রানা জামান’র ছড়া
এডিস মারতে ছুটো
নামটা মশার এডিস
হলে সেটা লেডিস
কামড় দিলে বাপ রে বাপ!
জ্বরটা আসবে গায়ে
জাহাজ কিংবা নায়ে
কাউকে করে না তো মাপ
জন্মে ভালো জলে
দুল্কি চালে চলে
ঔষধ দিলে রাগে বেশ
এবার রাগলো ম্যালা
এডিস সাথে চ্যালা
করে যাচ্ছে দেশটা শেষ
সিটির মেয়র দুটো
এডিস মারতে ছুটো
দাগো পিস্তল কামান ট্যাংক
শহর বাসী বাঁচুক
সুস্থ দেহে নাচুক
আপনাদের গা'য় লাগুক র্যাং ক।
……………………………………………
আল্লাহর মমিন বান্দে
ঘরে বাইরে মসজিদ বনে
আল্লাহর মমিন বান্দে
পরকালের শাস্তি থেকে
নাজাত পেতে কান্দে
ঘাড়ের উপ্রে ইবলিস বলে
আমার কথায় কান দে
ইহলোকে থাকতে সুখে
লোভের দা-এ শান দে
ইবলিস বলে স্যাঙাত ডেকে
শালার পাতে রান দে!
ধ্যান সরিয়ে এদিক আনতে
সাথে বাটার নান দে
মমিন বান্দে মগ্ন থেকে
বলে, ইবলিস জান দে
ভাংবে না মগ্নতা আমার
যতই ধ্যানে টান দে
ঈমান তোমার থাকলে শক্ত
ধ্যানে থেকে জান দে
পরকালের সুখটা ভেবে
মুখে ঘ্রাণের পান দে।
……………………………………………
ঝিক ঝিক ঝিক চলছে ট্রেন
ঝিকঝিক ঝিক কু... চলতে চলতে
পড়লে নিচে ট্রেন
টেনে হিছড়ে তুলতে উপ্রে
তখন লাগে ক্রেন
ভেতর উপর যাত্রী বোঝাই
চলছে দেখি ট্রেন
হাজার কোটির লোকসান শুনে
কাজ করে না ব্রেন
মন্ত্রী সচিব ডিজির হাতে
চলছে দেশের ট্রেন
লাভের গুড়টা নেয় কি টেনে
গোপন কোন ড্রেন?
……………………………………………
তুমি
কী ধাতুতে গড়া তুমি জানো বাহে কী তা
একটু খানি খোঁচা দিলে বাইরে আসে তিতা
তিতার দৈর্ঘ মাপার জন্য সৃষ্টি হয় নি ফিতা
তোমার চলায় ছন্দপতন তবু তুমি চলো
তেড়চা চোখে দেখলে তোমায় কটু কথা বলো
ভুল ধরিয়ে দিলে তোমার একটুও না গলো
তোমার তালে তাল না দিলে হয়ে পড়ো মাতাল
আগুন দিয়ে দাও পুড়িয়ে ফসল ভরা চাতাল
দিনে দিনে হচ্ছো তুমি গোঁয়ার ষাড় এক দাঁতাল
খুঁটি তোমার শক্ত যতই হবে একদিন ধংস
যেমন দেখো নেই তো বেঁচে শক্তিশালী কংশ
সময় থাকতে বদলে গিয়ে হও সদাচার হংস।
……………………………………………
মুর্গি চোর বনাম ব্যাংক চোর
মুর্গি চোরে করে চুরি
ছোট বড় বাচ্চা
এক বর্ণও মিথ্যে নয় তো
ষোল আনা সাচ্চা
দিনের বেলা অল্প স্বল্প
মস্ত চুরি রাত্রে
বেচার তরে কিছু মুর্গি
রাখে গোপন পাত্রে
একটি রাতে চুরির কালে
পড়লো চোরে ধরা
আচ্ছামতো ধোলায়ের পর
পড়লো যে হাতকড়া
অপরদিকে ব্যাংক ডাকাতি
করে যাচ্ছে যারা
রিশিডিউল করে নিয়ে
হচ্ছে ভোটে খাড়া
এদের টুটি ধরতে পারে
নেই তো কারো সাধ্য
গদির কাছে থেকে এরা
বাজায় খুশির বাদ্য।
……………………………………………
স্বপ্ন থাকুক স্বপ্নে
রাতের স্বপ্ন দিনে
কিনতে আমি নই তো রাজি
জটিল কোন ঋণে
স্বপ্ন থাকুক স্বপ্নে
ইচ্ছে মতো দেখবো আমি
তোরা খোদার জপ নে
দিনে কিংবা রাতে
ফর্মূলা এক গড়েছি যে
স্বপ্ন আমার হাতে।
……………………………………………
শুকনায় জাহাজ চলে
পাওয়ার পার্টির শক্তিশালী
অঙ্গ ছাত্র দলে
হতে পারলে নেতা গোছের
শুকনায় জাহাজ চলে
শার্টের বোতাম রাখো খোলা
উচু রাখো কলার
ইভে টিজিং মামদোবাজি
কেউ রবে না বলার
লেখাপড়া চাঙ্গে রেখে
চলবে চান্দা আদায়
আদু ভায়ের বাজার গরম
দেখাচ্ছে আজ দাদায়
সুবোধ ছাত্রের হাতে থাকে
শুধু সার্টিফিকেট
ছাত্র নামের নেতার হাতে
বিজনেস ক্লাশের টিকেট।
……………………………………………
বিড়ম্বিত ভাগ্য
যখন তুমি দেখবে তোমার
বিড়ম্বিত ভাইগ্গ
বদলে যাবার মানস নিয়ে
কাজে কামে লাইগ্গ
নেতা মন্ত্রীর বাসায় গিয়ে
সারারাত্রি জাইগ্গ
দেখা পেয়ে মন গলাতে
কামান তুমি দাইগ্গ
ভাগ্যের বদল না হলে তো
নিজেতে না রাইগ্গ
সবার শেষে আল্লার কাছে
দোয়া তুমি মাইগ্গ।
……………………………………………
গণতন্ত্রের ট্যুইস্টে লাগুক
এ কেমন ব্যবস্থাপনা
ভাবনার বিষয় বটে
ভোটে জিতে মন্ত্রী এমপি
পাওয়ার থাকে পটে
নেতা হলে পাওয়ার পার্টির
অবাধ লাইসেন্স কর্ম ডার্টির
ভোটার দামি ভোটের বেলায়
কাজে গেলে গালি
টাকা-কড়ি না থাকলে দাও
মোরগ চারে হালি
পাঁচটি বছর ভোটার শালা
বরণ করতে হাতে ডালা
গণতন্ত্রের ট্যুইস্টে লাগুক
বাক্স অভিযোগের
লাগাম তখন লেগে যাবে
ইচ্ছে মতো ভোগের।
……………………………………………
প্রতিবছর রানাপ্লাজা ডে
প্রতিবছর চব্বিশ এপ্রিল
রানাপ্লাজা আসে
রক্ত দেখি কলকারখানায়
আরো দেখি ঘাসে
কর্মস্থলে অপঘাতে
মৃত্যু হচ্ছে দিন বা রাতে
গোড়ায় অনেক আছে গলদ
বিধি এবং আইনে
অপঘাতে মরলে শ্রমিক
সাজা ক্ষুদ্র ফাইনে
নির্মাণকালে থাকছে ত্রুটি
ব্যয় কমাতে দুর্বল খুঁটি
আরো অনেক ছলচাতুরী
ঘটে নির্মাণকালে
রেজাল্ট দেখি পুরান ঢাকায়
বনানীতে হালে
নির্মাণকালে মনিটরিং
যদিও মালিক হবে বরিং
ব্যবস্থাটা করতে হবে
অতিসত্বর শুরু
সেফটি নিশ্চিত করার জন্য
রাখতে হবে গুরু
করতে হবে রিস্ক এসেসমেন্ট
কারখানা সেফ সেন্টপার্সেন্ট
মালিক সবাই আসুন সামনে
করুন ওমন কারবার
কাজের স্থানে এক্সিডেন্টও
ঘটবে না তো বারবার।
হলে সেটা লেডিস
কামড় দিলে বাপ রে বাপ!
জাহাজ কিংবা নায়ে
কাউকে করে না তো মাপ
দুল্কি চালে চলে
ঔষধ দিলে রাগে বেশ
এবার রাগলো ম্যালা
এডিস সাথে চ্যালা
করে যাচ্ছে দেশটা শেষ
এডিস মারতে ছুটো
দাগো পিস্তল কামান ট্যাংক
শহর বাসী বাঁচুক
সুস্থ দেহে নাচুক
আপনাদের গা'য় লাগুক র্যাং ক।
……………………………………………
আল্লাহর মমিন বান্দে
পরকালের শাস্তি থেকে
নাজাত পেতে কান্দে
আমার কথায় কান দে
ইহলোকে থাকতে সুখে
লোভের দা-এ শান দে
শালার পাতে রান দে!
সাথে বাটার নান দে
বলে, ইবলিস জান দে
ভাংবে না মগ্নতা আমার
যতই ধ্যানে টান দে
ধ্যানে থেকে জান দে
পরকালের সুখটা ভেবে
মুখে ঘ্রাণের পান দে।
……………………………………………
পড়লে নিচে ট্রেন
টেনে হিছড়ে তুলতে উপ্রে
তখন লাগে ক্রেন
চলছে দেখি ট্রেন
হাজার কোটির লোকসান শুনে
কাজ করে না ব্রেন
চলছে দেশের ট্রেন
লাভের গুড়টা নেয় কি টেনে
গোপন কোন ড্রেন?
একটু খানি খোঁচা দিলে বাইরে আসে তিতা
তিতার দৈর্ঘ মাপার জন্য সৃষ্টি হয় নি ফিতা
তেড়চা চোখে দেখলে তোমায় কটু কথা বলো
ভুল ধরিয়ে দিলে তোমার একটুও না গলো
আগুন দিয়ে দাও পুড়িয়ে ফসল ভরা চাতাল
দিনে দিনে হচ্ছো তুমি গোঁয়ার ষাড় এক দাঁতাল
যেমন দেখো নেই তো বেঁচে শক্তিশালী কংশ
সময় থাকতে বদলে গিয়ে হও সদাচার হংস।
……………………………………………
ছোট বড় বাচ্চা
এক বর্ণও মিথ্যে নয় তো
ষোল আনা সাচ্চা
মস্ত চুরি রাত্রে
বেচার তরে কিছু মুর্গি
রাখে গোপন পাত্রে
পড়লো চোরে ধরা
আচ্ছামতো ধোলায়ের পর
পড়লো যে হাতকড়া
করে যাচ্ছে যারা
রিশিডিউল করে নিয়ে
হচ্ছে ভোটে খাড়া
নেই তো কারো সাধ্য
গদির কাছে থেকে এরা
বাজায় খুশির বাদ্য।
……………………………………………
কিনতে আমি নই তো রাজি
জটিল কোন ঋণে
ইচ্ছে মতো দেখবো আমি
তোরা খোদার জপ নে
ফর্মূলা এক গড়েছি যে
স্বপ্ন আমার হাতে।
……………………………………………
অঙ্গ ছাত্র দলে
হতে পারলে নেতা গোছের
শুকনায় জাহাজ চলে
উচু রাখো কলার
ইভে টিজিং মামদোবাজি
কেউ রবে না বলার
চলবে চান্দা আদায়
আদু ভায়ের বাজার গরম
দেখাচ্ছে আজ দাদায়
শুধু সার্টিফিকেট
ছাত্র নামের নেতার হাতে
বিজনেস ক্লাশের টিকেট।
……………………………………………
বিড়ম্বিত ভাইগ্গ
বদলে যাবার মানস নিয়ে
কাজে কামে লাইগ্গ
সারারাত্রি জাইগ্গ
দেখা পেয়ে মন গলাতে
কামান তুমি দাইগ্গ
নিজেতে না রাইগ্গ
সবার শেষে আল্লার কাছে
দোয়া তুমি মাইগ্গ।
……………………………………………
ভাবনার বিষয় বটে
ভোটে জিতে মন্ত্রী এমপি
পাওয়ার থাকে পটে
অবাধ লাইসেন্স কর্ম ডার্টির
কাজে গেলে গালি
টাকা-কড়ি না থাকলে দাও
মোরগ চারে হালি
বরণ করতে হাতে ডালা
বাক্স অভিযোগের
লাগাম তখন লেগে যাবে
ইচ্ছে মতো ভোগের।
……………………………………………
রানাপ্লাজা আসে
রক্ত দেখি কলকারখানায়
আরো দেখি ঘাসে
মৃত্যু হচ্ছে দিন বা রাতে
বিধি এবং আইনে
অপঘাতে মরলে শ্রমিক
সাজা ক্ষুদ্র ফাইনে
ব্যয় কমাতে দুর্বল খুঁটি
ঘটে নির্মাণকালে
রেজাল্ট দেখি পুরান ঢাকায়
বনানীতে হালে
যদিও মালিক হবে বরিং
অতিসত্বর শুরু
সেফটি নিশ্চিত করার জন্য
রাখতে হবে গুরু
কারখানা সেফ সেন্টপার্সেন্ট
করুন ওমন কারবার
কাজের স্থানে এক্সিডেন্টও
ঘটবে না তো বারবার।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments