শীতের পোশাক ।। কবির কাঞ্চন
বাংলার প্রকৃতিতে চলছে শীতের তীব্রতা। সেই সাথে ব্যস্ততা বেড়েছে গ্রাম বাংলার মানুষের। কাছের ও দূরের স্বজনদের পিঠাপুলি, ফিরনি, সেমাই, পায়েস সহ আবহমান বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এখানের সবাই ব্যস্ত সময় পার করছে।
সেজানের দাদাও তাদের মধ্যে অন্যতম। প্রতি বছর শীতের ছুটি পেয়েই বাবামায়ের সাথে দাদার বাড়ি ছুটে আসে সে। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরের ভ্রমণ তার মনে অন্যরকম অনুভূতির জন্ম দিয়েছে। এর আগে বেশ কয়েকবার যাওয়া হলেও সবকিছু ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারতো না সে। এখন তার বুঝ হয়েছে। নতুন কোনকিছু দেখলে মনের মাঝে তার নানান বিষয়ে প্রশ্ন জাগে। আর অমনি সুযোগ বুঝে যাকে পাশে পায় তাকে প্রশ্ন করে বসে। উত্তর তার মনের মতো হলে সে মুগ্ধ চোখে হাসে। আর মনের মতো না হলে মুখভার করে থাকে।
এখন পরীক্ষা নেই। নেই কোন রুটিন ওয়ার্ক। মাও চোখে চোখে রাখেন না। ওর কাছে মনে হয়, পরীক্ষা নামক বন্দীশালা থেকে মুক্তি পেয়ে মুক্ত পাখির মতো চারদিক ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পেয়েছে সে।
ষড়ঋতুর বাংলাদেশে সেজানের প্রিয় ঋতু শীত। শীত এলে সেজান রঙবেরঙের মোটা-পাতলা কাপড়ের পোশাক পায়। বাবা কিনে দেয়। মা কিনে দেয়। নানা-নানি, মামা কিনে দেয়। এমনকি গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেলে দাদা-দাদি কিনে দেয়। চাচা-ফুপুরা কিনে দেয়। ফলে প্রয়োজনের চেয়ে বেশিই হয়ে যায়। সেজান মনে মনে ভাবে- গত বছর সে গ্রামে তার বয়সী কিছু গরিব-অসহায় ছেলেমেয়েকে দেখেছে। যেখানে প্রচন্ড শীতের দিনে গ্রামের লোকজন গায়ে চাদর কিংবা মোটা কাপড় পরে বের হয় সেখানে কিছু ছেলেমেয়েকে উদোম গায়ে কাঁপতে কাঁপতে পূর্বদিকে ছুটতে দেখেছে সে। এই চিন্তা থেকে সে নিজের ব্যাগের ভেতর তার বেশকিছু শীতের পোশাক যত্ন করে নিয়েছে।
সেজান দাদার হাত ধরে সবুজ গাঁয়ের ফসলের মাঠ, বনবীথিকা, হাট-বাজার সহ সর্বত্র চষে বেড়ায়। দাদা যখন গাঁয়ের সহজ সরল মানুষের কাছে সেজানকে পরিচয় করিয়ে দেন তখন সে মুগ্ধ হয়ে দাদার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। জীবনে যাদের সে কখনও দেখেনি তারাও পরিচিত হয়ে তাকে আপন করে নেয়। শহুরে জীবন সম্পর্কে জানতে তাকে কতো কতো প্রশ্ন করে। এটা-ওটা কিনে দেয়। সেজান তাদের কাছে যত আসে ততই মুগ্ধ হয়।
শীতের তীব্রতাকে হারিয়ে ওরা পরম কৃতজ্ঞতা ভরা চোখে সেজানের মুখের দিকে তাকায়। সেজানও মুগ্ধ চোখে ওদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। ততক্ষণে সেজানের দাদা তার নাতির মাথায় হাত বুলিয়ে আশীর্বাদ করেন।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments