বর্ণে বর্ণে বরণীয়-শ্রীজিৎ জানা

 
স্বর-বর্ণ
 

অবন ঠাকুর আঁকেন ছবি
তাঁর রবিকা বিশ্বকবি।
 

আশুতোষ মুখার্জি বাংলার বাঘ
বুট কোট যুদ্ধে গোরা ভাগ ভাগ!
 

ইন্দুমাধব মল্লিক
কুকারের স্রষ্টা "ইকমিক"!
 

ঈশ্বর নন তিনি ঈশ্বর গুপ্ত
"সংবাদ প্রভাকর" অধুনা লুপ্ত।
 

উপেন্দ্র নাথ ব্রহ্মচারী
টীকায় সারালেন কালাজ্বর মহামারি।
 

ঊহ্য থাকুক অন্তনাম
কবিকঙ্কন মুকুন্দরাম।
 

-কার দিয়ে নয় যে নাম তার
ছন্দে মেলাই লীলা মজুমদার।
 

একুশ মানে মাতৃভাষার নাম
রফিক জব্বার বরকত সালাম!
 

ঐন্দ্রজালিক যদি এক্ষুনি দরকার
জলদি ডাক দাও- পি সি সরকার।
 

ওস্তাদ কুস্তির গোবর গুহ
আখড়ার পঁয়তারা বোঝাই দুরূহ।
 

ঔষধে পথ্যে কে রোগ সারায়
বাংলার রূপকার বিধান রায়।
 
ব্যঞ্জন-বর্ণ
 

কালকূট জান না, নাম তাঁর ছদ্ম
সমরেশ বসু তো লেখেন অনবদ্য!
 

য়ে নয় ক্ষুদিরাম
প্রথম বীর শহীদ নাও প্রণাম।
 

গিরিশ চন্দ্র ঘোষ নাট্যকুলপতি
রামকৃষ্ণের চরণ ছুঁয়ে পেলেন সুমতি।
 

ঘনাদা কে চেনে না কে আছে বঙ্গে
প্রেমেন্দ্র মিত্রের আড়ি তার সঙ্গে।
 

গৌরাঙ্গ নদের নিমাই শ্রীচৈতন্য
আবির্ভাবে বঙ্গভূমির ধূলি হল ধন্য!
 

চীনের প্রাচীর গোষ্ঠ পাল
ফুটবলে গোরা নাজেহাল।
 

ছন্দের জাদুকার কথা খাঁটি সত্য
সত্যেন্দ্র নাথ দত্ত।
 

জগদীশ বোস দেশে দিলেন প্রমাণ
মানুষের মতো সব গাছেদের প্রাণ!
 

ঝড় ঝঞ্ঝায় মায়ের ডাকে সাঁতরে দামোদর
বীরসিংহে এলেন রাতে বিদ্যাসাগর।
 

দুখু মিঞা বললেই চেনো বিলকুল
বিদ্রোহী কবি তিনি কাজী নজরুল।
 

টেকচাঁদ ঠাকুর তো প্যারীচাঁদ মিত্র
আলালের ঘরে থাক দুলালের চিত্র।
 

ঠাকুমার ঝুলি দিল রাশি উপহার
দক্ষিণা রঞ্জন মিত্রমজুমদার।
 

ডক্টর প্ল্যানে হল ডি ভি সির বাঁধ
বাঙলার গর্ব সাহা মেঘনাদ।
 

ঢোঁড়াই চরিত মানস লেখায় তাঁর নেই জুড়ি
কে লিখেছেন? নাম জানো? সতীনাথ ভাদুড়ি।
 

ণত্ব ষত্ব শেখনি কি ব্যাকরণ সন্ধি
সুনীতি চ্যাটার্জি অপ্রতিদ্বন্দ্বী!
 

তিনজন বন্দ্যো. চিনে নিলে ঠিক
তারাশঙ্কর বিভূতি এবং মাণিক!
 

রাধানাথ শিকদার এভারেস্ট মাপে
তাঁর বই আজও সেরা জমিন জরিপে।
 

দত্তকবি মধুকবি মহাকবি তিনি
মধুসূদন দত্ত নামেই সাগরদাঁড়ি চিনি।
 

ধারানগর নয়তো রাধানগর গাঁয়
সতীদাহ রদ করলেন রামমোহন রায়।
 

নেতাজী উপাধি সকলের প্রিয়
সুভাষ চন্দ্র বোস দেশ বরণীয়।
 

প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ছিল ছাত্রঅন্ত মন
বাংলা ভাষায় লিখলেন হিন্দু রসায়ন।
 

ফেলুদার অস্ত্র মগজের ধার
সত্যজিৎ রায় পান সেরা অস্কার!
 

বিনয় বাদল দীনেশরা তিনজন
চক্ষে আগুন দেশমাতাকে স্বাধীন করার পণ।
 

ভারতচন্দ্র লেখেন প্রিয় অন্নদামঙ্গল
দেবীর বরে কালকেতু মুছল চোখের জল।
 

মাস্টারদা নামে চেনে সমস্ত দেশ
সূর্য সেন চান স্বাধীন স্বদেশ।
 

যুগাবতার রামকৃষ্ণ নাও প্রণাম
দুঃখীজনের পুরাও সকল মনস্কাম।
 

ররীন্দ্রনাথ এপার ওপার হৃদয়ে একছবি
কাব্য গানে লেখায় আঁকায় তিনিই বিশ্বকবি।
 

লালন শাহ কি শোনালেন বাউল গানে গানে
ভেদ কোরো না ভেদ কোরো না হিন্দু মুসলমানে
 

বনফুলের গল্পগুলোর ভিন্নতর স্বাদ
মুখোপাধ্যায় পদবির তিনিই বলাইচাঁদ।
 

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কথাশিল্পী জানি
অনিলা দেবি নামে লেখেন কাহিনী।
 

ষষ্ঠীপদ চ্যাটার্জির গল্পের রহস্য
মুগ্ধ সব কিশোর এবং বয়স্য।
 

সন্দেশে টুনটুনি- মজা ভুরি ভুরি
উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী।
 

হাসিখুশি বইখানি পড়া খুব দরকার
ছবিছড়া বই মানে যোগীন্দ্র সরকার।
 

বুড়ি কোথায় গান্ধীবুড়ি নাম
কন্ঠে ধ্বনি মাতঙ্গিনী বন্দেমাতরম।
 

রাঢ়ের মহাকাব্য লেখায় সুখ্যাতি
ধর্মমঙ্গলের কবি ঘনরাম চক্রবর্তী।
 

খয়দাবন্দ গাঁয়ের মেয়ে বেগম রোকেয়া
জ্ঞানের আলো দিয়ে মোছান অজ্ঞানতার ছায়া
 

সৎ জীবন তাঁর, সেবা করুণায়
মা রুপে টেরিজা এলেন ধরায়।
 

ঠুং ঠাং ঢং ঢং শব্দের ধুম
সুকুমার রায় গায় শব্দকল্পদ্রুম।
 

দুঃখ যখন দেশমাতার দুঃখ করতে নাশ
এগিয়ে এলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ।
 

সাঁওতাল বিদ্রোহে ওঁরাই সরব
সিধু কানহু চাঁদু ভৈরব!

⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN

🔗 MY OTHERS CHANNELS

🔗 FOLLOW ME

🔗 MY WEBSITE

🔗 CALL ME
+8801819515141

🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com

No comments

নির্বাচিত লেখা

আফসার নিজাম’র কবিতা

ছায়া ও অশ্বথ বিষয়ক খ-কবিতা এক/ক. সূর্য ডুবে গেলে কবরের ঘুমে যায় অশ্বথ ছায়া একচিলতে রোদের আশায় পরবাসী স্বামীর মতো অপেক্ষার প্রহর কাটায় প্রাচী...

Powered by Blogger.