ধর্ষণ বিরোধী কবিতা : ৪র্থ সংখ্যা
মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সুন্দর জীবনের জন্য পাঠিয়েছেন দুনিয়ায়। সৃষ্টির সৌন্দর্য রক্ষার দায়িত্বও আমাদের উপর নেস্ত করেছেন। কিন্তু আমরা আমাদের দায়িত্ব ভুলে গিয়ে পৃথিবীর সৌন্দর্যকে কালিমা লেপন করছি। মানুষে মানুষে তৈরি করছি বিভেদ। মানুষের অধিকারকে করছি ভুলুণ্ঠিত। মানুষকে আর আমরা সম্মান করতে পারছি না। নৈতিকতার থেকে আমরা আজ বহুদূরে অবস্থান করছি। আমাদের শিল্প সাহিত্য, সংস্কৃতিও আজ এই সকল অপকর্মের ইন্দন দিয়ে যাচ্ছি। সেই সকল অপকর্মের ও অসংস্কৃতির বিরুদ্ধে মোলাকাত সবসময় সৃজনশীল ও মননশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে শুভ বুদ্ধির উদয়ের কাজ করছে। আর মোলাকাতের সাথে আপনারা মেলবন্ধন করে আমাদের কর্মকে এগিয়ে নিয়ে যান। এ জন্য আমরা যারপরনাই খুশি।
অন্ধ অসুখ :: মীনা সাহা
সুনামি ঢেউ :: মালা ঘোষ
নরকের কীট :: হামিদা আনজুমান
অত্যান্ত কষ্ট :: শামসুন নাহার
প্রতিক্রিয়া :: মমতাজ মম
নারীর ইজ্জত রক্ষা পাক :: শিরিন আফরোজ
হীরা মণি তুমিও আল্লাকে সব বলে দিও :: রফিক মজিদ
ধর্ষণ যাতন :: জাফর পাঠান
অন্ধকারের জন্মকথা :: সৌরভকুমার ভূঞ্যা
এই শহরে বিচার নাই :: মুহিব্বুল্লাহ কাফি
শ্রেষ্ঠ পাপী :: সৌমেন দেবনাথ
ধর্ষক ধর :: পারভীন আকতার
ডিজিটাল ভূত :: শাহজাহান মোহাম্মদ
সূর্যোদয়ের রাঙা শপথ :: কমল কুজুর
ফাঁসি চাই :: মিজান ফারাবী
ধর্ষকের দেশ নেই, ধর্ম নেই, দল নেই :: ডা. এম এ ওহাব লাবিব
ওদের কোন নেই পরিচয় :: এইচ. এম. হাসানুজ্জামান
ধর্ষণের প্রতিবাদ :: মোঃ জোবাইদুল ইসলাম
দাবি একটাই ফাঁসি :: মুস্তাফা ইসলাহী
জেগে ওঠো নারী :: শেখ নূরুল আমীন
..................................................
বীর্যের স্খলনে ভাসে অপাবৃতা যোনি
কীটের দংশনে ক্ষত ফুলের পাপড়ি
বাঁচাও অমল প্রাণ এ রুক্ষ ধরণী
লোভের আগুনে জমে ভোগের কামনা
নারী শরীর কেবল প্রলুব্ধ বাসনা
চারিদিকে যত চায় ভাসছে হতাশা
হাই হাই কোথা যাই ঘোর অমানিশা
জাগো মানব বিবেক অসুস্থ ধরণী
আর কতবার বলো ধর্ষিতা
মাতন্ডী
নারী তুমি বন্ধ্যা হও দিও না জনম
পতন হোক তবে এ মানব ভুবন
নিজেকে তাকিয়ে দেখ পাপান্ধ পুরুষ
লুব্ধ দৃষ্টি ছেড়ে গাঁথো সৃষ্টির সরস
ঠোঁটের ভাঁজে দুঃখের বিষন্নতা
অন্তপুরে দুঃখ ছড়ায় সূর্যমুখী।
অথৈ জলে ভেসে যাচ্ছে জীবনতরী।
নারীর আর্তচিৎকারেও ঘুম ভাঙেনা!
ঘুমায় যারা জন্ম তাদের দিল কে?
প্রসব ব্যথার কষ্ট সময়
বোঝো কি?
বর্বরতা আল্পনা চিহ্ন
নিস্পাপ তনুতে আঁকলে যারা
মায়ের কথা একটিবারও ভাবলে কি?
সারাক্ষণ পুড়ছে, দ্বগ্ধ জ্বালায় জ্বলছে।
রাত্রির গভীরে অনিশ্চয়তার মেঘ
অভিশাপে জর্জরিত।
সম্ভ্রম হরণকারী হলে কেন?
গর্ভে ধারণ করার চেয়ে
ধর্ষক যেন গর্ভেই ধ্বংস হয়।
প্রতিদিন অবিরত দুচোখে
সুনামি ঢেউ।
নীল হয়ে ওঠা শরীর
আত্মহত্যারই হাতছানি দেয়।
নারীকে ভেবেছে নধর হরিণী
ধর্ষক পুরুষ হয়েছে শাণিত ছুরি।
রাষ্ট্র!! ধর্ষককে সম্মানীয় পুরুষ করো।
ভালোবাসার মুখোশ যেন
কোনদিন সে আর না পরে।
..................................................
চিৎকার করে নিজেই কাঁদি বলবো কারে থাম!
বিভৎস আর ঘৃণ্য তারা ঘণায় আঁধার রাত।
নিজের জন্মকথা তোরা, ভুলে গেলি আজ?
মায়ের জাতি সেই নারী কে তুই রে খুবলে খেলি।
স্নেহের সাগর বোনের শরীর দেখেও ঝড়ে লোল?
এমনি কত শত গল্পে হারাই মনের বল।
আদালতে অসুর গুলোর হবে কি বিচার?
নারী, পুরুষ এক হয়ে আজ মৃত্যু আগুন জ্বালাই।
..................................................
বড় বড় নেতারা সব পালিয়েছে গর্তের শেষে
বিচার নাইরে বিচার নাই বিচার নাই বাংলাদেশে
কাঁদে ধরণী কাঁদে মা কাঁদেরে অবুঝ শিশু
ধরণী বুঝি মাথা নোয়াবে লজ্জায় কিছু কিছু।
কেমন করে বাঁচবে বলো এদেশের নারী নামের প্রাণী,
এদেশ তোমার আমার এদেশ মোদের গর্ব
স্বাধীনতা এনেছিলাম বুঝি এসব ধর্ষকদের করতে আনন্দ।
ওদের মাঝে মায়া দয়া নাই ওরা যে নষ্ট পন্য,
আমরা বাঙালি উদার মুসলিম জাতে আমরাও ভিন্ন
কিন্তু মোদের স্বভাব চরিত্র কেমনে হলো ওদের মত বণ্য।
তাদেঁরই সন্তান এমন হবে এ আর এমন কি অসম্ভব কথা,
মা তার অসহায় নারী সন্তান যে নষ্ট
রক্তের টানে এমন করছে এ যে অত্যান্ত কষ্ট ।
সময় এসেছে রুখে দাড়ানোর
বারেবারে কেন কেঁদে যাবে নারী
অসহায় অবলা করুন সুরের কারী।
রক্তাক্ত বোন দেখুক চেয়ে বিধাতার বিচারের দান,
এদেশে যদি বিচার না হয় থামবে না ধর্ষণ
কুলাঙ্গারেরা মুক্তি পাবে বিশেষ দলে তার নাম।
..................................................
মমতাজ মম
যা জন্ম দেবে নিষ্কলুষ একটি পৃথিবীর,
যার পাপ নিঃশ্বাসের বিষাক্ত বিকিরণে হবেনা গ্রীন হাউজ এ্যাফেক্ট।
যা ভক্ষনে রক্ত পরিশোধিত হয়, চামড়ার আবরন তলে প্রেম জন্মায়,
মায়া জন্মায়, খুনির রক্তাক্ত ছুরির ডগায় জন্মায় লাল পুষ্প।
যেখানে গোলা-বারুদ, বন্দুক, পিস্তল হবে মৃত্তিকা, হবে কোদাল,
সন্ত্রাসী- খুনিরা হবে একেকটা সাচ্চা দেশপ্রেমিক হবে বাংলার চাষা,
তাদের ছাতি হবে একটা ব-দ্বীপ ভূখণ্ড যার মধ্যে লাল-সবুজ নিশান উড়বে।
যাদের কারনে বঙ্গবালারা বার বার বলাৎকার হয়েছে, আত্নহত্যা করেছে।
তাদের দ্বিখণ্ডিত অণ্ডকোষের চাপ্টারে ধারালো খুড়ের চিহ্নে আলগা হওয়ার চিত্র আঁকতে চাই।
তাতে লিখা রবে ঔদ্ব্যত যৌবনে লাগামহীন ঘোড়ার সমাপ্তির অধ্যায়।।
..................................................
তুমি পালনকর্তা,
নোংরা মনের নোংরামিতে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে
নারীর ইজ্জত,
তুমি রক্ষা করো বিধাতা।
নারীর গর্বে জন্ম নিয়ে যারা
নারীকে করছে অসম্মান,
তাদের জন্য দেশজুড়ে প্রতিবাদ হউক
রক্ষা পাক নারীর সম্মান।
জগন্যতর অপরাধীদের বিচার হউক
জানাই তাদের ধিক্কার,
বন্ধ হউক নারী নির্যাতন,
বন্ধ হউক ধর্ষণ ও অত্যাচার ।
মানুষরূপে জন্ম নিয়ে যারা করছে
পশুর চেয়ে অধম কাজ,
বিকৃত মানসিকতা আর লজ্জাহীন দৃষ্টি দিয়ে
কলঙ্কিত করছে তারা রাষ্ট্র ও সমাজ।
..................................................
সিরিয়ার ওই শিশুর মতো
আল্লাকে সব বলে দিয়ো।
আমরা তোমার সম্ভ্রম ও জীবনের
নিরাপত্তা দিতে পারলাম না।
নরপিচাশের উল্লাসও বন্ধ করতে
পারিনি আমরা।
নিস্পাপ দেহে শকুনের থাবা
আর কতদিন চলবে
তাও জানিনা আমরা।
আমাদের তুমি ক্ষমা করো না
আমাদের শকুনের দৃস্টি যেনো
নিজের শরীরই খুবলে খুবলে খায়।
হীরা মণি তুমিও
আল্লাহকে সব বলে দিও
নিষ্ঠুর এ পৃথিবীর কী দরকার?
মানুষ রূপী নারমাংস খাদক
রাক্ষসের দল সমূলে ধ্বংস হয়ে যাক।
ঘেন্না হয়, নিজের শরীরকে দেখে
আমরা মানুষরাই এখন
বনের হিংস্র প্রাণীর মতো
টেনে হিচড়ে ছিন্নভিন্ন করে খাচ্ছি
আমার ঔরস।
নখের আঁচড়ে নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছি
আমার জন্মের আলো রেখা।
কাঁমড়ে কাঁমড়ে ক্ষত-বিক্ষত করছি
নিজের অস্তিত্বকে।
হীরা মণি তোমাকে আল্লাহর কাছে
বলতেই হবে…
তোমাকে ফুল হয়ে ফোটার আগেই কেন
নর্দমার পঁচা পানিতে ফেলে
নষ্ট করা হলো।
পৃথিবীর আলো-বাতাসে
সুখের স্বাস নেয়ার আগেই
স্বাস বন্ধ করে দেয়া হলো।
কী হীরা মণি-
আল্লাহকে সব বলে দিবে না…?
..................................................
মেয়েটির করেছে সর্বনাশ,
ধরাধামের বাঁধাধরা নিয়ম ভেঙ্গে-
ভবিষ্যৎ করেছে বিনাস,
সমাজের অপাংক্তেয় ধর্ষকেরা-
খাটাসের বাচ্চা পিচাশ।
যেই মা বুনেছিলো স্বপ্ন,
মেয়ে আমার যে আলো জ্বালবে
দিবে সমাজকে রত্ন,
ক্লান্তির গাঁয়ে কুঠারাঘাত হেনে তাই-
মেয়ের করেছে যত্ন।
নম্র সহজ সরল,
সততার পথে গড়েছে জীবন
ঘৃণায় ত্যাগীছে গড়ল,
জমিয়েছে কড়ি-কিনবে শাড়ী
বাজবে সানাই-বাহারী রকমারি।
শান্ত নদে অশান্তির তুলেছে দোল্,
কোন্ নষ্ট-ভ্রষ্টের দল্
কামড়েছে অবলীকে-জলদি বল্।
হবে আগে নিতে বদল্,
কুড়ে কুড়ে লাশ খাবে তার-ধরাতল
এরা যে ইবলিশের দল্ ।
..................................................
সৃষ্টির আলোক-পথে আঁধারের পৈশাচিক উল্লাস,
অদ্ভুত ঘুম এসে ভারী করে দু-চোখের পাতা
জীর্ণ বুকের মাঝে জেগে ওঠে বাতাসের হাহাকার।
ভাঙা মন তবু দুঃসাহসী হয়, স্বপ্ন দেখে বেঁচে থাকবার।
একটাই জীবন,
কে আর সময়ের আগে ফিরে যেতে চায়?
তবুও ফিরে যেতে হয়, যন্ত্রণা আর অশ্রুর পথ ধরে
অন্ধকার থেকে আরও কোনো গভীর অন্ধকারে।
একটা জীবন ফুরিয়ে যায়, তবুও রয়ে যায় কিছু
ধূসর ছাইয়ের ভেতর থেকে জেগে ওঠে
রক্তাক্ত যোনি আর গর্ভের নরক অন্ধকার।
যা দিয়ে সময়ের খণ্ড খণ্ড অধ্যায় লেখে
নব-জন্মের এক আশ্চর্য কাহিনি।
ফুরয়ে যাওয়া শরীর হারিয়ে যায় অশ্রুর অন্ধকারে
জীবনের পাতায় পড়ে থাকে নির্মম শূন্যতা,
তবুও যোনি আর গর্ভের অন্ধকার নিয়ে
কোথাও জীবনের অদ্ভুত চিত্রনাট্য লেখা হয়।
..................................................
দুর্গন্ধের আভাস পাই,
এ শহরে ধর্ষক বেড়েছে
ধর্ষণের বিচার নাই!
সাথে স্বামী থাকলেও,
এ শহর পচে গেছে
সাহায্য পাবেনা চিল্লাইলেও।
মানবতার গেছে মরে,
মা-বোনদের ইজ্জত এখন
অশ্রু হয়ে ঝরে পরে!
ধর্ষণের বিচার নাই,
ধর্ষকরা তাই দিব্যি ঘুরে
করে বেড়াচ্ছে যাচ্ছেতাই!
তাদের রক্ষার পুরুষ নাই,
নরপশুরা ধর্ষণ করে
প্রশাসনকে বলে হ্যাল, হাই!
চেয়ে চেয়ে দেখে যায়,
ধর্ষণের সময় বাধা না দিয়ে
পরে আবার বিচার চায়!
তুচ্ছ বিষয়ে প্রতিবাদী হয়,
শতো শতো নারী হচ্ছে ধর্ষণ
এখন তারা কিছুই নাহি কয়!
..................................................
ভাঙে দুখীর বেড়া,
কাড়ে নারীর সম্ভ্রম ওরা
ধরে করো ন্যাড়া।
করো ঘর সিলগালা,
ওদের জোটের ভাঙো তালা
পরাও জুতার মালা।
ছবি করো প্রকাশ,
কোমরেতে রশি বেঁধে
ঘোরাও গ্রামের আশপাশ।
আর থেকো না দর্শক,
কিসের তাদের দল পরিচয়
ওরা শুধুই ধর্ষক।
প্রশ্রয় দিও না কেউ,
ওদের রক্ষায় হাত বাড়ালে
থামবে না ধর্ষণ ঢেউ।
ওরা ভীষণ ভণ্ড,
ধরে ধরে ভরো জেলে
আর দাও মৃত্যুদণ্ড।
..................................................
কর কর জুতোপেটা কর।
মার মার ইচ্ছেমতো মার,
দে বল দে অবলাকে বল দে।
জ্বালা আগুন জ্বালা গায়ে
অলিগলির যত অসৎ নর।
বুকের ফাটায় চলে যুদ্ধ কর।
কিল-ঘুষি সমানে দে,
খোদার সৃষ্টি অদম্য তেজে
ঘা শুকবোর আগে দে।
পাপের বোঝা হালকা কর।
ধর ওদের ধর, ছিঁড়েখুঁড়ে
শিয়াল শকুনের খাদ্য কর।
জামাই আদর চুকে যাক।
আইনের বাঁধা চোখ খোল,
মহাযুদ্ধ বাঁধাবে গন্ডগোল।
নারী জাগছে একদম হুশিয়ার।
রেহাই পাবি না নরপিশাচ আশপাশ
টুকরো টুকরো হবে বজ্রে বঙ্গ আকাশ।
..................................................
যার যা খুশি মতো,
ডিজিটাল ভূতপিশাচ
এখন শত শত।
নিচ্ছে কেড়ে জীবন,
অহরহ ধর্ষণ খুনের
খেলা তাদের ভীষণ।
নয়তো তাদের বাস,
গডফাদারের ছত্র ছায়ায়
কাটায় বারো মাস।
..................................................
ঘাটে বাঁধা থাকে ডিঙ্গি নৌকো
চোখ আঁধার করে দৃশ্য দেখা শুধু
ক্রমেই এমিবার চক্রে সেঁধিয়ে যায়
সাধের মানব জনম।
ভরে থাকে হিংস্র শকুনের আনাগোনায়
আলের পাশের পড়ে থাকা
রক্তাক্ত এক নিষ্পাপ কিশোরী
জন্মভূমিকে আবার চেনায়।
মিছিল মিটিং আর স্লোগান চলে অবিরত
অন্ধত্বের অভিশাপ করবে খণ্ডন আজ
আছে যত ধর্ষকামী ক্ষত
সবই করবে সাফ।
নিশ্চিত আসবে এবার সোনারঙা ভোর
রক্তমাখা আগুন জ্বেলে রেখে মনে
মুষ্ঠিবদ্ধ হাত তোলো উর্দ্ধপানে
হোক সিক্ত অন্তর।
..................................................
ধর্ষণ বিয়ালে
ধর্ষণ করে যায়
পাড়া গাঁ'র শিয়ালে!
ধর্ষণ টিচারে
ধর্ষণ সবখানে
নাই কেউ বিচারে!
ফাদারে গির্জায়
এই দেখে নারীদের
লজ্জাতে শির য়ায়!
তার মা বোন নাই!
ধর্ষণ করে যারা
দেশে আর ঠাঁই নাই।
ধর্ষণে ফাঁসি চাই
ফাঁসি ছাড়া শালাদের
গতি নাই, গতি নাই।
..................................................
দুনিয়ায় কারোর জন্যই বসবাসের নেই আজ ধরণ।
রাস্তাঘাটে, বাসে, শিক্ষাঙ্গনে, ফ্লাটে কিংবা বাড়িতেই।
শিশু ধর্ষণ, বৃদ্ধা মহিলা ধর্ষণ, হতভম্ব সব যৌন বর্ষণ।
নাস্তিক কিংবা কট্টরপন্থীরা কি বলতে পারি।
পুরুষের পর্দা, চক্ষু নিবারণ ও নিয়ম বিধানে নেই যেন ।
ইভটিজিং, জুলুম, নির্যাতন ও ধর্ষণ হচ্ছেতো অহরহ।
শিশুর ধর্ষণে তবু চোখে কানে ঠুলি এটে বসে অাছি।
দায়িত্বজ্ঞানহীন আর স্বার্থপর জাতি ধরনীতে আর কে বা।
৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ তো ছিলোনা শুধু নিজের প্রয়োজনের
শুধু নারীর পোশাক আর নীরবতায় কী দায় সমাজের।
সরকারের চেয়ে আমাদেরও দায় দায়িত্ব কম নাকি।
নিজের মেয়ের কিছু হলে তখন কাউকে সাথে পাইনা।
সাম্যবাদের গান শুধু কবিরা গায়, মোরা গিটার ধরিনা।
পরিবারের দায়িত্বে চিকিৎসা দিয়ে নারীকে দাও নিষ্কৃতি।
রাজনৈতিক দল নেই, নেই পরিচয় সরকারি দল ক্ষমতার।
বিচারে পিটিয়ে মারবো মোরা একসাথে এই জঞ্জাল।।
..................................................
মানুষ তো নয় পশুই ওরা শুয়োর বলাও কম।
ওদের প্রতি আম জনতা প্রকাশ করে ঘীন।
নারীর প্রতি নেই মমতা ওরাই শকুন-চিল ।
মানুষ নামের কলঙ্ক সব এই সমাজের ভার।
ওরা কারো হয় না ছেলে হয় না কারো ভাই।
হতেই পারে জারজ ওরা প্রমাণ করে কাজ।
ওদের থেকে কম দোষী নয় তাদের প্রতিও ধিক।
মানবতার ঘোর বিরোধী ক্ষমার সুযোগ নাই ।
ওদের কোন নেই পরিচয় ওরা তো ধর্ষক ।
..................................................
রাস্তা-ঘাটে একা পেয়ে ধর্ষণ করিস তাই?
তাহলে তোদের ঠিকানা তো পতিতালয়ই।
কত শিশু অকালে পতিত হলো মৃত্যুর ধারণে।
কত মা-বাবার গেলো প্রাণ প্রতিবাদের কোভে।
কত স্বামী হলো আশাহত তোদের অপকর্মে।
আর কত মা-বোনের হবে আত্মহত্যার ছবি?
আর কত সময় ধরে থাকবি তোরা মনুষ্যত্বহীন?
আর কত ধর্ষণের পরে তোরা ইস্তফা দিবি?
আর কত সময় গড়ালে তোরা থাকবি মনুষ্যত্ব নিয়ে?
..................................................
লম্পট পার পায়, কী লজ্জা ভাবিতে !
বানিয়েছে শিল্পী সে, পশুদের দলে যে।
অশালীন জামা, সাজ, অশ্লীল এ্যাড
দেখে হয় মানুষেরা অমানুষ, ব্যাড।
পড়ে, ঘুরে, গায়, নাচে কমে গেছে লাজ।
নাটক ও সিনেমাতে যৌনতা মূল
ফোনে, নেটে পর্নোতে একেবারে ফুল।
পথে-ঘাটে- বাসে-ট্রেনে, অফিস ও ফাঁড়িতে।
বেঁচে যায়, নেচে গায়, ভীত নন উনি।
নির্মূল করো সেটা, দেশে থাকে না যে।
দাবি আজ একটাই- দিতে হবে ফাঁসি,
কমে যাবে ধর্ষণ, খুন রাশি রাশি।
..................................................
তোমাকে সুরক্ষিত করো জীবীকা ও সম্ভ্রমে।
জীবনে জীবন ঘষে দৃঢ়তায় আঁকো স্বপ্নের ছবি-
লৌহ-মানবী হও পূত-পদক্ষেপে- অধিকারে।
নিজেকে গড়ার এখনই সুবর্ণ সময়-
শরীর-লোলুপ হায়েনার বিষদাঁত ভেঙে দাও
যতসব মধ্যযুগীয় হিংস্রতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও !
তোমার ইতিহাসের ক্ষুরধার তেঁজ নিয়ে সতত
সময়ের মহাকাব্য রচনা তোমাকেই করতে হবে ।
পঁচা-গলা সমাজের টুঁটি চেপে ধরো নিরন্তর ঘৃণায় !
তোমার সূর্যের ঝলকানিতে ধ্বসে পড়ুক অসভ্যতা
পুড়ে যাক্, এই দুঃসময়ের যত গ্লানি !
এই নিকষ-কালো আঁধারে আঘাত করো-
পাশবিক লালসার হাত থেকে বেঁচে যাক্ সভ্যতা !
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments