রোশনী ইয়াসমীন'র কবিতা

মানবতা আজ উনুনে
অনাহারী জমি আগলে রেখেছে,
অকৃতজ্ঞ সিঁথি জুড়ে-
অক্ষর বিক্রির মূল্য সভ্য জাতি।
চরিত্র বুঝিনা একটুকুও,
পরিচিত হতে দেখেছি।
আঁচ পেয়ে -কেঁদে উঠছে
কিছু নষ্ট পৃথিবীর
ভদ্র,ভাঙ্গা,মূক, বধির, মানবতা।
..................................................
হঠাৎ ছন্দ পতন সময়ের,
দেশের ওপর চাপানো শাসন,
ভাঙছে রোদের তাপ।
নিয়তির মাটি ঝলসে অবাক...!
রোদ উঠে?
শুকতারার আলোয়, রাত-তারার ছুটি ,
সে কি শ্রান্তি, নাকি সুখ ?
পূর্ব-পুরুষের লোহিত স্রোত,
আড়মোড়ার আমেজে সময়ের ছুটে চলা
উত্তাপ বাড়ে তপন-কিরণের।
ভুল-ঠিক লাভ-ক্ষতির আঁকিবুকি
হাতঘড়িতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল ,
উপশিরায় তখনও জাগ্ৰত জীবন ,
প্রশ্ন করে মন... এখনও জেগে আছি ?
মুঠো ভরা আলোয়,
অন্ধকার জমে, বুনো ঝোপের মাঝে
হিংসে গুলো যেমন, জমাট বাঁধে-
জন্মায় জীবানুর বংশধর ...
জীবন্ত ফসিলে খুঁজে পাওয়া মানুষ
ডারউইনের তত্ত্ব প্রমাদের জীবন।
পরিত্যক্ত বুকের শিকড়ে ছড়িয়েছি, বারুদ!
নলীকাটা স্বরের গা বেয়ে ঝরা রক্তে, অসংখ্য বোঝাপোড়ার পাগড়ি।
স্বাধীনতা বন্ধ জানালায় আঁচড় কাটে, আকাশে অবাধ হয়না।
দেখলাম, কয়েক কোটি-
ক্ষমতার আস্ফালন!
দেখতে চাইনি এভাবে!
তাই -দেখতে চেয়েছি বার বার।
যেকোনো ভাবে আজ ঝড় উঠুক।
ভেঙ্গে পড়ুক সকল মান-অভিমান...
দেখেছি, দৃশ্য ভরা অদৃশ্যতা!
অতীতের সব বন্ধনী !
এলোমেলো এঁকে চলি জোনাকির আলোয়।
ছায়াপথের বিষাদে একলা দাঁড়ায়,
ঝোড়ো হাওয়ার চিৎকার নিয়ে
হাজির হয় কাল - বৈশাখ!
জমে ওঠে দহনের রাত।
আর কিছু ভয়াবহ সময়।
পাঁজরে নখের আঁচড়ে
কিছু কথা খুঁজে বলা হয়নি
বা সেগুলো ভুল দাঁড়ি কমাতে
সার্থক সংলাপ তৈরী করতে পারেনি! মৃতকথা মালা শ্বাসনালীতেই সমাধী রচেছি
বিশ্বাসের চিতাগুলোও পুড়ে ছায়!
রক্তসেচে বেড়ে -ওঠা, দিলাম তোমায়
তুমিও আমার চোখে চোখ রেখে কী- যে
আবৃত্তি করলে হে আমার প্রিয়তমা ভাষ্যহীন,
থাকি সবসময় মুগ্ধবেশে তোমার মুখের দিকে।
এভাবে তাকিও না,বলে তোমার কপট শাসনে
উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে শিরায় শিরায় কী মদির।
নীরবতা গান গেয়ে ওঠে,অপরূপ উন্মীলনে।
সবকিছু তাচ্ছিল্যের ফুঁয়ে বাতাসে উড়িয়ে
কখনো কখনো ভাবি, তুমি-
উজাড় করে বাগান হে আমার সর্বশেষ ফুল?
হাতে রাইফেল, রক্তে ভেজা জামাশুদ্ধ গা
কাগজ কিংবা কাপড়ে মুড়িয়ে বহন করা কাস্তের মতো
ভারী বুটে মোড়ানো দুটি পা-
ছিঁড়ে খাচ্ছে বীর সিপাহির গলিত শবদেহ
বাতাসে বয়ে বেড়ায় উটকো বারুদের বিষ-
প্রশ্নবিদ্ধ আজ পৃথিবীর যোনিপথ।
অনামিকা-
আমাকে জিইয়ে রাখে যুদ্ধের রক্তাক্ত মাঠে।
মনের গভীরে গুন গুন করে
পত্রে ভেসে আসা তোমার গানের কলি।
অনামিকা-
আগামী প্রজন্ম আসতে চাই শকুনের
বিকৃত কলেবরে।
তখনো তোমায় দুচোখ জুড়ে দেখতে চায়।
..................................................
প্রতিনিয়ত বিচারের ডাক বাক্সে।
গায়ে ধোঁয়াটে পোশাক,
মিশিয়ে দিয়েছে রিমঝিম গণনার
ক'ফোঁটা মেঘের লালা।
উৎসব উৎযাপনের উপোসি দালাল,
তাই,অভিমানে গাল ফুলিয়ে চন্দ্র
কাঁদা মেখে গোমড়া মুখে।
মেখে দেখো -লিলুয়া বাতাস...
মধু মেখে আছে সৌজন্যে।
লুকোনো প্রেম বোঝাবে বলে।
..................................................
রক্তের শরীরে বিভীষিকা-
মাতৃস্থানীয় সৌজন্য।
সততার বাণী এখন দাঁতের ফাঁকে আটকে
আটপৌরে-জীবনে পা দিয়ে,ভয়ে -
নিভাবার শখে নিতান্ত রেষারেষি,
জড়তার কুঁয়োর মাঝে।
মুখে এবার তুই তুকারি করে
যুগের শেষ সন্ধ্যা দিলো নামিয়ে।
জলে ঢোক গিলুক ধরা-
মাটির আভিজাত্য খেয়ে
এতটুকুও বাকি রাখতে চাই না।
ভালোবাসার পলিতে বীজ বপন করে
সন্ধ্যা বাতিটা জ্বালিয়ো-
পার করার আত্মবিশ্বাস জন্মাবে।
..................................................
কারণগুলি কাঁচের মতো ঝকঝকে।
লুকিয়ে পড়েছে আজ হিসাবের ভাঁজে।
পরিযায়ীর ডানায় এখন নতুন পালক
বিন্দু পরিমাণ কোথাও নেই -
সাময়িক চলাচল মিথ্যা নয়,
তার ওপর চরা -
আজ টলমল...
ভেঙে পড়বে মুন্সিয়ানা
নিস্তব্ধ চোখে এখন আগুন
রক্তের তেজে নাচে বাজেটের পেন্ডুলাম
সূর্যটাও হেঁটে গেছে অবেলায়।
ঝাঁপিয়ে পড়েছে বনের সজারু
তমাল এখন কোলে বসে
চর্বচোষ্য আগুনের উষ্ণতা খায়।
সুখের শেষ পাতাটির কোনই চিহ্ন নেই।
প্রতিবেশী ঢের মগ্ন পরচর্চায়
সংক্ষিপ্ত অক্ষরে সাজায়
আপনি, তুমি, তুই সব একসাথে।
সে সাগর চোখ মুদে নেচে ওঠে তা ধিন তা ধিন
মেতে ওঠে ধূলীস্মাত খেয়ালে।
না হলে অকাল বৃষ্টি হবে
চোখের আড়ালে ভেসে যাবে
এই যোগসূত্রের সমূহ সংবাদ।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments