মোলাকাত’র ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী : পর্যালোচনা সংখ্যা

হাঁটি হাঁটি পা পা করে ‘মোলাকাত’ডটকম আজ ৩ বছর পার করে এলো। আমাদের এই পথ চলায় লেখক, পাঠক আমাদের সাথে ছিলেন। তাদের অফুরন্ত ভালোবাসায় মোলাকাত আজ লেখক পাঠকের মন জয় করেছে। আমরা আশা করবো আগামীর পথচলায়ও আমাদের সাথে থাকবেন। মোলাকাতের যতোটুকু সৃজনক্রিয়ার উৎকর্ষ সবটুকুই তাদের। আমরা শুধু এই সৃজনক্রিয়ার কর্মীমাত্র। আমাদের সাথে যারা এই ওয়েবজিন’র জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তাদেরও ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে ওয়েব নির্মাতা ও কবি সাইফ মাহদী। আমাদের নির্বাহী সম্পাদক কবি হাসান রুহুল। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম আমাদের সাথী হয়ে ছিলো। আগামীতেও তারাই থাকবেন।
পরিশেষে আগামীর স্বপ্নে যেনো আমি আপনাদের সাথে থাকতে পারি এই দোয়ার আর্জি রাখছি।
 
আফসার নিজাম
সম্পাদক
..................................................
 
যাদের মূল্যবান পরামর্শ ও পর্যালোচনা
তৈমুর খান
আবদুস সালাম
মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন
আমির হোসেন
আবুল খায়ের নাঈমুদ্দীন
করবী মন্ডল
হুসাইন দিলাওয়ার
আবু জাফর শিকদার
অধ্যক্ষ আনোয়ার আল ফারুক
তানজারীন ইফফাত স্বাতী
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন
মুহিব্বুল্লাহ কাফি
ডা. শওকত আলম
রানা জামান
কবিতা সুলতানা
কমল কুজুর
মোস্তফা হায়দার
মজনু মিয়া
বিপ্লবী কন্ঠ
আমীর হোসেন
..................................................
 
মোলাকাতের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি চিঠি
 
মোলাকাত এর তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পত্রিকা কর্তৃপক্ষ ও সমস্ত লেখক লেখিকাদের আমার আন্তরিক অভিবাদন জানাই। মোলাকাত নেট ম্যাগাজিন হলেও এর অনপনেয় ব্যাপকতা সম্প্রতিককালে কেউ এড়িয়ে যেতে পারবে না। প্রথম থেকেই লক্ষ করেছি, ম্যাগাজিনের নিরপেক্ষতা, রুচিবোধ, আন্তরিকতা এবং দেশকাল নির্বিশেষে সব শ্রেণির সাহিত্যকর্মীকে সমমর্যাদায় উত্তরণ ঘটানোর প্রয়াস।
 
কত সাহিত্যিক যাঁরা পাঠকের সামনে আসতেই পারেননি অথবা আসার সুযোগ পাননি মোলাকাত তাঁদের প্লাটফর্ম হয়ে উঠেছে। তেমনি বিশ্বের বিভিন্ন সাহিত্যকর্মকে পত্রিকায় স্থান দিয়ে খুব সহজেই পাঠ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। বিদেশী সাহিত্যের অনুবাদ এবং দেশীয় প্রাচীন সাহিত্যের পুনর্মূল্যায়ন, নতুন সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্ম প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই গভীর তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে প্রকাশিত হয়েছে। আশ্চর্য হয়েছি পত্রিকা কর্তৃপক্ষ তথা সম্পাদক মহাশয় এর অতন্দ্র প্রখর দৃষ্টির কারণেই তা সম্ভব হয়েছে বলে।
 
বাংলা কথাসাহিত্যিক এবং বিখ্যাত কবিদের বিখ্যাত সৃষ্টিকর্ম বিভিন্ন সময়ে তা নতুন করে আলোকিত করেছে পাঠককে। একসঙ্গে হাতের কাছে যেন একটা লাইব্রেরির দেখা পেয়েছি। প্রতিটি লেখা পরিবেশনের ক্ষেত্রেও নান্দনিক সৌন্দর্যের অবতারণা গভীর তাৎপর্যবাহী হয়ে উঠেছে। লেখার সঙ্গে লেখক এর পরিচয়, ছবি ও জীবনীও বেশ কৌতূহলী করে তুলেছে। সাহিত্যের সমস্ত শাখাতেই বিচরণ করার এবং মুক্তভাবে মতামত জানানোর সুযোগ এবং পাঠক ও লেখককে একসূত্রে গ্রন্থিত করার এমন সাধু প্রয়াস খুব কমই দেখা যায়।
 
ভবিষ্যতে মোলাকাত আরো সমৃদ্ধ হোক এবং বই প্রকাশে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করুক এটাই চাইছি। যে লেখাগুলো প্রকাশিত হলো তা যেন হারিয়ে না যায়। নেটের সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশিত গ্রন্থেও তা আবদ্ধ হোক অর্থাৎ মুদ্রিত হোক। বাংলা সাহিত্য কত সমৃদ্ধ, কত দৃপ্ত এবং প্রদীপ্ত তা আগামী প্রজন্ম জানুক।এক একজন লেখক কবির একে একটি অ্যালবাম হয়ে উঠুক মোলাকাতের লাইব্রেরি।
 
তৈমুর খান
 
..................................................
 
সুজনেষু
আসসালামো আলায়কুম। একরাশ আসন্ন শীতের কুয়াশা মাখা শুভেচ্ছা। মোলাকাত এর তৃতীয় জন্ম দিনে আমার শুভেচ্ছা।
 
সুজনেষু
প্রিয় মোলাকাত। অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা। প্রিয় মোলাকাত এর জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করে দিতে মন চায়। মোলাকাত আমার প্রাণের খুব কাছের আসনটা পাকা করে নিয়েছে তা উৎকণ্ঠে ও ঐকান্তিক সংবেদনায় ।
 
পত্রিকার আকাশে মোলাকাত আজ ধ্রুবতারার মতো জ্বল জ্বল করছে তাতে সন্দেহ নেই। সবে হামাগুড়ি দিতে যাওয়ার বয়স এখন। একটা পত্রিকার তিনটি বৎসর মানে একেবারে শৈশব অবস্থা। তার তো হামাগুড়ির দেওয়ার সময়।অথচ মোলাকাত একটা বলিষ্ঠ সাবালকের মতো দুরন্ত। এক্ষুনি যেন যৌবন এসে গেছে সর্ব শরীরে। প্রতিযোগিতার মাঠে কায়িক পরিশ্রম, সঙ্গে মেধা মননের যে প্রতিযোগিতা চলছে তা আসলে নিজের সঙ্গে নিজের প্রতিযোগিতা।
 
আস্তে আস্তে তরুণ সম্পাদক আফসার নিজাম ভাইয়া যেন বাল্মিকী হতে চলেছেন। তার অকুণ্ঠ প্রয়াসকে স্বাগত জানায়। মোলাকাত আমাদের স্বভাব অভিমান আঁকুক এই আমাদের চাহিদা। মোলাকাত শ্বাশ্বত মূল্যায়নের অনেক নতুন অভিমুখের সন্ধান করছে।
 
অসাধারণ প্রচ্ছদ আর অলঙ্করণ। অসাধারণ তার গদ্য বিভাগ।প্রায় নির্মেদ বিজ্ঞাপন শূন্য। বিন্দুবৎ ভাঁড়ামি আর অযোগ্যতার উল্লাসকে পাত্তা না দিয়ে সর্বস্তরের কবি সাহিত্যিক ও পাঠকবৃন্দের হৃদয় স্পর্শ করতে পেরেছে। প্রতিটি সংখ্যায় এপার বাংলা ওপার বাংলা মিলে বহু কবি সাহিত্যিককে কাছে টেনে নিচ্ছে। এটা সার্বিক যোগ্যতা এবং বিস্তৃতি ও আত্মস্ফুরণের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে আমাদের প্রাণের মোলাকাত। মোলাকাত তার অল্প যাত্রা পথ অতিক্রম করেই এনে দিয়েছে মনিমানিক্য খচিত কবিতা, প্রবন্ধের মতো সব রত্ন সম্ভার।
 
সিরিয়াস লিটল ম্যাগাজিন এর জগতে যে মোলাকাত আজ সর্বজন চর্চিত নাম তার বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রবন্ধের বিভাগ যথেষ্ট সমৃদ্ধ। এপার বাংলার বিশিষ্ট কবি ও প্রাবন্ধিক আবু রায়হান, তৈমুর খান ওপার বাংলার কয়েক জন যেমন সোলায়মান আহসান, হামিম রায়হান প্রাবন্ধিক এর লেখা যথেষ্ট সমৃদ্ধ। কবিতা বিভাগে অনেক কবির কবিতা উন্নত মানের। সব মিলিয়ে পত্রিকার সামগ্রিক রূপ সবার হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
 
মোলাকাত মে রানার এর মতো নতুন বার্তা পৌঁছে দেয়ার দ্বায়িত্ব নিয়ে বসে আছে। সূর্যমশাল হাতে নিয়ে পৃথিবী প্রদক্ষিণ নিয়েছে শপথ।বড্ড কঠিন এই পথ। তবু অলিম্পিক ওয়ার্ল্ডের পথে ছুটে চলেছে নিরলস প্রচেষ্টায়। ধ্রুবতারা হয়ে মোলাকাত পত্রিকার আকাশে জ্বল জ্বল করুক আর নতুন প্রতিভা তুলে আনতে সচেষ্ট হউক এই আমাদের প্রত্যাশা। মোলাকাত হয়ে উঠুক একটা নতুন প্রতিভা তুলে আনার প্লাটফর্ম, প্রতিষ্ঠান। আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই প্রিয় তরুণ তুর্কী সম্পাদক আফসার নিজাম ভাইয়াকে।
 
শুভেচ্ছান্তে আবদুস সালাম
প্রয়াস শ্রীকান্ত বাটি মাদারল্যান্ড
ডাক রঘুনাথ গঞ্জ
মুর্শিদাবাদ ৭৪২২২৫
..................................................
 
উড়ে উড়ে মোলাকাতের পথ চলা
 
ঠিক এ মুহুর্তে শিল্প, সাহিত্য ও সংষ্কৃতি বিষয়ক যে কয়েকটি পাঠক প্রিয় অনলাইন ভিত্তিক পত্রিকা রয়েছে তার মধ্যে মোলাকাত একটি। একে সম্ভবত জনপ্রিয় বা গুণগত মানে শ্রেষ্ঠ বলার উপায় নেই। কেনন, শিল্প ও সংকৃতিকে ধরে রাখতে হলে ধীরে ধীরে গভীর নদীর মত নিরবিচ্ছিন পথ চলায় অভ্যস্থ হতে হবে। আর জন্য প্রকাশক তথা সম্পাদকবৃন্দ, লেখকবৃন্দ এবং পাঠককুলের ত্রয়ী আন্তরিক কর্মই যথেষ্ট।
 
পত্রিকার ভাল-মন্দ নির্ণয়ে তিন বছর কিছুই নয়। এরপরও এর হাটার ভঙ্গি বলে দিবে আগামীর সূর্য কোন পথে আলো দিবে। যদিও মোলাকাত চেষ্টা করছে তবুও কোথায় যেন একটু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে লেখা প্রকাশে দু’টি বিষয় পত্রিকাটিকে খেয়াল রাখা দরকার । এক, যে কোন লেখাই যেন প্রকাশিত না হয়। অর্থাৎ গল্প, কবিতা বা প্রবন্ধ বা অন্য কিছু যাচাই করা দরকার । সমাজ সংস্কার বা পরিবর্তনে সে লেখার কোন ভুমিকা থাকবে কি! দুই, বানান রীতির প্রতি আরো যত্নশীল হওয়া। একজন লেখকের বানান ও বাক্য গঠনরীতির উপর কলম চালানোর অধিকার বোধকরি সম্পাদকের আছে।
 
মোলাকাতের সব চেয়ে ভাল দিক হলো দু’টি। এক, বাংলা সাহিত্যের ধারাবাহিক পথ চলার প্রতি সম্মান রেখে কালজয়ী সাহিত্য কর্মকে পাঠকের সামনে হাজির করছে। যেমন, বিষাদ সিন্ধু ও আনোয়ারা উপন্যাসের ধারাবাহিক প্রকাশ। দুই, তরুণদের আগামীর প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।
 
পত্রিকটি আরো ভাল করবে যদি বাংলা সাহিত্যের ইংরেজি অনুবাদ নিয়মিতভাবে প্রকাশ করে। কেননা, এ প্রকাশের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য বিশ্ব দরবারে আপন মহিমায় জ্বলে উঠবে।
 
পরিশেষে পত্রিকাটির সাফল্য কামনা করি এবং পাঠককূলের ভালবাসায় সিক্ত হোক।
 
মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন
সহকারী অধ্যাপক
ইংরেজি বিভাগ
নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ
..................................................
 
কখনো যেন থেমে না যায় ‘মোলাকাত ডট কম’ নামের আলোর মিছিল
 
মানব পরিচয়ের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল-মানুষের আছে জীবনবোধ তথা মননবোধ। এই মননবোধের সুবিস্তৃত পাখায় ভর করে কোন কোন মানুষ বিচরণ করেন সৃষ্টিশীলতার অপার সাম্রাজ্যে। ভাবনার শৈলিতে ডুব দিয়ে জীবন সমুদ্রের নীতল গহবর থেকে তুলে আনেন সৃজন মনি-মুক্তা-যা অন্যান্য মননশীল মানুষের চিত্তবিকাশে প্রবাহিত করে অমীয় ফগ্লুধারা। মানুষই একমাত্র বুদ্ধিবৃত্তিক প্রাণি এবং মনন, মনীষা, জ্ঞান, প্রজ্ঞা ইত্যাদির অধিকারী। মানুষই উপলদ্ধি করেন জগৎ ও জীবনে সুখ-দুঃখ-হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, প্রণয়, বিরহ-বিচ্ছেদ, সামাজিক, পারিবারিক, প্রাকৃতিক ইত্যাদি বিষয়গুলিকে। যিনি দেখেন তৃতীয় নয়ন দ্বারা, উপলদ্ধি করেন এবং তার হৃদয়ের কন্দরে কন্দরে সঞ্চিত ভাবগুলিকে মস্তিস্ক যন্ত্রের দ্বারা শুষে নিয়ে অমৃত রসের ন্যায় ফোঁটায় ফোঁটায় প্রকাশ করেন তিনিই লেখক বা সাহিত্যিক। সাধারণের ভিরে থেকেও তিনি অন্যরকম মানুষ। তিনি মানুষের সামাজিক, পারিবারিক ও হৃদয়ভিত্তিক বিষয়গুলিকে তাঁর মানসচক্ষে এঁকে নিয়ে মানুষের জীবনের তলদেশে যে নিভৃত ফগ্লুধারাটি প্রাবাহিত তা দেখিয়ে দেন। তিনি দেখান-ঘরের কোণে, নদীর ঘাটে ঘাসের উপর তুচ্ছ পরিচিত আবেষ্টনে কত সহস্র ঘটনা খুঁটিনাটি উপলক্ষ করে আমাদের জীবনের বিচিত্রি আশা-আকাক্সক্ষা অবিরত স্পন্দিত হয়। অসংখ্য ক্ষুদ্র বিক্ষোভে আন্দোলিত হয়-আলোড়িত হয়। তিনি তাঁর চিত্তের অপূর্ব সুগভীর, সহজানুভূতি ও সূক্ষè অন্তর্র্দৃষ্টি দিয়ে আমাদের জীবনের নিভৃতে গোপন প্রবাহটি আবিস্কার করে তাকে ভাব ও জগতের অন্তর্গত ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়াবলির সন্ধান দিয়ে আমাদের বিমুগ্ধ করে তুলেন।
 
আমরাও বিশ্বাস করি সাহিত্য মানুষের আত্মার সঙ্গে আত্মার কিংবা হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়ের মেলবন্ধনের এক সূক্ষè অভিক্ষেপ। দৈহিক বিকাশ এবং স্বাস্থ্যের জন্য যেমন সুষম খাদ্য অতি প্রয়োজন তেমনি মানুষের চিত্তের পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য প্রয়োজন সাহিত্য। মানুষের জীবনধারা এবং জীবন চর্চার মধ্যে নিবিড় প্রলেপের মতো মিশে আছে সাহিত্য। সাহিত্য মানুষের মনকে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত করে রাখে। তাই সৃজলশীল লেখকের সাহিত্য সৃষ্টির ভান্ডারকে পাঠকের কাছে উপস্থাপন করা অতীব জরুরী ও কল্যাণমুখী কার্যক্রমের আওতাভূক্ত বলে আমি মনে করি। কল্যাণমুখী এ কার্যক্রমের মহতী উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যায় বিভিন্ন প্রকাশনার মাধ্যমে সম্মানিত প্রকাশক-সম্পাদকগণ। তেমনি একটি শুভচিন্তা ও কল্যাণকর দৃষ্টিভঙ্গির প্লাটফরম নিয়ে গত তিনটি বছর যাবৎ কাজ করে যাচ্ছেন ‘মোলাকাত ডটকম’ এর সম্পাদক সুপ্রিয়-সুহৃদ আফসার নিজাম ও নির্বাহী সম্পাদক হাসান রুহুল স্বজনেষুগণ। ‘মোলাকাত ডটকম’ একটি অনলাইন ভিত্তিক ম্যাগাজিন। অর্থ্যাৎ এর সফট কপি প্রকাশিত হয় লক্ষ পাঠকের প্রাণের দাবি নিয়ে অসংখ্য লেখকের উচ্ছাস মিশ্রিত সৃজনশীল লেখার পসরা সাজিয়ে। যেখান থেকে সৃজনশীলতার মনি-মুক্তা আহরণ করে চিত্ত-বিত্তের অধিকারী মননশীল পাঠকগণ। মোদ্দাকথা হল প্রকাশনার কপি সফটই হোক আর হার্ডই হোক মৃত্যুর পরোয়ানা মাথায় নিয়েই প্রতিটি সাহিত্যের কাগজের জন্ম হয়। প্রায়শই দেখা যায় অল্প-বিস্তর এগুনোর পরই বা প্রকাশের পরই মুখ থুবড়ে পড়া অনিবার্য হয়ে পড়ে এসব প্রকাশনার। অবশ্য সেই ক্ষণজন্মা বা স্বল্পায়ু নিয়ে জন্মগ্রহণ করেও কিছু কিছু প্রকাশনা সমকালীন সাহিত্যাঙ্গনে নতুন কিছু করা বা বিপ্লবের দাবি রাখে। অবশ্য নতুন কিছু করা বা বাঁক পরিবর্তনের ব্রত নিয়েই বিশেষ করে প্রতিশ্রুতিশীল তরুণরা এসব প্রকাশনা প্রকাশে উদ্যোগী হন। সে ক্ষেত্রে বুদ্ধদেব বসু কিংবা আব্দুল্লাহ আবু সায়িদ সম্পাদিত কবি এবং কন্ঠস্বর ঐতিহাসিক ও জ্বাজল্যমান। তারই ধারাবাহিকতায় লেখক-পাঠকের প্রাণের দাবি মেটাতে নিরবিচ্ছন্নভাবে প্রকাশিত হয়ে যাচ্ছে ‘মোলাকাত ডটকম’ নামের অনলাইন মাগাজিনটি। এবং সাহিত্যের আবরণে আবৃত, ইতিহাসকে ধারণ করার সাধনায় এবং সমকালীন সামাজিক চেতনায় রুচিবোধ সঞ্চারণের দীর্ঘ প্রয়াস লক্ষ্য করা যায় এ প্রকাশনায়। ইতিহাসের প্রাচীর ডিঙিয়ে, ঐতিহ্যের মর্যাদায়, মহামানবদের আত্মত্যাগের সত্যকে সত্য বলার সাহস, এক সাগর রক্তের দামে কেনা অর্জিত স্বাধীনতার মূল্যবোধ, বর্তমান প্রজন্মের কাছে জ্বালিয়ে রাখার এক দীর্ঘ প্রয়াস  ‘মোলাাকাত ডটকম’।
 
শিল্প-সাহিত্য, ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিক্ষা, সমকালীন সামাজ ভাবনা ও মনস্তাত্ত্বিক লেখা এবং গল্প-কবিতার সু-বিন্যাসে সজ্জিত এ  ম্যাগাজিনটিকে ঝাঁক ঝাঁক কলম সৈনিক গত তিন বছর যাবৎ তাঁদের নির্মোহ-মূল্যবান লেখায় স্বার্থক ও সফল করেছেন। ঝাঁক ঝাঁক কলম সৈনিদের নির্মোহ-মূল্যবান লেখাগুলিকে আধুনিক প্রদ্ধতিতে সুরুচি ও বিষয় সংশ্লিষ্ট শৈল্পিক মান সম্পন্ন প্রচ্ছদসহ দ্রুতগতিতে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার (পাঠকও অতি সহজে একটি সৃজনশীল লেখাকে হাতের নাগালে পাচ্ছে) যে মহতী কার্যক্রমে যুক্ত আছেন ‘মোলাকাল ডটকম’ পরিবার সেজন্য এর সম্পাদক-প্রকাশকসহ সকল কলা-কুশলিগণকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
 
‘মোলাকাত ডটকম’ প্রকাশনার মহান কর্মযজ্ঞকে আগামী দিনগুলিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি উদাহরণের অবতারণা করছি-মহান স্রষ্টা আমাদের হাত, পা, চোখ, নাক, কান, মুখ সব কিছুকেই সামনের দিক দিয়ে দিয়েছেন। মানুষের সমাজও অতীত থেকে যতই ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, শিল্প-সাহিত্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি ততই সমাজকেন্দ্রিক হয়ে ওঠছে। সাহিত্যের ধারণাও এভাবে মানুষের বাস্তব জীবনের প্রস্তুতি ও জীবন যাপন প্রক্রিয়ার সঙ্গে অধিকতর সম্পৃক্ততা লাভ করেছে। তাই ‘মোলাকাত ডটকম’ প্রাণের আবেগে মঞ্জুরিত-বিকশিত হয়ে চন্দন গন্ধে সুবাসিত করে তুলুক চারপাশ। ফল্গুধারার মতো প্রবাহিত হয়ে বিমোহিত করে তুলুক লেখক-পাঠকের মননভূমি।
 
সাহিত্যই সুন্দরতর, উন্নততর জীবন ও সমাজ গঠনের প্রধান হাতিয়ার এ পরম সত্যটি প্রতিনিয়ত আমাদের সামনে অনন্য আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠছে। সমাজের একটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে সাহিত্য সমাজবিকাশের মাত্রা ও গতির ধারায় বিকশিত হয়ে এর লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যেও এধারার নির্ধারিত ও পুন:নির্ধারিত হচ্ছে। সুতরাং মানুষের সভ্যতা, তার জ্ঞান-বিজ্ঞান, জীবন-দর্শন, সমাজব্যবস্থা, রুচি-পরিবেশ, এমনিকি প্রাত্যাহিক জীবনযাত্রা প্রণালী সবই তার শিল্প-সাহিত্য, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও শিক্ষার ফল, তার আকাক্সক্ষা ও অধ্যবসায়ের ফসল। অপরপক্ষে, কোন সমাজের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি সে সমাজের সামগ্রিক জীবনযাত্রা প্রণালী ও আদর্শের প্রতিচ্ছবি।
 
এ প্রতিচ্ছবিকে ঝকঝকে আয়নার মতো পাঠকের সামনে তুলে ধরতে যেন সর্বদা ব্যপৃত হয়ে সম্পাদক-প্রকাশকগণ নিরলসভাবে এগিয়ে চলেন সে প্রত্যাশা মনের গহীন-গভীরে লালন করি। কখনো যেন থেমে না যায় ‘মোলাকাত ডটকম’ নামের লেখক-পাঠকদের এ আলোর মিছিল। কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি মহান স্রষ্টা যেন সদা তাঁর অলৌকিক হাত সেদিকে প্রসারিত রাখেন। ‘মোলাকাত ডটকম’  যেন সৃজনশীল লেখকগণের আদর্শ প্লাটফরম এবং মননশীল পাঠকদের জ্ঞান-তৃষ্ণার চারণভূমি হিসেবে দীর্ঘজীবন লাভ করে। বসরার সব গোলাপ ঝরে পড়ুক ‘মোলাকাত ডটকম’ নামের প্রকাশনাটির সুবিশাল ভেদীতে।
 
আমির হোসেন
কবি, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক
..................................................
 
মোলাকাত সমাদৃত ও অনন্য ম্যাগাজিন
 
অনলাইন ম্যাগাজিন "মোলাকাত ডটকম" বর্তমানে খুব জনপ্রিয় ও প্রয়োজনীয় পত্রিকা। এতে লিখা প্রকাশের ফলে যেমনি নতুন লেখক তৈরী হচ্ছে তেমনি সাধারন লোকের চোখে ধরা পড়ছে মানুষের মনের আয়না রূপে। কেউ কিছু পড়ার জন্য আগ্রহ করে বসে থাকে, আবার কারো ইচ্ছা না থাকলেও তার চোখের সামনে চলে যাচ্ছে জাতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ লিখা গুলো। একেক জনের লিখা পড়ে পড়ে পাঠক নিজেই লিখক হয়ে যাচ্ছেন। ফলে সম্প্রতি অসংখ্য নতুন লিখকের লিখা দেখতে পাচ্ছি। "মোলাকাত" না হলে হয়তো তা দেখতে পেতাম না। এতে আমার অনেক লিখা প্রকাশিত হয়েছে মোলাকাত না হলে হয়তো তা হতো না। অনেকগুলো বই আছে আমার কিন্তু তা এমন প্রচার হয়নি। হাজার খানেক পাঠকের দৃষ্টি পড়েছে আমার এখানকার একেকটি লিখায়। বইয়ের চেয়েও বেশি সাড়া পেয়েছি মোলাকাত ডটকমে।
 
বিশেষ করে এটি একটি সেতু বন্ধনের কাজ করছে। দেশি বিদেশি যেসব লেখকের লিখা আমরা অনুবাদ করে পড়তে পারিনি এবং অনুবাদ করা বই কিনে পড়তে সুযোগ পাইনি সেসব বই এখন অনায়সে পড়তে পারছি। বহু উচু মানের লেখকের লিখা সম্পাদক মহোদয় নিজ থেকে প্রকাশ করে দেয়ার ফলে বহু গুরুত্বপূর্ণ লেখা পাঠকের চোখের সামনে চলে এসেছে। কতগুলো ভ্রমণ কাহিনী আমার মনে গেঁথে গেছে। কতজন লিখকের সাথে নতুন করে পরিচিত হয়েছি। কতজনকে নামে চিনতাম কিন্তু ছবি দেখিনি মোলাকাতের সৌজন্য তাদের ছবি দেখেছি। কারো কারো সাথে কথাও হয়েছে।
 
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, কবি সাহিত্যিকগণ এখানে লিখে থাকেন। তাঁদের লিখা বই প্রকাশ- সমালোচনা সবই এক নজরে দেখা যায়।
 
বৃষ্টি পড়ে ধুমধাম, সৃষ্টি হয় অবিরাম। সৃষ্টিই শ্রেষ্ঠ" এই লক্ষ্যে সবাই পাঠক হোন সবাই লেখক হোন। সবাই সৃষ্টি করুন। মোলাকাত হয়ে ওঠুক বিশ্ব নন্দিত সমাদৃত।
পরিশেষে সম্পাদকের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করে ইতি টানছি।
 
আবুল খায়ের নাঈমুদ্দীন
..................................................
 
মোলাকাত ডটকমের তৃতীয় বার্ষিকী প্রতিষ্ঠা।
 
মাননীয় শ্রী সম্পাদক আফসাম নিজাম সমীপে।
মোলাকাত ডটকমের তৃতীয় বার্ষিকী প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রাক্কালে, কয়েকটি মতামত পোষণ অবশ্য কর্তব্য।
সদ্যোজাত মোলাকাত ডটকম গুটিগুটি পায়ে তৃতীয় বর্ষের পদার্পণ করল।
 
একটি ম্যাগাজিন স্থায়িত্ব এবং শ্রীবৃদ্ধি লাভ করে তার লেখনীর বিভিন্ন আঙ্গিকের দৃষ্টিভঙ্গির উপর। সমাজের সর্বস্তরের লেখনি উপস্থাপিত থাকলে পাঠক সংখ্যা অনেক বাড়বে যেমন শুধুমাত্র গল্প, কবিতা নয়। লেখা হোক ভ্রমনমূলক, খেলাধুলা সমাজের ভালো-মন্দ রাজনীতি অর্থনীতি সামাজিক পরিকাঠামো বিষয়ক, লেখক এর লেখনী হোক অস্ত্র সমান, আমার জানার পরিধী খুব বেশি নয়। তবে মোলাকাত ডটকমের শ্রীবৃদ্ধি সর্বান্তকরণে চাই, তাই সামান্য মতামত পেশ করলাম।
 
ধন্যবাদান্তে
 
করবী মন্ডল
..................................................
 
মোলকাত সৃজনশীল মানুষের স্বপ্ন সরোবর
 
সাহিত্য যাপিত জীবনের কথা বলে। দর্পণে যেমন নিজের চেহারা প্রতিবিম্বিত হয়, তেমনি দেশ, জাতি ও  সমাজের চলমান ঘটনার বর্ণনা, সমকালীন ঘাত প্রতিঘাত, চিন্তাচেতনা, জাতীয় স্বার্থের দিক নির্দেশনা পাওয়া যায় সাহিত্যে। সৃজনশীল মানুষ মাত্রই তার সৃজনকর্ম প্রকাশে উদগ্রীব। তাই প্রকাশ উন্মুখ সৃজনশীল মানুষের স্বপ্নের ঠিকানা, তরুণ সম্পাদক আফসার নিজাম সম্পাদিত অনলাইন সাহিত্য পোর্টাল 'মোলাকাত ডটকম'। ইতোমধ্যে 'মোলাকাত ডটকম' প্রতিশ্রুতিশীল কবি-সাহিত্যিক ও বোদ্ধাদের বৃহৎ প্ল্যাটফর্মে পরিণতি পেয়েছে। মানসম্মত লেখা, নান্দনিক প্রচ্ছদ আর পোর্টালের সুবিন্যস্ত পারিপাট্য হৃদয় কেড়েছে শিল্প সাহিত্যানুরাগীদের।
 
'মোলকাত' শুধু সাহিত্য সংস্কৃতির মুখপত্রই নয় বরং আমার মতো হাজারো তরুণ নবীন লেখকের স্বপ্ন সরোবরে পরিগনিত হয়েছে । মাত্র তিন বছরেই মোলাকাত সাহিত্য জগতের উন্মুক্ত গগনে নিজের স্থান করে নিতে পেরেছে। নান্দনিকতায়, শোভনে, পারিপাট্যে ইতোমধ্যেই দুই বাংলাতেই সাড়া ফেলেছে 'মোলাকাত ডটকম'।
 
মোলাকাত ডটকমের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এইক্ষণে সংশ্লিষ্ট সকলকে জনাই হেমন্তের আবির রাঙানো একরাশ শিশিরসিক্ত শিউলি কামিনীর শুভেচ্ছা।
 
আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী- 'মোলাকাত ডটকম' তার স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে, জাতির প্রতি দায়বদ্ধতার পুঁজিকে কাজে লাগিয়ে প্রকাশনা জগতের মাইলস্টোন ছুঁয়ে যাবে। কালের প্রবাহে মোলাকাতের যাত্রা থাকবে সম্মুখে, ধাবিত হবে নিরন্তর। সৃজনে, নান্দনিকতায়, শোভন প্রকাশনায় 'মোলাকাত' হবে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের সার্বজনীন সৃজন কেন্দ্র ।
 
হুসাইন দিলাওয়ার
লেখক ও সংগঠক
dalowardcc@gmail.com
..................................................
 
মোলাকাত যে লক্ষ্য উদ্দ্যেশকে সামনে নিয়ে দু বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, নিঃসন্দেহ তা অর্জনে কিছুটা পথ এগিয়ে গেছেন কিন্তু মঞ্জিল তো বহু দূর!
 
সাফল্য বলতে, বিশেষসংখ্যাগুলো নিঃসন্দেহে আকর্ষণী ও সমৃদ্ধ ছিলো, প্রচ্ছদ ও অঅলঙ্করণ চমৎকার ছিলো!
 
তবে তারা যে উৎসাহ উদ্দিপনা নিয়ে যাত্রা করেছিলো, আজ তৃতীয় বর্ষের সূচনা লগ্ন এসে তারা কি পরিতুষ্ট? নিশ্চয় নয়। বরং আমি বলবো তাদের যাত্রার গতি বেশ শ্লথ হয়ে পড়েছে! অনেকটা খরগোশের ঘুমিয়ে পড়ার মত না হলেও সার্বিক তৎপরতা বহগুণে কেবল পাঠক ও লেখকের ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর নির্ভর হয়ে পড়েছে!
 
কিন্তু আপনারা নিশ্চয় ভালো জানেন, প্রথম পর্যায়ে আপনার পাঠক ও লেখকের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টায় বেশ সক্রিয়তা দেখাতে পেরেছিলেন। পরে তা ধীরে ধীরে বেশখানিক স্তমিত হয়ে পড়েছে বলেই আমার কাছে, অন্তত মনে হয়েছে! বিশেষ করে ভালো লেখক কবিদের লেখা সংগ্রহে আপনাদের যেমন কিছুটা দায়িত্ব নিতেই হবে, ভালো মান উত্তীর্ণ লেখা ছাপানোর দায়ও আপনাদের উপর বর্তায় বটে! কেবল লেখকগন লেখা নিজ গরজে পাঠাবেন, সেই প্রতীক্ষায় প্রহর গুনলে বোধ হয়, এই প্লাটফর্মটাকে গ্রহণযোগ্য করে তোলা সহজ হবে না! এটা একটি ধারাবাহিক সাফল্যের ব্যাপারও বটে!
 
আমরা পাঠক সমাজ আশা করবো মোলাকাত স্বমহিমায় সমুজ্জ্বল হোক ও দিপ্তি ছড়াতে ছড়াতে এগিয়ে যাক।
 
প্রিয় সম্পাদক ও অন্যান্য সকল কলাকুশলীর সর্বাঙ্গীণ সুস্থতা ও সাফল্য কামনা করছি এবং প্রত্যাশা করছি, আমরা একটি চমৎকার অনলাইন সাহিত্য পোর্টাল এ লেখার পড়া ও লেখা দেয়ার মতো আগ্রহী হয়ে উঠতে পারবো।
 
আগামী আরও সুন্দর ও শুভ হোক।
 
আবু জাফর শিকদার
..................................................
 
'মোলাকাত' বাংলাসাহিত্য অঙ্গনে আলোক বর্তিকা হয়ে বেঁচে থাক স্বমহিমায়
 
মোলাকাত'র আত্মপ্রকাশের ঠিক শুরুর দিকের কথা। কেউ একজন (নামটা ঠিক এই মহুর্তে মনে পড়ছে না) মোলাকাত ফেসবুক আইডিতে ইনভাইট করলেন। ব্যস্ততার মাঝেও সময় নিয়ে ঘুরে এলাম মোলাকাত অনলাইনে। শুরুর দিকে অতটা সাজানো ছিল না তবুও একটা অদৃশ্য ভালোবাসার বাঁধনে আটকে যাই মোলাকাত'র প্রেমময় বাহুডোরে। ভালোলাগার অনুভূতিগুলোকে জড়িয়ে নিই মোলাকাত'র সাথে। দিনে যতবার অনলাইনে আসতাম ঠিক ততবারই বলা যায় মোলাকাতে ঘুরে আসতাম এবং যা এখনো অব্যহত আছে আর ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশা আল্লাহ। সম্পাদক আফসার নিজাম ভাই সুযোগ্য সম্পাদনার দক্ষ হাতের চাপে বাংলাসাহিত্যকে দেখতে পাচ্ছি একটা স্বচ্ছ আয়নায়। খুব অল্প সময়ে বাংলাসাহিত্যের নামকরা সাহিত্যিকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে আজকের এই মোলাকাত। মোলাকাত'র দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা ছিল বাংলাভাষাভাষীদের একটা মার্জিত রুচিশীল ফ্লাটফরমে একত্রিত করা। আমার ক্ষুদ্র মূল্যায়নে যেটুকু দেখছি বুঝছি আর অনুধাবন করছি মোলাকাত পরিবার নিজেদের পরিকল্পনায় অনেকটা সফলও হয়েছেন। বাদবাকি সফলতার মুখও দেখবেন এটা আস্থা ও বিশ্বাসের সাথে বলতে পারি। গন্তব্যের ঠিকানা আরো অনেক-দূর। মোলাকাতকে পাড়ি জমাতে হবে অনেক সু-দূরে। অল্প সময়ে দু'বাংলার প্রবীণ নবিন সাহিত্যকরা যুক্ত হয়েছেন এই মার্জিত রুচিশীল ঠিকানায়। মোলাকাত'র সুবাধে লেখক পাঠকের মাঝে জানাজানি ও মেলবন্ধনের সৃষ্টি হয়েছে। খুব কাছ থেকে প্রবীণ নবীনের জানাজানি পরিচয় হচ্ছে এবং হবে। প্রিন্ট পত্রিকার ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত দেখি বিভাগীয় সম্পাদকগণ প্রবীণদের লেখা অগ্রাধিকার দেন। অনেক ক্ষেত্রে মুখচেনা লেখকদের বাইরে নতুন লেখকদের লেখা ছাপেন না বা ছাপতে চানও না। প্রিন্ট পত্রিকায় নবীনদের জায়গা খুব কম হয়। প্রিন্ট পত্রিকায় নবীনরা তাদের ধৈর্য্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতেই বিশাল একটা সময় লেগে যায়। এতে অনেকের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটে মাঝপথে হারিয়েও যায়। আমার কথাই বলি, লেখালেখি করি নব্বইর দশকের মাঝামাঝি থেকে। শুরুতে ছড়া কবিতা লেখতাম। গল্প খুব একটা লেখা হত না। গল্পসহ সাহিত্যের অন্যান্য শাখায় লেখালেখি শুরু করছি এইতো ২০০০ পরবর্তী সময়ে। আমার ছড়া কবিতা লেখালেখি শুরুটা সচিত্র মাসিক পত্রিকা ফুলকুঁড়ি আর কিশোরকন্ঠ দিয়ে। আবার বেশ কিছু স্থানীয় পত্রিকায় মাঝে মধ্যে লেখা ছাপলেও জাতীয় দৈনিকগুলো তখন কোন লেখা ছাপতো না। মাঝে মাঝে সাপ্তাহিক সোনারবাংলার পাতাবাহার নামক শিশু কিশোর পাতায় কিছু লেখা ছাপতো। এখানে একটা কথা বলে রাখি লেখালেখির শুরুতে অন্ত্যমিলকেই ভাবতাম ছন্দ। সত্যিকার ছন্দের কোন জ্ঞান আমার ছিল না তদাপিও শুরুর লেখাগুলো স্বরবৃত্ত ছন্দের তালেই হত তবুও জাতীয় দৈনিকে ছাপা হত না। এখানে একটা মজার গল্প বলি, নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ের কথা মাসিক ফুলকুঁড়ির তৎকালিন সহকারী সম্পাদক প্রিয় কবি শরীফ আবদুল গোফরান ভাইকে নিজের কষ্টটা বলি যে অনেক বছর থেকে লেখালেখি করছি কিন্তু জাতীয় দৈনিকগুলো সেই লেখাগুলো ছাপে না। শরীফ ভাই হাসতে হাসতে বললেন লেখার তাল লয় ভাব বস্তু অন্ত্যমিল ভালই হচ্ছে বাট মাত্রার হেরফের আছে আর শিশু সাহিত্যের ক্ষেত্রে মাত্রার হেরফের ছড়া কবিতা সাধারণত পত্রিকায় ছাপা হয় না। শরীফ ভাইর এই কথা শোনার পর ভাবলাম আমি লেখাতে হয়ত অক্ষরের উপর মাত্রা দিতে ভুল করছি কিংবা অসাবধানতায় মাত্রা দিইনি কিন্তু বিভাগীয় সম্পাদকরা কতটা কিপটে যে একটা মাত্রা টেনে দিয়ে বুঝি লেখাটা ছাপতে পারেন না? এই ধারণা এই জন্য আমি ভাবতাম মাত্রাতো বর্ণের উপর যা টানা হয়। ৯৮ সালের ডিসেম্বর ঢাকার প্রত্যাশা প্রাঙ্গনে প্রিয় কবি ও গীতিকার মতিউর রহমান মল্লিক ভাই'র সাথে দেখায় এবং দীর্ঘ আলাপচারিতায় ছন্দমাত্রা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে পূর্বেকার ধ্যান ধারণা ভাবনার বিষয়ে ভিতরে ভিতরে কিনা সাংঘাতিক লজ্জা পেলাম। পরে নিজের চেষ্টায় ধীরে ধীরে ছন্দমাত্রার জ্ঞান অর্জন করলাম। নতুনভাবে লেখালেখি শুরু করলাম। অবশ্যই নব্বই দশকের শেষের দিকে এসে জাতীয় পত্রিকায় দু হাত মেলে সমসাময়িক বিষয়ে প্রবন্ধ ও কলাম লেখা শুরু করি। দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক সংগ্রাম, দৈনিক নয়াদিগন্তসহ অনেকগুলো জাতীয় দৈনিকে প্রবন্ধ কলাম লেখা ছাপা হত। কিন্তু সাহিত্য বিষয়ক কোন লেখা ছাপা হতো না। তখন বুঝতাম সাহিত্যের হাটে আমার ধৈর্য্য পরীক্ষা আরো দিতে হবে। বলে রাখি, মানবীয় দূর্বলতায় হতাশায় পড়লেও থেমে যাইনি কখনো। নিয়মিত লেখা পাঠাতেই থাকি। ধীরে ধীরে ধৈর্য্য পরীক্ষায় পাশ করতে থাকি। গত দশক থেকে জাতীয় দৈনিকের মূল সাহিত্যপাতাসহ শিশুকিশোর পাতায় নিয়মিত লিখছি। কথা বলছিলাম প্রিন্ট পত্রিকায় নবীনদের জায়গা প্রসঙ্গে। মোলাকাত অনলাইন সাহিত্য পত্রিকা বাংলাসাহিত্য বিকাশে এক অনন্য অবদান রাখছে এই কথা বলতে অত্যুক্তি থাকে না। আমার যতদুর জানা মোলাকাত'র সম্পাদকীয় নীতিমালা হল প্রবীণ নবীনের পদচারণায় মুখরিত হবে বাংলাসাহিত্যের অঙ্গন। তাই তারা প্রবীণ নবীনের মাঝখানের দীর্ঘ সময়ের চলে আসা অদৃশ্য দেয়াল ভাঙার মহান জিম্মাদারী হাতে নিয়ে পথচলা শুরু করছে। এই দিক থেকে বলতে পারি মোলাকাত পারিবার তাদের নির্ধারিত পরিকল্পনায় সফল। মোলাকাত'র হাত ধরে হাজারের কাছাকাছি নবীন সাহিত্যিক উঠে আসছে। যারা বর্তমানে খুব ভালো লিখছেন। নবীনরা লেখলেখিতে আস্থা বিশ্বাসের জায়গাটুকু খুঁজে পেয়েছে। পেয়েছে আত্মবিশ্বাস আর সুদৃঢ় মনোবল। একজন নবীন লেখক যখন দেখে কোথাও কোন প্রিন্ট পত্রিকায় কিংবা অনলাইন পত্রিকায় ছাপাক্ষরে তার লেখা প্রকাশ পেয়েছে তখন লেখালেখির প্রতি তার আগ্রহ বহুগুণ বেড়ে যায়। সে উদ্দীপ্ত হয়, লেখতে আগ্রহী হয়। এখানে আমি মনে করি নবীন লেখকের লেখাকে সম্পাদনা করে হলেও ছাপানো দরকার। এই জন্যই দরকার যেন সে ভালো লেখায় আগ্রহী হয়। প্রবীণ নবীনের এই দেয়াল প্রিন্ট পত্রিকায় যদি ভাঙতে পারত তাহলে বাংলাসাহিত্য বোধহয় তার কাংখিত মানযিলে আরো একধাপ অগ্রসর হতে পারতো। বর্তমানে যেসব নবীন লেখকরা অনলাইন অফলাইনে লেখালেখি করছে তারা অনেক ভালো লেখছে। যে মানের লেখা হয়ত শুরুতে আমরা অনেকে লেখতে পারিনি। নবীনদের মধ্যে শ'খানেক লেখকের নাম বলতে পারব যারা এখনো উচ্চমাধ্যমিক কিংবা স্নাতক লেভেলে পড়ছে কিন্তু খুব ভাল লেখালেখি করছে এবং তাদের রয়েছে যথেষ্ট ছন্দমাত্রার জ্ঞান। শব্দ চয়ন উপমায়ও রয়েছে বেশ পটুতা। যাদের দেখে ভবিষ্যত সাহিত্যাঙ্গনকে অনেক অনেক উজ্জ্বলই মনে হচ্ছে এবং এদের মাঝে প্রতিযশা সাহিত্যিক অপেক্ষা করছে এই আশা করতে পারি। আশারদিক হল  এখনকার শিশুকিশোর সাহিত্যের পাতাগুলোসহ প্রিন্ট ম্যাগাজিনগুলোও নবীনদের পদভারে মুখরিত। আশা করি মোলাকাত এই দিক থেকে অনুসরণীয় হয়ে উঠবে। প্রবীণ নবীন এই অদৃশ্য দেয়াল ভেঙে যাক। লেখার মানই হোক লেখা প্রকাশের সত্যিকার মানদন্ড। বর্তমানে বহু নবীন লেখকও যেমন খুব ভালো লেখেন আবার বহু প্রবীণের লেখার পাঠোদ্ধারাও অনেক সময় জটিল থেকে মহা জটিল হয়ে পড়ে। আসলে লেখালেখির বয়স লেখকের বয়স কোন মুখ্য বিষয়ই না। মুখ্য বিষয় হল লেখার মান, লেখার আবেদন ও গভীরতা। শুধুমাত্র প্রবীণ লেখক হওয়ায় প্রিন্ট পত্রিকার বহু লেখকের আবেদনহীন লেখা প্রকাশ হচ্ছে না এই কথা বিভাগীয় সম্পাদকগণ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন না বা বলার সুযোগ নেই। মাঝে মাঝে কিছু লেখা নজরে পড়ে যে লেখক অনাগত প্রজন্মের জন্য কী ম্যাসেজ দিচ্ছেন হয়ত তিনি নিজেও সেটা আঁচ করতে অক্ষমই হবেন। অন্যদিকে যৌণ সুঁড়সুঁড়িমুলক লেখাতো আছেই। যে লেখাগুলো তরুণ প্রজন্মকে সত্যিকার পথ দেখাতে বারবার ব্যর্থতার পরিচয়ই দিচ্ছে না উপরন্তু যুবসমাজকে ধংশের অতল গহ্বরে নিক্ষেপ করছে। এসব লেখায় অনাগত প্রজন্মকে কী বার্তা দিচ্ছে আর অনাগত প্রজন্মইবা কী শিখছে? এই লেখালেখি কী একসময় আমাদের সাহিত্যচর্চার সময়কালকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে না? মোলাকাত'র আত্মপ্রকাশের সময় থেকে আমি মোলাকাতে লেখালেখি করছি। এই পত্রিকাকে সাজাতে সম্পাদনা পর্ষদের আন্তরিকতার কোন কমতি নেই। এখানে প্রবীণদের পাশাপাশি নবীনদের তুলে আনতেও খুব চেষ্টা চলছে যা সহজে অনুমেয়। মোলাকাত'র সুবাধে দুই বাংলার লেখকদের মাঝেও একটা দারুণ মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়েছে। এপার বাংলার সাহিত্যিকরা খুব সহজে ওপার বাংলার বর্তমান সাহিত্য সাংস্কৃতি সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা হাসিল করতে পারছে ঠিক ওপার বাংলাও এপার বাংলার সাহিত্যচর্চা সম্পর্কে মৌলিক ধারণা হাসিল করতে সক্ষম হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। যার সেতু বন্ধনের মাস্টারমাইন্ডের ভুমিকা পালন করছে এই মোলাকাত পরিবার। খুব কম সময়ের ব্যবধানে মোলাকাত হয়ে উঠবে বাংলা ভাষাভাষীদের এক অনন্য ঠিকানায়। মোলাকাত সাহিত্যের সব দিককে সমানতালে গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এখানে ছড়া কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ও সমসাময়িক বিষয়ে আর্টিকেল প্রকাশ হচ্ছে নিয়মিত। সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্ম নিয়ে আলোচনা সমালোনা প্রকাশ হচ্ছে। তুলে আনছেন বাংলাসাহিত্যের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাসের আদি অন্ত অজানা তথ্য। একটা প্রিন্ট পত্রিকায় বিভাগীয় পাতার জায়গা স্বল্পতাহেতু লেখা প্রকাশের ক্ষেত্রে একটা সীমাবদ্ধতা বরবরই থেকে আসছে। ইচ্ছে থাকলেও সম্পাদকরা হয়ত অনেকের মানসম্মত লেখাও স্থান করে দিতে পারেন না। মোলাকাত অনলাইন হওয়াতে এখানে সাধারণত এই সমস্যাটা নেই। এখানে একসাথে অগণিত লেখকের লেখা প্রকাশের সুযোগ থাকছে। প্রতিদিন আপডেট হচ্ছে নতুন নতুন লেখা। বর্তমান বাংলাসাহিত্যের একক অনলাইন পত্রিকা মোলাকাত। আরো কয়টি অনলাইন সাহিত্য পত্রিকা অনলাইন লিটলম্যাগ থাকলেও মোলাকাতই স্বমহিমায় অগ্রসরমান একমাত্র পত্রিকা যে অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে বাংলাসাহিত্যে নিজেদের স্থান দখল করে নিয়েছে। হয়ে উঠছে লেখক সাহিত্যকদের মিলনমেলা ও আস্থার প্রতিক। মোলাকাত এগিয়ে যাবে এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। মোলাকাত'র তৃতীয় আত্মপ্রকাশ বার্ষিকীতে মোলাকাত'র জন্য রইল আন্তরিক শুভ কামনা ও প্রাণঢালা ভালোবাসা। একজন লেখক হিসেবে মোলাকাত'র কাছে প্রত্যাশার দিকটা খানিকটা বড়। আশা করি মোলাকাত সেই বিষয়গুলো নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে হলেও বিবেচনায় এনে কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
 
১। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবস যেমন দু' ঈদ, বাংলা ও ইংরেজী নববর্ষ, পুজা উপলক্ষে বিশেষ প্রিন্ট প্রকাশনা বের করা। সম্ভব হলে বর্তমান অনলাইন ভার্শনের পাশাপাশি প্রিন্ট ভার্শনও চালু করা।
২। জাতীয় গ্রন্থমেলা উপলক্ষ্যে কমপক্ষে একটা স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা।
৩। সম্ভব হলে বাংলা সাহিত্যিকদের মাঝে মেলবন্ধনের সূদুর প্রসারী পরিকল্পনার অংশ বিশেষ দু বাংলার সাহিত্যিকদের নিয়ে লেখক অভিধান প্রকাশ করা।
৪। নবীনদের উৎসাহ উদ্দীপনার জন্য প্রণোদনাস্বরূপ সাহিত্য বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা।
৫। বৈশ্বিক করোনা সমস্যা কেটে গেলে মাসিক কিংবা ত্রৈমাসিক সাহিত্য আড্ডার আয়োজন করা। এই আড্ডা একেক সময় দেশের একেক বিভাগীয় ও গুরুত্বপূর্ণ শহরে অনুষ্ঠিত হতে পারে। সম্ভব হলে ঢাকা কেন্দ্রিক বছরে একটি মিলনমেলার আয়োজন করা। সেটা হতে পারে দিনব্যাপি শিক্ষা সফর জাতীয়। মোলাকাত'র ব্যানারে দেশের যেকোন আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্রে শিক্ষাসফরও হতে পারে। যার খরচ অংশগ্রহণকারী ডেলিগেটগণ বহন করবেন। এটা জাতীয় গ্রন্থমেলা কেন্দ্রিক হলে বেশ ভালো হয়।
৬। নবীন লেখকদের জন্য বছরে কমপক্ষে একটি হলেও লেখক কর্মশালার আয়োজন করা। এতে করে নবীনদের মাঝে লেখালেখির আগ্রহের পাশাপাশি লেখার যাবতীয় দূর্বলতা দুরসহ লেখালেখির ক্ষেত্রে অগ্রজদের থেকে মৌলিক দিক নির্দেশনা পাবেন। 
৭। বর্তমান সময়ে অনেক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের অস্বচ্ছতার একটা বিষয় প্রায়ই আলোচনায় আসে। মানহীন লেখা প্রকাশ ও লেখকদের সাথে আর্থিক কেলেংকারীর খবরতো প্রায়ই শুনি। সেই জায়গায় লেখক প্রকাশক বান্ধব একটা প্রকাশনার কথাও মোলাকাত পরিবার ভাবতে পারেন।
জানি, এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা। আসলে কী সাহিত্যের উৎকর্ষে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতাতো এখন আশানুরূপ নেই বললেও চলে। এক্ষেত্রে না আছে রাষ্ট্রযন্ত্রের যথাযথ ভুমিকা না আছে ধন্যাঢ্যদের উল্লেখযোগ্য পৃষ্ঠপোষকতা। আমার বিশ্বাস মোলাকাত পরিবার যদি সঠিক পরিকল্পনামাফিক অগ্রসর হয় তাহলে আর্থিক সংকট পরিকল্পনা বাস্তবয়নে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াবে না। সর্বোপরি আবারো প্রিয় আস্থার জায়গা মোলাকাত'র তৃতীয় আত্মপ্রকাশ বার্ষিকীতে মোলাকাত পরিবার, লেখক পাঠক শুভানুধ্যায়িদের জন্য রইল প্রাণঢালা ভালোবাসা ও অভিনন্দন। এগিয়ে যাক প্রিয় পত্রিকা মোলাকাত। মোলাকাত বাংলাসাহিত্য অঙ্গনে আলোক বর্তিকা হয়ে বেঁচে থাক স্বমহিমায়।
 
অধ্যক্ষ আনোয়ার আল ফারুক
ফেনী
..................................................
 
শুভেচ্ছা বার্তা
 
"মোলাকাত" ওয়েবজিনের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। মোলাকাত থাকুক আমাদের পাশে এভাবেই সবসময়, যেভাবে আছে। এবং ভবিষ্যতেও লেখক-পাঠকেদের সঙ্গে মোলাকাতের একটি বন্ধন গড়ে উঠুক। মোলাকাত নবীন এবং প্রবীণ উভয়ের জন্য একটি প্লাটফর্ম হয়ে উঠুক। এভাবেই যেন আন্তরিকতার সঙ্গে মোলাকাত এগিয়ে চলে।
 
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছান্তে,
 
তানজারীন ইফফাত স্বাতী
..................................................
 
মোলাকাত সম্পর্কে কয়েকটি কথা
 
একটি বাগানে নানা প্রকারের ফুল থেকে কিছু কিছু ফুল সৌরভ ছড়ায়। সেই সৌরভে সুরভিত হয় সকলে। অতপর মননশীলতাকে জাগিয়ে তুলে অফুরন্ত আশায়।
তেমনি মোলাকাত নামক ম্যাগাজিনটি প্রতিভাবান ধীমানদের মানষপটে এক সুখময় অঙ্কুর বিকশিত করে চলেছে সম্মুখপানে।
যারা মোলাকাতে লেখেন এবং যারা পাঠক হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছে তারা সত্যিই ভাগ্যবান। সবার প্রিয় আফসার নিজাম ভাইয়ের নিখুঁত তত্ত্বাবধানে মোলাকাত প্রকাশিত হচ্ছে।
স্বদেশের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেই তিনি এই কাজটি করে চলেছেন। আমি তাঁর সর্বাঙ্গীন সুন্দর জীবন কামনা করছি। আরো কামনা করছি নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য।
মোলাকাতের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও বহুল প্রচার আশা করছি।
দেশের ক্রান্তিকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করুক মোলাকাত। আমি আরো আনন্দিত যে এই ম্যাগাজিনে আমার লেখা ছাপিয়ে কৃতজ্ঞতা পাশে আবন্ধ করেছে সবার প্রিয় এই মোলাকাত।
অনন্ত সুখের আবহে মার্জিত রুচিবোধে ও প্রাণ স্পর্শিত কার্যক্রমে সাবলীল গতিতে এগিয়ে চলুক আমাদের সবার প্রিয় মোলাকাত।
 
সবসময় শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রইলো।
 
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন
..................................................
 
মোলাকাত বহু পথ পাড়ি দেবে
 
মোলাকাত ডটকম ২৭ নভেম্বর ২০, এ তৃতীয় বছরে পদার্পণ করলেও মোলাকাতের সাথে আমার দেখা বা পথ চলা বছর খানিক হবে। বলতে গেলে কাকতালীয়ভাবে মোলাকাতের সাথে আমার পরিচয় হয়ে ওঠে। সে কথা আজ এখানে না-ই বা বললাম।
 
অনলাইন পত্রিকা মোলাকাত ডটকম নিয়ে সমালোচনা করার আমি যোগ্যতা রাখি না। তবে বলল কিছু ভালোলাগা-না লাগার দিক ও 'এমনও হতে পারে' টাইপের কিছু নিয়ে ছোট্ট করে।
 
আর হ্যা, মোলাকাত ডটকম এর সম্পাদক বরাবর-ও কিছু লিখে যেতে চাই। আর মোলাকাত ডটকমকে শুভকামনা তো আলবৎ জানাব আগামীর পথে আলো ছড়িয়ে দৃঢ়তার সহিত এগিয়ে যাওয়ার জন্যে।
 
ভালো তো অবশ্যই লেগেছে
 
অনলাইন বেশ কয়েকটি পত্রিকার সম্পর্কে আমার জানাশোনা আছে। তন্মধ্যে মোলাকাতকে নিয়ে আমার ভালোলাগার দিক একটু ব্যতিক্রম। কারণগুলো যদি বলি,
 
ক.
মোলাকাত এর শ্রেণিবিন্যাস দেখার মত। প্রথম দেখাতেই আমার ভালো লেগেছে। যেমন,
মনন-
প্রবন্ধ, কলাম, ইসলাম, স্মৃতিকথা ও জীবনী।
সৃজন-
উপন্যাস, গল্প, কবিতা,ছড়া,গীতিকবিতা ও নাটক।
কথামালা-
সাক্ষাৎকার, পাণ্ডুলিপি, অনুবাদ, বই আলোচনা ও রম্য।
সংস্কৃতি-
সংস্কৃতি, সংগীত, চারুকলা, চলচ্চিত্র ও মঞ্চনাটক।
খোলা জানালা-
বিশেষ সংখ্যা, গণমাধ্যম ও সংবাদ।
 
আমার জানামতে খুব কম অনলাইন পত্রিকায় এমন সাজানো-সুন্দর বিন্যাস রয়েছে।
খ.
সমসাময়িক বিশেষ সংখ্যাগুলোও চোখে পড়ার মত। এত বিশেষ সংখ্যা খুব কম পত্রিকাই করে।
গ.
মানসম্মত লেখাও ছাপে প্রচুর।
ঘ.
উপন্যাস, ভ্রমণ ও জীবনীগুলো একসাথে প্রকাশ না করে ধারাবাহিক পর্ব করে করে প্রকাশ করাটা বুদ্ধিমত্তার কাজ। কারণ, এগুলো সাধারণত বড়ো হয়। তাই পাঠকরা পড়ার মনোনিবেশ খুব একটা করেন না। তবে,ছোট ছোট পর্ব থাকাতে পাঠকমহলে পঠিত হয় বেশি।
 
ভালো না লাগার কিছু
 
ক.
মোলাকাত যে একেবারে পড়া হয় না এমন না। সময় করে পড়ি। সেজন্যে কিছুকিছু লেখাতে (হয়তো লেখকের অসতর্কতার কারণে) প্রাথমিক ভুলগুলো চোখে পড়ে। হয়তো বা সম্পাদক সাহেবের ওই লেখাগুলো ভালো করে দেখার বেশি একটা সময় হয়ে ওঠে না।
 
খ.
গ্রাফিক্স ডিজাইন আরেকটু সমৃদ্ধ করার প্রয়োজন। লেখাগুলোর প্রচ্ছদে তাকালে কেমন যেন সব লেখাতে একই ধরনের প্রচ্ছদ ভেসে ওঠে।
 
গ.
এমন লেখাও (গল্প) নজরে পড়েছে, যে লেখাটা হয়তো কোরআন-হাদিস বা অন্যকোনো ভাষার বইয়ে রয়েছে। আর সেখান থেকে হুবহু লেখক উঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু লেখক অনুবাদ, সংকলন বা সংগ্রহ কিছুই উল্লেখ করেননি৷ লেখক কেমন জানি তার নিজের লেখাই বুঝিয়েছেন। এ-সব লেখা যেকোনো পত্রিকার মান কমিয়ে দেবে আমি মনে করি। এক্ষেত্রে সম্পাদকের বিশেষ দৃষ্টি কাম্য।
 
এমনও হতে পারে
 
ক.
কবিতা দশটি না হয়ে পাঁচটি হতে পারে।
 
খ.
মোলাকাতে যেকোনো লেখার শেষে দেয়া আছে, 'এরকম আরো লেখা'। এর সাথে এও হতে পারে, 'এ লেখকের অন্যান্য লেখাগুলো'। তাতে হবে কী, যিনি যে লেখকের লেখাটা পড়ছেন, সেই লেখকের মোলাকাতে ছাপানো অন্যসব লেখাতে চোখ বোলাতে পারবেন।
 
গ.
বাৎসরিক মোলাকাত প্রিন্ট সংখ্যা হতে পারে। এতে লাভ, প্রচার-প্রসার হবার পাশাপাশি মানসম্মত একরাশ লেখাও আসবে। এবং আগ্রহও পয়দা হবে লেখকদের মধ্যে।
 
ঘ.
সম্পাদকের লেখা আরো বেশি প্রকাশিত হওয়ার দরকার।
 
পরিশেষে, সম্পাদক ও মোলাকাত
 
আমি মোলাকাত ডটকম এর সম্পাদক আফসার নিজাম ভাইকে প্রত্যক্ষভাবে চিনি না। তার সঙ্গে পরিচয়ও নেই তেমন একটা। তবে তার সম্পর্কে যতটু জেনেছি তা থেকে যদি বলি, তিনি নবীন লেখকদের উৎসাহ দিতে ভালোবাসেন। এবং তার ব্যবহারও মার্জিত। তিনি যে একজন ভালো মানের ছড়াকার ও লেখক তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি এ নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা রাখি না। তবে তার সম্পাদনায় মোলাকাত এতদূর নিয়ে আশায় তাকে সাদুবাদ জানাই।
 
শুভকামনা শুভকামনা এবং শুভকামনা জানাই মোলাকাত ডটকমকে তৃতীয় বছরে পদার্পণ করায় এবং আমি বা আমার আশা রাখি, মোলাকাত মার্জিত ও প্রতিষ্ঠিত হয়ে আলো ছড়িয়ে বহু পথ পাড়ি দেবে।
 
মুহিব্বুল্লাহ কাফি
..................................................
 
মোলাকাত ম্যাগাজিন
 
আধুনিক সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে মোলাকাত ম্যাগাজিন দীর্ঘ দিন যাবত অত্যন্ত সুনামের সাথে প্রকাশনার তাত্ত্বিক পথ ধরে এগিয়ে চলেছে।
 
মোলাকাতের আদর্শিক মৌলিক হাতের ছোয়ার পরশ পেয়ে মহিরূপে বেড়ে উঠেছে নবীন প্রবীন কত শত কবি সাহিত্যিক সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের সম্ভার। এক সঙ্গে বহু নামি দামী লেখকের লেখাগুলোকে অতি সহজে পড়তে পারাটা অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার এবং অনেক খুরধার লেখার সাথে লেখকের সাথে আন্তরিক ঘনিষ্ঠতা আরও সৌভাগ্যের ব্যাপার আর সেটা এক চমুকেই সম্ভবপর হয়েছে বা হাতের মুঠে তুলে দিয়েছে অনন্য মোলাকাত। 
 
মোলাকাতের হাজারও শ্রম ঘামের ছোয়ায় লেখকের যেমন জন্ম হয়েছে তেমনি অসংখ্য লেখারও জন্ম হয়েছে আবার অনেক প্রতিভারও বিকাশ ঘটেছে, তাতে সন্দেহের কোন অন্ধ দন্দের ঘোনাঘটা নেই। মোলাকাত সৃজনশীলতার পথের বাকে বাকে জালের মত, নদী নালার মত, শাখা প্রশাখা বিছিয়ে চলেছে বিরামহীন শিল্পের তুলিতে।
 
মোলাকাত ম্যাগাজিনের মাধ্যমে অনেকে পরিচিত থেকে হয়ে উঠেছেন সুপরিচিত ব্যক্তিত্বের অধিকারী। মোলাকাতের ভিতরে বাহিরে কোন প্রকার চাপাবাজি ধান্ধাবিজি দলবাজির দলাদলির কোন সুযোগ নেই। মোলাকাতের কাছে নবীন প্রবীন সকলের আছে সমান অধিকার। মোলাকাত সকল লেখককে সাদরে নিজ সন্তানের মতন আদর সোহাগ করে ভালোবাসে আর বড় হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় লেখকের মনের মাঝে ফুল ফুটাতে সহায়তা করে দূর থেকে।তেমনি নতুন পথিক সৃজন করে বা প্রবীনদের যেমন ভালোবাসে তেমনি নবীনদেরও শ্রদ্ধা ভালোবাসার দোলায় তুলে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন আবার তাদেরকে নতুন নতুন লেখনী লেখা দেওয়ার  ব্যাপারে উৎসায়িত করে থাকেন যথাযত অভিভাবকের ভূমিকায়।
 
মোলাকাত যে সরল রেখা বৃত্তের উপর চলতে পেরেছেন সেটি বহু প্রকাশকের ক্ষেত্রে অসম্ভব ব্যাপার। মোলাকাতের চৌকোষ পরিধি যেমন বড় মাপের তেমনি তার ধারন ক্ষমতাও অসীম। দেশে বিদেশের মধ্যে বহু পথিতযশাঃ কবি সাহিত্যিকদের একটি বৃহত্তর সারি মোলাকাত ডটকমের বাহুডোরে শাখা প্রশাখা আর পাখাবিস্তর করে মেলে দিয়েছে তাদের রঙিনস্বপ্ন ডানা। এক বাক্যে বলা চলে তার সৃজন বহুমাত্রিক লেখকের সাহিত্যিকের গল্পকারের নাট্যকারের কলামিস্টের ছায়ায় সুনিবীড় স্হান হলো মোলাকাত ডটকম।
 
মোলাকাতের সবচেয়ে বড় গুণ হল শহুরী লেখকের, শহুরী নাক উচু হাব ভাবটা একেবারেই নেই।অবশ্যই এটা সহনশীল মানসিকতার একটা মহানুভবতা। মোলাকাত ম্যাগাজিন সকলকে সমান চোখে দেখে আর সোহাগ ভালোবাসা, শ্রদ্ধার সাথে মূল্যায়নও করে। মোলাকাত কোন সময় কাউকে ছোট করে বা খাটো করে দেখে না। তাই মোলাকাতকে বলা যায় একটি অনন্য ফুল বাগিচা। সাহিত্য কলার নানান ফুলের, নানান ফলের, নানান পাখপাখালির গাছগাছালির সাহিত্যের নান্দনিকতার আলোর মেলা মোলাকাত ম্যাগাজিন।
 
মোলাকাত ম্যাগাজিন তার বৃত্তে উপর দাঁড়িয়ে  ইতিমধ্যে সাহিত্যের সকল শাখায় সাহিত্য পুরুষ্কার ঘোষনার বার্তা লেখকদের প্রকৃত মূল্যায়নের সুস্থ দৃষ্টি ভঙ্গি প্রকাশ করেছে এবং বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তার নিজস্ব জায়গা করে নিয়েছে। একজন লেখকের আজীবন প্রাপ্য অধিকার থাকে তার সাধনা,তার প্রতিভার প্রকৃত মূল্যায়ন হোক। এভাবে মোলাকাত ম্যাগাজিন পথ চলতে থাকলে একদিন সাহিত্য অঙ্গনে এক অনন্য মাত্রা যোগ করবে।মোলাকাত স্বপ্ন দেখায় স্বপ্ন বোনে হাজারো কবি সাহিত্যিকদের মনে প্রাণে। সাহিত্যকদের তুলে আনতে চান রাজ দরবারে, রাজ সিংহাসনে, রাজার আসনে আর তখন সাহিত্য আকাশ ছোয়ার স্বপ্ন বোনে।
 
মোলাকাত ম্যাগাজিনকে লেখক পাঠক সমাজ সব সময় সুস্থ পথে, দুরুহপথে পথ চলুক একজন বীর সৈনিকের মত, সূ্র্য্যের মত আলো ছড়াক সাহিত্যের সকল শাখায়। ম্যাগাজিনকে সকলে দেখতে চায় প্রকাশনা শিল্পকেন্দ্রিক ছাপার অক্ষরে কাগজের পাতায়। বছরে অনন্ত একবার বাছাই কৃত লেখাগুলি একত্রিত করে একটি নতুন ম্যাগাজিন স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা। মোলাকাতের কাছে সর্বক্ষেত্রে সকল লেখকের প্রাণের দাবি সকল লেখাগুলো সংরক্ষণের গ্যারান্টিকবচ চায়।
মোলাকাত হোক লেখকের পাঠকের জীবন চলার পথের দিশারী।
 
 
ডা. শওকত আলম
কবি, ছড়াকার, কথাশিল্পী, গবেষক, বাণীশিল্পী, সংগঠক, মানবাধিকার কর্মী, চিকিৎসক।
..................................................
 
মোলাকাত-এর ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
 
মোলাকাত স্বল্প পরিসরে শুরু হলেও এখন পরিসর বিশাল। বিভিন্ন উপলক্ষ্য, বিষয় ভিত্তিক সংখ্যা প্রকাশিত হচ্ছে।
সম্পাদনার ক্ষেত্রে সম্পাদক সহ সংশ্লিষ্ট সকলের মুন্সিয়ানার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে প্রতিটি সংখ্যায়। মোলাকাত বাংলা সাহিত্য বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।
আশা রাখছি মোলাকাত কালক্রমে বাংলা সাহিত্যে একটি অপরিহার্য ম্যাগাজিন হিসেবে পরিগণিত হবে।
মোলকাত-এর প্রকাশনা চলতে থাকুক অনন্তকাল পর্যন্ত।
 
রানা জামান
..................................................
 
৩য় বার্ষিকী (মোলাকাত ডটকম)
 
 "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম"
 
সু-মহান আল্লাহ- তালা আমাদের সাহিত্যিক হৃদয়ে আস্তিক চেতনাকে কলমের ডগায় প্রানবন্ত রুপ দান করুন। কারন, নাস্তিকতাপু্র্ন সাহিত্যকর্ম নিঃপ্রাণ। রাসুলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ হক সাহিত্য জগতের মুল ভিত। মানব কল্যাণ হক সাহিত্য জগতের উপজীব্য বিষয়।
 
আজ মোলাকাত ডটকম পত্রিকার ৩য় বার্ষিকী উদযাপন প্রসঙ্গে প্রাসঙ্গিক অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে,
"মোলাকাত ডটকম" পত্রিকা সম্পর্কে অনেক কথাই আসে।প্রাথমিক পর্যায়ে আমার ক্ষুদ্র প্রতিভা বিকাশের মাধ্যম হিসেবে যদি ও আমি আমার ফেসবুক আইডি ব্যবহার করেছি।তার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ইতিহাসের শ্রদ্ধেয় স্যার, প্রখ্যাত কবি, কথাশিল্পী ও সনামধন্য সাহিত্যিক জনাব, ড. মাহফুজুর রহমান আকন্দ স্যারের মাধ্যমে, কবি, সাহিত্যিক ও সনামধন্য কথাশিল্পী মোলাকাত ডটকম পত্রিকার সম্পাদক শ্রদ্ধেয় জনাব, আফসার নিজাম ভাইয়ার পরিচালিত "মোলাকাত ডটকম" পত্রিকায় আমার লেখা লেখির জগৎ সম্প্রসারিত হয়। আফসার নিজাম ভাইয়ার আন্তরিক সহযোগিতায় আমার লেখা/লেখির প্রেরণা শক্তিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়। সেজন্য ভাইয়াকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমাদের ইতিবাচক মানসিকতা।
 
প্রতিভা বিকাশের মাধ্যম আমাদের প্রেরণা জোগায়, লেখার জগতকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে। তো "মোলাকাত ডটকম" পত্রিকা আমার মরিচা ধরা কাব্যিক জগতে যেন আলো সঞ্চারি প্রদীপ। আমার ইসলামি কবিতা, কবিতাগুচ্ছ, গীতিকবিতা, যুগল কবিতা, ইত্যাদি প্রকাশের মাধ্যমে লেখনী চলমান। প্রতিটি লেখা প্রকাশিত হয় নতুন নতুন লেখা প্রেরনের অদম্য প্রেরণায়।আমি ভাইয়াকে সাদুবাদ জানাই, যে তিনি তার শত কর্ম ব্যস্ততার মাঝে ও আমাদের লেখাগুলো সুনিপুণভাবে পর্যবেক্ষণ করে পত্রিকায় প্রকাশ করেন।আজ আমার কাব্যিক অনুভূতি মিশিয়ে বলতে চাই,
 
"মোলাকাত ডটকম "
 
জ্ঞানী-গুণী, সাহিত্যিকদের সমাগম,
ভাবের সুষ্ঠু আদান-প্রদানে সাহিত্যেকে স্বাগতম,
ইসলামি চেতনা, বিশ্বাসী প্রেরণায় মোলাকাত হরদম।
গল্পে, প্রবন্ধে নবায়ন আনন্দে,
ছড়া আর কবিতা নবায়িত ছন্দে,
চলমান সরগম" মোলাকাত ডটকম।" 
 
ধন্যবাদ সকলকে আজ ৩য় বার্ষিকী মোলাকাত ডটকম উপলক্ষে মোলাকাত ডটকম পত্রিকার সাথে যায়া সম্পৃক্ত লেখা দিয়ে, ও প্রকাশনায়। আমি আমার অসামান্য অনুভুতি অতি সংক্ষেপে শেষ করলাম। 
 
আল্লাহ হাফেজ
 
কবিতা সুলতানা
..................................................
 
আত্মার আত্মীয় প্রিয় মোলাকাত
 
একদম শুরুর দিকের কথা। ফেসবুকে হঠাৎ একদিন নজরে এল একটি অনলাইন সাহিত্য মাগাজিনের বিজ্ঞাপন। “মোলাকাত ডট কম” ঈদ সংখ্যার জন্য লেখা আহ্বান। ঈদের একটি কবিতা পাঠালাম। কদিন পর সূচিপত্রে নিজের নাম দেখতে পেলাম। কী যে খুশি লাগছিল বলে বোঝাতে পারব না। সেই থেকে শুরু। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তারপর যত দিন গেছে প্রিয় মোলাকাতের সাথে আমার সম্পর্কটি আরো গভীর হয়েছে।
 
বছরে যতগুলো সংখ্যা বেরিয়েছে প্রত্যেকটিতে আমার কবিতা প্রকাশ পেয়েছে।
 
-শরত সংখ্যা
-নববর্ষ সংখ্যা
-পূজা সংখ্যা
-একুশের বিশেষ সংখ্যা
-ছড়ায় ছড়ায় বর্ণমালা সংখ্যা
-ঈদ উল ফিতর সংখ্যা
-একুশের চেতনা-ভাষা দিবস সংখ্যা
-স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা
-বিজয় দিবস সংখ্যা,
-যুগল কবির যুগল কবিতা সংখ্যা
-করোনা সতর্কতা সংখ্যা
-ধর্ষণ বিরোধী কবিতা সংখ্যা...
 
এভাবে ধীরে ধীরে মোলাকাত আমার নিজের পরিবারের মতোই আপন হয়ে গেছে। এ ভালো লাগার শেষ নেই যেন। এতদিন পর আজ নিজেকে তেমন আলাদা করে মনে করি না। প্রিয় মোলাকাত যেন আমার নিজেরই ম্যাগাজিন।
 
অভিনন্দন মোলাকাত তৃতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর জন্য। এমনি করেই সাহিত্যের আকাশে শুকতারা হয়ে বিরাজ করুক প্রিয় মোলাকাত। আর সারা পৃথিবীর বুকে আলো ছড়িয়ে যাক।
 
 শুভ কামনা অবিরাম...
 
কমল কুজুর
কবি ও আবৃত্তি শিল্পী
দিনাজপুর।
..................................................
 
সম্মানিত
সম্পাদক
 
হেমন্তের শেষ উদয়ে শীতের আগমন। শীতের করতলে কাকের সুন্দরে মানুষের বসবাস। হিমবাতায়নে ভেসে বেড়ায় সবুজের ঘ্রাণ। নির্মল হাওয়ায় ওড়ে বেড়ায় স্বাদের ক্রিয়া। সবজির স্বাদ যেন প্রাণের সতেজতা ফিরে দেয়। বেঁচে থাকার ইচ্ছে শক্তিকে করে আরো জোড়ালো। কবুতরের ঘাস টানার মতো শীতের কম্বল বা কাঁথা টানার কিছুটা ওমে রাতের হয় বিদায়। দিনের মিষ্টি আলোয় চোখ যেন খুঁজে ফিরে বনলতাসেন। 
সাহিত্য চলে না সময়ের হাত ধরে। সাহিত্য অতীত - বর্তমান দিয়ে মালা গেঁথে ভবিষ্যতের স্বপ্নের সারথি বানায়। একটি জীবনের পরিবর্তিত রূপকে বারবার শিল্পের কলায় মেখে মোনালিসার হাসির রঙ ধরে জগতকে সাজানোর কলকবজা হলো সাহিত্যের সুন্দরময়তা। 
মোলাকাত ডট কম দ্রূত সময়ে ওয়েবজিনে একটা নিজস্ব অবস্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। সম্পাদক লেখা নির্বাচনে কোনো ধরণের প্রতারণার আশ্রয় নেয় নি। লেখা নির্বাচনে কারো চেহারা, গোত্র পরিচয়, চেতনার টিকেট অথবা সম্প্রদায়ের ঘ্রাণ নেয়ার মতো অসৎ কাজটি করে নি। তাই সব ধরণের লেখক এ ওয়েবজীনে লিখতে যেমন ইচ্ছে প্রকাশ করেছে তেমনি অন্যদের লেখা পাঠাতে উৎসাহ যুগিয়েছে। 
আজকের এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উম্মুক্ত মতামত পেশ করার যে সুযোগ দিয়েছেন, তাতেই বুঝা যাচ্ছে তারা গণতন্ত্রের মতো আপামর লেখক পাঠকের ওয়েবজীন হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। 
মোলাকত ডট কম ইতিমধ্যে আড়ালে পড়ে থাকা বেশ কিছু লেখককে নিয়ে অনেক লেখককে লেখার সুযোগ করে দিয়ে অনেকটা আবদুল মান্নান সৈয়দের মত দায় সেড়েছে। সাধুবাদ। অনেক মেধার অপমৃত্যু থেকে বাঁচিয়েছিলেন সৈয়দ সাহেব। এটা করতে গিয়ে তিনি অনেকের চক্ষুশূল হলেও বেশী জনগোষ্ঠীর কাছে সমাদৃত হয়েছিলেন। আজকের চেতনাবাজী আর দলবাজির কালে মোলাকাত ডটকম অনেকটা সাহসের সহিত অনেকের লেখা প্রকাশ করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনের দিকে এগুচ্ছে। যা চমৎকারই বটে।
 
এরপরও পূর্ণতার ভেতর আরোকিছু সুন্দরের চাষাবাদে মনোযোগি হতে হবে। বাড়াতে হবে সমালোচনা সাহিত। মনোযোগ দিতে হবে কিছু সিলেকটেড লেখক দিয়ে নতুন ইভেন্ট পরিচালনা করার। হতে পারে নবীন অথবা প্রবীনের সমন্বয়ে সৃষ্টি নিয়ে সৃষ্ট জগৎ তৈরি করা। মূলোৎপাটনে শেকড়ের টান দেয়া। যাদের সৃষ্টিতে জগতের সুন্দর ফুটে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরিশেষে লোচামিঠাইয়ের মতো নতুন ফ্লেভারের সমন্বয় এঁকে পাঠের বৈচিত্রের পাশাপাশি যুৎসই সাহিত্য কামনা করে সবাই কে ভাঁপাপিঠার উষ্ণতাময় শুভেচ্ছা। 
 
মোস্তফা হায়দার
কবি, কথাসাহিত্যিক, সম্পাদক, প্রাবন্ধিক ও সংগঠক
..................................................
 
মোলাকাত, ভালো লাগা ও তার কারণ
 
মোলাকাত একটা অনলাইন সাহিত্য পত্রিকা, এর ভালো লাগাটাই আমি দেখেছি। যতদিন থেকে লেখছি দেখেছি ভালোবাসার সাথে লেখাগুলো প্রকাশ করেন, আর মোলাকাত অনলাইন পত্রিকায় সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তাৎক্ষণিক একটা সংখ্যা করে ফেলেন। মাসিক মোলাকাত অনলাইন পত্রিকা তো আছে। সুন্দরবন সংখ্যা, ধর্ষণ সংখ্যা, প্রিয় নবীজী সংখ্যা এ রকম হাজারো সংখ্যায় ভরপুর একটা প্রানোবন্ত অনলাইন পত্রিকা হলো মোলাকাত। দেখেছি মোলাকাত অনলাইন পত্রিকায় ভালো নবীন প্রবীন লেখক সহ সকলের লেখা প্রকাশ হয়, আর ছবি সহ গুচ্ছ ছড়া, গুচ্ছ কবিতা এবং গল্প প্রকাশ করেন। সব দিক দিয়ে মোলাকাত অনলাইন সাহিত্য পত্রিকা আমার ভালো লাগে। মোলাকাত অনলাইন সাহিত্য পত্রিকার তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জানাই শুভকামনা ও অভিনন্দন। আমি এর সার্বিক মঙ্গল কামনা করি, চলার পথ হোক সুন্দর ও সফল।  
 
মজনু মিয়া
মির্জাপুর, টাংগাইল
..................................................
 
আসলে যে প্লাটফর্ম কবি লেখকদের খুঁজে বের করে, নিজেদের প্লাটফর্মে ঠাই দেয়। তাঁদের বিষয়ে কি বলবো, আসলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেষ করা অসম্ভব অসম্ভব অসম্ভব।
কবি লেখক বান্ধব প্লাটফর্ম মোলাকাত বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক, এই কামনাই সদা সর্বদা করি।
 
বিপ্লবী কন্ঠ
..................................................
 
আমার গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, গ্রন্থালোচনাসহ অনেক লেখা আমার প্রিয় 'মোলাকাত ডটকম' এ আপনারা প্রকাশ করে আমাকে ধন্য করেছেন। সেই সূত্রে 'মোলাকাত ডটকম' আমার প্রিয় প্লাটফরম। লেখতে চেষ্টা করব মনের মাধুরী ও প্রাণের উচ্ছাস মিশিয়ে।
 
আমীর হোসেন
 
..................................................
 
মোলাকাত‘র শরীরে সোনালি আভাটুকু যেন ঝলমল করছে
 
মোলাকাত মাত্র তিন বছরে বিপুল পরিমান পাঠকের মন জয় করেছে। বাংলা ভাষায় রুচিবোধ সম্পন্ন সাহিত্য সম্ভারে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। ফিরে এনেছে বহু প্রত্যাশিত কল্পবিজ্ঞান। যার শরীরে সোনালি আভাটুকু যেন ঝলমল করছে।
 
বৈশ্বিক মহামারির ফলে সারা বিশ্বজুড়ে দ্রুত বেড়েছে প্রযুক্তির বহুবিধ ব্যবহার। সভা-সমাবেশ হচ্ছে জুমে, সেমিনারের জায়গায় এসেছে ওয়েবিনার, অফিস–আদালত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চলছে ভার্চ্যুয়াল সিস্টেমে।
 
এমন সময় মোলাকাত নিয়ে এসেছে অত্যাধুনিক অনলাইন ম্যাগাজিন। বাংলায় এরকম মননশীল অনলাইন নেই বললেই চলে। নাগরিক ব্যস্ততায় মুঠোফোনে কিংবা যেকোন ডিভাইসে সহজেই মোলাকাত পড়া যায়। ব্যস্ততম সময়ে কিম্বা বাংলাদেশে ট্রাফিক জ্যামে সময় কাটাবার বড় সহায়ক এই মোলাকাত।
 
কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক ইত্যাদি সৃষ্টিশীল রচনা প্রকাশে মোলাকাত‘র জুড়ি মেলা ভার। অনলাইনের শব্দ ধারণ ক্ষমতা প্রায় অন্তহীন। ফলে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা লেখক-সাহিত্যিকদের স্থান সংকুলানে কোন সমস্যা নেই। কোন নতুন মেধাবী বাদ পড়ছেন না। আধুনিক ও ঐতিহ্যমণ্ডিত এবং বহু ভাবনার প্রকাশ আছে নতুনের সৃজনধারায়।
 
বাংলাদেশের সামাজিক–সাংস্কৃতিক অঙ্গনে মোলাকাত নিয়ে এসেছে নতুনত্ব ও নান্দনিকতা। এটি মানুষকে বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তার খোরাক দেয়। বাঙালির স্বরূপের অনুসন্ধান ও বহুত্ববাদী সংস্কৃতির বিকাশ ঘটায়। বহু লেখক ও শিল্পীকে দেশচেতনায়ও উদ্দীপিত করছে মোলাকাত।
 
অনেক প্রতিকূলতার মাঝেও জীবনের গতিপথ বাতলে দেয় আমাদের সাহিত্য, গল্প-উপন্যাসে। মোলাকাত এক্ষেত্রে সকল মত ও পথের প্রকৃত লেখকদের সমাহারে নতুন মাত্রা সঞ্চার করেছে। বিদেশী ভাল লেখাও স্থান পাচ্ছে। অনুবাদের ক্ষেত্রে লেখাটি সঠিকভাবে যা আছে তা যেন থাকে, অনুবাদটিও যথার্থভাবে গল্প বা উপন্যাস হয়, সে যত্নটিও মোলাকাতে আছে বলে মনে হয়েছে। মোলাকাত সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। এটা তার বিকাশের জন্য খুবই সহায়ক।
 
আমার লন্ডনে যাপিত জীবন, গল্প, প্রবন্ধ এবং অর্ধ শতাধিক কবিতা প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সৃজনশীল সম্পাদক কবি আফসার নিজাম, নির্বাহী সম্পাদক কবি হাসান রুহুল, ওয়েব নির্মাতা কবি সাইফ মাহদীকে। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে মোলাকাত এখন অগ্রসর পাঠনের উঠান। দূর্গতিমুক্ত পাঠকের বৈঠকখানা। মোলাকাত‘র ৩য় বছরে উৎসবে আনন্দে মেতে উঠুন সবাই।
 
লেখক: কবি ও কথা সাহিত্যিক। সম্পাদক- সময় (অনলাইন দৈনিক), ইউকে বাংলা ডাইরেক্টরি, ইউকে এশিয়ান রেষ্টুরেন্ট ডাইরেক্টরি ও মুসলিম ইনডেক্স (ওয়ার্ল্ডওয়াইড)
 
সাঈদ চৌধুরী

No comments

নির্বাচিত লেখা

আফসার নিজাম’র কবিতা

ছায়া ও অশ্বথ বিষয়ক খ-কবিতা এক/ক. সূর্য ডুবে গেলে কবরের ঘুমে যায় অশ্বথ ছায়া একচিলতে রোদের আশায় পরবাসী স্বামীর মতো অপেক্ষার প্রহর কাটায় প্রাচী...

Powered by Blogger.