হাসান আবু নাঈম’র ছড়া
তবু বুড়ি তুর-তরি, নাকে দেয় সুড়-সুড়ি।
বেঁকে বেঁকে হেঁটে চলে, মুখ ভেংচে কথা বলে।
আছে তার তিনটি ছেলে, তবু নাহি ভাত মেলে।
বাড়ি বাড়ি ভিক্ষে করে, পল্লী গাঁয়ের পথ ধরে।
মাঝে মাঝে উপোস করে, কষ্ট তারি বছর ভরে।
……………………………………………
লাল নীল প্রজাপতি, পাখা মেলে বাতাসে।
……………………………………………
হাসপাতালে ভর্তি হল, মাথা খানি ফেটে
অন্যজনের দশা হল, হাত-পা গেছে কেটে।
মশার সব গুষ্টি এল, দেখতে তাহার পরে,
প্রেসিডেন্ট সাব ছুটতে গিয়ে,পিছলে পড়ে ঘাটে,
ভাই সবাই শুনুন তবে, মশা মাছির এক্সিডেন্ট,
পন্ডশ্রমে খন্ড করে,কাঁদেন অতি রাগে,
……………………………………………
পুতুল দেব, বাঁশি দেব, আরো যত চাই।
প্রজাপতির কানে সদাই, গান শোনাবার চাই
কোকিল মামার কাছে দুকান,কথা কইবার চাই।
ফুল বাগানে ফুলের দেশে, আমায় নেবে ভাই।।
ফুল বাগানে ফুলের দেশে, আমায় নেবে ভাই।।
……………………………………………
সামাদ, ওয়াদুদ সবাই মিলে, চিৎকার করে ডাকছে রে।
আয়রে ত্বরা, দেখরে ত্বরা, কাঁচির মত বেঁকে
লুকোচুরি খেলছে চাদঁ, সবাই কেন দেখে।
আজকে সবাই খুশি, কালকে হবে ঈদ,
হরেক মজা লুটব সবাই,
সব কটা দাঁত করছি ধার,
ঘুম ভেঙ্গে কালকে সবাই, ছুটবে ঈদের মাঠে,
……………………………………………
চেহারা মোবারক লাবণ্যময় নূরানী
পূর্ণিমা চাঁদের চেয়ে সুন্দর দেহ খানি।
দুধে আলতা মিশ্রণে রং হয়,
মধ্য আকার, মধ্য রেখায়-সুপুরুষ দুনিয়ায়,
যে দেখেছে জীবন সার্থক হয়ে গেছে,
চুল ছিল রাসূলের কোকড়ানো দুল,
কখনো ঘাড় কখনো লতি পরে,
শেষের বেলা কয়েকটি চুল লালাভ,
পরিমিত আকারে মাথা অপেক্ষায় বড়,
মণি যুগল ছিল কালো,
সুন্দর সুউচ্চ নাসিকা রাসূলের,
হাসির পরে মুক্তা চমকায়,
মনোরম মাংশল কাঁধের হাড়ে,
স্কন্দ্ব দ্বয় মধ্যস্তলে কবুতরের ডিম,
সুন্দর করে লেখা লা ইলাহা ইল্লাহ...
বুকের মাঝে প্রসারিত লম্বা দাড়ি,
কাড়িত সবার মন ছিল মনোরম আকর্ষণ,
……………………………………………
যুদ্ধে যাব
চন্দ্রলোকের অচিনটাকে ভেঙ্গে আমি দেব।
যাত্রা পথের পথিক হয়ে করব অভিযান
ঝরবে সদা বৃষ্টি আগুন, ঝরবে সুখের অম্লান।
কামাল পাশা চলছে যেমন মৃত্যুজয়ের রথে
খালিদ হব ঘোড়ায় চড়ে, মরুভূমির পথে।
রাত পোহায়ে সকাল এলে তোমার কথা কব।
বিশ্বপথে চলব মাগো একটু দুআ পেলে
পথের কাঁটা সরিয়ে দেব বুকের সাহস ঢেলে।
নবীর শিক্ষায় দীক্ষা আছে নেইতো হারাবার
যুদ্ধে যাব মাগো তোমার কষ্ট মুছিবার।
মাগো আমায় দাও সাজিয়ে যুদ্ধে আমি যাব
যুদ্ধে গিয়ে শহীদ হয়ে সাহসী বীর হব।
গর্ব মায়ের হাসি যেথা তোমার ছেলের মরণে।
প্রতিশিরায় ওঠছে ব্যাথা দাওনা আমায় ছুটি
তোমার ছেলে গেলে মাগো বিপদ যাবে টুটি।
……………………………………………
ভালবাসা রতন জড়ায় মুগ্ধ প্রেমে।
আকাঁ বাকাঁ মাঠ দূর ধান ক্ষেতের পাশে
জলভরা দিঘি স্পন্দনে টলমল হাসে।
আমার এ গ্রামে
সুমধুর আযান, দূর মসজিদ পানে।
পাখির কলকাকলি, কাছামাটিয়ার কলতান
মৃদু মৃদু স্পর্শে ডাকে শান্তির আহ্বান।
আমার এ গ্রামে
ফুল, ফল জাগেঁ কত যে স্নেহ প্রেমে।
ছোট ছোট মাঠে, ঘাস খায় গরু
সারি সারি সাজাঁনো অপরুপ তরু।
আমার এ গ্রামে
মানিকের চিঠি আসে প্রতিদিন খামে।
সকালে ওঠে মায়েরা, শিশুদের কান্না শুনে
পাখিরা ছুটে যায়, খাবার সন্ধানে।
সুখদুখে দিন যায়, গ্রাম থাকে দাঁড়িয়া
তবুও থাকি দিনরাত সব কিছু ভুলিয়া।
……………………………………………
আমায় দেখে সেই তারাটি, ঝিকিমিকি হাসে।
আমার সকল গোপন কথা, বলি তারে খুলে।
সেই তারাটি ও সঙ্গে কাঁদে, শোকের গান গেয়ে।
আমায় তখন হাসতে শেখায়, মিষ্টি কথা কয়ে।
সুখে দুঃখে পাশে থেকে, বন্ধু হল যিনি।।
……………………………………………
শান্ত দিঘির জল,
হিমেল হাওয়ার ঢল।
হয় যে পাগলপাড়া।।
……………………………………………
বাপরে!একটি নয়রে,দুটি নয়রে,চার চারটি ভূত,
ওরা কিনা বলে, খাবে আমায় ছিঁড়ে,
আজব কথা ভূতের মার, কেউ করবে না বিশ্বাস,
কাটত যদি, ছিড়ত যদি, আমায় ওরা ধরে,
কিন্ত ওরা, জোরসে করে, কিলটি মারে জোরে,
আমি ও দেই ধুমতারাক্কা, ভয়ে দুচোখ বুজে,
আমিও তাই সাহস করে, বুক ফুলিয়ে বলি হেকে,
হঠাৎ দেখি সামনে ভূত, আজব রকম চেহারা
ভয়ে ভয়ে শুধালাম, তোমরা বাপু কাহারা?
হঠাৎ পড়ে উল্টে গেলাম, শব্দ করে হুট।
পিছনে চেয়ে দেখি, মস্ত বড় বাঘ
ভূত মিলিয়ে বাঘ, হলাম আমি আগভাগ।
যেমনি আমি দাড়ালাম, তেমনি গেলাম পড়ে
কানের কাছে বলল কে রে ? বেলা গেল ওঠরে।
চেয়ে দেখি শুয়ে আছি, মেঝেতে পড়ে
মাগো আমায় জড়িয়ে আছে, আচঁলে ধরে।।
বাবুই পাখির বাসা
আমাদের ওই গাঁয়ে, বাশঁ বন ছাড়িয়ে
তাল গাছ উঁচুতে, বাসা করে বাবুই এ।
নড়বড় করে বাসা, পড়ে নাকো মাটিতে
মাঝে মাঝে ঢিল চূড়ি, দূর গাছ উচুঁতে।
লাগে নাকো একটা, যায় সব ফসকে
ব্যাথাময় দু হাত, আঁধার আসে চক্ষে।
সন্ধ্যায় ফিরি বাড়ি, আপু বলে কিচ্ছা
বাবা দেয় কানমলা, দেয় কিল সাচ্চা।
বুঝবিরে বড় হলে, এখন তুই বাচ্চা।
ঘুম ঘুম ঢুল ঢুল, ঘুম আসে চক্ষে
বাবুই এর বাসা পাড়া, সাড়া জাগে বক্ষে।
বাবুই পাখি আসে তেড়ে, যেন তারা বিচ্ছু
সারা গাঁয়ে আচড় কাটে, মুক্তি নাহি কিচ্ছু।
দৌড়ে ছুটি এদিকওদিক, কাঁদি গলা ছেড়ে
ঢিল আর ছূড়ব না, বলি কান ধরে।
দাঁতে দাঁত লেগে হঠাৎ, ওঠিলাম জেঁগে
চেয়ে দেখি পাশ ফিরে, মা আছেন রেগে।
আজ থেকে যাব নাকো বাবুইয়ের বাড়ি
তার সাথে চিরদিন হল আমার আড়ি।
……………………………………………
সবাই মিলে ঈদ বাগিচায় ফুল হয়ে ফুটি।
আকাশ ভরা তারা হয়ে হরেক দিকে ছুটি
সবার চোখের জল মুছিয়ে দুঃখ কে দেই টুটি।
হ্নদয় সাগর পূর্ণ করে ছাড়াই দিকে ধ্বনি।
এই খুশিতে দুংখ করে গরীব মানুষ জানি
সবাই মিলে একটু করে, বাড়ি দু হাত খানি ।
গরীব দুখী হাসুক সবাই এই আমাদের ঘরে।
আমাদের এই নদীটারে, ঘিরে রাখে আধাঁরে।
নেমে এলে সন্ধ্যা, তরী পড়ে বান্ধা।।
আকাঁ বাকাঁ এই তীরে, মায়া লতা রয় ঘিরে।
শেয়ালের রা উঁকি মারে, আমি সদাই খুজিঁ তারে। ।
চুপচাপ কাশবন, ঘুমে থাকে আনমন।
রুপে তার বাহারে, মনে হয় চিনারে।।
……………………………………………
বলল আমায় ওরে পাগল পাড়াঁ,
সংগ্রামের ঐ সত্যাধারা।
তারার দেশে হাটু গেড়ে, একটা সালিশ বসাই।
আকাশ ভরা তারার মেলা,তবুও ধূসর মানব ছবি,
……………………………………………
বই যে আমার এমন আপন সবার কাছে কই ।
সময় পেলে সদা আমি বই পড়ি যে বই
উপর তলার মানুষ হতে আপন হল বই।
বই ছাড়া কেউ এ দুনিয়ায় পায়না আপন সুখ
বিপদ-আপদ সর্ব বেলায় উজ্জ্বল করে মুখ।
বইতো আমার মনের মানুষ আবিষ্কারের নেশা
বই পড়িলে পাবে মুক্তি হয়ে গেলেও দিশা।
জ্ঞানী হবার এটাই চিবি জগৎ জোড়া মানি
বই পড়লে হবে তুমি বন্ধু মানব জ্ঞানী।
বিশ্বদেশের সকল মনিব আপন ওদের বই
যুদ্ধ ক্ষেত্রে বইয়ের প্রথা ঘটেছে হইরই।
পড়ার শেষে নিভির বেশে ক্লান্তি যখন আসে
চোখ বুলাই তার ছবির উপর রেখে তাহা পাশে।
মানুষ নামের বন্ধু হলে করে না না ভঙি
কেউ হবে না পৃথিবীতে বই এর মত সঙ্গি।।
……………………………………………
সূচনার আবাস্তল তোর বুকে ঘর;
জড়ায়ে আচঁল প্রান সুধা মনোরম।
কোথা যাই! কোথা পাই! এমন লহর;
কালের প্রহরে তুমি কভু নাক রবে,
একটু পরশে মাগো এসেছিলে ভবে
দুআ মোর আরতি স্বর্ণ আরশ ভরে,
……………………………………………
তোমাকে যে আসতে হবে, শঙ্ক কনের বর সাজাঁতে।।
নাচনে বুড়ি নাচবে - গাইবে, তা ধিন তা।
তোমাকে ও যে আসতে হবে,শঙ্ক কনের পান সাজাঁতে।।
তাই না দেখে তোমার মনে,ভাব হবে যে আমার সনে।
……………………………………………
মগের মুল্লোক রাজ আসনে দেখ কারা বসা?
অবাক চোখে একলা দাদা সময় নিল খানিক
জানিস না এ কথা টা সংবিধান কী মানিস?
লাল দালানে ঢুকিয়ে দেবে এজন্যই তো চুপ।
সাধ্য আছে কার? বলতে তোমায় হারামজাদা।
চুপসে গেলি হাদা
বললে হেসে দাদা।
টনক খেয়ে একটু থেমে দাদা দিল দড়ি
ঝুলগে গাছে! রোজ খেয়েছি মিথ্যা বলার বড়ি।
মরদ তোদের জেনে গেছি -
……………………………………………
কে ডাকে চুপি চুপি, দরজার ও পাশে।
আঁধারে চুপি চুপি, কে তুমি ওখানে।
ঘুমতো আসেনা, তাহারও নিঃশ্বাসে
কে ডাকে চুপি চুপি, দরজার ও পাশে।।
কতদিন দেখিনা,সেই স্মৃতি পাড়াঁ গাঁ র।
দরজাটা খোলে দেখি, দু একটা জোনাকি
ফিরে ফিরে আসে।
কে ডাকে চুপি চুপি, দরজার ও পাশে।।
কে ডাকে চুপি চুপি, দরজার ওপাশে।
……………………………………………
বন্ধু তুমি
সন্ধ্যা বুঝ কি?
বন্ধু তুমি
চাদঁ বুঝ কি?
বন্ধু তুমি
জোছনা বুঝ কি?
……………………………………………
ভালো লাগে তোমাদের, মুখ চেয়ে থাকতে।
তোমাদের মুখ দিয়ে, হাদিসের ফুল ফোটে
তোমাদের দেখলেই, মনে পড়ে খোদাকে।।
তোমরা যে ভাই, ইসলামের সৈনিক।।
(Amanullah Raihan কে উৎসর্গ )
আমার আছে বিরহ ঘুড়ি, আকাশে উড়াতে পারি
আমি পারি কাঁদতে, তুমি পার কি?
জোছনায় জোনাক জোনাক।
আমার আছে জানালা, এ হৃদয় উজালা।
হতে পারি রাত পাখি, তুমি পার কি?
লোকে বলে মাগো নাকি, তারা হয়ে গেছে।
কোন তারাটি আমার মা, আমার দু চোখ জুড়ে।
না পেলে তাই সেই তারাটি, বুকে ভীষন লাগে।
যে তারাটি চোখে ভাসে, সব তারাদের আগে।
না পেলে তাই সেই তারাটি, বুকে ভীষন লাগে।।
……………………………………………
ভাল করে চেয়ে দেখ নাম তার হাইড্রো।
দেখতে চাও যদি এসো ভাই কালতো।
হাইড্রো চালায় ভাই, অপারেটর আলতু।
খ.
সেই ভাই মহামানব, নাম দাদা স্ট্যান্ডার্ড।
মাপ বুঝে ফ্রেব্রিক্স, পারে সে চালাতে
ঠিক রেখে উইডথ ও জিএসএম, পারে সে শুকাতে।
কত যুগ ধরে চলে, কেউ নাহি জানে
সেই কথা জানে ভাই, অপারেটর মতিনে।।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Facebook: facebook.com/samoiki
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments