স্মৃতিছায়াপাঠ ।। ফজলুল হক : পর্ব-১

 
আমি অভিনব বন্দ্যোপাধ্যায় একজন গল্পকার যারা আমার গল্পের পাঠক তারা প্রশংসা করলেও সমালোচকরা মনে করেন আমি সময়ের থেকে এক বছর পিছিয়ে আছি অর্থাৎ আমি ঠিক মুরগির ডিমে তা দেওয়া থেকে বাচ্চা ফোটার সময়ের মধ্যে আছি তারা বলেন লেখার জগতে আমার এখনও জন্ম হয়নি বলতেই  পারেন আমি আমার পূর্বের লেখাগুলির পর আর লিখব না মনস্থির করেও এই দীর্ঘ লেখা লিখব বলে কেন এত ব্যস্ত হয়ে পড়ছি তা প্রচারের আলোকে আসার অভিপ্রায় থেকে নয় নিজেকে ব্যাপারে বার বার নিবিড় অনুসন্ধানী প্রশ্ন করেও জেনেছি -লেখার মধ্যে প্রবল ভাবে থেকে যায় প্রচার আকাঙ্ক্ষা প্রকৃত লেখার কাছাকাছি পৌঁছানোর সহজ পথ বলেও মনে করে অনেকে একটা সাদা পাতায় কিছু লিখব বলে কলম নিয়ে বসা আর মনোসংযোগের সন্ধিক্ষণে পৌঁছানো স্বতন্ত্র বিষয় নিজের ক্ষেত্রে এক দুঘন্টা  কখনও একটা দিন অথবা তারও বেশি সাদা কাগজটি অক্ষত থাকে পূর্বেও এই একই রকমের নিয়মে সারাজীবনে টি মাত্র উপন্যাস লিখতে পেরেছি নতুন লেখাটির ক্ষেত্রে সাদা কাগজ শূন্য থাকার সময়স্রোতে পরিকল্পনা মতো রচনায় যা আগামীতে লিখব সেই চরিত্রগুলির মধ্য থেকে প্রধান চরিত্রটি পীড়া দেয় অদৃশ্য আক্রমণ করে, ভাবনার অক্ষম বিন্যাস সংলাপগুলির খেদ যেন অস্বাভাবিক ক্ষিপ্রতার সাথে বেরিয়ে আসে তার স্মৃতি ছায়া-উপচ্ছায়ায় আমি অবিন্যস্ত ভাবনায় পুঙ্খানুপুঙ্খ খুঁটিনাটির ব্যাপারে শিল্প নৈপুণ্য যত্নশীল ছিলাম না তাই চরিত্রটির বাস্তব উদ্ভাবন নির্ভরযোগ্য বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে না বাইরের  পৃথিবীর পর্যাপ্ত বদল ঘটছে খুব দ্রুত গতিতে কোনও সত্য টেকসই হচ্ছে না আমার পূর্বের লেখা নিয়ে  ভবিষ্যতের গল্পের নায়ক নায়িকারা ক্ষেপে ওঠে এক নিপুণ মগ্নতার গভীর থেকে তাদের লাল চোখ কথা পীড়নক্লান্ত শব্দগুলি শিল্প হয়ে উঠবে নিশ্চিত ভেবে চুপ থাকা ছাড়া উপায় নেই এরই ফাঁকে  আমার তন্ময়তার ভিতর অবিকল সেই মেয়েটিকে দেখতে পাই সে সামনে এসে দাঁড়ায় নিজেকে আমার লেখার পাঠক বলে দাবিও করে আমাকে চিনে নিতে সাহায্য করে আমি নিশ্চিত জানতাম সে কঠোর সমালোচকও বটে বাস্তবতা ভুলে যাই এই মুহূর্তটাকে ধরে রাখার জন্য প্রাণবন্ত হয়ে  সে বলে , বিশ্বাস করা বা না করাটা তোমার সমস্যা, কিন্তু, আমি তোমার লেখার সত্যিকারের একজন সৎ পাঠক মেয়েটি থামল আর তার চোখের দৃষ্টি আমার মুখের ওপর ফেলল সে যে আমার লেখাটির প্রধান চরিত্র আমি যে তার- গল্প এতগুলো বছর পেরিয়ে লিখতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি লেখার চেষ্টা করেও লিখতে পারছি না  
 
তার প্রশ্নের সন্তোষজনক কোনও উত্তর জানা নেই সত্যিকারের একজন লেখক তোষামোদপূর্ণ শব্দ বাক্যে সন্তুষ্টি লাভ করতে পারে নাপরিহাসের বিষয়বস্তু আকাশ থেকে পড়ে”,  এই বাক্য লেখার জন্য লেখকদের অশ্লীল মন্তব্য শুনতে হয়েছে এখন মেয়েটির প্রতুল কথা বর্তায় পরিহাসের উপচ্ছায়া থেকে মুক্তি পাব না ধরে নিয়ে তাকে দেখব না বলে দুহাতে চোখ ঢেকে ফেলি মেয়েটি তেড়ে আসে অসম্ভব স্মার্ট মেয়ে,তার গায়ে লেপটে থাকা টি-সার্ট টপকে শরীরী সম্পদ ভয়ংকর ঔদ্ধত্যের দাবি জানায় আর ওর  চামড়ার সাথে মিশে থাকা জিন্স শরীরের আপত্তিকর জায়গায় একটি ভৌগোলিক চিহ্ন এঁকে দেয় যেমনটি বহু বছর আগে এক মেট্রো রেলের টিকিট কাউন্টারের সামনে লাইন দিতে দেখেছিলাম  ওকে থামাতে গিয়ে ওর নাম ব্যবহার করি যে নামটি কাল্পনিক, গল্পে ব্যবহার করব সে আরও ক্ষিপ্রতার সাথে আমার জামা ধরে জোরে হ্যাঁচকা টান মারতেই পড়ে যাই ওর শরীরে অথবা এমনটাই ভেবে নিই ওর ভরি স্তনের চাপ অনুভব করি আমার ভর তখন ওর শরীরে আমি তাকে সুমগ্না বলে ডেকেছিলাম মেয়েটি রহস্যজনকভাবে জেনে যায় আমার লেখায় ওই নামটি ব্যবহার করব জানল কি করে তা গবেষণার বিষয় এই নামটিতে সে গোটা লেখা জুড়ে পরিচিত হতে চায় না তাই সে বার কয়েক আপত্তি জানিয়েছিল আমার ভাবনা রচনার মগ্নতার প্রাককালে যখন চরিত্রগুলি নিয়ে নিজের মধ্যে খেলি, রঙ তুলি দিয়ে সাজানো, ভাঙাচোরা সময়ের ভিতর, তখন আলোকোজ্জ্বল এক শূন্যতার ভিতর দিয়ে পরিক্রমা করি আমার চারপাশে গোটা গল্পের চরিত্রগুলি হাঁটতে থাকে কেউ মাঝ পথে হারিয়ে যায় কেউ মারা যায় আর যারা গন্তব্যে পৌঁছায় তাদের একজন হয়ে ওঠে মেয়েটি যে এখন একহাতে জামা অন্য হাতে আমার শরীর চেপে ধরে আছে তার অসম্ভব উত্তেজক অর্ধনগ্ন বুকে তার কন্ঠস্বরে আগুন ঝরছে, ওই নামটা আমার পছন্দ নয় একেবারে বানানো, মমুলি যা তোমার লেখক যোগ্যতাকে প্রশ্ন চিহ্নে দাঁড় করিয়ে দেবে আর আমার মনে হয়  সমালোচকরা ঠিক বলে, তুমি এক বছর পিছিয়ে আছ
 
তখন এক শূন্যতার ভিতর দিয়ে নিজেকে অলৌকিক জীবনের মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করি আমার নিজের বানানো জাদুঘরগুলি এক একটা চরিত্র আমাকে চিনিয়ে দেয় কোনও গোপনীয়তা নয় একেবারে খোলা অবস্থায় আমাকে বিস্মিত করেএই জাদুঘরের কোনও এক কোণে আমি বসি আর লেখার জন্য নত হই সেই সব চরিত্রগুলির কাছে যারা আমাকে একটি সফল গল্পের জন্ম দিতে সাহায্য করবে
 
তার বাহু বন্ধনে শিহরিত জীবন প্রবাহের প্রক্রিয়ায় রত অনুভূতি প্রবণ অভিজ্ঞ যন্ত্রটি ছটফট করতে শুরু করে কাল্পনিক যৌন শিহরনে দীর্ঘ সময়ের ক্লান্তিঘুম ছেড়ে জেগে ওঠার চেষ্টা যদিও তাকে পাত্তা দিতে রাজি নই এখন ওর দুটি হাত মানবসত্ত্বার একটি রূপে কার্য করতে পারদর্শী হয়ে উঠতে চাইছে তাকে প্রশ্ন করি, তবে তুমি বলো কী নামে ডাকব তোমাকে?
 
লেখা শুরু করার আগে নাম নিয়ে আমার বিলাসিতা মাথা চাড়া দেয় মেয়েটির নাম নিয়ে এক শূন্য প্রারম্ভিকতা থেকে একটি  ইচ্ছে মতো নাম ব্যবহার করার মধ্যে শিল্প থাকে না নাম একটি সময়কে চিহ্নিত করে, সামাজিক মূল্যায়ন করতে পারে সে বিষয়ে আমার অক্ষমতা প্রকাশ পায় মেয়েটি বলে ওঠে, আমার নাম যেভাবে আমার নিজস্ব গতিবিধির নিয়ন্ত্রণ অথবা অনিয়ন্ত্রণ করে, যে নামটি আমার জন্ম পরিচয় চিনিয়ে দেয় , সেই নামটি ব্যবহার যোগ্য যেটা তুমি হামেশা ব্যবহার করতে 
 
আমি তার বাস্তব অবয়ব খুঁজি কল্পনা করতে হয় না একটি গ্রামের প্রান্তিক অন্তজ শ্রেণীর পরিবারের লাগামহীন জন্ম প্রক্রিয়ায় সন্তান সন্ততির অভাবের আর্ত কোলাহল শুনতে পাই যেখানে স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ, অত্যাধুনিক আসবাবের ছাপ নেই, আছে এক জীবন সংগ্রামের ব্যর্থ ইতিহাস তার মধ্য থেকে একটি নাম বেরিয়ে আসে, আমি উচ্চারণ করি, কটরি !
 
হ্যাঁ, তার মুখমণ্ডল উজ্জ্বল দেখায়  সে আমাকে দীর্ঘ চুম্বনে বেঁধে রাখে আশ্চর্য তারপর যা ঘটল তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না সে আমাকে তুলে নিল, আমি তখন একটি থার্মকোলের মানুষ, এতটাই হালকা বায়ুস্তরে সহজেই ভাসানো যায় জাদুঘরগুলি আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল, আর তাকে মনে হচ্ছিল সে জাদুবিদ্যায় পারদর্শী একটি জাদুঘর যার একটি কোণায় আমার চেয়ার টেবিল একটি লপটপ রয়েছে যেখানে রোজ আমি অলৌকিক কারুবিদ্যায় অক্ষর সাজিয়ে শব্দ, শব্দ সাজিয়ে বাক্য এবং বাক্যগুলি একজোট করে একটি উপন্যাসের রূপ দিতে সক্ষম হই নিজের ইচ্ছায় ঘরে আসা আর চরিত্র আমাকে তুলে আনবে এই পার্থক্য  সন্দেহাতীত একটি জাদু বেষ্টিত কাজ এক ধরনের শাস্তি আর কটরি নাম ধারণ করে মেয়েটি এই শাস্তি আমাকে দিতেই পারে, তার চোখ দেখলে বোঝা যায় কাজটি করা তার পক্ষে কতটা সহজ সে আমার নিজের বানানো জাদুঘরটি নতুন করে দেখিয়ে দিতে থাকে, যা আমার চোখে কোনও দিন ধরা পড়েনি বিশাল প্রবেশ দ্বারটির ভিতর দিয়ে  সুসজ্জিত ঘরের গালিচায় দাঁড় করিয়ে একটি চুম্বন দেয় গালিচাটি মোঘল স্থাপত্যকলার অলঙ্করণ রীতিতে তৈরি দেওয়ালে প্রাচীন শিল্পকলার প্রদর্শনী আমার চেয়ার টেবিলের অতুলনীয় কারুকর্মের শিল্পদক্ষতা যা নিবেদিত কোনও দৈব শক্তির চরণযুগলে আমি সেখানে বসলাম এবার লিখব কটরি তার দুই হাত আমার কাঁধের উপর রাখে, লেখার আগে যা লিখবে সেটা সম্পর্কে তোমার জানার মধ্যে কোনও ফাঁকি যেন না থাকে  ভাববার অবকাশ ছিল না যে, যাকে আমার গল্পের প্রধান চরিত্র বলে কল্পনা করেছি সে কী করে রক্ত মাংসের শরীর হয়ে আমার সামনে আসতে পারে আমাকে বলতে পারে, আমার ভিতরে ঢোক, আমাকে দেখ, শিরায় শিরায় প্রবাহিত হও আর তুমি ফিরে যাও শুরুতে
 
মুহূর্তে তার সাথে নিবিড়তার দৃশ্য মনে পড়ে, তাকে চিনতে পারি সেই ফেলে আসা যাপনের সাথে মিশে থাকা এক ব্যতিক্রমী যুবতি এটাই ঘটে আমার সাথে ,যখন লেখার টেবিলে বসি আমার ভাঙাচোরা টেবিল চেয়ার রাজকীয় আকার ধারণ করে পলেস্তরা খসে যাওয়া ঘরটি বাদশাহী মহলে রুপান্তরিত হয় আর চরিত্রগুলি জ্যান্ত হয়ে ওঠে
 
লেখার শুরুটা করব এক চমকপ্রদ ঘটানা দিয়ে, ভুল ভেবেছিলাম, যা লিখব তা আগে কেউ লিখে যায়নি ভুল শুধরে নিতে লেখার ঘরে শুধু বসেই থেকেছি কটরি তার সব রকম যৌন কারুকলা শুরু করবে তার ইঙ্গিত পাচ্ছি এই জাদুঘরে আলাদা বিছানা নেই এমনটানিসর্গের রূপকথালেখার সময়  রুনা নামের চরিত্রটির বেলায় ঘটেনি, ফরিদার বেলায় আরও ভিন্ন রকম আবহ তখন জাদুঘরটি নিজে নিজেই বদলে যেত মোঘলীয় আসবাব দেখা যেত না যেগুলো ঘরটিকে আলোকিত করত তা অতি সাধারণ যেখানে মিলনের তাৎপর্য আলাদা করে ব্যাখ্যা করতে হয়
 
তারপর কটরির অদৃশ্য উপস্থিতিতে মহলটি প্রেমময় হয়ে ওঠে এখন নিজেকে খুব স্বাভাবিক করার কাজে ব্যস্ত আমি ছুটে গিয়ে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারতাম, কিন্তু তা হবার নয়, যা হবার তা খুব প্রাণবন্ত ভাবে ঘটবে কটরি তার জামার একটা বোতাম খুলে একটু কাত হয়ে বসেছিল জীবনে অনেক বড় বিস্ময়ের সম্মুখীন হয়েছি তবে এমনটা নয় হ্যাঁ, ঠিক বহু বছর আগে এই লেখাটা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছি যখন কটরির অস্তিত্ব এক অদ্ভুত গতিশীলতার দিকে টেনে নিয়ে যায় এখন গন্তব্যে থিতু হব লেখাটি শুরু এবং শেষ করব
 
অদৃশ্য হাত আমার হাত ধরে টানে, গালিচায় তার শরীর আমার শরীরের ভার বহন করবে এমন ভয়াবহ যৌনতা উৎপাদনকারী অন্ধকার যার শুরু আলোকোজ্জ্বল মহান অনুভূতির ভিতর তারপর অন্ধকার! অবদমনের সময়ক্লান্ত মরুভূমি একজন লেখকের জীবনের শ্রেষ্ট সৃষ্টির বিচরণ ক্ষেত্র বাস্তবিক যৌনতা সৃষ্টির উৎসমুখ সে এক অনেক দিনের পুরনো রণক্লান্ত সৈনিক, যুদ্ধের আপৎকালীন উচ্চারিত শব্দগুলো  তাৎক্ষণিকভাবে আপনা আপনি দেহভঙ্গির সাথে সাথে বেরিয়ে আসছিল আমার দ্বিগুণ শরীরের ভার নেয়ার আশ্চর্য দক্ষতা সে সেইসময় অর্জন করে নেয় তার ক্ষমতা প্রকাশের বিচিত্র শিল্পকলায় আমি আনন্দ বিস্ময়ে প্রায় পাগল হয়ে যাব অবশেষে যুদ্ধ থামে একসময় পৃথিবীর সময়ের সাথে এই জাদুঘরের সময় মিলবে না জেনেও আমি তাকে প্রশ্ন করি, ঘড়ির কাঁটা কতটা বদল হয়েছে?
 
আবেগ মথিত কন্ঠে সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেয়, আয়ুষ্কালের সব সময়টুকু চলে যাক না, তাতে কী যায় আসে এই জাদুঘর কোনো সময়ের হিসাব দেয় না উচিত না, কারণ টা তোমার অজানা নয়
 
জানি না, এখন তোমার কাছে নতুন করে জানতে চাই
 
তবে শোন, এই জাদুঘরে তোমার সৃষ্টির মহাপ্রলয় ঘটবে মহান পৃথিবীকে তুমি সম্পূর্ণ আধুনিক শিল্পসুষমায় রঞ্জিত নতুন কিছু উপহার তুলে দেবে যতদিন না দিতে পারছ ততদিন এই মহাযুদ্ধ চলতেই থাকবে আর আমি হব তোমার সর্বক্ষণের সারথি আমি ফিরে আসি টেবিলে, যেখানে আমার লেখার কাজটি শুরু করব সেটি তখন চরম নৈঃশব্দের গভীরে নিঃশব্দতার একটি সাদামাটা টেবিল চেয়ার পাতা ঝুপড়ির মতো স্যঁতসেতে ঘর, কোনও জাদুঘরের মায়াজাল নেই

⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN

🔗 MY OTHERS CHANNELS

🔗 FOLLOW ME

🔗 MY WEBSITE

🔗 CALL ME
+8801819515141

🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com

No comments

নির্বাচিত লেখা

আফসার নিজাম’র কবিতা

ছায়া ও অশ্বথ বিষয়ক খ-কবিতা এক/ক. সূর্য ডুবে গেলে কবরের ঘুমে যায় অশ্বথ ছায়া একচিলতে রোদের আশায় পরবাসী স্বামীর মতো অপেক্ষার প্রহর কাটায় প্রাচী...

Powered by Blogger.