আধুনিক কবিতা খুবই নিঃসঙ্গ। এর মনঃস্তাত্ত্বিক ও আঙ্গিকগত কারণে_আফজাল চৌধুরী : সাক্ষাৎকার গ্রহণ_সোলায়মান আহসান

 
বাংলা সাহিত্যে ষাটের দশকের শক্তিমান কবি অধ্যক্ষ আফজাল চৌধুরীর। কল্যাণব্রতের কবি খ্যাত শিক্ষাবিদ আফজাল চৌধুরী ছিলেন তাঁর সমসাময়িক কবিদের মধ্যে এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম।
সাহিত্যের টাইরেসিয়াস খ্যাত দূরদর্শী এই প্রবক্তা কবি আত্মিক দিক দিয়ে নিপীড়িত বিশ্বের সকল মানুষের বিশেষভাবে শোষিত ও নির্যাতিত মুসলিম জনগণের পক্ষে ছিলেন অত্যন্ত সোচ্চার। মানবাত্মার সব ধরনের অবমাননার বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন চির প্রতিবাদী কবিকণ্ঠ। তাঁর অধিকাংশ কবিতায় এ সত্য উপস্থাপিত।
তাঁর আলেকজান্ডার সোলঝোনেৎসিনকে নিবেদিত কবিতা, “হে পৃথিবী নিরাময় হও” কাব্যনাটক এবং ‘সামগীত দুঃসময়ের’ কাব্যগ্রন্থে এ ভবিষ্যদ্বাণী স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। তিনি পুঁজিবাদী শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও ছিলেন সমালোচনামুখর। তাঁর অধিকাংশ কবিতায় এই সচেতনতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ লক্ষ্য করা যায়।
১৯৪২ সালের ২৩ মার্চ জন্মগ্রহণকারী ষাট দশকের শক্তিমান এই কবির উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- কল্যাণব্রত, বিশ্বাসের দিওয়ান, শবমেহেরের ছুটি, এই ঢাকা এই জাহাঙ্গীর নগর, মক্কার পথ, সিলেট বিজয়, বন্দি আরাকান, সিলেটে সুফী সাধনা, হে পৃথিবী নিরাময় হও, সামগীত দুঃসময়ের ইত্যাদি।
কর্মজীবনে কবি আফজাল চৌধুরী অধ্যাপনা করেন এমসি কলেজ, সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, রাজশাহী সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। সর্বশেষ তিনি হবিগঞ্জের বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। উল্লেখ্য কবি আফজাল চৌধুরী ২০০৪ সালের ৯ জানুয়ারি ইন্তেকাল করেন।
 
সোলায়মান আহসান কর্তৃক মাসিক কলম পত্রিকার জন্য গৃহীত ০৪.০৪.১৯৯৩ সনে গৃহীত সাক্ষাৎকারটি অপ্রকাশিত থাকে এ যাবৎ।
 
 
সোলায়মান আহসান : কবি হিসেবে আপনি কতটুকু তুষ্ট?
আফজাল চৌধুরী : চোখেও অবাক কিছু নেই তাই কণ্ঠেও নতুন কিছু নেই,
তুষ্ট, তুষ্ট আমি, তুষ্ট শতাব্দীর মোহ-মোচনেই। (আবশ্যাম্ভাবী/সামগীত দুঃসময়ের)
 
সোলায়মান আহসান : শিল্পের অন্যান্য মাধ্যম অপেক্ষা কাব্যচর্চাকে বেছে নেয়ার সঙ্গত যুক্তি কি?
আফজাল চৌধুরী : যুক্তিহীন পছন্দ। কাব্য কঠিনতম শিল্প। আর কঠিনেরে আমিও ভালোবাসি।
 
সোলায়মান আহসান : দশক বিভাজনে কাব্য বিচার কতটুকু সঙ্গত? আপনি ষাটের কবি হিসেবে নিজেকে কিভাবে চিিহ্নত করেন?
আফজাল চৌধুরী : দশক বিভাজনে কাব্যযুগ নির্ণয় অসঙ্গত নয়। ষাটদশকে আমার অভ্যুধয়ের যে-মাননির্ণয় তাও আমার কাছে অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কোথাও না কোথায় একটা ঠাঁই থাকতে হবে তো।
 
সোলায়মান আহসান : কবিদের সামাজিক অঙ্গীকার থাকে, না থাকে না? আপনার আছে? তা কি?
আফজাল চৌধুরী : কবিদের সামাজিক অঙ্গীকার থাকবে না কেন? তবে যে সমাজে কবিবর বসবাস করেন সেই সমাজকে তিনি কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। বৃহৎ সমাজ শরীরটাকে নিজের চেয়ে ক্ষুদ্র বা তুচ্ছ মনে করলে তখন অঙ্গীকারের রূপ বায়বীয় হয়ে যেতে বাধ্য। আল মাহমুদের ‘প্রত্যাবর্তনের লজ্জা’ নামক কবিতায় কৃত্রিম নাগরালিপূর্ণ জীবন থেকে প্রাকৃত মহাজীবনে ফেরার একটি চিত্র তিনি এঁকেছেন। তিনি তো ফিরলেন। তাঁর সমকক্ষ অন্যান্য কবিরা তো ঘৃণাভরে হেন প্রত্যাবর্তনকে প্রত্যাখ্যান করেই বসেছেন।
 
সোলায়মান আহসান : বলা হয় সমকালীন কবিতা পাঠক প্রিয়তা/হারিয়েছে, কাটি কতটুকু সত্য এবং কেন?
আফজাল চৌধুরী : সমকালীন কবিতা পাঠক প্রিয়তা হারিয়েছে বৈকি। আধুনিক কবিতা খুবই নিঃসঙ্গ। এর মনঃস্তাত্ত্বিক কারণ ও আঙ্গিকগত কারণ এ দু’টি কারণই আছে। তবে এসব বাধা অপসারিত হচ্ছে ধীরে ধীরে।
 
সোলায়মান আহসান : ‘বিশ্বাসের স্বপক্ষে কবিতা’ বলতে আপনি কি বোঝাতে চান?
আফজাল চৌধুরী : বিশ্বাসের স্বপক্ষে কবিতা বলতে আমি শ্রেষ্ঠ আধ্যাত্মিক দর্শন ‘তওহীদে’ বিশ্বাস প্রবণতার কথাই বুঝাতে চাই। যথা :
“বলিও আমার প্রেম ঈশ্বরের ভস্ম নয় ভূমা
আলোকিত কোলাহলে সমতল আত্মার সঙ্গীত”- ইত্যাদি।
(কল্যাণব্রত/কল্যাণব্রত)
 
সোলায়মান আহসান : একসময় আপনি বেশ কিছু সাহিত্য আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন ষাটে স্বাক্ষর, পরে চাটগাঁয় স্পার্ক জেনারেশন এবং সিলেটে সংলাপ, এর মাধ্যমে আসলে কি করতে চেয়েছেন?
আফজাল চৌধুরী : এখনও আমি সাহিত্য সংগঠন ‘সংলাপ’-এর সঙ্গে যুক্ত। আমি সংলাপের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। চাটগাঁয়ের- আমরা ঈশ্বরের স্বরে কথা বলিÑ এই শ্লোগানের হোতা স্পার্ক জেনারেশনের আমি বন্ধু উপদেশক ছিলাম। ‘স্বাক্ষর’ গোষ্ঠীভুক্ত হয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে সাহিত্য আন্দোলনে লিপ্ত হই। সংলাপ সাহিত্য-সংস্কৃতি ফ্রন্ট একযুগের চেয়েও বেশি সময় ধরে তরুণ লেখকদের প্রতিষ্ঠার কাজ করে চলেছে। এই সংগঠনের প্রধান কর্মকাণ্ড আধ্যাত্মিক নগরী সিলেট শরীফে পরিচালিত হচ্ছে। সত্তর ও আশি দশকের বিশ্বাসী তরুণ লেখকদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন এই ‘সংলাপ’। পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটলে আমাদের সাহিত্যে সংলাপের একটি যুগ চিিহ্নত হয়ে যেতে পারে। বিশ্বাসের পক্ষে যে যুগের অভ্যুদয়।
 
সোলায়মান আহসান : ‘আপনাকে একজন নীরব সাহিত্য কর্মী’ বললে এর জবাব কিভাবে দেবেন? এ নীরবতার কারণ কি? স্বল্পপ্রজ কবি চারিত্র্য না, কাব্যচর্চার ব্যাপারে অনীহা, দ্বিধা?
আফজাল চৌধুরী : আমার কিছু অগভীর সমালোচক আছেন যারা আমার সম্পর্কে এসব মুখরোচক তথ্য প্রচার করেন। একজন কবিকে কি প্রতিদিন ডায়রী লেখার মত কবিতা লিখতে হবে। আমি এরূপ অভ্যাসের দাস হতে চাইনা। আমার মোট ১৫টি কাব্যগ্রন্থের পান্ডুলিপি আছে যার মধ্যে বেরিয়েছে মাত্র চারখান। দেশে আগ্রহী প্রকাশকের অভাব। তাই প্রকাশনায় দেরী হচ্ছে। আপনারা বের করবেন আমার কবিতার বই? তবে এগিয়ে আসুন দেখি। হ্যাঁ, তবে একথাও ঠিক, আমি প্রেরণাবাদী কবি। বিনা প্রেরণায় লিখিনা।
 
সোলায়মান আহসান : ‘বলিও আমার প্রেম ঈশ্বরের ভস্ম নয় ভূমা’ কল্যাণব্রতের এই উচ্চারণের মধ্য দিয়ে যে প্রচণ্ড বিশ্বাস ও বিদ্রোহ বাংলা কাব্যকে সচকিত করেছিল, সে রকম উচ্চারণের ধারাবাহিকতা অনুপস্থিত কেন?
আফজাল চৌধুরী : মোটেই অনুপস্থিত নয়। সমালোচক কই যে এসব বিষয় বিচার করবেন?
 
সোলায়মান আহসান : আপনি কবিতা ছাড়া নাটকেও অংশ গ্রহণ উল্লেখযোগ্য, নাটককে আপনি শিল্প মাধ্যম হিসেবে কতটুকু গ্রহণ করেছেন?
আফজাল চৌধুরী : নাটককেও আমি কবিতার মতই গুরুত্ব দেই। আমার নিজের জন্য কবিতার পরেই শিল্প মাধ্যম হিসেবে নাটকে আমার পছন্দ।
 
সোলায়মান আহসান : ত্রিশে বাংলা কবিতার যে উত্তীর্ণতা ঘটে, তা পঞ্চাশে এসে একটি গতি নির্ধারিত হয় ষাটে এসে এর গতি স্থিরীকৃত হয় বলে ধারণা, সমকালের বিচারে কাব্য ধারাটি কিভাবে চিিহ্নত করবেন?
আফজাল চৌধুরী : প্রশ্নটি আমার কাছে স্পষ্ট নয়। তবু প্রাসঙ্গটি সম্পর্কে আমি বলছি। তিরিশের বিখ্যাত ও বিদগ্ধ কবিরা আমাদের সাহিত্যের প্রতীকী কবিকূল। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে এঁদের টানাপোড়েন ছিলো। চল্লিশের কবিরা বিবিধ বিশ্বাদর্শ সংলগ্ন কবি। সুভাষ মুর্খাজি ও সুকান্ত ভট্টচার্য প্রমুখ সমাজতন্ত্রী এবং ফররুখ আহমদ ও সৈয়দ আলী আহসান প্রমুখ প্যান ইসলামী। পঞ্চাশের কবিদের মাঝে আল মাহমুদ আবদুস সাত্তার মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ, জাহানারা আরজু, দিলওয়ার প্রমুখ ছাড়া বাকী প্রায় সকলেই ভালগার ও ভোগবাদী। আল মাহমুদেও ভালগারিজম আছে তবে তা উত্তম ও শালীন হয়ে এসেছে। এঁদের অনেকেই বীটনিক মার্গে স্নবারিপনা করেছেন। কেউ লরেন্সীয় অক্ষম অনুকরণ মোহে ভুগেছেন। ষাটের দশকেও এসবেরই অনুবৃত্তি ঘটেছে তবে সম্প্রতি মান্নান সৈয়দ প্রমুখের প্রত্যাবর্তনে এর পালাবদল চলছে। সামনে ভালোযুগ আসছে। বিশ্বাসের পক্ষে গাত্রোত্থান হচ্ছে।
 
সোলায়মান আহসান : আমাদের কাব্য সাহিত্যের উজ্জ্বলতা এবং অন্ধকার কিভাবে চিিহ্নত করবেন?
আফজাল চৌধুরী: ১১ নম্বরে এ প্রশ্নে উত্তর দেয়া হয়েছে।
 
সোলায়মান আহসান : আপনর সামনে দিয়ে সত্তর এবং আশি দশকের কবিদের অভিযাত্রা ঘটে, এদের ব্যাপারে আপনার মূল্যায়ন সংক্ষেপে বলুন?
আফজাল চৌধুরী : এঁদের পূর্ণ বিকাশের দিকে সতৃষ্ণ নয়নে পলকহীন চোখে চেয়ে আছি। তবে আমি যে সাহিত্যের বিকাশ প্রত্যাশা করি তার পদদ্বনি শুনছি বুঝি।
 
সোলায়মান আহসান : বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যেমন, বসনিয়া হার্জেগোভিনা, কাশ্মীর, আলজেরিয়া, ভারত, বার্মায়, মুসলমানরা নিগৃহীত নির্যাতিত হচ্ছে কবি হিসেবে নয় একজন আন্তর্জাতিক নাগরিক হিসেবে একে কিভাবে দেখছেন?
আফজাল চৌধুরী : আমি একজন গর্বিত ইসলামী মৌলবাদী হিসেবে এই যন্ত্রণার মধ্যে ইসলামের বিজয় প্রত্যক্ষ করছি।
 
সোলায়মান আহসান : একজন আধুনিক কবি হিসেবে দেশ-বিদেশের ঘটমানতা আপনাকে কিভাবে স্পর্শ করে?
আফজাল চৌধুরী : স্পর্শ করে। কবিতায় প্রায়ই তা ব্যক্ত করি।
 
সোলায়মান আহসান : ‘কবিরা স্বপ্ন দেখে, স্বপ্নের ভেতর বসবাস করে’ আপনর স্বপ্নটি কিরূপ?
আফজাল চৌধুরী : কাব্য-পংক্তিতে উত্তর দিচ্ছি :
 সেই দিন বিশ্বপাপে মুহ্যমান না হয়ে বরং
মুক্তপাপ পৃথিবীর বন্দনায় জয়ধ্বনি হবে
সেই দিন নিরাশ্বাসে বুক চেপে নিরীহ সুজন
গাঁথবে না মৌন দৃষ্টি। নিরুত্তর ধূমায়িত নভে
সেইদনি স্মিত লগ্নে বিশ্বাসীর গৃহের প্রাঙ্গন
দৃপ্ত বিশ্বচরাচরে পুনরায় পুঞ্জরিত হবে
 
লুপ্ত হবে মিথ্যাচার জনপদে সবুজ মুল্লুকে
সহাস্যে মিটানো হবে সভ্যতার ব্যয়ভার দেনা
প্রগাঢ় বিবেক বোধে মানবতা আনন্দিত লোকে
মুক্তি পাবে সমষ্টিতে, অতঃপর উচ্চনীচমনা
ব্যক্তিগত বক্রপথে ব্যষ্টি পথ হারাবে না ধুঁকে
অস্ফুট গোলাপকুঞ্জে কাঁটা আর গায়ে বিঁধবে না।
 
সোলায়মান আহসান : সাহিত্যে ‘নারী’ অনিবার্য অনুসঙ্গ, আপনার কবিতায় যার নিদারুণ অনুপস্থিতি, কেন?
আফজাল চৌধুরী : এ অনুপস্থিতি আমার খণ্ড কবিতায়। নাট্য কবিতায় নয়। নারী কি প্রকৃতির চেয়ে বেশি সুন্দর? আর যে সুন্দরতম তাঁর তুলনায়- রবীন্দ্রনাথ যেভাবে বলছেন :
এই লাভনু সঙ্গ তব সুন্দর হে সুন্দর
পুণ্য হলো অঙ্গ মম, ধন্য হলো অন্তর।
নারী নয় সাকীর জন্য তড়পায় জান। কী আর বলবো!
 
সোলায়মান আহসান : আমরা প্রায়ই এ কথ উচ্চারিত হতে শুনি। অপসংস্কৃতি আমাদের সমাজে ব্যাধি ছড়াচ্ছে, অথচ উৎকর্ষিত ইলেকট্রনিক মাধ্যমে পৃথিবীর মানুষকে নিকটবর্তী করেছে, যাকে আমরা ‘অপ’ বলছি তা-ই অপর দেশের ‘পয়’ হিসেবে গৃহীত-এর ব্যাখ্যা কিভাবে দেবেন? প্রতিবিধানই বা কি?
আফজাল চৌধুরী : আমরা যা ‘অপ’ বলি ভিন দেশে তার প্রাবল্য বেশি বলেই তা ‘পয়’ হলো কিভাবে? এইড্স রোগটা এদেশে বেশি না ভিনদেশে? পারমিসিভ সমাজ কি সুখী করেছে সে দেশগুলোকে? আল্লামা আসাদ বলেছেন আমাদের সভ্যতা ও তাদের প্রযুক্তির শুভ মিলন হলেই তবে মুক্তি। আমাদের দেশের বেহায়া স্নবগুলোকে বিতাড়নের জন্য শদ্ধি অভিযানের দরকার। ঝেটিয়ে বিদায় করতে হবে। টিভি ও প্রচার মাধ্যমগুলো থেকে এদের ফুদিয়ে বিলীন করে দিতে হবে এদের তাসের ঘর। এই মনস্তাত্ত্বিক এ্যাংলো এবং ব্যাংলোগুলোর হায়া শরম বলে কিছু নেই।
 
সোলায়মান আহসান : ‘সাহিত্যে মিথ্যাচার’ প্রচণ্ডভাবে অনুপ্রবেশ লক্ষ্যণীয়, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশের দরিদ্র লেখক সম্প্রদায় অতি সহজেই বিক্রিত হয়ে এ মিথ্যাচারের আশ্রয় নেন, আমাদের দেশেও ব্যাপকভাবে অস্বীকার করবেন? এর রোধ করার উপায় কি?
আফজাল চৌধুরী : বিশ্বাসের পক্ষে সাহিত্যচর্চার পরিসর বাড়াতে হবে। সমাজকে তাকওয়া নির্ভর ও শুদ্ধ করতে হবে। ইসলামের বিজয়ই এসব পাপের একমাত্র ঔষধ।
 
সোলায়মান আহসান : দেশ ও জাতি সম্পর্কে কিছু বলুন যা আপনার জীবনের কেন্দ্রীয়
চিন্তাপ্রসূত।
আফজাল চৌধুরী : আমার খণ্ডিত জাতিসত্তার পুনরুদ্ধার চাই। বাংলাসামের প্রাকৃতিক সীমান্ত-গরীয়ান বৌদ্ধ ও মুসলিম যুগের যা উত্তরাধিকার, তা পুনর্গঠনের মাধ্যমে দুনিয়ার একটি শ্রেষ্ঠ জাতি হওয়ার স্বপ্ন আমি দেখি, হরদম দেখি। ঘৃণা করি ইংরেজের বীর্যনিসৃত সাম্প্রদায়িকতা যা আমাদের ভিন্ন করে রেখেছে। আমরা পিণ্ডির জিঞ্জির ছিঁড়েছি কিন্তু ওরা দিল্লির জিঞ্জির ছিঁড়তে রাজি নয়। একি অধম দাস্যভাব? হে আল্লাহ এদের পথ দেখাও। বাংলার মাটি বাংলার জল এক হোক, এক হোক। জয় বাংলাসাম! হ্যাঁ ভবিষ্যতের এক শ্রেষ্ঠ পরাশক্তির এই নাম-যার স্বপ্ন আমি দেখেই যাচ্ছি।
আর স্বপন যদি মধুর এমনি
হোক সে মিছে কল্পনা
আমায় জাগিও না, জাগিও না।
 
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN

🔗 MY OTHERS CHANNELS

🔗 FOLLOW ME

🔗 MY WEBSITE

🔗 CALL ME
+8801819515141

🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com 

No comments

নির্বাচিত লেখা

আফসার নিজাম’র কবিতা

ছায়া ও অশ্বথ বিষয়ক খ-কবিতা এক/ক. সূর্য ডুবে গেলে কবরের ঘুমে যায় অশ্বথ ছায়া একচিলতে রোদের আশায় পরবাসী স্বামীর মতো অপেক্ষার প্রহর কাটায় প্রাচী...

Powered by Blogger.