষণে আমার পবিত্র পতাকাকে করছে ছিন্ন ভিন্ন আর কলংকিত, ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি অনিরাপদ করে তুলছে হররোজ।
এখানে রোজরোজ বিবস্ত্র ধর্ষিতা নারীর করুণ আর্তনাদে রাতের নিস্তবদ্ধতা ভাঙে।
বোধের কর্ণকুহুর যেন শিসাঢালা হয়ে চির বধিরতাকে সাদরে গ্রহণ করেছে।
নেই প্রতিবাদ, নেই প্রতিরোধ। এই জমিন যেন এক বন্য হিংস্র দাঁতাল শুয়োরের অভয়ারণ্য!!
হাতে দা বটি শাবাল যা আছে তুলে নাও, উপড়ে দাও দাঁতাল শুয়োরের বিষাক্ত দাঁত চোখ নখর, জ্যান্ত পুঁতে ফেলো তিনহাত মাটির গহ্বরে। তবেই অভিশাপমুক্ত হবে আমার ছাপান্ন হাজার বর্গমাইল।
..................................................
মায়ের মুখে মারছে লাথি
ধর্ষিত আজ বাংলাজুড়ে
দুধের শিশু কুঁজো বুড়ে।
ধর্ষণ করে আগে পাছে
ইভটিজিং আর শ্লীলতা
আটকে আসে মুখের কথা।
বাংলা এখন ইনজুরিতে
ছত্রছায়ায় নেতার পাশে
অপরাধি লোকায় হাসে।
হাজার হাজার শত শত
মা বোন আমার নির্যাতিত
এদেশ মাটি কুলোষিত।
বিবস্ত্র স্বদেমভূমি
আয়শা রুমি তনু সুমি
গুমরে কাঁদে তাদেরই লাশ
দাপটে বেড়ায় নরপিচাশ।
..................................................
এভাবে অকালে ঝরে?
ধর্ষণ নিপীড়ন আর
কত আত্মহত্যা করে।।
আর কত দেখতে হবে
দূর্বিসহ সব ঘটনা?
এসব কিন্তু সব সত্য
নই কোনো রটনা।
চট্টগ্রামের এমসি কলেজ বেগমগঞ্জের মতো হবে
আর কত জায়গায় ধর্ষণ,
এদের উপর হয় না কেন
শত শত গোলা বর্ষণ?
আর কত কাল কত এভাবে প্রান যাবে
উত্তর চাই জবাব চাই!
সকলেই সম্মিলিত হয়ে
ধর্ষণকারীর বিচার চাই।
..................................................
নারী জাতি সেই সমাজে কাঁদবে পথে ঘাটে।
মানুষ রূপী সে জানোয়ার হিংস্ররা হার মানে
ধর্ষকেরা দল বাধা দেখ কোন সে রশির টানে।
রশি তাদের অনেক মোটা ছিঁড়বে কে আর বল
তাইতো জাতির বাজে বারো ঝরে চোখের জল।
পড়লে ধরা দিনটি খরা থাকবে কয়দিন জেলে
দেখলে দেখ চোখ বোঁজে থাক বের হরে বেলে।
দেখবে তুমি উকিল মোক্তার পক্ষে তাদের হয়ে
ফুলের মালা গলায় দিবে তাদের মহান জয়ে।
কোন ঘরেতে জন্ম তাদের কোন বা দলের লোক
সকল কাজে নষ্টামি কেন মিথ্যার জয় হোক।
মিথ্যা যেথায় অনেক সহজ হারামে বাড়ে সম্মান
কেমনে বল বাঁচবে জাতি বাড়বে রে শান মান।
আজকে জাতি এক হয়ে যাই রাখি হাতে হাত
হারামে যার উদর ভরে তার আছে কি জাত।
ধর্ষণের চাই কোরআন বিধান চাই যে সঠিক পথ
জাতি চালাই সঠিক পথে দূর ঠেলে সব মত।
..................................................
আ খ ম রওশন আলম
তোমার গর্ভে এসেছিল
জাতির শ্রেষ্ট সন্তান,
মানুষ রুপে গড়ে তুলে
করিয়েছো মহান।
সুলতান বলখী, আর জিলানী
তোমার গর্ভের ভান্ডার,
আব্দুল হামীদ, শেখ মুজিবুর
তোমার বুকের আধার।
নজির রেখে সু আদর্শে
তোমার কোলে পরে,
তোমার ছেলে মন্দ কাজে?
ভাইবোন মোরা ভেদাভেদ নাই
একটি বৃন্তের পুষ্প,
প্রান্তে কেন লাশ আর খুন
সে কোন কীটের ধৃষ্ট?
কাদে কেন? অনাহারে,
কেউ পাপিষ্ট বা উৎকৃষ্ট
কেমন করে ভোগো!
স্বাধীনতার যুগে।
পাশবিক উল্লাসে
রক্ত ঝরে সৃষ্টির গহ্বরে।
নতুন প্রাণের স্পন্দন,
আজ তার হাহাকার ভরা চোখ
লজ্জার কালো মেঘে ঢেকেছে
ভীরু পৌরুষের অহংকার।
বেঁধে দাও ঘৃণার কঠিন পাথরে।
সব নারী অহল্যা হও
সাধু বেশে ভরা নষ্ট পুরুষের সংসারে।
সুন্দর এ বাংলা আজ কলংকিতা।
হে বাঙালি, আর কত কাল,
চলবে নিরবতা।
সোচ্চার হও সকল নারী,
মুছিয়ে ফেলো কেলেংকারী,
ফেরাও খোদা, পশুদের মনে সত্য-ন্যায়ের, মানবতা।
অপকৃষ্টে হানি আঘাত
আমরা ফেরাবো সুসৃষ্টে রাঙগা প্রভাত,
সমাজ হতে করবো সব অঅপকৃষ্টে নিপাত।
এই প্রত্যাশায় প্রত্যাশী মোরা
সঠিক বিচার চাই,
ঐ অভাগা মায়ের তরে লড়ছে
বাংলার সবাই।
..................................................
আবুল খায়ের বুলবুল
কাঁদছে বাংলাদেশ কাঁদছে মানবতা
অহারে বাংলাদেশ আহারে স্বাধীনতা
এখানে রাত বিহানে হয় যে অন্যায়
সন্ধ্যায় নিশিথে গুম খুন হয় কিম্বা ইজ্জত হারায়
প্রতিনিয়ত ব্যাবহার করছেই ক্ষমতা
আহারে বাংলাদেশ আহারে স্বাধীনতা।।
এখানে ধর্ষক চলে ক্ষমতাসীনদের প্রশ্রয়ে
এখানে ফাঁসীর আসামী মুক্তি পায় নিজের আশ্রয়ে
এখানে কোটি টাকার কাজ হয় লক্ষ টাকায়
ছব্বিশ ঘন্টাই গীবত করে অন্যায় কিছুর আশায়
সততাকে বানায় মিথ্যার বেসাতি
খুঁজতে দেখিনি কখনই সততা
আহারে বাংলাদেশ আহারে স্বাধীনতা।।
নেশাখোর আর চরিত্রহীন বাড়ছে প্রতিদিন
যেখানে যে ধরা খায় গাইছে তাদের বীণ
জেলে গেলে থাকা খাওয়া হয় রাজার মতো
রিমান্ড দেখায় কাগজ কলমে যতো
চোর বাটপার শুধু বেড়েই চলছে
জনতার প্রতিবাদে প্রশাসন তাতে দিচ্ছে বাঁধা
আহারে বাংলাদেশ আহারে স্বাধীনতা।।
..................................................
সৈয়দ ময়নুল কবরী
তোর সৃষ্টি কার হাতে?
ওই ধর্ষিত দেহের গণ-আর্তনাদে
পোড়াবে জীবন সাথে!
মা বোন তোর ঘরে?
হটাৎ কখনও ধর্ষকের হাতেই
যৌবন বিলাবে চড়ে!
নেই একটুও মাত্র?
কলংকিত আজ সেই বিদ্যাপীঠ
তুই যেখানের ছাত্র!
কী হবে তোরই গতি?
কোন সাহসে কী অধিকারে এমন
করিলে দেশের ক্ষতি!
পড়িবে ভীষণ ফাঁদে!
মরিবে! মরিবে! মরিবে! হে ধর্ষক
মরনে নাহি কেহ কাঁদে!
তারিকুল ইসলাম সুমন
কেমনে ভালো থাকি
কেমনে ছবি আঁকি,
কেমনে বলো হাসি?
মাকে ভালো রাখতে আমি
জীবন দিতেও পারি,
মেয়ের মুখে নেই আলো নেই
কেমনে ভালো থাকি?
নিচ্ছে কেড়ে সুখ,
হৃদয় ভরা দুখ।
..................................................
গোপাল বিশ্বাস
-তাহলে কোন দিকে যাই?
চল মেয়ে, এবার যুদ্ধে যাবি চল
সভ্যতার যুগ সন্ধিক্ষণ।
তবে কেন দিকে দিকে
এত নারী ধর্ষণ?
আধুনিক যুগে এ কি
এত অধর্মীর উত্থান!
কোথা হতে এল
ভবে এত শয়তান?
আজ সাধু, গুরু, ছাত্র সব
হয়ে গেলো নারী ভোগী।
রাজনেতা হতে বকাটে ছেলে
সবাই একই রোগের রোগী।
ভুলে যায় ওরা
নারী ভগিনী, নারী মেয়ে
নারী মায়েরি জাতি।
নিজেরি বোন, নিজেরি মেয়ে
নিজেরি কোন জ্ঞাতি।
রাজনেতা মিডিয়াতে এসে
শুনায় ন্যায়ের বাণী।
সত্য কি ন্যায় পায় সে নারী
মুছু যায় কি তার গ্লানি ?
জনগণ মিলে ন্যায় চাইয়া
করে পথ অবরোধ।
জননেতা এসে মিষ্টি ভাষে
করে যায় কর্তব্য শোধ।
আদিকালে ছিল নারী বন্দী
নারী ছিল দাসী।
একালতো সাম্যের যুগ
সেকাল হয়েছে বাসী।
একালে শাসনে নারী,
ন্যায়ালয়ে নারী, সর্বজয়া নারী।
তবে কেন ন্যায় পায় না নারী
শাস্তি পায় না ধর্ষণকারী?
আদি কাল হতে একাল অবধি
কত নারী হলো অবতার।
তবু কেন বন্ধ হয় না ধর্ষণ
নারী পায় না অধিকার?
..................................................
নেহাল মাহমুদ
সমস্ত অলিগলি, সার্বভৌম পরিবার
স্তব্ধতার ব্রতপালনে নিক্ষিপ্ত হয়েছে
একের পর এক ধর্ষিতা বোনের করুণ চিৎকারে।
সমস্ত জীবনের প্রান্তর ধূসরিত তাদের পীড়িত শরীর, মলিন মুখাবয়বের ঘৃণায়।
এ কেমন সভ্যতা আধুনিক সমাজের!
বিরাট প্রাসাদ, প্রযুক্তির পর্বতমালা,
গর্বিত গণতন্ত্র, আইনের অনুশাষণ
এ সবের কি এই এই পতিদান?
যেখানে ঘাতক হায়েনার মতো
ক্ষুধার্ত পশুর থাবার মতো
গণধর্ষণের শিকার রত্নগর্ভা মা-বোনেরা।
শিক্ষাঙ্গন, কর্মক্ষেত্র, পরিবহন
এমনকি নিজের গৃহেও নিরাপদ নয়
কোন মা, কোন বোন, কোন জীবন!
সমস্ত প্রজ্ঞার ভিতরে ঢুকে পড়েছে
দুর্নীতি, অন্যায়, অপরাধ।
নক্ষত্রে নক্ষত্রে কেঁপে উঠেছে স্বাধীনতার স্তম্ভ
সর্বত্র শঙ্কিত ধর্ষকের ছোবলে।
দিনে দিনে, বছরে বছরে, যুগে যুগে
শিকারের বিপর্যয়ে ক্রমাগত হুঙ্কারে লিপ্ত
হাজারো নুসরাত, তনুর মতো নাম না জানা কতো কষ্ট মাখানো আত্মারা।
গণতন্ত্রের নিশ্চুপ অবস্থান, মিডিয়ার দুদিনের শোরগোল,
আইনের স্বার্থান্ধ গরিমসি, প্রশাসনের নামের ক্ষতিপূরণ
এসবের কাছেই আবদ্ধ ধর্ষিতা বোনের একেকটা নিষিদ্ধ নিঃশ্বাস।
ক্ষমতার অপব্যবহার, দুঃশ্বাসনের ছত্রছায়ায় কংকালের মতো ঘোরে সমস্ত মানচিত্রের অবক্ষয়।
দাবানল জ্বালানোর মন্ত্রে, বজ্রের আক্রোশে কেঁপে উঠুক সব অপরাধের বুনিয়াদ।
ধর্ষিতা বোনের ঘৃণার রক্ত উল্কার ক্ষিপ্রতার মতো চেপে ধরুক সমস্ত ধর্ষকের নির্লজ্জ টুটি।
..................................................
দুইননার সব ছেমরাগো লাহান তুইও মাইয়া মানুছ লইয়া এই কথা কইবার পারলি–
মাইয়ারা, ছেমরিরা খারাপ হইয়া গেছেগা!
তোর বইন নাইক্কা? আমগো বইন নাইক্কা?
তোর চিন্তায় পচন ধইরা গেছেগা!
তুইও মুরখের লাহান কথা কইবার লাগছোস!
একখান কথা কইবার চাই, তুই কইলাম চেতবার পারবি না!
এক হালায়- মোবাইলে প্রেম পিরিতি কইরা, এক ছেমরিরে শাদী করব কইয়া- ইজ্জত নিছে!
কি আর কমু, এইখানে খেমতি দেয় নাইক্কা- ছেমরিরে খুন কইরা ফালাইছে!
খবরডা শুইন্না মনে চোট লাগছে-
আরো চোট পাইছি- মাইনছে ছেমড়ির দোষ কইবার লাগছে!
মাইয়ারা কি তোরে জ্বালায়- না তুই জ্বালাস!
রাইতে, বেরাইতে কে মিছকল মারে?
পটানোর চেস্টা তুই করস, না ছেমরিরা করে!
ছোয়ামী ভাবছিলো!
মাগার, ঐ হালা তো অমানুষ!
সিমারের লাহান পাষাণ! শকুণের লাহান!
কইথেইক্কা ভালা পাইয়া লৌড় পাইরা আইল ছেমরি- আবে হালার চরিত্র নাইক্কা!
ক, হালা!
ক!
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments