নববর্ষ সংখ্যা ১৪২৭-১
নববর্ষ
আমার পিতা পিতার পিতা
তার পিতা কিভাবে পালন
করেছে তা আজ মূখ্য
হয়ে ওঠছে না। গোলাকায়নের
যুগে আজ সবই বাণিজ্যিক।
তাই আমাদের আনন্দ উৎসব
সবই বাণিজ্যের হেয়াজতে চলে গেছে। প্রতিবছর
সকল প্রকার উৎসবকে সামনে
রেখে পসরা সবায় বেনিয়া।
আমরা আনন্দ উপভোগ করতে
তাদের খরিদদার হয়ে ওঠি। নববর্ষ
এর বাইরে নয়। মামুলি
এক পর্বকে সামনে রেখে
বেনিয়ারা করে তুলেছে বাণিজ্যের
অন্যতম নেয়ামক। তাদের বাণিজ্যের পরিধি
বৃদ্ধির জন্যই দরকার উৎসব।
তাই তারা যেকোনো পর্বকে
উৎসবে রূপ দেয়ার জন্য
কোটি কোটি টাকা ব্যয়
করে মিডিয়ায়। আর এই মিডিয়ার
সহায়তায় ছোট উৎসবকে বৃহত্তর
উৎসবে রূপান্তরিত করে। কিন্তু এবার
করোনার করাল গ্রাসে বেনিয়াদের
পসরা না বসলেও সৃজনশীল
মানুষ তাদের সৃজনক্রিয়া বন্ধ
করেনি। তাদের সৃজনে উঠে
এসেছে পৃথিবীর কল্যাণের কথা। উৎসবের কথা।
ভালোবাসার কথা। মোলাকাতের এই
সংখ্যা সবাইকে সচেতন করবে
আশা করা যায়। উৎসবকে
বেনিয়ার চোখে না দেখে
প্রকৃতির ভালোবাসায় দেখবে বলে আমরা
আশা প্রকাশ করি।
-আফসার নিজাম,
সম্পাদকপাপহীন নববর্ষ :: আসাদ বিন হাফিজ
স্বাগত বৈশাখ :: তৈমুর খান
পহেলা বোশেখ :: ফরিদুজ্জামান
বৈশাখ :: কাজী রহিম শাহরিয়ার
বৈশাখ :: চন্দ্রশিলা ছন্দা
বোশেখ স্মৃতি :: মহিউদ্দিন বিন্ জুবায়েদ
স্বাগত নতুন :: কিশলয় গুপ্ত
বৈশাখ এলে :: রুদ্র সাহাদাৎ
এবারের বৈশাখে যদি বেঁচে যাই :: শাহীন খান
প্রিয় নতুন বর্ষ :: শঙ্খশুভ্র পাত্র
চোখ পড়লেই হাসি দেই দূর বহুদূরে :: মোস্তফা হায়দার
কৃষকের দিনলিপি :: হাসান আবু নাঈম
বোশেখ মানে :: আশরাফ আলী চারু
আজ এ বৈশাখে :: ইসমাইল বিন আবেদীন
বৈশাখ এলো :: শেখ একেএম জাকারিয়া
রঙ্গিন বৈশাখ :: সালমা বিনতে শামছ
বৈশাখ ১৪২৭ :: অর্নিয়া অর্থি
আনন্দ আলোকে :: বিকাশ চন্দ
নববর্ষের শুভেচ্ছা :: সাকিব জামাল
..................................................
রেজাউদ্দিন স্টালিন
অক্ষরগুলো দেনা-পাওনার পান্না।
ম্লান করে দেয় নির্মল নববর্ষ।
বিদ্যুৎ দিয়ে সাজিয়েছে ঘর জাঙলা।
..................................................
আসাদ বিন হাফিজ
করোনার দান
নববর্ষের পান্তাভাত
ঘরে বসে খান।
..................................................
তৈমুর খান
এই আমাদের ভাঙাচোরা দেশ
সম্প্রীতির আলো জ্বেলে আয়
আঁধারে আজ হানছে বিদ্বেষ।
সবুজ পাতা হাসে
অবুঝ কেন যুগের বাতাস
আগুন দিতে আসে?
আলিঙ্গনের ডাক
কালের মানুষ নববর্ষে
নতুন বন্ধু পাক।
সুখের গানে আনন্দ সব পাক
ঢেউ উঠুক মরা গাঙে
সম্পর্কের ডিঙি ভেসে যাক।
..................................................
ফরিদুজ্জামান
এই মহামারী কালে।
পহেলা বোশেখ আজ দিল ঠেক
গাটতি যখন চালে।
খেয়ে চমচম চড়ে টমটম
দেইনিতো চক্কর।
হাতে নাই কাজ এ বেকার আজ
ফকির ও ফক্কর।
গাঁজনের মেলা চড়কের চেলা
বসে নাই রথখোলা।
মঙল ওড়েনি মিছিল ঘোরেনি
তাই মন আলাভোলা।
কুলা ডুলা বাঁশি বড় ভালোবাসি
তার থেকে আজ দূরে।
মনজোড়া বাঁধ ওঠে অনুনাদ
মন ভাঙ্গার সুরে।
ভাঙে মনতীর তাই বিড়বিড়
করে বলি কতো কথা।
দুঃখে কাতর যে হল পাথর
ভাঙে নাই নীরবতা।
মৃত যে আপন দূরেতে দাফন
বুকেতে জগদ্দল।
এমন নিদানে মেনেছি বিধানে
ধরে রেখে মনোবল।
ক্ষুধার দুনিয়া গদ্য ধুনিয়া
পদ্য লেখার দায়।
যদি মহামারী লাশ সারি সারি
শীঘ্রই উবে যায়।
হাতে নিয়ে বাতি কেউ অমারাতি
বিদূরিত করে যদি।
ফের হবে মেলা সুজনের বেলা
ধরাধামে নিরবধি।
..................................................
কাজী রহিম শাহরিয়ার
জীবনের, প্রকৃতির ভাঙাগড়া খেলা দেখি আমি
পুরনো দিনের স্মৃতি, দোলে মেঘে আসন্ন আগামী
জীর্ণতা ঘুচাতে জানি, আনে ঝড় আরুদ্র বৈশাখে
অজস্র শক্তির দ্বার খুলে দিতে তার আগমন
অন্তরে আরেক ঝড় বয়ে যায়, দোলে এই মন
অজানা শংকায়, তবে এ ঝড়ের আড়ালে কে হাসে?
মেঘপুঞ্জে লেখা তার সব কথা, সব সুর, গান
অপার্থিব দ্যুতি এক চেতনায় জ্বলে অনির্বাণ
যৌবনের দীপ্ত তেজ, যেন মহামুক্তির আরক!
যেন মহা-প্রলয়ের আগাম খবর দিয়ে যায়!
..................................................
চন্দ্রশিলা ছন্দা
মাঠপোড়া রোদ্দুর
চৈত্রের দুপুরে
খাঁ খাঁ শূন্যতা
হাঁটু জল পুকুরে।
মধুমাস বৈশাখ
উৎসব হালখাতা
পার্বণ ঢোল ঢাক
খৈ মুড়ি মুড়কি
বৈশাখ বরণে
চাই চিড়া গুড় কি?
গান আর মেঠো সুর
আনন্দ হরষে
দুঃখকে করি দূর।
..................................................
বোশেখ মাসে ঝড়ে,
কই হারালো এসব স্মৃতি
মন যে কেমন করে।
হাতের কাছেই ধরে,
ঝড় তুফানে আম পড়ে না
কুড়াই কেমন করে?
আমের থোকা ঝুলে,
মনে চাইলেই হাত বাড়িয়ে
নেই যে মুঠে তুলে।
জানি তো, এই অনন্ত আকাশও
ধরে রাখে না শুধুই একলা চাঁদ
যেমন গৃহস্থ চাষী- চাষাবাদ
শেষে পাখীরা অবহেলিত ধান খুঁটে খায়।
আমাদের যেতে হবে বহুদূর
আপাতত এখানে রোদ্দুর
পেতেছে শামিয়ানা। দৃষ্টি রেখেছে পথ
নক্ষত্রের মাটির বাড়ীতে
কে রাখবে পা- কে সাজবে সনাতন শাড়ীতে
সে গল্প সাধারণ পাঠকের অজানা থাক
সূর্যের সাথে জ্যোৎস্নার অনেকটা ফারাক।
না, আমাকে নয়- ভালো তুমি অন্য কাউকে বাসো
রুদ্র সাহাদাৎ
আমাদের মাটির টিনশেড দুতলা বাড়ি,মাটির সিঁড়ি
পিতামহের হাতে গড়া, মক্তবে হুজুরের বয়ান করা যেনো সেই স্বর্গ।
গোরকঘাটা, বুধাগাজী পাড়া, আলিশান রোড়।
ভাইয়ের আদর, দিদির ভালোবাসা।
ঘুমের ঘোরে হারানো দিন খুঁজি
মাঝেমাঝে আমিও হয়ে যাই কবি
..................................................
শাহীন খান
বিরহের দরিয়া দিছে সে যে ডুব।
ঘর বন্দি মানুষের করুন দশা
আঁধার নেমে এলো যেন সহসা!
দিশেহারা হয়ে আছে বসুন্ধরা
দিনদিন বেড়ে চলে লাশের বহর
নেই নেই ভালো নেই মনের শহর!
নয় নয় সে তো নয় পান্তাভাতের
সুনশান নিরাবতা বেদনা মাখা
কষ্টের কালিমায় রয়েছে ঢাকা।
নিয়মিত নামাজেতে আমি দাঁড়াবই
দোয়া চাই দোয়া করো ওহে রহমান
চিকিৎসার পথ্য করো কিছু দান।
..................................................
শঙ্খশুভ্র পাত্র
গাছের তলে বসে কে
গায়ে-পিঠে মাখছে ছায়া—
মিঠে-হাওয়ার স্পর্শ?
ধুঁকছে নেড়ি-কুকুরে
ঘেমে-নেয়ে কারোর দেখি
মুখখানি বিমর্ষ৷
চলছে লঘু-গুরুতে—
গরম নিয়ে কতরকম
ফন্দি-পরামর্শ৷
দিব্যি আছি বীজনে
শাঁখ বাজিয়ে বরণ করি
প্রিয় নতুন বর্ষ৷
..................................................
মোস্তফা হায়দার
বাৎসরিক পার্বন দেয় পাঁচপোড়নের ডাক
জীবনের ধারাপাতে বসন্তের কোকিল খুঁজেছি
খুঁজতে খুঁজতে কখনো সুবর্ণা, কখনো ঈশিতা
কখনো বা সালমাকে পেয়েছি উর্মিলার মাঝে;
কতজনের পাঁজরের দৃশ্যও করেছিল ব্যকুল
ইচ্ছের কাঠিন্যতায় সঙবরেণে লাগিয়েছি তালা
চাবিহীন এ সমাজে- রোদনে রোদন
বাড়তে
বাড়তে
ভেঙ্গে গেছে চাতাল নারীদের হালহাকিকত;
চাতালদের নিয়ে যায় খুটেমুটে খাওয়া মঙ্গল শোভ্যাত্রায়!
তখনই মনে পড়ে
হারানো দিনের স্মৃতি
সংস্কৃতির অপছায়ায় ভাসতে থাকা বিশ্বাসহীনতার।
আর পাঁচপোড়ন নামে বাঙালিপনায়
ডালকড়ি ভাজার কাছে বন্ধী ছিল বৈশাখের বিশ্বাস!
মাটির পুতুল, ঘড়িঘাট্টা, হাঁড়িপাতিলে
যে টুকু প্রেম ছিল- তা যেন হারিয়েছে চাতাল মাতালের কাছে!
করোনার চেয়ে হিংস্রতা
আর হরিলুটের দৃশ্যে খুঁজি হারানো বিশ্বাসের প্রেম
যে প্রেম হৃদয়ে জাগে, অনুরণন যোগায়
চোখ পড়লেই হাসি দেই দূর বহুদূরের।
সবুজের প্রান্তর আজ রক্তসুধাপানে বড়ই ব্যস্ত!
অমঙ্গলযাত্রার কাছে ধুলোয় মিশেছে বাঙালিত্ব
ভোগের এই বৈশাখে টান না পড়ুক বিপরীত পাঁজরে
উদয়ের শোকেসে গান শুনতে ইচ্ছে করুক
'তুমি সুন্দর, তাই চেয়ে থাকি এই কী মোর অপরাধ'
..................................................
হাসান আবু নাঈম
ভালবাসি এই সবুজের মাঠ, খরখরে মাটির শীর্ণ কৃষক।
ভালবাসাই আমার কাছে বড়ো ভালদাম,
সব চেয়ে দামী।
বন্ধ্যা মাটির অলস তৃণ-শিশিরে করে আচ্ছন্ন,
খরতর এই বৈশাখী ফসলের মাঠ।
এ মাটির গর্ভে
সুপুষ্ট ফসলেরা উঁকি দেয়, তীব্র বেদনা বোধ কষাঘাতে,
দেখেছ কি?
এটা গোপন- একান্ত কিংবা প্রকাশ্যে জনলোক।
দুটি লাল গরু
গেরস্তালির ক্ষনেক তৃপ্তির দীর্ঘশ্বাস, মুছে আসন্ন দহনে
বেলা যায়।
আঙিনায় ঘূনপোকার বসবাস
জোয়াল, লাঙল, টুয়া অলস চিরবৈরী।
কাস্তের ঝকঝকে চকচকে বাঙালি
ডাল ভাতে হামাগুড়ি বহমান কাল
তবুও
বীজ ত্বকে ভবিষ্যৎ ঝুলে থাকে প্রাণ
খর্ব ধূলো স্হান পেলো
মুঠো মুঠো ভরে রাখা সোনা ধান।
আমি ভালোবাসি লাঙল ধরে রাখা কৃষকের মুখ
কৃষাণীর হাতে ঝরে পড়া উড়ো ধান।
..................................................
আশরাফ আলী চারু
নয়া বছর সেই সাথে
বোশেখ মানে পান্তা ইলিশ
পাটের পাতা শাক পাতে।
আউশ ধানের বীজ বোনা
বোশেখ মানে চাঁদনী রাতে
গোনাই বিবি গান শোনা।
হরকিসিমের তাত শাড়ি
বোশেখ মানে উৎসবে আর
হালখাতাটায় জোশ ভারি।
..................................................
ইসমাইল বিন আবেদীন
কিন্তু সেই কাঠফাটা রোদে ঘোরা হয়নি সারামাঠ।
খেঁকশিয়ালের ডাক শুনতে শিমুল গাছের আড়ালে লুকোনো,
ঘুড়ি উড়োনো, নজুর সাথে ফাঁদ পেতে ধরা হয়নি যে ঘুঘুও।
হয়নি দু-একটা কচি আম কুড়োনোর
আশায় গাছের নিচে দল বেঁধে বসা।
খাওয়া হয়নি মায়ের হাতের সাদা ক্ষীর, পান্তা ও বেগুন ভাজি;
যাওয়া হয়নি বাত্তুলসী ধানের বীজ নিয়ে দূর মাঠে
শোনা হয়নি বৈশাখের গান আর রাখালের বাঁশি-
শুনছি কেবলই ঘুঘুর ডাক- বাবা ঘুট্টু ফের, ফের..
শুনে মনে পড়েছিল মাকে!
খেলার সাথী নজরুল- মানে নজু; ও আমাকে বলতো-
ঘুঘু পাখিটার ছেলে হারিয়েছে; তাই খুঁজে ফিরছে-
আমি বলতাম থাক না! ওকে ধরে আর কাজ নেই।
ধরা হয়নি ছেলে খোঁজা সে মা পাখিটাকে
তবু আজ বৈশাখের এ প্রভাতে আমি সেই একই ডাক যেন শুনতে পাচ্ছি!
বাবা ঘুট্টু ফের, ফের…
এখনো কি মা পাখিটা সেই ছেলেটাকে খুঁজে পায়নি?
ছেলেটি এখনো ফেরেনি বাসায়?
নাকি মায়ের ডাক সে আজও শুনতে পায়নি!
কিন্তু এই নির্জন পাহাড়ে
আমি আমার মায়ের ডাক শুনতে পাই
আমি যে মাকেই খুঁজে ফিরি।
মাগো, কোথায়- কেমন আছ!
আজ এ বৈশাখে, প্রভাত বেলায়?
..................................................
শেখ একেএম জাকারিয়া
বরণ করো তারে,
নতুন ভাবে, নতুন সাজে
গড়ো জীবনটারে।
ধুয়ে মুছে হোক সাফ,
ভুলে যাও সব, ডাকো যে রব
হাত তুলে চাও মাফ।
নতুন দিনের গান,
এসো বৈশাখ, পাপ দূরে যাক
উঠুক হেসে প্রাণ।
..................................................
সালমা বিনতে শামছ
নিরিবিলি প্রস্থান,
কচি পাতাদের অজস্র কথা বলা।
বাতাসের কানে কানে শিশ দিয়ে বলে যায়;
এলো যে বৈশাখ।
সূর্যের তেজ ভীষন,
ক্লান্ত হয় দেহ-মন।
হঠাৎ ই দমকা ঝড়ো হাওয়া
প্রকৃতির বিধ্বংসী খেলা,
প্রখন তাপ, এই বৃষ্টি
বৈশাখীর এই বেলা।
বার্ষিক গতিতে আসা
চক্রাকার বৈশাখী দিন,
বাঙ্গালির প্রাণের মাস
খুশিতে বাজায় বীণ।
রং মাখা দিবস গুলো
হয়ে উঠুক রঙ্গিন।
..................................................
অর্নিয়া অর্থি
ছিল না তো পয়লা বৈশাখ আটকে।
হইনি হৈচৈ বৈশাখের মেলা,
শান্ত হয়ে কাটে সারা বেলা।
উৎসব হয়েছে প্রতিটি বন্ধ ঘরে ঘরে।
শোনা যায়নি কোনো বৈশাখের গান,
হয়েছে চারদিকে শুধু করোনা ভাইরাসের গান।
তবুও পান্তা-ইলিশ,শাড়ি-ফুল পড়ে বৈশাখ করেছি গ্রহণ।
..................................................
বিকাশ চন্দ
টলটলে জলের নাচন এদিক ওদিক অবসাদের ঢেউ
বন পাখিদের গানে ব্যাস্ত দোয়েল শালিক পায়রা টিয়া
রঙ বাহারি সময় কথা জানে কিছু শুদ্ধ সোপান
তবুও সামাজিক দূরত্বে ধীরে ধীরে নতুন বছর পালা
অস্পষ্ট মুখেরাও জানে একটু খুশির ধমনী স্পন্দন।
বিনীত বসন্ত বৌরি আলগোছে ডেকে ওঠে একা
এ কেমন সময় যেন উৎসবের আড়ালে আত্ম পরিহাস
তবুওতো হার্দিক আবেদন আগামী বছরের নির্মিতি কাল
এই সবে বরণ বার্তা নদী জল মাটি ও আকাশে
আপন মাধুর্যে ঢেউ দোলে নদীর মোহনায়।
লুকোনো মরণ অদৃশ্য বিস্তারে থমকে দাঁড়িয়ে
এ বছর আনন্দ সকাল প্রথম পল্লবিত সূর্য আলোয়
বেদনা বোঝে মায়েরা আমার আঁচলে ভরেছে স্নেহ
সমস্ত পরজীবী নশ্বরতা থমকে দাঁড়িয়ে অবাক বিষ্ময়ে
চিরকালই প্রথম বর্ষ ভোর ভেসে আসে আনন্দ আলোকে।
..................................................
সাকিব জামাল
এলো নববর্ষ, সুখের সোনালী প্রভাত।
চলুক বয়ে আগামী সময় আনন্দ প্রাণে,
মঙ্গল ধ্বনি বাজুক সব অন্তর ধ্যানে।
আসুক সফলতা জীবনে সবার কাঙ্খিতমত,
আজই বিদায় হোক আছে যার অশুভ যত।
সতত শুভেচ্ছা আজ- অজস্র শুভ কামনায়,
সুসময়ে ভরে উঠুক জীবন- প্রতিদিন পথচলায়।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments