স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাঙালি জাতির প্রত্যাশা ।। এইচ. এম. মুশফিকুর রহমান

২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। ২০২১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তাই এবারের মার্চ এসেছে নতুন এক প্রত্যাশা নিয়ে।
মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পরেও আমরা জাতিগত জীবনে যা অর্জন করতে পারিনি, জাতি হিসেবে আমাদের যা স্খলন, তার উত্তরণ ঘটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আদর্শকে সমাজে, রাষ্ট্রে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই সুবর্ণজয়ন্তীতে নতুন করে শপথ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে এবারের অগ্নিঝরা মার্চ।
 বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন ১৯৭১ সালে জাতি দেখছিল, সেই রাষ্ট্র গঠনের শপথ নেওয়ার মাস এই মার্চ। আগামী প্রজন্ম দেশকে সেই গণতন্ত্রের পথে, সমৃদ্ধির পথে আরো এগিয়ে নেবে সেই প্রত্যাশার স্বপ্নে বিভোর সারা দেশের মানুষ।
স্বাধীনতার অর্ধশত বছরে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান যে উন্নত হয়েছে তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে জীবনযাত্রার প্রত্যাশিত মান অর্জন করা গেছে কি না এবং সর্বস্তরের মানুষের জীবনমানের উন্নতি হয়েছে কি না-সেটাই দেখার বিষয়। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করলেও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা আজও সম্ভব হয়নি। ভেজাল খাবার খেয়ে প্রতিবছর তিন লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ক্যানসারসহ বিভিন্ন মরণব্যাধিতে। জাতির প্রত্যাশা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের।
একটি দেশের প্রকৃত উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হল শিক্ষা। এটি পরিমাপের দুটি দিক রয়েছে। একটি পরিমাণগত, অন্যটি গুণগত। স্বাধীনতার পর থেকে আজ অবধি আমরা শিক্ষার পরিমাণগত দিকটিকেই আমাদের সাফল্যের মানদ- হিসেবে বিবেচনা করেছি। স্বাধীনতার সময় দেশে সাক্ষরতার হার ছিল ১৬. শতাংশ, যা বর্তমানে ৭৪. শতাংশে পরিণত হয়েছে। এতেই আমরা পরিতৃপ্ত হই।
পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হলেই দেশ ভেসে যায় কথিত + এর আনন্দ বন্যায়। শিক্ষাব্যবস্থায় জিপিএর পরিমাণকে মানদ- বিবেচনা করা নিরেট বোকামি জাতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে অভিমত দিচ্ছেন শিক্ষাবিদরা।
দেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থার অবস্থা আরও করুণ। মান্ধাতা আমলের সিলেবাস দিয়ে চলছে পাঠদান। গবেষণা নেই, নেই কোনো সৃষ্টিশীলতা। স্বল্প গবেষণা হলেও অভিযোগ ওঠে নকলের। আবার চাকরির বাজারের সঙ্গে উচ্চশিক্ষা পদ্ধতির কোনো মিল নেই। শিক্ষার বেহাল অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে প্রত্যাশা বাঙালি জাতির।
 
ছাত্র শিক্ষকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলোর লেজুড়বৃত্তিধারী সংগঠন করার ফলে দ্বন্দ-সংঘাত ব্যাপকতর হয়ে পড়ছে। এতে শিক্ষায় সেশনজট সৃষ্টি করছে, শিক্ষা আর সংস্কৃতিবোধকে জাগ্রত করছে না, ঐতিহ্যের প্রতি অনুগত করে তুলছে না,  দেশপ্রেমকে সুদৃঢ় ভিত্তির উপর দাড় করাচ্ছে না। জাতীয় জীবনে শিক্ষার সুফল দ্রুত পৌঁছে দিতে শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন করা, বৈশ্বিকভাবে বর্তমানের গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞান কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটানো, মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিকল্পনা করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো, সংবিধান অনুযায়ী বহুধারার সব শিক্ষা ব্যবস্থাকে  দেশপ্রেমমূলক বাঙালি জাতীয়তাবোধ সম্পন্ন একই ধারার শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন,  নৈতিক মানসম্পন্ন মানুষ গড়তে ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার, যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ, জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে কর্মদক্ষতা অর্জন সামাজিক উৎপাদনে অংশগ্রহণ করার মতো ক্ষমতা লাভের সুযোগ সৃষ্টির প্রত্যাশা রইলো আগামীতে।
কর্মসংস্থান একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম ধারক বাহক। বাংলাদেশে বেকারত্বের হার নিয়ে প্রায়ই ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়। সরকারি তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ। এর মধ্যে আবার ৪০ শতাংশ বেকার উচ্চশিক্ষিত। আর আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মতে, বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা প্রায় কোটি। ক্রমেই বাড়ছে সংখ্যা। বেকার কর্মসংস্থান পাবে প্রত্যাশা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাঙালি জাতির।  
 
একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম মাপকাঠি হল দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। বিদেশি বিনিয়োগ বাণিজ্য, অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন, রাষ্ট্রের স্বাভাবিক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এর ওপর নির্ভরশীল। দেশে ক্রমাগত বিভাজনের রাজনীতি চর্চার ফলে জাতীয় ঐক্যের সৃষ্টি হয়নি। যখন কোনো দল ক্ষমতার বাইরে অবস্থান করে, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা না করে ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পথ গ্রহণ করে। আবার ক্ষমতার গদিতে যখন যে দল আরোহণ করে, তখন যেন বিরোধী দলকে দমন করাই হয় তার অন্যতম নীতি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতির প্রত্যাশা  বাঙালির রাজনৈতিক কালচার পরিবর্তন হবে, ইনশাআল্লাহ।
স্ব-অর্থায়নে পদ্মা সেতু, প্রশস্তকরণসহ মহাসড়ক সংস্কার, মেট্রোরেল, ট্যানেল, উড়াল সেতু, ওভার ব্রিজ, ফ্লাইওভার, অসংখ্য ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবন, রেল উন্নয়ন, নৌপথ উদ্ধার, নতু রাস্তা নির্মাণ পুরানো রাস্তা সংষ্কার, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবা ইত্যাদি কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে মানুষের নিরাপদ সুরক্ষিত জীবনের ভারসাম্য আনতে উদ্যোগী সরকার। শিক্ষানীতি, নারী উন্নয়ন নীতি, তথ্য অধিকার আইন, সড়ক নিরাপত্তা আইন, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতি, শিল্প নীতি, বাণিজ্য নীতি ইত্যাদি জনগণের সুন্দর ভবিষ্যতের আশায় গাইড লাইন হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ তাদের প্রতিদিনকার জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝতে পারছে বর্তমান উন্নয়নের ধারা তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে ব্যর্থ হচ্ছে রাজনৈতিক অস্থিতি, দুর্নীতি আর নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিযোগিতার কারণে। সরকারি দলের কর্মীরা ব্যক্তিগত আধিপত্য বিস্তারে সারাদেশে প্রতিযোগিতায়  নেমেছে। সরকারি উন্নয়নের ওয়াচডগ না হয়ে তারা সরকারের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পর্দা-বালিশ- চেয়ার কেলেংকারী চলমান, উন্নয়ন প্রকল্প প্রাক্কালিক ব্যয় সময়ে শেষ হচ্ছে না, ব্যাংক জালিয়াতি শেয়ার ধস ঘটছে, সিন্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রণ নষ্ট করছে, আলু চাষ-পুকুর কাটা-গ্রাম উন্নয়ন প্রশিক্ষণ নিতে বিদেশ ভ্রমণ চলছে, কমিশন বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে। সরকার এসব ব্যাপারে সতর্ক হলে, যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়ন হবে এবং দেশ আরও এগিয়ে যাবে প্রত্যাশা দেশের প্রতিটি জনগণের।
আমরা স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী পার করতে যাচ্ছি, মুক্তিযুদ্ধের নানা ইস্যুতে এখনো আমরা দ্বিধাবিভক্ত। স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে আজও বিতর্কে জড়িয়ে আছি। তা ছাড়া জাতীয়তা নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদকে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ দিয়ে দ্বিখ-িত করে দেওয়ার প্রয়াস অব্যাহত আছে। আর তা আমাদের স্বাধীনতা বিজয়ের বড় কলঙ্ক ছাড়া আর কিছু নয়। জাতির প্রত্যাশা স্বাধীনতা ইস্যুতে বিবাদ বিতর্ক বিদূরিত হবে।
পররাষ্ট্রনীতিতে আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে পেরেছি পৃথিবীর প্রত্যেক রাষ্ট্রের সঙ্গে। প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে সম্পর্ক আরো মজবুত। কিন্তু তিস্তার পানি বণ্টন, সীমান্তে নির্বিচারে নির্ভীক হত্যাকা-, বাণিজ্য ঘাটতি দূরীকরণ, সংস্কৃতি বিনিময়ে সমতা আনয়ন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ আরো শক্ত পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করবে প্রত্যাশা দেশের প্রতিটি নাগরিকের।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের ১১৩ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০২তম স্থানে আছে। দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। মধ্য আয়ের ৩০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ২২তম।
আইনের শাসন পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা দি ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট (ডব্লিইউজেপি) এর রুল অব ইনডেক্স প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক এক গবেষণা সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে- ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে।
আইনের শাসনের মূল বক্তব্যই হচ্ছে আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান; কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়। বর্তমানে বাংলাদেশে নানা ধরনের আইন চালু রয়েছে। তবেজোর যার মুল্লুক তার বেআইনটিই চলছে দেশে দেদারছে।ধনী, গরীব নির্বিশেষে সবার জন্য সমতার ভিত্তিতে আইনের শাসন চালু হবে প্রত্যাশা বাংলাদেশী প্রতিটি জনগণের।
 
নারী নির্যাতনের হার বেড়েছে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। করোনার কারণে মানবিক সম্পর্কগুলো আজকে প্রশ্নের সম্মুখীন। পারিবারিক সম্পর্কগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মানুষে মানুষে দেখা সাক্ষাৎ কমে গিয়ে আমরা কেমন রোবটিক হয়ে যাচ্ছি। আবেগ, অনুভূতিগুলো কেমন ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীতে প্রত্যাশা থাকবে নারীরা স্বাধীনভাবে চলতে পারবে। ধর্ষণের মতো অপরাধের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং মানুষের মাঝে সহানুভূতি সহমর্মিতা বৃদ্ধি পাবে।
 
স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সংশোধিত পুর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের কথা শোনা যাচ্ছে। তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে অনেক মুক্তিযোদ্ধা ফিরে পাবে তাদের হারানো সম্মান। আবার অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম না দেখে চাপা কান্নায় বুক ভাসিয়ে দিবেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অনেকেই রয়েছে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার পরও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করাতে পারেনি। স্বাক্ষী প্রমাণ থাকলেও তালিকা প্রণয়নকারীদের বিশেষ চাহিদা মেটাতে না পারায় বাদ পরেছেন। স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি সদস্যের নাম থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংশোধিত পুর্ণাঙ্গ তালিকায় প্রত্যাশা মুক্তিযোদ্ধাদের।
এই স্বাধীনতা আমাদের দীর্ঘদিনের নিজেদের রাষ্ট্র নির্মাণ করার আকাক্সক্ষার ফসল, এই স্বাধীনতা আমাদের কৃষক-কৃষাণী, ছাত্র-ছাত্রী, পেশাজীবী-ব্যবসায়ীদের ঘামের ফসল, অনেক ত্যাগ-তিতীক্ষার কষ্টের আত্মবলিদানের মহান গৌরবের সম্পদ। একটি গণতান্ত্রিক সমাজ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করার স্বপ্ন এই স্বাধীনতা'
'এই স্বাধীনতা কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়। এই স্বাধীনতা দেশে যারা সোনালি ফসল ফলায়, যারা পণ্য উৎপাদন করে, যারা শ্রম দিয়ে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে তাদের সকলের। বিদেশি প্রবাসী শ্রমিক ভাইয়ের, গার্মেন্টস- কর্মরত মা-বোনের, ক্ষেতে রোদে  পোড়া-বৃষ্টিতে ভেজা কৃষকের, ছাত্র-যুবক  সকল পেশাজীবীর'
স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে ১৯৭১ সালের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের। যা আমাদের একটি উদার গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে, এগিয়ে যাবে অন্ধকার থেকে আলোর জগতে। বাংলাদেশ হবে শান্তিময় আবাসভূমি। যেখানে থাকবে না কোনো হানাহানি। সবাই সম্মিলিতভাবে দেশ দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করবে। গড়বে সোনার বাংলাদেশ।

⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN

🔗 MY OTHERS CHANNELS

🔗 FOLLOW ME

🔗 MY WEBSITE

🔗 CALL ME
+8801819515141

🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com

No comments

নির্বাচিত লেখা

আফসার নিজাম’র কবিতা

ছায়া ও অশ্বথ বিষয়ক খ-কবিতা এক/ক. সূর্য ডুবে গেলে কবরের ঘুমে যায় অশ্বথ ছায়া একচিলতে রোদের আশায় পরবাসী স্বামীর মতো অপেক্ষার প্রহর কাটায় প্রাচী...

Powered by Blogger.