আল কোরআন আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বান্দাদের জন্য একটি অনুগ্রহ। সূরা দুখান আয়াত- ৬।
আর আমি এই কিতাবকে সৌভাগ্যের চাবিকাঠি রূপে অবতীর্ণ করেছি। সূরা আনয়াম আয়াত- ১৫৫।
আল কোরআন মানব জাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে হেদায়েত, সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী। সূরা বাকারা।
আল কোরআন বান্দার প্রতি আল্লাহ তায়ালা দেওয়া চিঠি, ফরমান, বান্দার সাথে আল্লাহ তায়ালার কথোপকথন। দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ, দামী কিতাবের নাম আল কোরআন। কোরআন নিষ্পেশিত মানুষদের সম্মানিত মানুষে পরিণত করে। অবহেলিত মানুষকে পৃথিবীর শাষক বানিয়ে দেয়। কোরআনের ধারকগন কোরআনকে ছুড়ে ফেললে আল্লাহ তায়লা তাদেরকে চরম জিল্লতিতে ফেলে দেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর হেরা গুনায় সর্ব প্রথম কোরআনের সুরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত নাজিল হয়। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গোপনে পরে প্রকাশ্যে দিনের দাওয়াত দিতে থাকেন। জুলুম নির্যাতন চলতে থাকে, দাওয়াত চলতে থাকে, বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে কোরআন নাযিল হতে থাকে। ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক কল্যাণের দরজার মুখ খুলে দেয়। এই দরজায় চলতে চলতে পুরো পৃথিবী মুসলমানদের পায়ের তলায় লুটিয়ে পড়ে। মুসলমানরা তাদের দিকে ভ্রক্ষেপ না করে জান্নাতের পথে অবিরাম চলতে থাকে। জান্নাতের অনাবিল শান্তি তাদেরকে আল্লাহর সন্তুষ্টির দিকে ডাকতে থাকে। যারা কোরআনের আহবানে সারা দিয়েছে তারা সামনে অগ্রসর হতে থাকে। অপরদিকে দুনিয়া তাদেররে বিভিন্ন মোহে আটকানোর চেষ্টা করতে থাকে। যারা দুনিয়ার মোহ ছেড়ে সামনে অগ্রসর হয়েছে, তারাই সফল হয়েছে। আর যারা দুনিয়ার মায়ায় আটকে গেছে। দুনিয়া তাদেরকে পেয়ে বসেছে। তারা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। যারা দুনিয়া চেয়েছে, তারা হয়তো দুনিয়া পেয়েছে। আর যারা দুনিয়া চায়নি, তারা দুনিয়াও পেয়েছে, আখেরাত ও পেয়েছে।
আখেরাত মুখী যাদের জীবন তাদের, দিনে চলার পথ কোরআন, রাতে চোখের নিবিড়তা কোরআন, তাদের সবচেয়ে প্রিয় কোরআন, তাদের মাওলার রহমের পরশ কোরআন, তাদের জীবনের পাথেয় কোরআন, পরকালের শাফায়াতের তরণী কোরআন। তাদের কাছে কোরআনের চেয়ে আর সম্মানিত অন্য কোন কিছু ছিল না, নেই, থাকবে না। আমারা দেখি ওমর রাঃ এর দিকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইন্তেকালের পর মানুষ যখন বলাবলি করছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইন্তেকাল করেছেন, তখন ওমর রাঃ তরবারী নিয়ে বের হয়ে গেলেন, আর বলতে লাগলেন, কেউ যদি বলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইন্তেকাল করেছেন, তাহলে তাকে আমি হত্যা করব। এরূপ অবস্থায় আবু বকর রাঃ সূরা আলে ইমরানের ১৪৪ নং আয়াত পাঠ করে ভাষন দেন, যে মোহাম্মদ রাসুল ছাড়া আর অন্য কিছু নন, তার আগেও বহু রাসুল গত হয়েছেন... এই আয়াত পড়ার সাথে সাথে ওমর রাঃ শীতল হয়ে যান, স্বাভাবিক হয়ে যান। এই ছিল তাদের উপর কোরআনের আছর।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি কোরআনকে যদি কোন পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করতাম, তাহলে তুমি দেখতে পেতে আল্লাহর ভয়ে প্রকম্পিত হয়ে পাহাড় বসে যাচ্ছে এবং চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। সূরা হাশর আয়াত ২১।
আমি কোরআনকে আকাশ, জমিন ও পাহাড়ের কাছে ন্যস্ত করতে চেয়েছিলাম। তারা তা বহন করতে অস্বীকার করে এবং ভয় করেছিল, অপর দিকে মানুষ তা গ্রহন করে। নিশ্চয়ই সে অত্যাচারী ও অজ্ঞ। সূরা আহযাব আয়াত ৭২। এতো ভারী আর এতো দামী কোরআন মানুষ গ্রহন করে নিজের উপর জুলুম করেছে ঠিকই। কিন্তু মাওলার সবচেয়ে প্রিয় হওয়ার রাস্তা পেয়েছে। যে গোলাম যত বেশী পরীশ্রমী এবং মালিকের বাধ্য তাকেই মালিক বেশী পছন্দ করে। তার উপর আস্থা রাখে। আর গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো তার উপরই অর্পণ করে। কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে মালিক তাকেই তার প্রতিনিধি নিযুক্ত করে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম ও পরবর্তী যুগে যুগে মাওলার প্রিয়গন এই কোরআনকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সকলেই চেষ্টা গেছেন, করে যাচ্ছেন। যারাই কোরআনকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টায় নিয়োজিত থাকবে তারাই সত্যিকার অর্থে আল্লাহর প্রিয়।
কোরআন এমন এক কিতাব যাকে পড়লে, প্রতি অক্ষরে ১০ টি করে সওয়াব হয়। যেমন বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। পড়তে খুব সহজেই পড়া যায়। কিন্তু পড়ার সাথে সাথে আমল নামায় ১৯০ টি সওয়াব যোগ হয়ে যায়। যার কোন ব্যত্যয় ঘটে না।
কোরআন এমন এক কিতাব যাকে পবিত্রতা ছাড়া স্পর্শ করা যায় না। সূরা ওয়াকেয়াহ আয়াত ৭৯। যার মর্যাদা সকল কিছুর উর্ধ্বে। যাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইমানদারদের চেষ্টা মেহনত, ফিকির।
কোরআন এমন এক কিতাব যা শিক্ষাগ্রহন কারী ও শিক্ষাদানকারী উভয় ইমানদার সমাজে শ্রেষ্ঠ। এক বর্নণায় আছে, যে ফেরাউনের সিংহাসনের প্রধান দরজার কাঠে একটি আয়াত বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম খোদাই করা ছিল। তাই আল্লাহ তায়ালা তাকে সিংহাসনের ভিতর গজব দিয়ে শেষ করে দেননি। তাকে রাজ প্রাসাধ থেকে বের করে নিয়ে নীল নদে পানিতে ডুবিয়ে শেষ করে দেন।
এই কোরআন নিয়ে চিন্তা করে হাজারো লক্ষ ইমানদার আল্লাহর সান্নিধ্য পেয়েছে। কোরআনের প্রতিটি আয়াত মহান মাওলার কথা, বান্দার প্রতি মহান মাওলার চিঠি, ফরমান। কোরআন মানুষকে হেদায়েত দান করে। আবার সীমা লংঘন কারীদের পথভ্রষ্ট করে দেয়। কোরআনকে প্রতিটি ইমানদার বুকে আর দেমাগে ধারন করে। যত দিন এই কোরআন মুসলমানদের বুকে আর দেমাগে ছিল, তত দিন মুসলমানগন পুরো পৃথিবীর বুকে সৌর্যবির্য আর আল্লাহর প্রেমে ডুবে গিয়েছিল। তামাম পৃথিবী মুসলমানদের পায়ের তলায় লুটোপুটি খেয়েছে। আর যখন ই কোরআন বুক আর দেমাগ থেকে মাচায় অথবা কোথাও কোথাও পায়ে চলে গেছে। অর্থাৎ কোরআনের জিল্লতি দেওয়া শুরু করেছি। তখন থেকে মুসলমানদের অবস্থাও চরম অবস্থায় পৌছেছে। আস্তে আস্তে পৃথিবীর সব তাদের হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। আাজ পৃথিবীর যত খনিজ সম্পদ রয়েছে, তার বেশীর ভাগই মুসলমানদের পায়ের তলায়, কিন্তু মুসলমানগন কয়েকটি ডলার ছাড়া এই সম্পদ আর অন্য কোন কাজে ব্যবহার করতে পারছে না। অমুসলিম বিশ্ব এখান থেকে সব ফায়দা লুটে নিচ্ছে।
বর্তমান বিশ্বে অনেক ইসলামী দল, ইসলামী প্রতিষ্ঠান আছে। যারা কোরআনকে ভালবাসে। কোরআনের বিধান মেনে চলার চেষ্টা করে। কোরআনের বিধান প্রতিষ্ঠার জন্যও প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু আশানুরূপ সেই চেষ্টা সফল হয় না। ব্যবসায়িক উন্নতি হচ্ছে হয়তো, বিধান বাস্তবায়ন ঠিক ঐ ভাবে হচ্ছে না। এটা খুব একটা চিন্তার বিষয়। এটি হতেই পারে। নূহ আলাইহিস সালাম ৯৫০ বৎসব দাওয়াত দিয়ে আল্লাহর বিধানের রাজ কায়েম করতে পারেন নি। ঈসা আলাইহিস সালাম পারেন নি। আল্লাহ তাঁকে আকাশে উঠিয়ে নিয়েছেন। অনেক নবী আলাইহিমুস সালাম আছেন, যারা পরকালে একজন দুইজন সহচর নিয়ে হাশরে উঠবেন।
আমার চিন্তা একটু ভিন্ন জায়গায়, ভিন্ন মাত্রায়। কল্যাণের আশায় চিন্তা করতে, ভাবতে কারো কোন দোষ নেই। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কেউ যদি কোন বিষয় নিয়ে ইজতেহাদ করে, চিন্তা গবেষনা করে, সে যদি সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছতে পারে তবে দুটি সওয়াব আর যদি ভুল সিদ্ধান্তে পৌছে তবেও একটি সওয়াব পাবে।
অনেক ইসলামী সংঘঠন, প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের মনোগ্রামে কোরআনের আয়াত অংকিত করেন। বেশির ভাগ পোষ্টার লিফলেট, দাওয়াত পত্রে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লিখা হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কেউ ওয়ায়তাসিমু বিহাবলিল্লাহি জামিয়া, কেউ আন আকিমুদ্দীন, কেউ ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক, কেই আহাল্লাল্লাহু বাইয়া ওয়া হাররামার রিবা, কেউ ইন্নাদদিনা ইনদাল্লাহিল ইসলাম, ইত্যাদি লিখে থাকেন। যারা লিখেন অবশ্যই বরকতের আশায় লিখে থাকেন। এখানে কোন সন্দেহ করার সুযোগ নেই। কোরআনকে ভালবেসে লিখেন, এখানেও কোন সন্দেহ নেই। যে বিষয়টি নিয়ে আয়াত লিখেন, এই বিষটির প্রতিষ্ঠা চান এতেও সন্দেহ নেই। চিন্তা হল মানুষ যা প্রতিষ্ঠা করতে চায় তা মাথায় রাখে, বক্ষে ধারন করে। মাথা আর বক্ষের লালিত জিনিসটি জ্ঞাতে অজ্ঞাতে যখন পায়ে চলে যায়। তখন যতই চাওয়া হোক এটা আর প্রতিষ্ঠা করা যায় না। তার প্রতি আবেগ থাকলেও ভালবাসা আর দরদ পূর্ণ আবেগ কাজ করে না। তার অমর্যাদায় চোখ থেকে কষ্টের লোনা পানি প্রবাহিত হয় না। সব যেন দায়সারা গোছের হয়ে যায়।
কোরআনকে ভালবেসে কোরআনের আয়াত সম্বলিত মনোগ্রাম থাকতেই পারে। সুলাইমান আলাইহিস সালাম যখন রাণী বিলকিস কে চিঠি লিখেন। তখন বিসমিল্লাহ দিয়ে শুরু করেছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাহ যখন কোন চিঠি প্রেরন করতেন। তাও বিসল্লিাহ দিয়েই শুরু করতেন। কিন্তু যত্রতত্র ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন জাগে।
আমরা যেভাবে আয়াতকে ব্যবহার করছি। আমাদের অজ্ঞাতে কত মানুষের পায়ের তলায় এমনকি আমাদের নিজেদের পায়ের তলায় কোরআনের আয়াত পিষ্ট হচ্ছে। কত বার ফুটবলের মত কোরআনের আয়াত লাথি খাচ্ছে। কত আয়াতে কারীমা ময়লাব বাগাড়ে নাপাকীর সাথে লুটুপুটি খাচ্ছে। অফিস বা বাসার ময়লার বালতিতে ছেড়া কাগজটি রাখছি, যাতে আয়াতে কারীমরা লিখা রয়েছে। অথবা আয়াত সম্বলিত প্রয়োজনীয় কাগজের বাল্ডিলটি পায়ের কাছে রাখছি। সে লাথি খাচ্ছে। আবার এই আয়তটিই আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সারা দিন এই নিয়ে চিন্তা ফিরির, পরিশ্রম। আমরা কি সত্যিই ভাবতে পারি! এর ফলে কি হচ্ছে কোরআনের ভালবাসার স্থান পেট আর পদের ভালবাসায় দখল করেছে। সব খানে এখন দুনিয়াবী স্বার্থ প্রাধান্য পাচ্ছে। কোরআনকে রাখছি তার বাহন হিসাবে। সব মুসলমানের কি এ নিয়ে ভাবা উচিত নয়। বিশেষ করে যারা আলেম সমাজ, যারা আমাদের দ্বীনের রাহবার এ নিয়ে ভাবা এবং উম্মাহকে নির্দেশনা দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করি। এই একটু অসতর্কতায় কোরআনের মান আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে যাচেছ। কোরাআনের প্রতি হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা অন্তর থেকে উঠে যাচ্ছে। কোরআনের রাজ প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না। অনেক কাজ অনেক আমল করছি। কিন্তু ঝুড়ির তলা ফুটো হওয়ার কারনে সারা জীবনেও ঝুড়ি ভরছে না। আমলের তাছির জীবনের উপর তেমন প্রভাব ফেলছে না। সারা দিন, সপ্তাহ, মাস, বৎসর কাজ করেও মনে হয় শূন্যই রয়ে গেলাম। কাজের কোন বরকত পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এই ছোট বিষয়টাকে একটু বড় করে দেখার চেষ্টা করি। আমার দ্বারা যেন আয়াতে কারীমা বাহ্যিক ভাবে অপমানিত অপদস্ত না হয় একটু খেয়াল রাখি। তবে আশা করা যায়, চিন্তায়, কাজে, মননে গতি আসবে। রহমতের চাদরে ঢেকে যাবে আমার প্রতিটি কাজ। রহমতের শীতল পরশ অনুভব করব হৃদয় গহীনে। ফতোয়া আর মন্দ বলা নয়, নিজে নিজের কাজের মূল্যায়ন করি, নিজের কাজ নিজের ভাবনায় আনি। আসুন সকলে সকলকে নিয়ে কল্যাণের নিয়তে চিন্তা করি। কোরআনের আয়াতের স্থান বুকে, পায়ে নয়। কখনও ভুলে পায়ে চলে গেলে মাওলার কাছে মাফ চেয়ে নেব। আর ইচ্ছাকৃত আর অবহেলায় এটি ঘটলে দুজাহানে হিরা মুতি নয়, ছাই জুটবে কপালে। অন্য দিকে যখন এই অবস্থা ব্যপকতর হয়ে যায় তখন চিন্তা থেকে এই বিষয়টি হারিয়ে যায়। হারিয়ে গেছেও মনে হয়।
পুরো কোরআন আল্লাহর কালাম বা বাণী। প্রত্যেকটি আয়াত আল্লাহর কালাম। আমরা যদি পুরো কোরআন বা আয়াতের নির্দেশকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তাহলে ঐ আয়াতে মর্যাদার দিকেও আমাদের খেয়াল দেয়া উচিত। ঐ আয়াতের অবমাননা করে, কখনই ঐ আয়াত সমাজে প্রতিষ্ঠা পেতে পারে না। ঐ আয়াতের বরকতে হয়তো দুনিয়ার কিছু চাকচিক্য পেতে পারি। কিন্তু সমূহ কল্যান ভাগ্যে জুটবে কি না সন্দেহ। পৃরো পৃথিবী বিক্রয় করলে কি মাওলার একটি কালামের মূল্য হবে! কোরআনের আয়াতকে এমন ভাবে রাখি যেন কখনও পায়ে না যায়। ময়লার বাগারে না যায়। ঘরের ময়লার ডাস্টবিনটাতে না যায়।
এই বিসমিল্লাহ, ওয়ায়তাসিমু বিহাবলিল্লাহি জামিয়া, আন আকিমুদ্দীন, ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক, আহাল্লাল্লাহু বাইয়া ওয়া হাররামার রিবা, ইন্নাদদিনা ইনদাল্লাহিল ইসলাম ইত্যাদি একটি একটি আয়াত এক একটি চেতনা। এক একটি পতাকা। একটি পতাকা একটি একটি কাপড়ই নয়। একটি জাতি, একটি বাহিনীর জয় পরাজয়। পতাকা ভুলুন্ঠিত হতে বাহিনী আর যুদ্ধের মাঠে টিকতে পারে না। তার পরাজয় হয়। আমাদের তাই কোরআনের আয়াত নিয়ে চিন্তা করা উচিত।
আমরা আরও একটু চিন্তা করতে পারি। কোন নাস্তিক, মুরতাদ যদি কোরআনের কোন আয়াতের অবমাননা করে। আমরা সকলে প্রতিবাদ করি। মিছিল মিটিংয়ে সারা পৃথিবী উত্তাল হয়ে উঠে। হওয়াও উচিত। কোরআনের ইজ্জতের জন্য জীবন দিতেও পিছপা হই না। জুলুম নির্যাতনকে পুরোয়া করি না। কিন্তু এই আমার দ্বারা অনেক যায়গায় কোরআনের আয়াতের বাহ্যিক অবমাননা হয়। বিষয়টি ভাবার প্রয়োজন। বাস্তব জীবনের অনেক ক্ষেত্রে কোরআনের আমল করতে পারি না। অন্তত কোরআনের কোন আয়াত যেন আমার দ্বারা অপদস্ত না হয়। পরিশেষে মাওলানা মহিউদ্দীন খান রাহঃ সংকলিত খাজাইনুল ইরফান বই থেকে একটি ঘটনা উল্লেখ করছি। হযরত বিশরে হাফি রাহঃ একদিন বিসমিল্লাহ লিখিত এক টুকরো কাগজ কুড়িয়ে পেলেন, সেটি যত্মের সাথে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে পকেটে থাকা টাকা খরচ করে সুগন্ধি কিনলেন এবং ঐ টুকরোটিতে লাগালেন। সে রাতেই বিশরে হাফি রাহঃ স্বপ্নে দেখলেন, আল্লাহ তায়ালা তাকে বলছেন, হে বিশর, তুমি আমার নামের প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতঃ সেটিকে যেভাবে সুগন্ধ মন্ডিত করেছ, তেমনি আমিও তোমার নাম দুনিয়া ও আখিরাতে উজ্জ্বল ও সুগন্ধমন্ডিত করে দেব।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments