শাহনাজ পারভীন’র কবিতা
ক্ষতের আর্তনাদ
রাতের
উদরে বাড়ে ক্ষুধার্ত রাত,
নিশ্চল মৌন প্রহর যাচে ভোরের আভাস
অবারিত জোছনা লুটিয়ে ক্লান্ত কোজাগরী চাঁদ
ক্ষণিকের মোহ ভেঙে ফিরে গেছে অধরা স্বপন
নীল কষ্টের গায়ে লেগে আছে কিছু নীল নীল
ছোপ ছোপ দাগ !
কালশিটে ক্ষতদের সকরুণ অভিযোগে;
রাতের নিস্তব্ধতায় গুমরে কাঁদে বসন্ত বিলাপ
গোপনে প্রণয়ে জমে বিন্দু বিন্দু শিশিরের
অবসাদ।
..................................................
বিপত্তি
শনিবারের
বারবেলাতে গিয়েছিলাম হাটে
বিপত্তিটাও ঘটলো তখন যেই নেমেছি ঘাটে!
ঘাটটা ছিল শেওড়া তলায় গা ছমছম করে
সেই ভয়েতে দৌড়ে যেতেই পিছলে গেছি পড়ে!
শেওড়া তলায় শাঁখচুন্নি নাঁকিসুরে কাঁদছিল
বুঝিনিতো সেটাই ওর মানুষ ধরার ফাঁদছিল!
যেইনা বলা, অমন করে কাঁদছো কেন বাছা?
ওমনি বলে, ভালো মানুষ বিপদ থেকে বাঁচা
মনটা আমার ভীষণ নরম, তাইতো গেলাম এগিয়ে
কায়দা করে পেত্নী আমার মুন্ডু নিল বাগিয়ে
মুন্ডু ছাড়া কেমন করে ফিরবো বলো বাড়ি !
ভুতের গলায় মালা দিয়ে হলেম আমি তারই
শেওড়া গাছেই ঘর বেঁধেছি, পেত্নী এখন বউ
ভরদুপুরে শেওড়া তলায় আর এসোনা কেউ।
..................................................
মাংসাশী
কি দেখ
আমার চোখে ?
কতটা জল সন্তর্পণে লুকানো রয়েছে তাতে !
সমুদ্রের নীল নেই, দিগন্ত জোড়া মাঠ নেই
ধূপছায়া অন্ধকার চারিদিক রেখেছে ঢেকে,
নক্ষত্ররা চলে গেছে আলো নিয়ে ঘুর পথে সেই কবে !
কি খোঁজ উদভ্রান্তের মতো ওই বুকে ?
ক্ষত বিক্ষত রক্তাক্ত এক হৃদপিণ্ড ছড়ানো আছে আবেগহীন নির্লিপ্ত ভাবে,
কি খোঁজ ডুবুরীর বেশে নেশা ধরা কামনার চোখে ?
এক বিদর্ভ নগরীর সুখ বিলীন হয়েছে কালের আবর্তে,
কি চাওয়া তোমার এক জীবাশ্মের কাছে ?
শুধু ছায়া টুকু পড়ে আছে, এতটুকু প্রাণ নেই তাতে
মাংসের গন্ধ নেই রক্তের নোনতা স্বাদ নেই ঠোঁটে,
তবুও আতিপাতি করে কি খোঁজ এই নারী কাঠামোতে!
..................................................
নাভিশ্বাস
এখন থেকে
হিসেব করে
চলতে হবে খুব
আর খাবোনা চপ পেঁয়াজু
ভেজাল তেলে ডুব,
পেঁয়াজে খুব ঝাঁঝ বেড়েছে
চোখটা জ্বালা করে
শুধু শুধুই চাঁদি গরম
পেট কী তাতে ভরে !
লবন খেলে প্রেসার বাড়ে
এটাও মাথায় ঢোকাও
ছেলে বুড়ো সবাই জানে
এমনকি এক খোকাও!
চাল আটা বাদ দিয়েছি
থাকতে হবে স্লিম
মাঝে মধ্যে খেতেই পারি
কুসুম ছাড়া ডিম,
মাছ মাংসের গায়েও নাকি
খুব লেগেছে আগুন !
তাই ভেবেছি ম্যেনুতে আজ
রাখবো শুধুই বেগুন
বাজারে গিয়ে বেগুনে আমি
যেই দিয়েছি হাত
গরম ছ্যাঁকায় ছিটকে পড়ে
ভাঙলো পাঁচেক দাঁত !
..................................................
চালচিত্র
শাহ্
নাজ পারভীন।
অনুভূতিগুলো ভোঁতা হয়ে গেছে
প্রতিবাদ গুলো নড়বড়ে
দুর্নীতি তাই দাপিয়ে বেড়ায়
রুগ্ন সমাজের ঘাড়ে চড়ে
ঘটুক যাকিছু চোখবুজে থাকো,
ভাতঘুম দাও এই বেলা
ধর্ষিতা হলো কতজন আজ
চুপচাপ দেখো সেই খেলা
টু শব্দটি কোরো না যেন,
মনে নেই সেই ছেলেটির কথা?
প্রতিবাদী এক সংবাদ লিখে
হারিয়েই গেলো নিয়ে ব্যথা !
যার যায়, শুধু সেইতো জানে -
হারানোর ক্ষত কতটা গভীর !
মগজে যখন পঁচন ধরে
সমাজ তখনই হয় স্থবির ,
ভাঙবে নিয়ম, বদলে দেবে ?
তেমন সাহসী বীর কোথায়!
মেরুদন্ডটা সোজা হয় যদি
রাজপথে তবে, আয় নেমে আয়।
..................................................
অভিমান
ফিরে
যাও বৃষ্টি, আজ আমার
মন ভালো নেই
নিয়ে যাও বর্ষাতি নীলখাম,
জানালার শার্শিতে জমেথাকা বাষ্পে
আঙুলের ডগা ছুঁয়ে
আমি লিখবোনা তার নাম ...
..................................................
নাগরিক পদাবলি
ঘুমের
গহীন অরণ্যে হেঁটে যাই
বিচলিত পায়ে ক্ষণকাল সাক্ষ্য রেখে
নিনাদ দুপুরেও টুপটাপ সাড়া জাগে
শান্ত পুকুরে,
প্রিয় প্রসঙ্গগুলো কৌশলে পাঠিয়ে দেই
পাখির ডানায় - মেঘেদের কাছে
বাবলা আর জারুলবনে কিছু হরিৎ স্বপ্ন
এঁকেছিলাম কোন এক ক্লান্ত বিকেলে!
ক্ষয়ে যাওয়া কিছু নিঃশ্বাস ছুঁয়ে যায়
আজন্ম কৈশোর আমার
সময়ের শব্দ ভেঙে ভেসে আসে -
কোমল কীর্তন অথবা, রাখালিয়া কোনো সুর
দোল খাওয়া ধানের খেত
অশ্বত্থের নুয়েপড়া ডাল, ধবল বকের
ডানা ঝাপটানো কী নির্বিকার !
সময়ের দাবি নিয়ে তবু হেঁটে যাই
প্রশান্ত চিত্তে -
যদি ভেসে যায় যাক্ নাগরিক পদাবলি
মহানন্দার স্রোতে !
..................................................
দ্বন্দ্ব নয়, ছন্দ চাই
ছন্দ
থাকুক জীবন জুড়ে
ছন্দ থাকুক চলায়
ছন্দ থাকুক তোমার সাথে
আমার গল্প বলায়,
ছন্দ ফিরুক বন্ধ দিনে
ছন্দ ফিরুক বেলায়
ছন্দ ফিরুক দিন যাপনের
সকল কর্মে খেলায়,
ছন্দ থাকুক ধানের ক্ষেতে
ছন্দ তাঁতির তাঁতে
ছন্দে মাতুক কামার কুমোর
কোদাল কাস্তে হাতে,
ছন্দ থাকুক কাব্য জুড়ে
ছন্দ থাকুক গানে
ছন্দ পতন হলেই জেনো
বদলে যাবে মানে !
..................................................
মায়ালোক
কে আর
যেতে চায় বলো!
তবুও অসীমের ডাক আসে
মেঘের ওপার থেকে
চলে যেতে হয় তড়িঘড়ি
সব খেলা ফেলে,
জীবন তো এক বহতা নদীর নাম
সময়ের সাথে তুমিও ঠিক যাবে ভুলে!
যদিও মন পড়েই থাকে এই
পৃথিবীর মায়ালোকে
শুধু নশ্বর দেহটাই জৈব সার হয়
প্রকৃতিকে উর্বর করে,
আবার নতুন করে সাজাবে বলে!
মৃত্যু উপত্যকায় দাঁড়িয়ে প্রতিনিয়ত
দেখে যাচ্ছি
পিলপিল করে দলে দলে শ্বেত
পিঁপড়ার মতো ওরা নেমে যাচ্ছে
কোন এক অজানা গুহার ঢালে
ওরা আর পেছনে ফিরে তাকায় না
ফিরে আসে না, আসতে পারে না!
তাদের মায়া ভরা কান্না বাতাসে
ভেসে বেড়ায়,
অনেক দিন ভেবেছি একটা কফিন
কিনবো, সেখানে ঢুকে ওই সুড়ঙ্গের
রাস্তাটা খুঁজবো,
কফিন হয়তোবা কেনা যাবে, তবে
একবার ঢুকলে ওরা কফিনে পেরেক
ঠুকে দেবে জানি,
বেরিয়ে আসার আর সুযোগ থাকবে না!
নিয়তির সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম
করা যায় না,
শুধু মগজে সংঘর্ষ হয় বোধের সাথে
তবুও পৃথিবীতে তিথি গুনে আবারও
জোয়ার আসে নিয়মের বলে,
জীবন তো এক বহতা নদী নাম
সময়ের সাথে তুমিও ঠিক যাবে ভুলে !
..................................................
ইচ্ছে ডানা
আজ কোন
বিষাদের কাজল মাখবোনা
চোখে
প্রজাপতি আর ঘাসফড়িং এর ডানা থেকে
পরম যত্নে দুহাতে তুলে নেবো নরম রোদের
সোনালি আলো
পরিযায়ী পাখিদের ঠোঁটে এঁকে দেব
সব প্রিয় কবিতার পঙক্তিমালা
থৈ থৈ জল নিয়ে এসোনা বর্ষাতি মেঘ
আজ আমার মন ভালো হবার পালা
মেঘমল্লার দেশে তারাদের মাঝে যদি
রটে যায় এ খবর,
যাক্ !
আজ আমার তুমুল ভালোবাসবার পালা।
নিশ্চল মৌন প্রহর যাচে ভোরের আভাস
অবারিত জোছনা লুটিয়ে ক্লান্ত কোজাগরী চাঁদ
ক্ষণিকের মোহ ভেঙে ফিরে গেছে অধরা স্বপন
নীল কষ্টের গায়ে লেগে আছে কিছু নীল নীল
ছোপ ছোপ দাগ !
কালশিটে ক্ষতদের সকরুণ অভিযোগে;
রাতের নিস্তব্ধতায় গুমরে কাঁদে বসন্ত বিলাপ
গোপনে প্রণয়ে জমে বিন্দু বিন্দু শিশিরের
অবসাদ।
..................................................
বিপত্তিটাও ঘটলো তখন যেই নেমেছি ঘাটে!
ঘাটটা ছিল শেওড়া তলায় গা ছমছম করে
সেই ভয়েতে দৌড়ে যেতেই পিছলে গেছি পড়ে!
শেওড়া তলায় শাঁখচুন্নি নাঁকিসুরে কাঁদছিল
বুঝিনিতো সেটাই ওর মানুষ ধরার ফাঁদছিল!
যেইনা বলা, অমন করে কাঁদছো কেন বাছা?
ওমনি বলে, ভালো মানুষ বিপদ থেকে বাঁচা
মনটা আমার ভীষণ নরম, তাইতো গেলাম এগিয়ে
কায়দা করে পেত্নী আমার মুন্ডু নিল বাগিয়ে
মুন্ডু ছাড়া কেমন করে ফিরবো বলো বাড়ি !
ভুতের গলায় মালা দিয়ে হলেম আমি তারই
শেওড়া গাছেই ঘর বেঁধেছি, পেত্নী এখন বউ
ভরদুপুরে শেওড়া তলায় আর এসোনা কেউ।
..................................................
কতটা জল সন্তর্পণে লুকানো রয়েছে তাতে !
সমুদ্রের নীল নেই, দিগন্ত জোড়া মাঠ নেই
ধূপছায়া অন্ধকার চারিদিক রেখেছে ঢেকে,
নক্ষত্ররা চলে গেছে আলো নিয়ে ঘুর পথে সেই কবে !
কি খোঁজ উদভ্রান্তের মতো ওই বুকে ?
ক্ষত বিক্ষত রক্তাক্ত এক হৃদপিণ্ড ছড়ানো আছে আবেগহীন নির্লিপ্ত ভাবে,
কি খোঁজ ডুবুরীর বেশে নেশা ধরা কামনার চোখে ?
এক বিদর্ভ নগরীর সুখ বিলীন হয়েছে কালের আবর্তে,
কি চাওয়া তোমার এক জীবাশ্মের কাছে ?
শুধু ছায়া টুকু পড়ে আছে, এতটুকু প্রাণ নেই তাতে
মাংসের গন্ধ নেই রক্তের নোনতা স্বাদ নেই ঠোঁটে,
তবুও আতিপাতি করে কি খোঁজ এই নারী কাঠামোতে!
..................................................
চলতে হবে খুব
আর খাবোনা চপ পেঁয়াজু
ভেজাল তেলে ডুব,
পেঁয়াজে খুব ঝাঁঝ বেড়েছে
চোখটা জ্বালা করে
শুধু শুধুই চাঁদি গরম
পেট কী তাতে ভরে !
লবন খেলে প্রেসার বাড়ে
এটাও মাথায় ঢোকাও
ছেলে বুড়ো সবাই জানে
এমনকি এক খোকাও!
চাল আটা বাদ দিয়েছি
থাকতে হবে স্লিম
মাঝে মধ্যে খেতেই পারি
কুসুম ছাড়া ডিম,
মাছ মাংসের গায়েও নাকি
খুব লেগেছে আগুন !
তাই ভেবেছি ম্যেনুতে আজ
রাখবো শুধুই বেগুন
বাজারে গিয়ে বেগুনে আমি
যেই দিয়েছি হাত
গরম ছ্যাঁকায় ছিটকে পড়ে
ভাঙলো পাঁচেক দাঁত !
..................................................
অনুভূতিগুলো ভোঁতা হয়ে গেছে
প্রতিবাদ গুলো নড়বড়ে
দুর্নীতি তাই দাপিয়ে বেড়ায়
রুগ্ন সমাজের ঘাড়ে চড়ে
ঘটুক যাকিছু চোখবুজে থাকো,
ভাতঘুম দাও এই বেলা
ধর্ষিতা হলো কতজন আজ
চুপচাপ দেখো সেই খেলা
টু শব্দটি কোরো না যেন,
মনে নেই সেই ছেলেটির কথা?
প্রতিবাদী এক সংবাদ লিখে
হারিয়েই গেলো নিয়ে ব্যথা !
যার যায়, শুধু সেইতো জানে -
হারানোর ক্ষত কতটা গভীর !
মগজে যখন পঁচন ধরে
সমাজ তখনই হয় স্থবির ,
ভাঙবে নিয়ম, বদলে দেবে ?
তেমন সাহসী বীর কোথায়!
মেরুদন্ডটা সোজা হয় যদি
রাজপথে তবে, আয় নেমে আয়।
..................................................
মন ভালো নেই
নিয়ে যাও বর্ষাতি নীলখাম,
জানালার শার্শিতে জমেথাকা বাষ্পে
আঙুলের ডগা ছুঁয়ে
আমি লিখবোনা তার নাম ...
..................................................
বিচলিত পায়ে ক্ষণকাল সাক্ষ্য রেখে
নিনাদ দুপুরেও টুপটাপ সাড়া জাগে
শান্ত পুকুরে,
প্রিয় প্রসঙ্গগুলো কৌশলে পাঠিয়ে দেই
পাখির ডানায় - মেঘেদের কাছে
বাবলা আর জারুলবনে কিছু হরিৎ স্বপ্ন
এঁকেছিলাম কোন এক ক্লান্ত বিকেলে!
ক্ষয়ে যাওয়া কিছু নিঃশ্বাস ছুঁয়ে যায়
আজন্ম কৈশোর আমার
সময়ের শব্দ ভেঙে ভেসে আসে -
কোমল কীর্তন অথবা, রাখালিয়া কোনো সুর
দোল খাওয়া ধানের খেত
অশ্বত্থের নুয়েপড়া ডাল, ধবল বকের
ডানা ঝাপটানো কী নির্বিকার !
সময়ের দাবি নিয়ে তবু হেঁটে যাই
প্রশান্ত চিত্তে -
যদি ভেসে যায় যাক্ নাগরিক পদাবলি
মহানন্দার স্রোতে !
..................................................
ছন্দ থাকুক চলায়
ছন্দ থাকুক তোমার সাথে
আমার গল্প বলায়,
ছন্দ ফিরুক বন্ধ দিনে
ছন্দ ফিরুক বেলায়
ছন্দ ফিরুক দিন যাপনের
সকল কর্মে খেলায়,
ছন্দ থাকুক ধানের ক্ষেতে
ছন্দ তাঁতির তাঁতে
ছন্দে মাতুক কামার কুমোর
কোদাল কাস্তে হাতে,
ছন্দ থাকুক কাব্য জুড়ে
ছন্দ থাকুক গানে
ছন্দ পতন হলেই জেনো
বদলে যাবে মানে !
..................................................
তবুও অসীমের ডাক আসে
মেঘের ওপার থেকে
চলে যেতে হয় তড়িঘড়ি
সব খেলা ফেলে,
জীবন তো এক বহতা নদীর নাম
সময়ের সাথে তুমিও ঠিক যাবে ভুলে!
যদিও মন পড়েই থাকে এই
পৃথিবীর মায়ালোকে
শুধু নশ্বর দেহটাই জৈব সার হয়
প্রকৃতিকে উর্বর করে,
আবার নতুন করে সাজাবে বলে!
মৃত্যু উপত্যকায় দাঁড়িয়ে প্রতিনিয়ত
দেখে যাচ্ছি
পিলপিল করে দলে দলে শ্বেত
পিঁপড়ার মতো ওরা নেমে যাচ্ছে
কোন এক অজানা গুহার ঢালে
ওরা আর পেছনে ফিরে তাকায় না
ফিরে আসে না, আসতে পারে না!
তাদের মায়া ভরা কান্না বাতাসে
ভেসে বেড়ায়,
অনেক দিন ভেবেছি একটা কফিন
কিনবো, সেখানে ঢুকে ওই সুড়ঙ্গের
রাস্তাটা খুঁজবো,
কফিন হয়তোবা কেনা যাবে, তবে
একবার ঢুকলে ওরা কফিনে পেরেক
ঠুকে দেবে জানি,
বেরিয়ে আসার আর সুযোগ থাকবে না!
নিয়তির সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম
করা যায় না,
শুধু মগজে সংঘর্ষ হয় বোধের সাথে
তবুও পৃথিবীতে তিথি গুনে আবারও
জোয়ার আসে নিয়মের বলে,
জীবন তো এক বহতা নদী নাম
সময়ের সাথে তুমিও ঠিক যাবে ভুলে !
..................................................
চোখে
প্রজাপতি আর ঘাসফড়িং এর ডানা থেকে
পরম যত্নে দুহাতে তুলে নেবো নরম রোদের
সোনালি আলো
পরিযায়ী পাখিদের ঠোঁটে এঁকে দেব
সব প্রিয় কবিতার পঙক্তিমালা
থৈ থৈ জল নিয়ে এসোনা বর্ষাতি মেঘ
আজ আমার মন ভালো হবার পালা
মেঘমল্লার দেশে তারাদের মাঝে যদি
রটে যায় এ খবর,
যাক্ !
আজ আমার তুমুল ভালোবাসবার পালা।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments