শঙ্খ শুভ্রপাত্র’র ছড়া

ইষ্টিকুটুম মিষ্টিকুটুম
 
ইষ্টিকুটুম মিষ্টিকুটুম
দৃষ্টিটাকে ভাসিয়ে দিলুম
          একমুঠো রোদ্দুরে...
 
তারপর কী ? কাটুম-কুটুম
মেঘ পাঠালো বৃষ্টিকুটুম
       আকাশ-বাতাস জুড়ে
 
হাত-ঝুমঝুম পা-ঝুমঝুম
সঙ্গী পেলে ঘুম বেমালুম
            উধাও, নয়নপুরে...
 
ইষ্টিকুটুম মিষ্টিকুটুম
ঘন হয়ে আসছে নিঝুম
          সৃষ্টি কি খুব দূরে ?
……………………………………………
 
অন্যরকম
 
রকম-সকম
অন্যরকম
একটু যেন আহ্লাদী !
 
প্রবল ঝড়ে
কেমন করে
তার সাথে যে পাল্লা দি ?
 
ইচ্ছেগুলো
নরম তুলো
-সব রাত, দিন জানে !
 
সন্ধ্যাতারা
মন-দোতারা
কী আনন্দ ! হীনযানে
……………………………………………
 
একটা কিছুর জন্য
 
একটা কিছুর জন্য
অবুঝ-প্রতিপন্ন
সেই থেকে তো দুঃখে আমার
দুচোখ মেঘাচ্ছন্ন
 
একটা কিছুর জন্য
ওই অভয়ারণ্য
হাতের মুঠোয় পেতাম যদি
হতাম খুবই ধন্য
 
একটা কিছুর জন্য
ইরা এবং অন্ন
আর কী লাগে ? ভালোবাসা
দৃষ্টিতে লাবণ্য
……………………………………………
 
আধার
 
কইনে কথা স্পষ্ট তাকে,
বুকের ভিতর কষ্টটাকে
লুকিয়ে রেখেসত্যি বলি :
             পথ ভুলেছি কাঁদার !
 
ওই যে দেখি দিগন্তকে
তাকিয়ে আছে চিকন-চোখে
একটু পরেই ছড়িয়ে দেবে
              টুকরো যত আঁধার
 
সন্ধে-ছায়া, মন-একেলা
কত যে রং... রঙ্গ-খেলা
রাশি রাশি জোনাকদীপে
               ভরে উঠেছে মাদার
 
কী নিঃসীম, দুরপনেয়
শূন্যতাকে সুর মনে হয়
কানায়-কানায় পূর্ণ তবু
              আকাশের ওই আধার
……………………………………………
 
আসলে মন
 
ভুলতে গিয়ে ভাবছি বেশি
           ভাবতে গিয়ে আনমনা
দুঃখ পেয়েও সত্যি বলি
            হাসব কিন্তু কাঁদব না
 
এই তো কাছে সামনে এসে
            কইছি কথা মন ভরে
রাগ করে 'ভাগ' বললে হবে
            দিল রাখো নীল-অম্বরে
 
তবেই না মিল, মিলবে সাঁকো
             বিস্তৃত নীল-পারাবার...
জয় করে ঢেউ আজও ভাবি :
             ভয় নেই তা হারাবার
 
আসলে মন হারায় না তো
            কাঁদে সে খুব, আবডালে...
যেমন করে শূন্যে ঘুড়ি
            আটকে থাকে চাঁদ, ডালে
……………………………………………
 
এই ছড়া আর ওই ছড়া
 
এই ছড়াটি রাতের শেষে
       সদ্য ফোটা ভোরের,
ওই ছড়াটি চাঁদকে নিয়ে
       পালানো মেঘচোরের
 
এই ছড়াটি হলুদবাড়ির
      ময়ূর-আঁকা দোরের,
ওই ছড়াটি এগিয়ে যাওয়া
       স্পর্ধা এবং জোরের
 
এই ছড়াটি দিদিমণির
      পাঠ্য বিষয় ফোরের,
ওই ছড়াটি কেমন যেন
      এক্কেবারে ঘোরের
……………………………………………
 
শ্রাবণ এসেছে বলে
 
শ্রাবণ এসেছে বলে বনে-বনে
                       জাগে পার্বণ,
সারাটা আকাশ যেন হয়ে ওঠে
                        ঘোর কারবন
বাতাসের হুটোপাটি, মেঘে-মেঘে
                        বাজ গরজায়,
দাঁড়াতে ভীষণ ভয়, জানালার
                         কাছে, দরজায়
ডালপালা নুয়ে পড়ে, উড়ে যায়
                         খোড়ো-আটচালা,
আজ আর বইটই... সবছুট,
                          ছুটি পাঠশালা !
শ্রাবণ এসেছে বলে বনে-বনে
                           জাগে পার্বণ,
সজল-হাওয়ায় আজ ভেসে যায়
                            তনিমার মন
……………………………………………
 
যে-যেমন
 
এই ছড়া ছোটদের
হয়ত-বা বড়দের
যে-যেমন ভাবে, সুর
বেহালা কী সরোদের...
 
এই ছড়া ছোটদের
হয়ত-বা বড়দের
যে-যেমন চায়, ভাব
আরতি কী দরদের...
 
এই ছড়া ছোটদের
হয়ত-বা বড়দের
যে-যেমন ভাবে, বেশ
শিফন কী গরদের...
 
এই ছড়া ছোটদের
হয়ত-বা বড়দের
দুঃখ একটাই
তোমরা তো পড় ঢের !
……………………………………………
 
অনবদ্য
 
আষাঢ় জানে তো আশা-ভরসা
চারপাশ জুড়ে খাসা বরষা
 
চুপচাপ বসে রই দাওয়াতে...
কী যে এত হইচই হাওয়াতে !
 
থেকে-থেকে মেঘে বাজ-বিজলি...
না-হয় আবেগে আজ ভিজলি
 
কখনও করিনি কার্পণ্য
মন দিয়ে শুধু তোর জন্য
 
লিখেছি সজলঘন পদ্য...
পড়ে কি বলবিঅনবদ্য !
……………………………………………
 
পিদিম
 
কী রাত ! কী দিন !
মনের পিদিম
জ্বালিয়ে রাখে পৃথিবী
 
জানি না, ছার !
বিচার-আচার...
আমাকে তুই কী দিবি !
 
জুঁই না টগর
কেবল রগড়
তুই কি ভালো সখী না ?
 
বন্ধু পাতাস
পারলে পাঠাস
হাওয়াটি ওই দখিনা
 
  
Sankha Subhra Patra
Email : sadapalak@gmail.com

⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN

🔗 MY OTHERS CHANNELS

🔗 FOLLOW ME

🔗 MY WEBSITE

🔗 CALL ME
+8801819515141

🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com

No comments

নির্বাচিত লেখা

আফসার নিজাম’র কবিতা

ছায়া ও অশ্বথ বিষয়ক খ-কবিতা এক/ক. সূর্য ডুবে গেলে কবরের ঘুমে যায় অশ্বথ ছায়া একচিলতে রোদের আশায় পরবাসী স্বামীর মতো অপেক্ষার প্রহর কাটায় প্রাচী...

Powered by Blogger.