সেতু :
জন্মদানবিরোধ
নিয়ে ধারণা।
-
তাহলে
আপনি কি শিশুদের ভালোবাসেন
না?
-
ভালোবাসি
বলেই জন্মদানের বিরোধী আমি।
একজন
শিশু জন্ম নিলো মানেই
পুঁজিবাদী সমাজের দাস হয়ে গেলো।
প্রতিনিয়ত
নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই,
চাপিয়ে দেয়া দায়িত্বের বৃত্তে
বন্দী হয়ে গেলো।
এই
বৃত্ত থেকে মুক্তির একমাত্র
পথ অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু!
অক্ষর :
শিশুকে
ভালোবাসেন অথচ তার জন্ম
বিরুদ্ধে আপনি?
যার জন্ম নাই
তার অস্তিত্ব নেই অস্তিত্বহীন কিছুকে
ভালোবাসেন কেমনে?
আর ভালো যদি
বাসেন তার অস্তিত্ব চান
না কেন?
জন্ম
মানে পুঁজিবাদীদের দাস হয়ে যাবে
কেন?
পুঁজিবাজারা পৃথিবীতে আগে থেকে ছিল?
নিশ্চয়ই তারাও জন্ম নিয়ে নিয়েছে,
কেউ তাদের জন্ম দিয়েছে?
তারা
কি সংখ্যায় বেশি তার জন্য
একটা শিশু জন্ম নিলিলেয়
তাদের দাস হয়ে যাবে?
আপনার উত্তর যদি হয় তারা
সংখ্যায় বেশি। তাহলে পুঁজিবাদীদের রুখে দিতে ভালো
শক্তি সংখ্যা তাদের চেয়ে বেশির প্রয়োজন। এই সংখ্যা বাড়ানোর
ভূমিকা আপনারও আছে।
একজন
নারীর বড় পরিচয় তিনি
একজন মা। আপনার সন্তান
হতে পারে একটা বড়
প্রতিষ্ঠানের মালিক যে প্রতিষ্ঠানে থাকবে
শোষণ অত্যাচার ঘুষ দুর্নীতি মুক্ত
সঠিক এবং সুন্দর প্রতিষ্ঠান।
এমন সন্তান জন্য একটি আদর্শ
শিক্ষিত মা প্রয়োজন,
একটি
সুন্দর ও সুখী সমাজ
বিনির্মাণে আদর্শ মায়ের ভূমিকা প্রশংসনীয়।
আর
আপনার উত্তর যদি হয় তারা
সংখ্যায় কম কিন্তু তাদের
অর্থবিত্ত শক্তি বেশি। তাহলেও তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার জন্য বুদ্ধিমান শক্তিশালী
মানুষের প্রয়োজন। এ মানুষ কোন
মেশিন থেকে তৈরি হবে
না,
এমন মানুষ জন্ম
দিয়েয় গড়তে হবে। যেমন পুঁজিবাদী
জুলুম অত্যাচারের বিরুদ্ধে জন্ম নিয়েছিল-
বিশ্ববিখ্যাত
মহাপুরুষেরা যেমন-
হযরত
মুহাম্মদ স.
ওমর
ইবনে খাত্তাব রা.
হামজা
বিন আব্দিল মুত্তালিব রা.
সুলতান
সালাহুদ্দিন আইয়ুবি-
আরো অনেকে মুসলিম
নেতা...
এছাড়াও
ছিলেন-
চে
গুয়েভারা
হুগো
শ্যাভেজ
নিকোলাস
মাদুরো
নিকোলাস
মাদুরো
ইভো
মোরালেস
ফিদেল
কাস্ত্রো-
আরো অনেক বিশ্বনেতা।
আর
আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা,
শেখ মুজিবুর রহমান।
এরা
দায়িত্ব নিয়েছে,
এরা অন্যায়-
অবিচারের
প্রতি যুদ্ধ করতে পেরেছেন কারণ
এদের জন্ম হয়েছিলো
এবং
আপনার
জন্ম হয়েছে জন্যই আপনার এত সুন্দর সুন্দর
লেখা আমরা পড়তে পারি,
আপনার জন্ম হয়েছে এর
জন্য লেখালেখি করে সৌন্দর্য ছড়িয়ে
দিতে পারছেন। সো জন্ম না
হলে কেমনে পারতেন?
আর
যদি মনে করেন জন্ম
নিয়ে দায়িত্ব নিবে কেন?
যুদ্ধ
করবে কেন?
শুধু সুখে
থাকবে?
অনুগ্রহপূর্বক আপনার সুখের সংজ্ঞা বলবেন?
সেতু :
বেশিরভাগ
মানুষই শিশুদের হয়ত ভালোবাসে অথচ
যারা ভালোবাসে বলেন তারাই শিশুদেরকে
নিজেদের মনোরঞ্জনের জন্য,
নিজের একাকীত্ব দূর করার জন্য,
দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে,
বৃদ্ধ বয়সে পিতামাতার নাতিনাতনির
মুখ দেখার শখ পূরণ করতে
ব্যবহার করেন।
তাহলে
শিশুদের কে ভালোবাসেন?
জন্মদানবিরোধীরা
নাকি যারা জন্ম দেয়
তারা?
অক্ষর :
শখ
পূরণ করার জন্য এবং
মনোরঞ্জনের জন্যই যদি শিশুর জন্ম
হয়। তাহলে এদের এত আদর
যত্ন করে জীবনের কষ্ট
অর্জিত টাকা দিয়ে দ্বীনি
শিক্ষা বা পড়াশোনা করে
বড় করত না।
শখে
মনোরঞ্জনের জন্য কুকুর বিড়াল
পালন করে কিন্তু তাদের
পড়াশোনার জন্য নিজের কষ্টার্জিত
টাকা খরচ করে না ওকে?
সন্তানের প্রতি ভালোবাসা,
মায়া,
আকর্ষণ এটা অনেক মূল্যবান
যা সৃষ্টিকর্তা থেকে দেওয়া। এই
মূল্যবান সম্পর্কটাকে শখ -
মনোরঞ্জন বলে
অস্বীকার করা কখনো যাবে
না।
সেতু :
আপনার
মা-
বাবা আপনাকে জন্ম
দিলো
অথচ
আপনি কাউকে জন্ম দিবেন না?
কেউ
আমাকে জন্ম দিয়েছে বলে
আমারও কাউকে জন্ম দিতে হবে
এমন নৈতিক বাধ্যবাধকতা নেই।
জন্ম
দেওয়া যদি ভালো কিছু
হতোও এজন্য তো সম্মান,
কৃতজ্ঞতা
এবং সেবা মাতা-
পিতার
পাওয়ার কথা।
নতুন
করে সন্তান জন্ম দিলেই কি
মা-
বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ হয়?
অক্ষর :
মা
সন্তান জন্ম দিলে যে
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না সে
অকৃতজ্ঞ সে অকৃতজ্ঞ উপর
বিবেচনা করে সন্তান জন্মের
বিরোধিতা করা উচিত?
সন্তান
বড় হয়ে কি বাবা
মার সেবা করে না?
নিশ্চয়ই আপনি করেন?
আপনার
মত অনেকেই করে এ সংখ্যায়
বেশি।
মায়ের
খেদমত ও সেবা করে
জান্নাত পাওয়া যায়। হাদিসে বলা
হয়েছে, ‘
মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত।
মা
হিসেবে ইসলাম নারীকে দিয়েছে বর্ণনাতীত মর্যাদা ও সম্মান। ইসলামে
বাবার চেয়ে মায়ের মর্যাদা
তিনগুণ বেশি।
ইসলামের
বাইরেও যে কোন ধর্মে
মায়ের মর্যাদা সবার শীর্ষে এবং
একজন নাস্তিকও মা কে সেবা
করা কৃতজ্ঞ প্রকাশ অস্বীকার করবে না নিশ্চয়ই?
সেতু :
আপনি
কি ঈশ্বরে অবিশ্বাসী বলেই জন্মদানে বিরোধীতা
করছেন?
যদি
আপনি মনে করেন সন্তান
জন্ম না দেওয়া ঈশ্বরের
বিরোধীতা করা তাহলে কেনো
আপনি যখন সন্তান চান
না তখন জন্মনিরোধক (
পিল,
কনডম,
সিমেন বাইরে ফেলা ইত্যাদি)
ব্যবস্থা
গ্রহণ করেন?
ধর্মবিশ্বাসটাও
আপনাকে জন্মদানবিরোধী করতে পারে।
অধিকাংশ
প্রধান ধর্মেই স্বর্গ/
নরকের কথা উল্লেখ আছে৷
আপনি
যদি বিশ্বাস করেন,
পরকালে পাপ-
পূণ্য হিসেব
করে স্বর্গ/
নরকে পাঠানো হয়
তাহলে নিশ্চয় চাইবেন না আপনার সন্তান
নরকে যাক৷
আপনি
তখন নরক থেকে বাঁচাতে
জোর করে এটা করতে
দিবেন না,
ওটা করতে
বাধ্য করবেন। যা সন্তানের উপর
রীতিমতো অত্যাচার৷ অপরদিকে তাকে তার মতো
ছেড়ে দিলেও হয়ত আপনার ধর্মবিশ্বাস
অনুযায়ী এমন কিছু করবে
যা তাকে নরকবাসী করবে।
সন্তানকে
কতদিন আগলে রাখতে পারবেন?
মৃত্যুর
পরেও?
(
ইসলাম
ধর্মমতে,
সন্তান যদি পাপ করে
তবে তার শাস্তি আপনিও
পাবেন। এ ভয়ে আপনি
নিজেকে এবং সন্তানকে জাহান্নাম
থেকে বাঁচাতে নানা কঠোর কষ্টদায়ক
বিধিনিষেধ সন্তানের উপর চাপিয়ে দেন।
তবুও সন্তান ধর্মীয় দৃষ্টিতে বিপথে যেতে পারে। যার
দায় স্রষ্টার কাছে আপনি এড়াতে
পারবেন না৷)
অক্ষর :
পবিত্র
কুরআন,
হাদীস,
বিশিষ্ট সাহাবায়ে কেরাম এবং মুতাকাদ্দিমীন ও
মুতাআখখেরীন উলামায়ে কেরামের ফাতাওয়া অনুসারে জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি অবলম্বন তথা পরিকল্পিত পরিবার
গঠন জায়েয।
আল-
আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেক্টর প্রখ্যাত ইমাম শেখ মাহমুদ
শালতুত তার ‘
আলফাতাওয়া’
নামক
বিখ্যাত গ্রন্থে বলেন-
“
এর
প্রেক্ষিতে আলেমগণের অভিমত হল,
স্বামী-
স্ত্রীর
পারস্পরিক সম্মতিতে সাময়িকভাবে গর্ভনিরোধক ব্যবহার জায়েয তো বটেই,
আর্থ-
সামাজিক ও স্বাস্থ্যগত কারণে
স্থায়ীভাবেও জায়েয”
। অতঃপর পরিবার
পরিকল্পনা আর জন্ম বিরুদ্ধতা
পার্থক্য বুঝতে হবে।
সন্তান
জন্ম হলে খারাপ হবে,
নরকে যাবে এটা যদি
জন্মের আগে আপনার মনে
হয়?
সন্তান জন্ম হয়ে ভালো
হবে এবং স্বর্গে যাবে
এটা মনে হয় না
কেন?
বাবা-
মার সঙ্গে সন্তানের
সুসম্পর্ক নিয়ে কুরআন এবং
হাদিসে অনেক নির্দেশ ও
নসিহত রয়েছে। কুরআনের এসব নির্দেশ ও
হাদিসের নসিহত সন্তানের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
তাওহিদের দায়িত্ব পালনের পরপরই বাবা-
মার খেদমতের
আহ্বান করা হয়েছে কুরআনে।
যায় স্পষ্ট না জেনে না
বুঝে এ বিষয়ে আলোচনা
করার যোগ্যতাও আমরা রাখি না।
হাদিসে
পাকে প্রিয় নবি বাবা-
মাকে
জান্নাতের সঙ্গে তুলনা করেছেন। যারা বাবা-
মার
খেদমত করে তাদের সন্তুষ্টি
অর্জন করতে পারবে না।
তাদের জন্য সুস্পষ্ট জাহান্নামের
কথা বলেছেন বিশ্বনবি।
আপু
এখন আপনি প্রশ্ন তুলেছেন
সন্তান তো খারাপ হয়ে
যেতে পারে তার জন্য
জন্ম না দেয়াই ভালো।
এর আগে জানা জরুরী
যে ধুতরা গাছে কখনো আম
ধরে না।
জন্মের
পূর্বে- মায়ের জন্য একজন সৎ
ও চরিত্রবান বাবা,
আর বাবা হলে
একজন নেক্কার মা নির্বাচন করা।
উভয়ের পারস্পরিক সৌহার্দ-
সম্প্রীতির মিলবিন্যাসে থাকবে ধর্মীয় আচার-
ব্যবহারের পূর্ণ
প্রয়োগ। স্বামী হিসেবে স্ত্রীর অধিকার এবং স্ত্রী হিসবে
স্বামীর অধিকারগুলো গুরুত্বের সাথে আদায় করা
একান্ত কর্তব্য। এর মধ্যদিয়ে মহান
আল্লাহ দয়া-
অনুকম্পায় সন্তান
দান করলে,
যথাযথ মর্যাদায় বরণ করে তার
জন্য নির্ণয় করতে হবে ভবিষ্যৎ
পন্থা।
তারপর
সন্তান জন্ম হলো আস্তে
আস্তে বেড়ে বড় হচ্ছে-
ছোট
বেলা থেকেই সন্তানকে কুরআন শিক্ষা দিতে হবে। কুরআন
শিক্ষা দেয়ার চেয়ে উত্তম কাজ
আর নেই। সাইয়িদুনা হযরত
উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,
রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ, “
তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই যে নিজে
কুরআন শিক্ষা করে ও অপরকে
শিক্ষা দেয়।’’ [
সহিহ বুখারি,
হদিস
নং-
৫০২৭]
শিষ্টাচার
শিক্ষা দেয়া,
ইবাদতের প্রশিক্ষণ,
দায়িত্ব কর্তব্য প্রশিক্ষণ দেওয়া,
ইত্যাদি।
পারিবারিক
জীবনে আল্লাহ তাআলার দেয়া শ্রেষ্ঠ নেয়ামত
হলো সন্তান। শান্তি,
নিরাপত্তা,
আশ্রয়,
সমস্যার সমাধান সবই পরিবার থেকে
শিশু সন্তান। সন্তানকে ভালো কাজের দিকে
উদ্বুদ্ধ করা,
অন্যায়ের মোকাবেলা
সর্বোপরি প্রতিবাদের পদ্ধতি শেখার অনত্যম প্রতিষ্ঠানও হলো পরিবার। এমন
পরিবারের পরিবেশ সৃষ্টি না করতে পারলে
আপনার কথায় মেনে নিয়ে সন্তান
না জন্ম দেয় ভালো।
আপু
বায়হাকি শরিফে শোয়াবুল ইমান নামে একটি
অধ্যায় আছে,
ওই অধ্যায়ে
হজরত আবুবকর (
রা.)
থেকে একটি
হাদিস বর্ণিত আছে, ‘
রসুল (
সা.)
বলেন,
সব
গুনাহের শাস্তির ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা যেগুলো ইচ্ছা করেন কেয়ামত পর্যন্ত
পিছিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু
পিতা-
মাতার হক নষ্ট করা
এবং তাদের প্রতি অবাধ্য আচরণ করা এর
ব্যতিক্রম। এর শাস্তি পরকালের
আগে ইহকালেও দেওয়া হয়’
। যার
হাজারো প্রমাণ রয়েছে।
এখন
আপনার প্রশ্ন হল সন্তান পাপ
কাজ করলে তার দায়ভারও
বাবা মাকে নিতে হবে।
এটা সহজ উত্তর আপনি
যদি ছাত্র-
ছাত্রীকে টিউশনি করান,
তারা পরীক্ষায় খারাপ
করলে তার দায়ভার তো
কিছু আপনার উপর আসবেই।
ইসলামে
সন্তান লালন পালন করা
দিকনির্দেশনা স্পষ্টভাবে দেওয়া আছে। এবং বয়স
সীমানা নির্ধারণ করা আছে কোন
পর্যন্ত সন্তানকে কিরূপ আচরণ করে ইসলামের
পথে দ্বীনের পথে পরিচালনা করবেন।
এই দায়িত্ব গুলো পালন করতে
যদি ব্যর্থ হয় আর সন্তান
যদি পাপের পথে যায় তাহলে
বাবা-
মায়ের প্রায়শ্চিত্ত হবে। সন্তান দুশমন
হয়ে বড় হওয়া পর্যন্ত
বাবা-
মা ধর্মীয়ভাবে সকল
দায়িত্ব পালন করার পরেও
যদি সে পাপের পথে
চলে যায় তার দায়ভার
বাবা-
মাকে নিতে হবে
না ওকে।
সেতু :
আপনি
কি জীবন নিয়ে অসুখী
বলে জন্মদানবিরোধী?
আপনার
দৃষ্টিতে সবচেয়ে সুখী মানুষের কথা
কল্পনা করুন।
তিনি
কি
*
জীবনে
কখনো প্রিয়জন হারাননি?
*
কখনোই
রোগে ভোগেননি?
*
চেয়ে
না পাওয়ার যন্ত্রণা পাননি?
*
সমাজ,
পরিবার,
দায়িত্বের বৃত্তে কখনো বন্দী অনুভব
করেননি?
*
কখনোই
জীবনের বেড়াজাল থেকে পালাতে চাননি?
*
জীবনে
কখনোই হতাশাগ্রস্ত হননি?
*
মৃত্যুভয়ে
কখনোই উৎকন্ঠিত হননি?
*
প্রিয়জনদের
থেকে কখনোই কষ্ট পাননি?
*
কখনো
সবার মাঝে থেকেও একা
অনুভব করার যন্ত্রণায় ভোগেননি?
যদি
এসবের মধ্য দিয়ে তাকে
প্রতিনিয়ত যেতে হয় তবে
কি আপনি তাকে সুখী
মানুষ বলবেন?
ধরুন,
জন্ম নেওয়ার আগে অনুমতি নেওয়ার
অপশন থাকতো আর তাকে (
আপনার
দৃষ্টিতে সুখী মানুষকে)
বলা
হতো জন্ম নিলে জীবদ্দশায়
এসবের সম্মুখীন হতে হবে এবং
জন্ম না নিলে এসবের
মধ্য দিয়ে যেতে হবে
না তখন সে কোন
অপশন বেছে নিতো বলে
আপনি মনে করেন?
অক্ষর :
আপনার
উপরের ছেলেমানুষি লেখাটা পড়ে অনেকক্ষণ হাসছি।
যদি আপনাকে প্রশ্ন করি বিয়ে করছেন
কেন? (
যদিও ব্যক্তিগত প্রশ্ন
করাটা ঠিক না)
নিশ্চয়ই
উত্তর হবে সুখে থাকার
জন্য?
তাহলে সুখের সংসার করতে গিয়ে আপনাকে
কষ্ট করতে হবে না?
কষ্ট করে অর্থ উপার্জন
করতে হবে না?
আপনাদের
মত পার্থক্য হতে পারে না,
এতে কষ্ট পেতে পারেন
না?
ঝগড়া হতে পারে না?
সম্পর্কের বিচ্ছেদও তো হতে পারে
?
এ
সবকিছু জেনে বুঝেই কিন্তু
বিয়ে করেছেন। রাত না থাকলে
জীবনের কোন মূল্য থাকত
না তেমনি কষ্ট না থাকলেও
সুখের কোন মূল্য ছিল
না। সুখ আনন্দ এগুলো
হলো আতশবাজির মতো অল্প সময়ের
জন্য
।
অতঃপর
বিয়ে না করা অপশন
থাকার পরও কিন্তু বিয়ে
করেছেন। জন্ম নেয়া এবং
না নেয়ার অপশন থাকলে আমরা
কি করতাম এই উত্তর সৃষ্টিকর্তার
জানা আছে জন্যই অপশন
রাখেনি ওকে। যে আমাদের
সৃষ্টি করেছেন তার সৃষ্টির সিস্টেম
নিয়ে আমরা প্রশ্ন করে
সৃষ্টিকর্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারব?
এতই
বুদ্ধিমান আমরা?
কখনোই না,
আমরা কি
চিন্তা করতে পারি,
কি
প্রশ্ন করতে পারি তা
সৃষ্টিকর্তার নিশ্চয়ই জানা।
সেতু :
মানুষ
জন্ম না নিলে পৃথিবী
টিকবে কী করে?
মানুষ
কি পৃথিবী সৃষ্টির আগে থেকেই ছিলো?
এককোটি
বছর আগে তো মানুষ
ছিলো না তখন কি
পৃথিবী টেকে নি?
টিকে
থাকা বলতে যদি পৃথিবীর
পরিবেশ ভালো থাকা বোঝেন
তাহলে তো মানুষই উল্টো
পৃথিবীর পরিবেশ দূষিত করছে।
আপনার
মতে,
মানুষ তাহলে কিভাবে পৃথিবী টিকিয়ে রাখছে?!
অক্ষর :
মানুষ
বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী জীব। মানুষ আর
অমানুষ এর পার্থক্যটা আপনাকে
বুঝতে হবে। আধুনিক মানুষ
(
হোমো স্যাপিয়েন্স,
প্রাথমিকভাবে এসএসপি হোমো স্যাপিয়েন্স স্যাপিয়েন্স)
হল হোমিনিনা উপজাতির (
অথবা মানব জাতিগোষ্ঠী)
একমাত্র বিদ্যমান সদস্য।
আর
মানুষের জন্য পৃথিবী সৃষ্টি
করা হয়েছে। আপু সৃষ্টি নিয়ে
মতপার্থক্য আছে,
যেমন মার্কস
প্লাঙ্ক কোয়ান্টাম তত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা আল্লাহ্র
দিকে বলেছেন-
“
ধর্ম
ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এক যোগে লড়াই
করছে সংশয়,
অবিশ্বাস ও কুসংস্কৃতির বিরুদ্ধে।
এ যুদ্ধের এক স্লোগান ছিল
“
আল্লাহর দিকে”
এবং তা সর্বাদা
থাকবে।”
আল্লাহ
তায়া’
লা মহাবিশ্বের সব
কিছুকে যে মানুষের আয়ত্তাধীন
করে দিয়েছেন,
সব মাখলুকাতের উপর
যাকে মর্যাদা দান করেছেন,
তাদেরকে
এক মহান উদ্দেশ্য ও
হিকমতের জন্য সৃষ্টি করেছেন।
তিনি অনর্থক কাজ হতে পুতঃপবিত্র।
আল্লাহ তায়া’
লা বলেনঃ
নিশ্চয় আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে
এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে
নিদর্শন রয়েছে বোধ সম্পন্ন লোকদের
জন্যে। যাঁরা দাঁড়িয়ে,
বসে,
ও শায়িত
অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা
গবেষণা করে আসমান ও
জমিন সৃষ্টির বিষযে, (
তারা বলে)
পরওয়ারদেগার!
এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি
করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই,
আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি
থেকে বাঁচাও। (
আলে ইমরানঃ ১৯০-
১৯১)
আল্লাহ
তায়া’
লা দুষ্ট কাফিরদের
ধারণা সম্পর্কে বলেনঃ আমি আসমান-
যমীন
ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী কোন কিছু অযথা
সৃষ্টি করিনি। এটা কাফেরদের ধারণা।
অতএব,
কাফেরদের জন্যে রয়েছে দূর্ভোগ অর্থাৎ জাহান্নাম। (
ছোয়াদঃ ২৭)
হতে
পারে দরজার ফাঁক থেকে লুকিয়ে
লুকিয়ে কিছু সন্তান মা’
কে বাবার হাতে
মার খেতে দেখেছেন।
তার
মানে এই নয় পৃথিবী
থেকে একেবারে ভালোবাসা উঠে গেছে...
পৃথিবীতে
এখনো অনেক মানুষ আছে
তারা সন্তান সংসার নিয়ে সুখে আনন্দে আছে।
সেতু
আপু আপনার লেখা নিঃসন্দেহে ভিন্নধর্মী
গোছানো,
কিন্তু সঠিক নয়। আপনার
এই জন্মবিরতি মতাদর্শের সঙ্গে সহমতের কমেন্ট বক্সে কিছু লোক পাবেন
কিন্তু তারাও বাবা-
মা হবে।
যদি না তারা শারীরিকভাবে
অসুস্থ না হয় বা
ডেসপারেট হতাশাগ্রস্ত বা ব্যর্থ মানুষ
না হয় তাহলে স্থায়ী
ভাবে জন্ম বিরুদ্ধে কাউকে
পাবেন না আপু,
এটাই
সঠিক এবং সুন্দর বাস্তবতা।
অতঃপর জন্ম বিরুদ্ধে মানুষের
সংখ্যা শূন্যের কাছাকাছি। শুভকামনা আপু আগামী হোক
সঠিক ও সুন্দর।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments