অধ্যাপক আবু জাফর এর অনবদ্য সৃষ্টি মোহাম্মদ সা. মহাবিপ্লবের মহানায়ক_আবুল কাসেম হায়দার
আমার এক প্রবাসী বন্ধু বার বার আলাপচারিতায় বলছেন আপনি আপনার পজেটিভ পদক্ষেপসমূহ লেখনির মাধ্যমে সমাজের সামনে তুলে ধরুন। এই যে, আপনি অধ্যাপক আবু জাফর স্যার কর্তৃক লিখিত “ মুহাম্মাদ (সাঃ) মহাবিপ্লবের মহানায়ক” বইটি কেন প্রকাশ করেছেন, তাও আমি জানি। উক্ত বই এর জন্য লেখককে অসাধারণ চিন্তা ও গবেষণা করতে হয়েছে। তাও আপনি করলেন ২০০৯ সালে আপনার প্রকাশনী ‘লেখালেখি’ মাধ্যমে প্রকাশ। কেন? কি জিনিস আপনাকে এই মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেছে। অন্যদিকে ২০২০ সালে দেখলাম আরও একটি অতি উত্তম প্রকাশনা। মহানবী (সাঃ) পর হযরত আবু বকর (রাঃ) হযরত উমর (রাঃ), হযরত ওসমান (রাঃ) ও হযরত আলী (রাঃ) এই চারটি অতি মূল্যবান বই ৬০ বছর পূর্বে লেখা লেখকদের গবেষণাধর্মী, সাহিত্য মূল্যবোধসম্পন্ন, মনের আন্তরিক পরশ লাগিয়ে সৃষ্টিশীল বইগুলো কেন বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে প্রকাশ করলেন। নিশ্চয় এই সকল উদ্যোগের পিছনে অনেক অনেক লুকায়িত সুন্দর মহৎ চিন্তার ফল রয়েছে।
আমার আর এক বন্ধু, সেও বর্তমানে বিদেশে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন, বলেছেন আলাপ প্রসঙ্গে “আপনার লেখা ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের ইতিহাস’ শীর্ষক গ্রন্থটি আমার খুবই ভাল লেগেছে। আপনার সকল বই আমি পড়েছি। কিন্তু এই বই একটি অসাধারণ সৃষ্টি। অনাগত জীবনে এই বইটি আপনাকে মানুষের মাঝে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখবে। এখন আবার সময় এসেছে এই বইটিকে আবার নতুনভাবে নতুন তথ্য উপাথ্য সংযোজন করে আরও ব্যাপক আকারে নতুন আঙ্গিকে লেখা
প্রয়োজন। ছাত্রজীবন থেকে একটু একটু আমার লেখার অভ্যাস ছিল। স্কুলে, কলেজে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমি নিয়মিত অংশগ্রহণ করেছি। কবিতা আবৃত্তি, গল্প বলা, নাটকে অংশগ্রহণ, রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ আমার স্কুল ও কলেজ জীবনে নিয়মিত কাজ ছিল। তাই কর্মজীবনে এসেও লেখালেখির অভ্যাসটা চালু থাকে। কলেজ জীবনে প্রথম প্রথম কবিতা লেখার চেষ্টা করেছি। ১৯৬৯ সালে চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী পত্রিকায় মাঝে মাঝে আমার কবিতা ছাপা হতো। একবার স্কুল জীবনে চট্টগ্রাম জেলা কমিশনার কর্তৃক এক রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কারে ভূষিত হই। তখনকার তথা ১৯৬৯ সালে জেলা প্রশাসক আমার রচনা প্রতিযোগিতায় একমাত্র পুরস্কার পাঁচ শত টাকা লাভ করায় সমস্ত স্কুল আনন্দে ছুটি দিয়ে দেয়া হয়। পুরো সন্দ্বীপ থানায় আমি একমাত্র চট্টগ্রাম জেলায় পুরস্কারপ্রাপ্ত হই। কি না আনন্দ সেই দিন ছিল।
সেই অভ্যাসের ফলে আজও লেখালেখির চেষ্টা আমার অব্যাহত রয়েছে। পরবর্তীতে আমার সম্পাদনায় বাংলা ‘সাপ্তাহিক প্যানোরমা’ শিল্প বাণিজ্য সাহিত্য বিষয়ক পত্রিকা আজও নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।২০০৮ সালে আমার প্রকাশনী ‘লেখালেখি’ আত্মপ্রকাশ ঘটার পর ভাবছিলাম কিভাবে প্রকাশনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের সেবা করা যাবে। শুধু ব্যবসার উদ্দেশ্যে ‘লেখালেখি’ প্রকাশনীর জন্ম হয়নি। মানুষের কল্যাণ, মানবতার সেবা, আমাদের প্রজন্ম পর প্রজন্মের মূল্যবোধের শিক্ষা কিভাবে প্রকাশনা শিল্পের মাধ্যমে দেয়া যায় তা নিয়ে নিয়মিত আমার ভাবনার মধ্যে রয়েছে। ইতিমধ্যে অধ্যাপক আবু জাফর এর “অসহিষ্ণু মৌলবাদীর অপ্রিয় কথা” বইটি প্রকাশিত হয়। তাঁর অনেক প্রবন্ধ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হতে থাকে। তা আমার পক্ষে পাঠ করা সম্ভব হয়েছে। অধ্যাপক আবু জাফর বাংলাদেশে একজন আধুনিক গীতিকার হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছেন। কবিতা, প্রবন্ধ, গান রচনায় ইতোমধ্যে তিনি সাহিত্য অঙ্গনে বেশ বড় একটি আসন দখল করে নিয়েছেন।
বলা আবশ্যক, আমার বহু দিন, বহু রজনী অতিবাহিত হয়েছে এদেরই দলভুক্ত হয়ে। আমিও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম দিনগুলো অপচয় করেছি ইসলামের আলোকবর্তিকা থেকে দূরে ইসলামের বাধিত খাদেমরূপে। আজ এই ভেবে রোমাঞ্চিত হই, আল্লাহ পাক আপন অনুগ্রহে তাঁর এই নগন্য বান্দার আর্তি ও অনুতাপটুকু হয়তো গ্রহণ করেছেন, না হলে সেই বিড়ম্বিত অন্ধকার বিশ্ব থেকে বেরিয়ে আসা অসম্ভব ছিল।”
অধ্যাপক আবু জাফর বাংলাদেশে তার লেখা একটি কবিতা, পরবর্তীতে গানের জন্য সকলের জন্য অত্যন্ত সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব, সাহিত্যিক, সৃজনশীল, সংস্কৃতিমনা, গীতিকার ও আধুনিক মনস্ক এক বিরল ব্যক্তি। সেই গানটি হচ্ছেÑ
“এই পদ্মা এই মেঘনা এই যমুনা, সুরমা নদী তটে
আমার রাখাল মন গান গেয়ে যায়
এই আমার দেশ এই আমার প্রেম।
আনন্দ বেদনায় মিলনও বিরহ সঙ্কটে
কত আনন্দ বেদনায় মিলন ও বিরহ সঙ্কটে।
এই মধুমতি ধানসিঁড়ি নদীর তীরে
নিজেকে হারিয়ে যেন পাই ফিরে ফিরে।
এক নীল ঢেউ কবিতার প্রচ্ছদ পটে।
আনন্দ বেদনায় মিলনও বিরহ সঙ্কটে
কত আনন্দ বেদনায় মিলনও বিরহ সঙ্কটে।
এই পদ্মা এই মেঘনা এই হাজার নদীর
অববাহিকায়
এখানে রমণীগুলো নদীর মত
নদীও নারীর মত কথা কয়।
এই অবারিত সবুজের প্রান্ত ছুঁয়ে
নির্ভয়ে নীল আকাশ রয়েছে নুয়ে
যেন হৃদয়ের ভালোবাসা হৃদয়ে ফোটে।
আনন্দ বেদনায় মিলনও বিরহ সঙ্কটে
কত আনন্দ বেদনায় মিলনও বিরহ সঙ্কটে।
বেশ কিছুদিন পর তিনি আমাকে টেলিফোন করে জানালেন মহানবী (সাঃ) উপর একটি নতুন বইয়ের পান্ডুলিপি আমাদের প্রকাশনী ‘লেখালেখি’র জন্য প্রস্তুত করছেন। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তিনি পান্ডুলিপি আমার হাতে পৌঁছাবেন। ঠিক কথা অনুযায়ী তিনি নিজ হস্তে লেখা ‘মুহাম্মাদ (সাঃ) মহাবিপ্লবের মহানায়ক’ গ্রন্থটির পান্ডুলিপি আমার নিকট পাঠালেন। চমৎকার, সুন্দর, পরিচ্ছন্ন নিজ হস্তে লেখা পান্ডুলিপি ছেপে আমার মন জুড়িয়ে যায়। এই ঘটনাটি ২০১১ সালের অক্টোবর মাসের ঘটনা। তাই আমি বইটি একুশে বই মেলা ২০১২কে সামনে রেখে প্রকাশনার কাজে হাত দিলাম। দুই দুইবার নিজে বইটির প্রুফ দেখেন অধ্যাপক আবু জাফর। তাঁর আন্তরিকতা, যতœ মায়া, শ্রদ্ধা মহানবী (সাঃ) উপর লেখা বইটি দ্রুত প্রকাশনা সম্ভব হয়েছে।
মুহাম্মাদ (সাঃ) মহাবিপ্লবের মহানায়ক বইটি সুন্দর প্রচ্ছদটি একেছেন শিল্পী আরিফুর রহমান। চমৎকার প্রচ্ছদে বইটির সৌন্দর্য অনেক বেড়েছে। ছাপার কাজে নিয়োজিত ছিলেন মেভিস প্রিন্টার্স। মূল্য তিন শত টাকা মাত্র। চার রং এই প্রচ্ছদে বইটি ২৫৪ পৃষ্ঠায় সমাপ্ত করা হয়েছে।
বইটির ভুমিকায় অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, “বইটি মূলত মুসলিম উম্মাহকে উদ্দেশ্য করে লেখা অবশ্য এই কথার অর্থ পুরোপুরি এ রকম নয় যে, অন্য ধর্মাবলম্বী যারা আছেন, তারা বই পাঠ করা থেকে বিরত থাকুন। না, এই ধরনের কোনো অভিপ্রায় আমার মধ্যে নেই; আর থাকবার কথাও নয় কারণ ইসলাম এসেছে সর্বকালের সমগ্র মানব-সম্প্রদায়ের জন্য। অতএব ইসলামের বক্তব্যকে যথাসম্ভব সকলের কাছে পৌছে দেয়াই আমাদের কর্তব্য। সুতরাং মুখ্যত মুসলমান হলেও, বস্তুত মুসলিম- অমুসলিম নির্বিশেষে- সকলকে বইটি পড়ে দেখবার জন্য- সম্পৃতি আমন্ত্রণ জানাই। কারণ, কিছু বলা যায় না, সবই আল্লাহ পাকের অনুগ্রহ ও অভিপ্রায়; কে কখন অন্ধকারের দাসত্ব ছেড়ে সত্যের আলোয় অবগ্রহণ করবেন, কে কখন দুভাগ্য জীবনের কুহক ও কুজ্ঝ টিকা পরিত্যাগ প্রকৃত সৌভাগ্যের স্পর্শ লাভে ধন্য হবেন, যখন তাওহীদের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে, সে কথা কেবলমাত্র আল্লাহপাকই জানেন।”
লেখক অধ্যাপক আবু জাফর স্যার এর নাম বাংলাদেশের সকল সৃজনশীল, জ্ঞানী, সাহিত্যমোদী পাঠক, লেখক মাত্রই জানেন। শুধু কবিতা, গান, সুরকার হিসাবে নয়, দস্তুত ইসলামের একজন খেদমতকার হিসাবে আল্লাহ পাক তাকে কবুল করেছেন। তিনি ধন্য। উক্ত প্রবন্ধের ভূমিকায় শেষে লেখক লিখেছেন, “বই লেখা কর্তব্য গঠন, পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়া আরো বেশি কঠিন কারণ মুদ্রণ সংশ্লিষ্ট গুরুতর অনেক বিঘœ-বিপত্তি যেমন আছে, সেক্যুলার পাঠক প্রভাবিত বইয়ের বাজারে ধর্মীয় পুস্তকের প্রতি একধরনের প্রবল ও অনুচিত অনীহাও আছে, যে-কারণে বর্তমান ধরনের- বইয়ের প্রকাশক মত এই দুষ্পাপ্র। কিন্তু আল্লাহপাকের- অশেষ রহমতে আমাকে কখনও খুব বেশি বেগ পেতে হয় না, এবারেও হয়নি; যথেষ্ট প্রীতি ও আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে এসেছেন ‘লেখালেখি’ সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থার মালিক জনাব-আবুল কাসেম হায়দার। ব্যবসা যদিও হায়দার সাহেবের জীবিকা কিন্তু তিনি নিজেও একজন ভাল মাপের লেখক।”
একটি অসাধারণ বই অধ্যাপক আবু জাফর ‘মোহাম্মদ (সাঃ) মহাবিপ্লবের মহা নায়ক’। অন্যান্য বহু লেখক মহানবী (সাঃ) উপর গ্রন্থ রচনা করেছেন। মহানবী (সাঃ) জীবনের বিভিন্ন দিকের উপর আলোচিত করে বহু গ্রন্থ রচিত হয়েছে। কিন্তু অধ্যাপক আবু জাফর স্যার এর রচিত গ্রন্থটি এক অন্যন্য রচনা। গতানুগতিক বই এর মত করে তিনি বইটি রচনা করেন নাই। কে, কি জন্য মহানবী (সাঃ) উপর রচিত বই পড়তে হবে তা তিনি খুবই সুন্দরভাবে যুব সমাজের জন্য উপযোগী করে লিখিছেন।
বইটিতে লেখক অন্যান্য লেখকদের মত করে মহানবী (সাঃ) জন্ম, শিশুকাল, যৌবন, ধর্ম প্রচার। যুদ্ধসহ নানা কাহিনী ভিত্তিক বর্ণনামূলক লেখা লেখেনি। গতানুগতিক লেখকের মত করে লেখক বিষয়টি উপস্থাপন করেন নাই। তিনি মহানবী (সাঃ) এর আদর্শ, বিপ্লব, বিপ্লবের লক্ষ্য, উন্মাদ হিসাবে আমাদের দায়িত্ব কি এসব বিষয়ে অত্যন্ত যুক্তিপূর্ণভাবে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে গ্রন্থটি রচনা করেছেন। এই ক্ষেত্রে ভারতীয় নবম রাষ্ট্রপতি পন্ডিত শংকর দয়াল শর্মা আনুমানিক ৩৫ বছর পূর্বে মুসলমানদের উদ্দেশ্যে পবিত্র কোরআন নিয়ে একটি কবিতা লেখেন। কবিতাটি হুমায়ুন গহর কর্তৃক ইংরেজীতে অনুবাদ করা হয়। মুসলমানদের পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসাবে কবিতাটি বেশ আলোচনার দাবি রাখে। সঙ্গে বাংলা অনুবাদও দেয়া হলো। কবিতাটি অত্যন্ত চমৎকার, সংক্ষেপ, শিক্ষনীয়।
It was a command for action
you turned it into a book of prayer
you read it without understanding
You turned it into a menifesto of the dead.
you abdicated to the igrorauts
You abandoned it to the madras a
you used it for seeking nevey for the dead
আমল করার কিতাব ছিলো
দোয়ার কিতাব বানিয়ে ফেলেছো।
তুমি এটা পড়ার (না বুঝে) কিতাব বানিয়ে ফেলেছো।
মৃতদের (পরকালের) কিতাব বানিয়ে ফেলেছো।
মুর্খদের দখলে ছেড়ে দিয়েছো।
তুমি এটা মাদরাসায় পরিত্যাগ করেছো।
তুমি এটাকে মৃতের জন্য দোয়ার কাজে লাগিয়েছো
হে মুসলমান, তুমি এটা কি করেছো?
ভারতের নবম রাষ্ট্রপতি পন্ডিত শংকর দয়াল শর্মা পবিত্র কোরআন শরীফ আল্লাহ পাক যে উদ্দেশ্যে নবী করিম (সাঃ) মাধ্যমে দুনিয়াতে মানবতার কল্যাণে যে উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছেন, তারই সারসংক্ষেপ উক্ত ছোট্ট কবিতার মাধ্যমে বিশ্লেষণ করেছেন। অনুরূপভাবে অধ্যাপক আবু জাফর তাঁর লেখা “মোহাম্মদ (সাঃ) মহাবিপ্লবের মহানায়ক গ্রন্থে জাতি হিসাবে মুসলমানদের দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে আমরা অনেক দূরে সরে গিয়েছি। আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বইটিতে নানাভাবে আলোচনা করেছেন।
এই প্রসঙ্গে লিখতে গিয়ে লেখক লিখেছেন :
“রাসুল (সাঃ) কর্তৃক আনিত ও সম্পাদিত বিপ্লব নিয়ে কথার কোনো শেষ নেই। লৌকিক ও অলৌকিক, ঐতিহ্য ও পারিত্রক, ব্যক্তি সমাজ রাষ্ট্র ও আন্তরাষ্ট্র, সর্বব্যাপী দৃশ্যমান বাস্তবতা ও অন্তরমথিত মরমিয়া অধ্যাকিতা ইত্যাদি এমন কোনো কিছুই নেই, যা এই মহাবিপ্লবের অন্তর্ভুক্ত নয়। এ যেন এক অন্তহীন সহস্রমুখী মহাকাব্য, যা সত্য ও সুন্দরের পথে সমগ্র বিশ্বমানবের শাশ্বত পথ ও পাথেয় রূপে ধ্রুবনক্ষেত্রের মত জ্যোতিষ্মান।
অধ্যাপক আবু জাফর তাঁর এ বিশ্ব বিখ্যাত গ্রন্থটি অনাগত ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি আদর্শ, শিক্ষনীয়, অনুকরণীয়, পথভ্রষ্ট যুব সমাজকে গঠিত পথে আসার এক আলোকবর্তিকা হিসাবে যুগ যুগ ধরে ভূমিকা রাখবে। এই কামনা আমার হৃদয়ের একান্ত আকুতি, কামনা।
লেখক তাঁর গ্রন্থের এক পর্যায়ে আক্ষেপ করে বলেছেনÑ
“মুসলিম উম্মাহর একটি বড় ত্রুটি হলো, নানা ক্ষেত্রে বিশেষ করে সঙ্কটের মোকাবিলায়, কোরআন এবং রাসুল (সাঃ) এর জীবনাদর্শ থেকে সঠিক শিক্ষা ও ব্যাখ্যা গ্রহণ না করে নিজের ইচ্ছা ও সুবিধামত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। এতে প্রকারান্তরে দুশমনদেরই সুবিধা বেড়ে যায়।”
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments