পর্দার কোন কাযা নেই_ফাতেমা তুন-নূর শিপু
নারী
জাতির ইজ্জতের সম্মানার্থে, সতিত্ব রক্ষার জন্য আল্লাহতায়ালা কোরআনুল
কারিমে বলেন, হে নারী সমাজ,
তোমরা নিজ গৃহে অবস্থান
করবে এবং বর্বর জাহেলিযুগের
নারীদের মতো নিজেদের প্রদশর্ন
করে বেড়াবে না।[সূরা আহযাবঃ
৩৩]
উলঙ্গপনা যদি আধুনিকতা হতো, তবে বন্য প্রাণীরা হতো সবচেয়ে আধুনিক, এই প্রসঙ্গটিকে সামনে রেখে আমার লেখার অবতারনা।সময় বহমান কারো জন্য থেমে থাকে না। এবং ফিরেও আসে না।মৃত্যু ও সময় শব্দ দুটির পৃথিবীতে বড় মিল।কেউ মরে গেলে তার এই ফাঁকি দিয়ে চলে যাওয়াটাকে, কিছু বলে যেতে না পারাটাকে, আমরা কতো কিছু মনে করি, নিজের মতো করে কতো কিছু প্রবোধ দিই।অথচ সবাইকে একদিন এই পথের পথিক হতে হবে।তাই আমাদের ছোট-বড় সব কাজের হিসাব সুহ্মভাবে লিপিবদ্ধ হচ্ছে, তা প্রতিনিয়ত স্বরণ রাখা উচিত।আমরা জীবনের সমস্ত সময়কে খুব অবহেলায় কাঠিয়ে দিই হেলা ফেলায়। চিন্তা করে দেখিনা যে,কত মূল্যবান সময় চলে যাচ্ছে আমাদের জীবন থেকে।যদি এক থেকে সাত বৎসর সময়কে শিশুকাল কোন গুনাহ নেই ধরেন,৭ থেকে ১২ বৎসর সময়কে কৈশোর, কিছু শিখার সময় ধরেন।১২ থেকে ২০ বছর সময়কে যদি ধরেন ভুল করার সময়। ২০ থেকে ৭০ বছর বয়স তাহলে কি বুঝার বয়স,,, বা পাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করার বয়স নয়? আসুন তাহলে ক্ষমাকে সাজাই।। ১২ থেকে ২০ বছর বয়সের এই ভুলগুলোকে আল্লহতায়ালা যদি দয়া করে, ক্ষমা করে দেন, তবে কেন ২০ বছর বয়সের পর থেকে পাপ পূন্য বুঝেও ভুল পথে পা বাড়ানো???এখন সেই ৭ থেকে ২০ বছর বয়সের অভ্যস্থ হয়ে যাওয়া পাপ থেকে উত্তোরণের জন্য মৃত্যু ও সময়কে স্বরণ করে উলঙ্গপনার আধুনিকতা বাদ দেওয়া,এবং মৃত্যুর জন্য সেই একটি জিনিসকে আপন করে নেওয়ার মধ্যেই মানব জীবনের সার্থকতা, মানুষ খুঁজে পাবে বলে বিশ্বাস হয় কেননা চারপাশের অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, মানুষ সময় এবং মৃত্যু শব্দটির সাথে অপরিচিত হয়ে গেছে।মহিলারা লাশ বহনকারী খাটিয়া দেখে মাথায় কাপড় তোলে,চোখের আড়াল হলেই কাপড় ফেলে দেয়।আরো কতোগুলো শিক্ষিত অত্যাধুনিক মহিলা আছে যারা আমাদের ঐ উলঙ্গ বন্য প্রানীকে ও হার মানিয়ে দিয়েছে পোশাকে।যাদের দেখলে প্রকৃত শিক্ষিত পুরুষ সমাজের,, কোন কোন পুরুষকে বলতে শোনা যায়,আপা আপনাকে দেখে আমাদেরও লজ্জা করে মাথায় কাপড় দেন।তাই সেদিন একজন আপা অল্প বয়সে হজ্ব করে এসেছেন আগে পর্দা করেনি এখন পর্দা করতে গিয়ে দ্বিধা দ্বন্ধে পড়েছেন কেমন করে পর্দা করবেন।কতটুকু ঢেকে চললে প্রকৃত পর্দা হবে।এবং পর্দার জন্য কটাক্ষ হতে হবে কতোটুকু।এসব চিন্তা ভাবনা,করতে করতে মুটামুটি বোরকা পড়া আরম্ভ করেছেন।কেমন করলে এই উলঙ্গপনার আধুনিক সেমিনারে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন চিন্তিত হয়ে বসে আছেন, বললাম খাস পর্দা আরম্ভ করুন,এতটুকু করেছেন ইনশাআল্লহ বাকিটুকু পারবেন।তখন আধুনিক আপাদের বেহায়াপনা ও নির্লজ্জ ড্রেসআপ ও পরচর্চা কেন্দ্র নিয়ে কথা হলো।কিছু কিছু আপা,খালারা বলেছেন,আগে খুব পর্দা করতাম,ধর্ম কর্ম করতাম বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে সবার সাথে মানিয়ে নিতে বোরকা ছেড়েছি,হিজাব ছেড়েছি।কোন অনুষ্ঠানে গেলে পরিচিত জনরা মুখ থেকে হিজাব কেড়ে নিয়ে পেলে,, বলে পর্দা করা লাগবে না।অনেক কথার মাঝে কিছু আধুনিক পর্দা আরম্ভ করা আপাদের সাক্ষাত পেলাম।তারা পর্দা করেছেন কিন্তু আধুনিকতার সাথে, লিপিষ্টিক লাগিয়ে,ভ্রু প্লাক করে বিভিন্ন রঙের প্রসাধনে চোখ সাজিয়ে এসেছেন।এটি পর্দা প্রথার আরো অপমানজনক একটি বিব্রতকর অবস্থা।।হজ্ব করা আপার সাথে শেষ কথা হলো,,হজ্ব করে এসেও অনেকে কিছু ভুল করছেন,পুরনো অভ্যাস ছাড়তে রাজি নন,,কোরআনে এমনও আয়াত রয়েছে,,,,,এরপর তোমাদের হৃদয় কঠিন হয়ে গেলো।তখন তা পাথরসমুহের ন্যায় হয়,বরং তদপেক্ষা কঠিনতর এবং পাথরগুলোর মধ্যে তো কিছু এমনও আছে,যেগুলো থেকে নদীসমুহ প্রবাহিত এবংকতেক এমনও রয়েছে যেগুলো ফেটে যায়,তখন সেগুলো থেকে পানি নির্গত হয় এবং কতেক এমনও আছে যেগুলো আল্লহর ভয়ে গড়িয়ে পড়ে।এবং আল্লহ তোমাদের কৃতকর্ম গুলো সম্পর্কে অনবহিত নন,,(সূরা বাকারা-৭৪),
,জড় ও কঠিন পদার্থ পাথরের মধ্যেও অনুভূতি উপলব্দি শক্তি রয়েছে।যদিও আমরা তা অনুভব করতে পারি না।যেমন-কোরআনে এরশাদ হয়েছে প্রত্যেক সৃষ্ট বস্তু আল্লহর গুনগান সহকারে তাসবিহ পাঠ করে কিন্তু তোমরা অনুধাবন করতে পারো না,যেমন,,নবীজি(সঃ) এর বিচ্ছেদে ক্রন্দনকারী শুষ্ক খেজুর শাখার আওয়াজ মসজিদে নববী শরীফে উপস্হিত সাহাবায়ে কেরাম শুনতে পান।আবু জেহেলের হাতের মুষ্টির মধ্যে আবদ্ধ কংকরের কলেমা পড়ার শব্দ আবু জেহেল নিজেও শুনতে পেয়েছে,,,উপরোক্ত আয়াত,, এমন সব কথা বা ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাযিল হয়েছিলো।,আল্লহর কুদরতের নিদর্শন স্বরূপ এতোসব ঘটনা শ্রবন করেও তোমাদের হৃদয় পাষাণ কঠিন হয়ে গেলো।।হজ্ব অনেক কষ্টের এবং মূল্যবান প্রাপ্তির একটা শেষ অংশ, শেষ করে এসেও,মহিলারা বুঝে ও এর সঠিক মযার্দা দিতে পারছেন না,একমাত্র মুনাফেকি মনোভাবের কারণে,কারণ তারা বুঝে, জেনে, স্বীকার করেও আমল করেনা যদি আধুনিকতা নষ্ট হয়ে যায়,এটাই হচ্ছে প্রকৃত মুনাফেকের লক্ষন।।,,,, ,,।সুতরাং যাকে আল্লাহতায়ালা পছন্দ করেন আর যাকে পছন্দ করেননা,তারা কি সমান? আপনার হেদায়াতের আলোতে আপনার অন্তরকে আলোকিত করেছেন তাই আপনি মোমিন যে আয়াতকে জেনে আমল করার তৌফিক পেয়েছেন।এর জন্য চায় সাধনা এবং সর্বোপরি দৃঢ় প্রত্যয়।নামায ও পর্দা ফরজ বিষয়।এবং নামাযের কাযা আছে কিন্তু পর্দার কোন কাযা নেই যেহেতু যে সময়টুকু আপনি পর্দা করেন নি,সেই সময়টা ফেরত পাবেন না তার জন্য নির্ধারিত শাস্তি ভোগ করতে হবে।নামাযের যে সময়টুকু পড়া হয়নি তার ব্যবস্থা আল্লাহতায়ালা করেছেন কাযা শব্দ দিয়ে।এক ওয়াক্ত নামায ফজর না পড়লে তা যোহরের আগে আগে পড়লে মহান আল্লাহতায়ালা তা ক্ষমা করবেন।কিন্তু আজ যে পর্দাহীন বের হলেন কাল সে সময়টা কি করে ফেরত পাবেন? কোরআন ও হাদিসে অসংখ্য বর্ণিত এমন সব মর্মস্পর্শী ঘটনার কথা আজকালকার আধুনিক মুসলিম নারীদের কান অবধি আর পৌছাবে না ঠিক মতো কেননা তারা আজ কানও ঢেকে ফেলেছে হিজাব নামক জগন্য কাপড়ের আবরণে।পর্দার ফ্যাশন করার জন্য পার্লারে গিয়ে হিজাব বাঁধে।যেভাবে মাথায় হিজাব বাঁধাকে আল্লহতায়ালা লানত করেছেন,,,আল্লহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন আনতে (কোরআনের সূরা নিসা ১১৯ আয়াতে) কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন,,তারপরও মহিলারা চোখের ভ্রু প্লাক করছে, সুশ্রী কালো চুলকে বিভিন্ন রঙে কালার করছে,,,অথচ কালো চুল সাদা বের হলেই কালো করতে ব্যস্ত পড়েন,কেন তাহলে এই বিকৃত ফ্যাশন আল্লহর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে?একটিবারের জন্য ভেবে দেখুন আপনার কিশোরী মেয়েটির যদি সাদা চুল বের হতো ক্যামন দেখাতো?নারীকুল প্রকৃতি প্রদত্ত সুন্দর ও আকর্ষণীয় তাদের সৌন্দর্যবর্ধনের নামে পার্লারে গিয়ে অপব্যয় করার কি প্রয়োজন?শরীর ফিট করার নামে জিমচর্চা, বিউটি পার্লার, ইয়োগা,মেডিটেশন ইত্যাদি ইত্যাদিতে সময় ব্যয় সপক্ষে কেন এতো যুক্তি খুঁজে পান?নামাজ রোযা ঠিকভাবে করছেন কিনা, বিশুদ্ধ
ভাবে হচ্ছে কিনা,চলার পথে কতোটুকু কি আমল করলেন, সারাদিন পরকালের কতোটুকু পাথেয় সংগ্রহ করলেন,মিথ্যা বর্জন করতে, সৎ হতে পেরেছেন কি আজ পর্যন্ত,,এসব চিন্তা করার সময় বয়ে যাচ্ছে,,দেখতে দেখতে ৩০/৪০বছর পেরিয়ে গেছে,এরপর চাইলেও এই যৌবনের সৌন্দর্য আর ধরে রাখতে পারবেন না,, এটাই নিয়ম। সুতরাং যৌবনটা কিভাবে ব্যয় করেছেন তার একটা মূল্যবান হিসেব তো থাকা চায়, বুদ্ধিমতি হিসেবে তাই না?যারা সময়টা ব্যয় করে ফেলেছেন তাদের জন্য মহান প্রভু তওবার দরজা খোলা রেখেছেন,,ফিরে আসলে রাব্বুল আলামিন তাদের পছন্দ করেন,নিরাশ হওয়ার দরকার নেই।আজ থেকেই শুরু করুন যারা এখনো বয়স বা সময় হারিয়ে ফেলেন নি তারা খুবই সৌভাগ্যবান,তাদের জন্য আহবান, দয়া করে নিজের প্রতি জুলুম করবেন না,আল্লহতায়ালা সাধ্যাতীত কিছুই রাখেন নি,, কোরআনের আয়াতকে দেখে জেনে শুনে অবহেলায় দূরে ঠেলে দেবেন না,,, ,মা, খালা,বড় বোনদের মতো।আজো আমরা গবির্ত মুসলিম নারী।যার জন্য আমাদের নবীজি সাইয়্যেদুনা মুহাম্মদ মুস্তাফা( সঃ) নিজেকে কন্যাদের পিতা বলেছেন,মেয়েদের জম্ম হতেই মেরে ফেলাকে, সম্মান দিতে গিয়ে বলেছেন,তোমরা মেয়েদের গালি দিও না,আমি রাসুল মেয়েদের পিতা।।সুতরাং মূল্যবান হবার চেষ্টা করুন,নিজেকে সঠিক জায়গায় সম্মানিত করার কথা ভাবুন, আলোর ঝলকানিতে এই গভীর অন্ধকার জগতটাকে কেন আসল ভাবছেন এতোটা বোকা সেজে?ইসলাম ধর্মে তো জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তির কথাও বলেছেন,, কেন বলছেন কিশোরি মেয়েটিকে ত্রি পিস, শালিন পোশাক পরালে বড় হয়ে গেছে মনে হবে,,,জিন্স পরাচ্ছেন ছোট লাগার জন্য,,,,এতে করে কতোজনকে জাহান্নামের ভাগিদার বানাচ্ছেন ভেবে দেখুন,প্রথমে তার বাবা,,বড় ভাই,,পরে স্বামী,পরে নিজের ছেলেকে,আর তো চারপাশে সবাইকে, যে পুরুষের দৃষ্টি যাচ্ছে হয়তো তাদের চরিত্র ও নষ্ট করছেন ,,, কেননা সে তো ছোট থেকে অভ্যস্ত হয়ে তাই করতে চাইবে,যা সে মায়ের শিক্ষায় করে এসেছে।কিছু নামাজি মহিলাকে চিন্তিত হতে দেখা যায়,স্কুল কলেজে পড়ুয়া মেয়েরা হিজাব পড়েনা তাই,,ছোট বেলায় বলিনি তাই এখন কথা শুনেনা, বলে মায়েরা,,,,পর্দাহীন বের হলে টেনশন লাগে, ,সবার কথা থেকে, পত্রপত্রিকার অসংখ্য প্রকাশিত খবর থেকে প্রতিনিয়ত আমরা পরকীয়া বা ধর্ষনের স্বীকার নারীদের হত্যা কিংবা আত্মহত্যার যে চিত্র দেখতে পাই তার অন্তঃমূলে একটাই শব্দ আছে,বিশ্রীভাবে বলতে গেলে উলঙ্গপনা, যেটা থেকে সবকিছুর উৎপত্তি,উৎস।যে সকল নারী কাপড় পরিধান করেও উলঙ্গ থাকে তারা জাহান্নামি,, তারা প্রলোভন দেখায় আর প্রলুব্ধ করে,,এতো কঠিন শব্দ শুনেও এরা বধির থাকে,,,কেন??যাক কোরআন কারীমের আল্লহর ভয়ে,,, আয়াতের আমল করুন তাহলে এই পাপ গুলো থেকে বের হয়ে আসা সহজ হবে,ভয় করুন পরকীয়া আসবেনা,শালীন পোশাকে থাকুন ধর্ষনের ঘটনা ঘটবে না।নিজেকে মূল্যবান মনে করে শরীরকে যথাযথ পোশাকে ঢেকে বের হোন,অত্যাধুনিকতার জন্য উলঙ্গপনার আশ্রয় নেবেন না,নিজের কন্যাকে নিরাপদে রাখুন,নিজে নিরাপদ হয়ে।জীবনের সময় সংক্ষিপ্ত,,,, আপনাদের ইবাদত,নেক আমল তো যোজন যোজন দূরে রয়ে গেছে,যা কিছু মহিয়সী জান্নাতি নারীদের জীবনীর আমলে আছে তার বিন্দুমাত্র কি আপনার আছে?ভেবেছেন হাটতে গিয়ে বুকের ব্যথায় যে কম বয়সি আপাটি সেদিন মারা মারা গেলেন,পরকালের পাথেয় সংগ্রহের তো সময় হয়ে উঠল না তার,সুতরাং সময় থাকতে হুশিয়ার।।ইসলামের পাতায় আল্লহতায়ালার আয়াতের রৌশন হবে যদি আমরা নারীরা এই আয়াতকে প্রকৃত আমল করি নিজের মর্যাদাবোধ জাগিয়ে,,,তার প্রতীক্ষাতে অন্তত একটি সূর্যোদয় হবে আগামি কোনো একদিন,,,,, আমরা লজ্জিত থাকবো না,আমাদের বিশ্ব প্রতিপালক ও তার রাসুলের সামনে আজ এবং শেষ বিচারের দিন,,আমরা পেতে চাইবো বিনা হিসেবে জান্নাতুল ফেরদৌস এটাই আমাদের নারীদের অন্তিম প্রার্থনা হবে এই দৃঢ় প্রত্যয়ে।সুম্মা আমিন।
উলঙ্গপনা যদি আধুনিকতা হতো, তবে বন্য প্রাণীরা হতো সবচেয়ে আধুনিক, এই প্রসঙ্গটিকে সামনে রেখে আমার লেখার অবতারনা।সময় বহমান কারো জন্য থেমে থাকে না। এবং ফিরেও আসে না।মৃত্যু ও সময় শব্দ দুটির পৃথিবীতে বড় মিল।কেউ মরে গেলে তার এই ফাঁকি দিয়ে চলে যাওয়াটাকে, কিছু বলে যেতে না পারাটাকে, আমরা কতো কিছু মনে করি, নিজের মতো করে কতো কিছু প্রবোধ দিই।অথচ সবাইকে একদিন এই পথের পথিক হতে হবে।তাই আমাদের ছোট-বড় সব কাজের হিসাব সুহ্মভাবে লিপিবদ্ধ হচ্ছে, তা প্রতিনিয়ত স্বরণ রাখা উচিত।আমরা জীবনের সমস্ত সময়কে খুব অবহেলায় কাঠিয়ে দিই হেলা ফেলায়। চিন্তা করে দেখিনা যে,কত মূল্যবান সময় চলে যাচ্ছে আমাদের জীবন থেকে।যদি এক থেকে সাত বৎসর সময়কে শিশুকাল কোন গুনাহ নেই ধরেন,৭ থেকে ১২ বৎসর সময়কে কৈশোর, কিছু শিখার সময় ধরেন।১২ থেকে ২০ বছর সময়কে যদি ধরেন ভুল করার সময়। ২০ থেকে ৭০ বছর বয়স তাহলে কি বুঝার বয়স,,, বা পাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করার বয়স নয়? আসুন তাহলে ক্ষমাকে সাজাই।। ১২ থেকে ২০ বছর বয়সের এই ভুলগুলোকে আল্লহতায়ালা যদি দয়া করে, ক্ষমা করে দেন, তবে কেন ২০ বছর বয়সের পর থেকে পাপ পূন্য বুঝেও ভুল পথে পা বাড়ানো???এখন সেই ৭ থেকে ২০ বছর বয়সের অভ্যস্থ হয়ে যাওয়া পাপ থেকে উত্তোরণের জন্য মৃত্যু ও সময়কে স্বরণ করে উলঙ্গপনার আধুনিকতা বাদ দেওয়া,এবং মৃত্যুর জন্য সেই একটি জিনিসকে আপন করে নেওয়ার মধ্যেই মানব জীবনের সার্থকতা, মানুষ খুঁজে পাবে বলে বিশ্বাস হয় কেননা চারপাশের অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, মানুষ সময় এবং মৃত্যু শব্দটির সাথে অপরিচিত হয়ে গেছে।মহিলারা লাশ বহনকারী খাটিয়া দেখে মাথায় কাপড় তোলে,চোখের আড়াল হলেই কাপড় ফেলে দেয়।আরো কতোগুলো শিক্ষিত অত্যাধুনিক মহিলা আছে যারা আমাদের ঐ উলঙ্গ বন্য প্রানীকে ও হার মানিয়ে দিয়েছে পোশাকে।যাদের দেখলে প্রকৃত শিক্ষিত পুরুষ সমাজের,, কোন কোন পুরুষকে বলতে শোনা যায়,আপা আপনাকে দেখে আমাদেরও লজ্জা করে মাথায় কাপড় দেন।তাই সেদিন একজন আপা অল্প বয়সে হজ্ব করে এসেছেন আগে পর্দা করেনি এখন পর্দা করতে গিয়ে দ্বিধা দ্বন্ধে পড়েছেন কেমন করে পর্দা করবেন।কতটুকু ঢেকে চললে প্রকৃত পর্দা হবে।এবং পর্দার জন্য কটাক্ষ হতে হবে কতোটুকু।এসব চিন্তা ভাবনা,করতে করতে মুটামুটি বোরকা পড়া আরম্ভ করেছেন।কেমন করলে এই উলঙ্গপনার আধুনিক সেমিনারে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন চিন্তিত হয়ে বসে আছেন, বললাম খাস পর্দা আরম্ভ করুন,এতটুকু করেছেন ইনশাআল্লহ বাকিটুকু পারবেন।তখন আধুনিক আপাদের বেহায়াপনা ও নির্লজ্জ ড্রেসআপ ও পরচর্চা কেন্দ্র নিয়ে কথা হলো।কিছু কিছু আপা,খালারা বলেছেন,আগে খুব পর্দা করতাম,ধর্ম কর্ম করতাম বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে সবার সাথে মানিয়ে নিতে বোরকা ছেড়েছি,হিজাব ছেড়েছি।কোন অনুষ্ঠানে গেলে পরিচিত জনরা মুখ থেকে হিজাব কেড়ে নিয়ে পেলে,, বলে পর্দা করা লাগবে না।অনেক কথার মাঝে কিছু আধুনিক পর্দা আরম্ভ করা আপাদের সাক্ষাত পেলাম।তারা পর্দা করেছেন কিন্তু আধুনিকতার সাথে, লিপিষ্টিক লাগিয়ে,ভ্রু প্লাক করে বিভিন্ন রঙের প্রসাধনে চোখ সাজিয়ে এসেছেন।এটি পর্দা প্রথার আরো অপমানজনক একটি বিব্রতকর অবস্থা।।হজ্ব করা আপার সাথে শেষ কথা হলো,,হজ্ব করে এসেও অনেকে কিছু ভুল করছেন,পুরনো অভ্যাস ছাড়তে রাজি নন,,কোরআনে এমনও আয়াত রয়েছে,,,,,এরপর তোমাদের হৃদয় কঠিন হয়ে গেলো।তখন তা পাথরসমুহের ন্যায় হয়,বরং তদপেক্ষা কঠিনতর এবং পাথরগুলোর মধ্যে তো কিছু এমনও আছে,যেগুলো থেকে নদীসমুহ প্রবাহিত এবংকতেক এমনও রয়েছে যেগুলো ফেটে যায়,তখন সেগুলো থেকে পানি নির্গত হয় এবং কতেক এমনও আছে যেগুলো আল্লহর ভয়ে গড়িয়ে পড়ে।এবং আল্লহ তোমাদের কৃতকর্ম গুলো সম্পর্কে অনবহিত নন,,(সূরা বাকারা-৭৪),
,জড় ও কঠিন পদার্থ পাথরের মধ্যেও অনুভূতি উপলব্দি শক্তি রয়েছে।যদিও আমরা তা অনুভব করতে পারি না।যেমন-কোরআনে এরশাদ হয়েছে প্রত্যেক সৃষ্ট বস্তু আল্লহর গুনগান সহকারে তাসবিহ পাঠ করে কিন্তু তোমরা অনুধাবন করতে পারো না,যেমন,,নবীজি(সঃ) এর বিচ্ছেদে ক্রন্দনকারী শুষ্ক খেজুর শাখার আওয়াজ মসজিদে নববী শরীফে উপস্হিত সাহাবায়ে কেরাম শুনতে পান।আবু জেহেলের হাতের মুষ্টির মধ্যে আবদ্ধ কংকরের কলেমা পড়ার শব্দ আবু জেহেল নিজেও শুনতে পেয়েছে,,,উপরোক্ত আয়াত,, এমন সব কথা বা ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাযিল হয়েছিলো।,আল্লহর কুদরতের নিদর্শন স্বরূপ এতোসব ঘটনা শ্রবন করেও তোমাদের হৃদয় পাষাণ কঠিন হয়ে গেলো।।হজ্ব অনেক কষ্টের এবং মূল্যবান প্রাপ্তির একটা শেষ অংশ, শেষ করে এসেও,মহিলারা বুঝে ও এর সঠিক মযার্দা দিতে পারছেন না,একমাত্র মুনাফেকি মনোভাবের কারণে,কারণ তারা বুঝে, জেনে, স্বীকার করেও আমল করেনা যদি আধুনিকতা নষ্ট হয়ে যায়,এটাই হচ্ছে প্রকৃত মুনাফেকের লক্ষন।।,,,, ,,।সুতরাং যাকে আল্লাহতায়ালা পছন্দ করেন আর যাকে পছন্দ করেননা,তারা কি সমান? আপনার হেদায়াতের আলোতে আপনার অন্তরকে আলোকিত করেছেন তাই আপনি মোমিন যে আয়াতকে জেনে আমল করার তৌফিক পেয়েছেন।এর জন্য চায় সাধনা এবং সর্বোপরি দৃঢ় প্রত্যয়।নামায ও পর্দা ফরজ বিষয়।এবং নামাযের কাযা আছে কিন্তু পর্দার কোন কাযা নেই যেহেতু যে সময়টুকু আপনি পর্দা করেন নি,সেই সময়টা ফেরত পাবেন না তার জন্য নির্ধারিত শাস্তি ভোগ করতে হবে।নামাযের যে সময়টুকু পড়া হয়নি তার ব্যবস্থা আল্লাহতায়ালা করেছেন কাযা শব্দ দিয়ে।এক ওয়াক্ত নামায ফজর না পড়লে তা যোহরের আগে আগে পড়লে মহান আল্লাহতায়ালা তা ক্ষমা করবেন।কিন্তু আজ যে পর্দাহীন বের হলেন কাল সে সময়টা কি করে ফেরত পাবেন? কোরআন ও হাদিসে অসংখ্য বর্ণিত এমন সব মর্মস্পর্শী ঘটনার কথা আজকালকার আধুনিক মুসলিম নারীদের কান অবধি আর পৌছাবে না ঠিক মতো কেননা তারা আজ কানও ঢেকে ফেলেছে হিজাব নামক জগন্য কাপড়ের আবরণে।পর্দার ফ্যাশন করার জন্য পার্লারে গিয়ে হিজাব বাঁধে।যেভাবে মাথায় হিজাব বাঁধাকে আল্লহতায়ালা লানত করেছেন,,,আল্লহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন আনতে (কোরআনের সূরা নিসা ১১৯ আয়াতে) কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন,,তারপরও মহিলারা চোখের ভ্রু প্লাক করছে, সুশ্রী কালো চুলকে বিভিন্ন রঙে কালার করছে,,,অথচ কালো চুল সাদা বের হলেই কালো করতে ব্যস্ত পড়েন,কেন তাহলে এই বিকৃত ফ্যাশন আল্লহর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে?একটিবারের জন্য ভেবে দেখুন আপনার কিশোরী মেয়েটির যদি সাদা চুল বের হতো ক্যামন দেখাতো?নারীকুল প্রকৃতি প্রদত্ত সুন্দর ও আকর্ষণীয় তাদের সৌন্দর্যবর্ধনের নামে পার্লারে গিয়ে অপব্যয় করার কি প্রয়োজন?শরীর ফিট করার নামে জিমচর্চা, বিউটি পার্লার, ইয়োগা,মেডিটেশন ইত্যাদি ইত্যাদিতে সময় ব্যয় সপক্ষে কেন এতো যুক্তি খুঁজে পান?নামাজ রোযা ঠিকভাবে করছেন কিনা, বিশুদ্ধ
ভাবে হচ্ছে কিনা,চলার পথে কতোটুকু কি আমল করলেন, সারাদিন পরকালের কতোটুকু পাথেয় সংগ্রহ করলেন,মিথ্যা বর্জন করতে, সৎ হতে পেরেছেন কি আজ পর্যন্ত,,এসব চিন্তা করার সময় বয়ে যাচ্ছে,,দেখতে দেখতে ৩০/৪০বছর পেরিয়ে গেছে,এরপর চাইলেও এই যৌবনের সৌন্দর্য আর ধরে রাখতে পারবেন না,, এটাই নিয়ম। সুতরাং যৌবনটা কিভাবে ব্যয় করেছেন তার একটা মূল্যবান হিসেব তো থাকা চায়, বুদ্ধিমতি হিসেবে তাই না?যারা সময়টা ব্যয় করে ফেলেছেন তাদের জন্য মহান প্রভু তওবার দরজা খোলা রেখেছেন,,ফিরে আসলে রাব্বুল আলামিন তাদের পছন্দ করেন,নিরাশ হওয়ার দরকার নেই।আজ থেকেই শুরু করুন যারা এখনো বয়স বা সময় হারিয়ে ফেলেন নি তারা খুবই সৌভাগ্যবান,তাদের জন্য আহবান, দয়া করে নিজের প্রতি জুলুম করবেন না,আল্লহতায়ালা সাধ্যাতীত কিছুই রাখেন নি,, কোরআনের আয়াতকে দেখে জেনে শুনে অবহেলায় দূরে ঠেলে দেবেন না,,, ,মা, খালা,বড় বোনদের মতো।আজো আমরা গবির্ত মুসলিম নারী।যার জন্য আমাদের নবীজি সাইয়্যেদুনা মুহাম্মদ মুস্তাফা( সঃ) নিজেকে কন্যাদের পিতা বলেছেন,মেয়েদের জম্ম হতেই মেরে ফেলাকে, সম্মান দিতে গিয়ে বলেছেন,তোমরা মেয়েদের গালি দিও না,আমি রাসুল মেয়েদের পিতা।।সুতরাং মূল্যবান হবার চেষ্টা করুন,নিজেকে সঠিক জায়গায় সম্মানিত করার কথা ভাবুন, আলোর ঝলকানিতে এই গভীর অন্ধকার জগতটাকে কেন আসল ভাবছেন এতোটা বোকা সেজে?ইসলাম ধর্মে তো জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তির কথাও বলেছেন,, কেন বলছেন কিশোরি মেয়েটিকে ত্রি পিস, শালিন পোশাক পরালে বড় হয়ে গেছে মনে হবে,,,জিন্স পরাচ্ছেন ছোট লাগার জন্য,,,,এতে করে কতোজনকে জাহান্নামের ভাগিদার বানাচ্ছেন ভেবে দেখুন,প্রথমে তার বাবা,,বড় ভাই,,পরে স্বামী,পরে নিজের ছেলেকে,আর তো চারপাশে সবাইকে, যে পুরুষের দৃষ্টি যাচ্ছে হয়তো তাদের চরিত্র ও নষ্ট করছেন ,,, কেননা সে তো ছোট থেকে অভ্যস্ত হয়ে তাই করতে চাইবে,যা সে মায়ের শিক্ষায় করে এসেছে।কিছু নামাজি মহিলাকে চিন্তিত হতে দেখা যায়,স্কুল কলেজে পড়ুয়া মেয়েরা হিজাব পড়েনা তাই,,ছোট বেলায় বলিনি তাই এখন কথা শুনেনা, বলে মায়েরা,,,,পর্দাহীন বের হলে টেনশন লাগে, ,সবার কথা থেকে, পত্রপত্রিকার অসংখ্য প্রকাশিত খবর থেকে প্রতিনিয়ত আমরা পরকীয়া বা ধর্ষনের স্বীকার নারীদের হত্যা কিংবা আত্মহত্যার যে চিত্র দেখতে পাই তার অন্তঃমূলে একটাই শব্দ আছে,বিশ্রীভাবে বলতে গেলে উলঙ্গপনা, যেটা থেকে সবকিছুর উৎপত্তি,উৎস।যে সকল নারী কাপড় পরিধান করেও উলঙ্গ থাকে তারা জাহান্নামি,, তারা প্রলোভন দেখায় আর প্রলুব্ধ করে,,এতো কঠিন শব্দ শুনেও এরা বধির থাকে,,,কেন??যাক কোরআন কারীমের আল্লহর ভয়ে,,, আয়াতের আমল করুন তাহলে এই পাপ গুলো থেকে বের হয়ে আসা সহজ হবে,ভয় করুন পরকীয়া আসবেনা,শালীন পোশাকে থাকুন ধর্ষনের ঘটনা ঘটবে না।নিজেকে মূল্যবান মনে করে শরীরকে যথাযথ পোশাকে ঢেকে বের হোন,অত্যাধুনিকতার জন্য উলঙ্গপনার আশ্রয় নেবেন না,নিজের কন্যাকে নিরাপদে রাখুন,নিজে নিরাপদ হয়ে।জীবনের সময় সংক্ষিপ্ত,,,, আপনাদের ইবাদত,নেক আমল তো যোজন যোজন দূরে রয়ে গেছে,যা কিছু মহিয়সী জান্নাতি নারীদের জীবনীর আমলে আছে তার বিন্দুমাত্র কি আপনার আছে?ভেবেছেন হাটতে গিয়ে বুকের ব্যথায় যে কম বয়সি আপাটি সেদিন মারা মারা গেলেন,পরকালের পাথেয় সংগ্রহের তো সময় হয়ে উঠল না তার,সুতরাং সময় থাকতে হুশিয়ার।।ইসলামের পাতায় আল্লহতায়ালার আয়াতের রৌশন হবে যদি আমরা নারীরা এই আয়াতকে প্রকৃত আমল করি নিজের মর্যাদাবোধ জাগিয়ে,,,তার প্রতীক্ষাতে অন্তত একটি সূর্যোদয় হবে আগামি কোনো একদিন,,,,, আমরা লজ্জিত থাকবো না,আমাদের বিশ্ব প্রতিপালক ও তার রাসুলের সামনে আজ এবং শেষ বিচারের দিন,,আমরা পেতে চাইবো বিনা হিসেবে জান্নাতুল ফেরদৌস এটাই আমাদের নারীদের অন্তিম প্রার্থনা হবে এই দৃঢ় প্রত্যয়ে।সুম্মা আমিন।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments