মাৎসর্য_নাসির মাহমুদ
'মাৎসর্য' একটি কঠিন শব্দ মনে হতে পারে। এটি একটি রিপুর নাম। এর অর্থ হলো হিংসা, পরশ্রীকাতরতা, বিদ্বেষ, অপকার, হনন ইত্যাদি। অনেকে ঈর্ষাও বলে থাকেন। আমি মনে করি ঈর্ষা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কারণ হিংসা এবং ঈর্ষার মধ্যে মৌলিক পার্থক্য আছে। পার্থক্যটা হলো অপরের কোনো সৌন্দর্য দেখে নিজের ভেতরেও সৌন্দর্য সৃষ্টি করার নাম ঈর্ষা। এটা মন্দ হবে কেন। ধরা যাক প্রতিবেশির বারান্দায় চমৎকার হাস্নাহেনা ফুটে রাতভর সুঘ্রাণ ছড়ায়। আপনি যদি সেই ঘ্রাণে মাতোয়ারা হয়ে আপনার বারান্দাতেও হাস্নাহেনার টব লাগান,সেটা হবে ঈর্ষা। কিন্তু যদি এরকম ভাবেন যে ওর বারান্দায় কেন এরকম সুঘ্রাণ ছড়াবে-এই চিন্তা থেকে কৌশলে তার টবটাই ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিলেন-এটা হলো হিংসা। মাৎসর্য এই হিংসার পর্যায়ে পড়ে, পরশ্রীকাতরতার পর্যায়ে পড়ে।মাৎসর্যে অন্ধ যারা তারা অন্যের সুখে হিংসুক হয়েই ভেতরে ভেতরে জ্বলেপুড়ে মরে,তারা কখনোই সুখি হয় না। বাংলায় একটা অদ্ভুত প্রবাদ আছে: 'নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা'। একবার চিত্রটি কল্পনা করেই দেখুন-কী সাংঘাতিক ব্যাপার।এই মনোবৃত্তি মাৎসর্য রিপুর উপহার। যে মাৎসর্যবৃত্তি করে,একসময় সমাজে তার আর কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকে না।কেউ কোনো ভালো কাজ করলে তার সহ্য হয় না। তার খারাপ দিক খুঁজে বের করাই কর্তব্য জ্ঞান করে সে। নিজের ক্ষতি করে হলেও সে অপরের ক্ষতি করার জন্য তার পেছনে লেগে থাকবে। হোক না তা বছর কিংবা যুগ। ক্ষতি করার চিন্তাতেই তার দিন কাটে, রাত কাটে। এক সময় তার জীবনই কেটে যায়।
মাৎসর্য আগুনের মতো ঈমানকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দেয়। এক বিন্দু হিংসাও যদি মনে থাকে তাহলে তার ভেতরের সকল পুণ্য ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দেয় ক্যান্সারের জীবাণুর মতো। হিংসার আগুনে জ্বলতে জ্বলতে শেষ হয়ে যায় হিংসুক-এটাই তার পার্থিব শাস্তি। রোজা রেখে কেউ যদি এই মাৎসর্য রিপু নিজের ভেতরে লালন করেন, তাহলে রোজা হবে শুধু উপোস থাকা।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments