জনাব
সিম্যানের বাড়িতে কিছু খুব অবাক করা ঘটনা ঘটছিল। একদিন সকালে সেবাস্টিয়ান বাড়ির সদর
দরজাটা খোলা পেলেন। “একটা চোর ঘরে ঢুকেছিল।” তিনি ভাবলেন। কাজের লোকেরা প্রতিটি রুম
খুঁজে দেখলো। কিন্তু কোনো কিছুই চুরি যায়নি।
ঐ
রাতে সেবাস্টিয়অর খুব সতর্কতার সাথে দরজাটি বন্ধ করলেন। কিন্তু সকালে দরজাটি আবারও খোলা পাওয়া গেলো। একই
ব্যাপার দিনের পর দিন ঘটতে লাগলো। অবশেষে মিস রোমার বললেন, “সেবাস্টিয়ান, তুমি ও জন
দুজনে মিলে আজ রাত জেগে বসে থাকবে। দেখো, কী ঘটে।”
এ
দুজন কাজের লোক মূল দরজার সামনে পাহাড়ায় মগ্ন হলো। কিন্তু রাতে তারা খুব বেশি খেয়েছিল।
তাই রাত ১২টা বাজতেই দুজন ঘুমিয়ে পড়লো।
হঠাৎ
জন জেগে উঠলো। “আমি কিছু শুনেছি।” সে চিকাৎর করলো ও ঘর থেকে দৌড়ে বের হলো।
সেবাস্টিয়ান
তার চিৎকার শুনলেন। এমন সময় জন ফিরে এলো। সে বললো “আমি এটি দেখেছি। একটা……একটা সাদা
কিছু সিাঁড়র উপর। আর দরজাটি আবারও খোলা পেলাম!”
পরদিন
জনের কাছ থেকে বিস্তারিত ঘটনা শুনে বাড়ির চাকরেরা খুব ভীত হলো। তারা বললো, “এটি একটি
ভূত। এ বাড়িতে ভূত আছে।”
ক্লারা
ঘটনাটি শুনলো। সে ভীত হলো। তাই মিস রোমার জনাব সিম্যানকে চিঠি লিখলেন। তিনি যেন বাড়িতে
আসেন কারন ক্লারা খুব মনমরা হয়ে আছে।
জনাব
সিম্যানে এলেন কিন্তু তিনি ভূতের গল্প বিশ্বাস করলেন না। তিনি বললেন “এটা অবশ্যই কোন
মানুষ। আজ রাতে আমি জেগে বসে থাকবো। তোমাদের ভূতকে হাতনাতে ধরবো।”
তিনি
তার পুরনো বন্ধু ডঃ ক্লাসেনকে ডেকে পাঠলেন। যিনি আবার ক্লারাও ডাক্তার। হাইডি আসার
পরেও তিনি এ বাড়িতে একবার কি দুইবার এসেছেন।
“ক্লারা
কি অসুস্থ?” ডাক্তার এসে জিজ্ঞেস করলেন। “না, সে তার বিছানায় ঘুমাচ্ছে। আমি তোমাকে
ডেকেছি আমাকে সাহায্য করার জন্য। আমরা একটা ভূত ধরবো।” তিনি ডাক্তার বন্ধুকে সব বললেন।
সামনের
দরজার নিকটে একটি ছোট রুমে তারা দুজন বসলেন। তারা গল্পগুজব করে সময় পার করতে লাগলেন।
তাই সময় দ্রুত গড়িয়ে গেলো। তাদের পাশেই টেবিলের উপর দুটি বন্দুক।
রাত
তখন প্রায় একটা।
“সিম্যান,
তুমি কি কিছু শুনছো?” হঠাৎ জিজ্ঞেস করেন ডাক্তার বন্ধু।
তারা
উভয়ই শুনলো। কেউ একজন দরজা খুলছে।
ধীরে
চুপিচুপি তারা রুম থেকে বের হলেন। দুজনের হাতে দুটি বন্দুক। সামনের পড় দরজাটি পুরোপুরি
খোলা। চাঁদের আলোয় একটি সাদা মূর্তি দেখা গেলো। দরজার সিঁড়ির ওপর দাঁড়িয়ে আছ।
“কে
ওখানে?” চেঁচালেন ডাক্তার। সাদা মূর্তিটি তাদের দিকে ফিরলো।
এটি
ছিল হাইডি। গায়ে তার রাতের সাদা পোষাক। সে খুবই ভয় পেলো। তার দিকে দুটি বন্দুক তাক
করা।
“আচ্ছা
এটি তাহলে আমাদের ছোট্ট সুইস মেয়েটি। তুমি এখানে কী করছো?” জনাব সিম্যান অত্যন্ত আশ্চর্য
হয়ে জিজ্ঞেস করলেন।
“আমি
জানি না।” অদ্ভুত গলায় বললো হাইডি।
“সে
ঘুমের মাঝে হাঁটছে।” ডাক্তার বললেন।
“তাকে
আমার কাছে দাও। আমি তাকে বিছানায় নিয়ে যাচ্ছি।”
ডাক্তার
হাইডিকে তার বেডরুমে নিয়ে গেলেন। তাকে বিছানায় শুইয়ে দিলেন।
“তুমি
এখন ঠিক আছে। আচ্ছা আমাকে বলোতো তুমি কোথায় যেতে চেয়েছিলে?”
“আমার
মনে হলো আমি আমার দাদার ছোট্ট বাড়িতে ছিলাম। আমি ফির গাছগুলোর মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত
বাতাসের শব্দে শুনছিলাম। আমি আকাশের তারাগুলো দেখতে চেয়েছিলাম। তাই আমি দরজায় ছুটে
যাই ও তা খুলে দেই। প্রতি রাতেই আমর এমনটি হয়। কিন্তু জাগার পরে আমি নিজেকে ফ্রাংফাটেই
দেখি।” বললো হাইডি।
“তুমি
কি ফ্রাংফার্টে সুখী?” তিনি জানতে চাইলেন।
হাইডি
উত্তর দিলো না।
ডাক্তার
আবার জিজ্ঞেস করলেন,
“তোমার
দাদার বাড়ি কোথায়?”
“পর্বতে।
খুবই সুন্দর। আমি যেতে চাই।”
সে
ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করলো।
“আচ্ছা
মামনি তুমি এখন ঘুমাও। আগামিকাল সব ঠিক হয়ে যাবে।” ডাক্তার তার কাছ থেকে সরে এলেন।
“মেয়েটি ঘুমের মাঝে হাঁটে কারন সে এখানে অসুখী। সে বাড়ি যেতে চায়। দেখছো না সে শুকিয়ে
গেছে আর চেহারাটাও বেশ মলিন?”
ডাক্তার
জনাব সিম্যানকে লক্ষ্য করে বললেন।
জনাব
সিম্যান অবাক হলেন।
“অসুখী!
মলিন! আমার বাড়িতে থেকে সে শুকিয়ে গেছে অথচ কেউ লক্ষ্যই করেনি।”
“তুমি
তাকে এক্ষুনি তার বাড়িতে পাঠিয়ে দাও।”
“কিন্তু
আমি তাকে এ অবস্থায় তার দাদার কাছে পাঠাতে পারি না। তাকে প্রথমে সুস্থ্য করতে হবে।
তারপর পাঠাতে হবে।” বললেন সিম্যান।
“না।
দেরি করলে তার ক্ষতি হবে। তাকে আগামিকালই পাঠানো দরকার।”
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments