ছড়ায় ছড়ায় বর্ণমালা-তারিকুল ইসলাম সুমন
স্বর বর্ণ
..................................................
..................................................
অ- অজগর
অজগরটি আমার দিকে
আসবে না আর তেড়ে,
সে যে এখন বনেই থাকে
আমার উঠোন ছেড়ে।
..................................................
আ- আম
আমের গায়ে রং ধরেছে
খোকা খুকি হাসে,
মধুমাসে থাকবো এবার
গরিব-দুখির পাশে।
..................................................
ই- ইলিশ
ইলিশ হলো সুস্বাদু মাছ
সবাই ভালোবাসি,
পদ্মা নদীর ইলিশ আনে
জেলের ঘরে হাসি।
..................................................
ঈ- ঈদ
ঈদের খুশি ভাঙলো বুঝি
আবু-হাবুর জিদ,
বন্ধু হয়েই থাকবে ওরা
হাসবে সুখে হৃদ।
..................................................
উ-উট
উট কে বলে মরুর জাহাজ
উট পাখিকে নয়,
উট পাখিটা দেখলে ছুঁয়ে
একটুও নেই ভয়।
..................................................
ঊ- ঊষা
ঊষার আকাশ খোকার প্রিয়
প্রিয় পাখি-ফুল,
এমন সময় আরও প্রিয়
ভাটি নদীর কূল।
..................................................
ঋ- ঋতু
ঋতুর রাণী শরৎ এলে
কাশের বনে হাসে,
শিউলী-বেলীর সুবাস পেয়ে
মনটা সুখে ভাসে।
..................................................
এ-একুশ
একুশ তারিখ ফেব্রুয়ারির
ফাগুন মাসের আট,
রক্ত দিয়ে ভাষা কেনার
বসলো সেদিন হাট।
..................................................
ঐ-ঐক্য
ঐক্য মানে মিলে থাকা
সবার সাথে সবে,
ঐক্য মেনে চললে সবাই
জয়ের দেখা হবে।
..................................................
ও-ওল
ওল কচুতে ধরবে গলা
অনেক লাগে ভয়,
তবুও তার গুনে ভরা
তাইতো খেতে হয়।
..................................................
ঔ-ঔষধ
ঔষধ খেলে সারবে অসুখ
আসবে ফিরে বল,
ঔষধ সাথে খুবই কাজের
দেশী নানান ফল।
..................................................
..................................................
ব্যাঞ্জন বর্ণ
ক- কলম
কলম দিয়ে লিখতে হলে
জানতে হবে খুব,
জানতে হলে পড়ার মাঝে
দিতেই হবে ডুব।
..................................................
খ- খুশি
খুশি মনে দুখির সেবায়
করলে কিছু দান,
রোজ হাসরে আল্লাহ দিবেন
উহার প্রতিদান।
..................................................
গ- গোলাপ
গোলাপ গাছে ফুটলো যখন
টুকটুকে লাল ফুল,
খুকুর তখন মনটা বেজায়
খুশিতে মশগুল।
..................................................
ঘ- ঘড়ি
ঘড়ির কাঁটা চলছে ঘুরে
যাচ্ছে সময় ঠিক,
সময়টাকে মূল্য দিলে
হাসবে জীবন ফিক্।
..................................................
ঙ- ব্যাঙ
ডাকছে ব্যাঙে ঘ্যাঙর-ঘ্যাঙ
ডাকছে ব্যাঙের ছা,
আষাঢ় মাসে বিষ্টি পেয়ে
ভেজায় খুকু পা।
..................................................
চ- চড়ুই
চড়ুইপাখি আরাম প্রিয়
থাকে ঘরের কোনে,
বাবুই পাখি স্বাধীন পাখি
নিজেই বাসা বোনে।
..................................................
ছ-ছাতা
ছাতা মাথায় ছুটছে দাদু
ডাকছে মুয়াজ্জিন,
আজান যে ভাই নামাজ পানে
ডাকছে প্রতিদিন।
..................................................
জ-জাম
জামের আছে অনেকটা গুন
খেতেও অনেক ভালো,
যদিওবা রংটা জামের
অনেকখানি কালো।
..................................................
ঝ-ঝড়
ঝড় এলে গাছপালা
ভাঙ্গে সারাক্ষণ,
পাখিদের ঘর ভাঙে
কেঁদে ফেরে মন।
..................................................
ঞ-মিঞ
মিঞা বাড়ির মিঞ পুশিটা
স্বভাবটা খুব ভালো,
গেছো ইঁদুর সামনে পেলে
বলেই ফেলে হ্যালো।
..................................................
ট- ট্রেন
ট্রেন ছুটছে ঝড়ের বেগে
ফেলে নদী গাঁও,
মইয়ের উপর ছুটছো কোথা
আমায় নিয়ে যাও।
..................................................
ঠ- ঠেলাগাড়ি
ঠেলাগাড়ি ঠেলে-ঠেলে
যাদের কাটে দিন,
তাদের দুখে কাঁদি আমি
সুখে হই রঙ্গিন।
..................................................
ড-ডাহুক
ডাহুক ডাকে ডুমুর গাছে
দেখছে বসে খোকা,
ডালিম ডালে নেচে-নেচে
টুনি খোঁজে পোকা।
..................................................
ঢ-ঢেকি
ঢেকি ছাটা চালের ভাতে
আছে অনেক গুন,
তাইতো দাদা পানতা ভাতে
চাইতো মরিচ-নূন।
..................................................
ণ- হরিণ
বনের হরিণ দলে চলে
মনে সদা ভয়,
বাঘের থাবা কখন আসে
কখন দেখা হয়!
..................................................
ত- তরমুজ
তরমুজ ফল পাকলে পরে
ভেতরটা হয় লাল,
তরমুজ ফল প্রায়ই পাকে
গ্রীষ্ম ঋতুর কাল।
..................................................
থ- থালা
থালায় ভরা অনেক খাবার
তবুও নেই সুখ,
খুকুর পুশি ভাত খায়নি
তাইতো মনে দুখ।
..................................................
দ- দোয়েল
দোয়েল পাখি ছোট্ট পাখি
ডাকে মধুর সুরে,
ধানের ক্ষেতে ফড়িং খোঁজে
লেজটা মেলে-ঘুরে।
..................................................
ধ-ধান
ধানের ক্ষেতে হুতুম পেঁচা
ইঁদুর ধরে খুব,
দিনের বেলা যায় না দেখা
এক্কেবারেই চুপ।
..................................................
ন-নদী
নদীর ওপার নানী বাড়ি
বাগ-বাগিচার ভীড়,
নানান গাছের শাখায় শাখায়
নানান পাখির নীড়।
..................................................
প- পায়রা
পায়রা আমার ভীষন প্রিয়
ওদের কাছে ডাকি,
আকাশ পানে মেললে ডানা
ওদের ছবি আঁকি।
..................................................
ফ- ফিংঙে
ফিংঙে বসে গাছের ডালে
করছে ফড়িং তাক,
দুরের ডালে ডাকছে বসে
পুচ্ছ কালো কাক।
..................................................
ব-বাবা
বাবার মত বলবে কে আর
পড়তে পড়ার বই,
বাবা আমার খুঁজে ফেরে
আড়াল যদি হই।
..................................................
ভ-ভাষা
মাতৃভাষা বাংলা আমার
খোদার মহান দান,
অনেক ত্যাগে এমন ভাষার
রাখতে হবে মান।
..................................................
ম-মৌমাছি
মৌমাছিদল ফুলে ঘুরে
মধু বয়ে আনে,
মধুর আছে অনেকটা গুন
জ্ঞানী সবাই জানে।
..................................................
য-যুদ্ধ
যুদ্ধ করে আমরা পেলাম
একটা স্বাধীন দেশ,
দেশটা আমার সোনায় ভরা
নামে বাংলাদেশ।
..................................................
র-রবি
রবি যখন উঠল ভোরে
রক্তজবা হাসে,
ঝুমকো জবা-রক্তজবা
খুকি ভালোবাসে।
..................................................
ল- লাঙ্গল
লাঙ্গল কাঁধে কৃষক ছোটে
বুনতে মাঠে ধান,
ক্ষেতের ফসল আনবে হাসি
নাচবে সুখে প্রাণ।
..................................................
শ-শিউল
শিউল ফোটে শরৎ এলে
সুবাস ছাড়ে রাতে,
ঝরা ফুলের মালায় শোভা
খোকা-খুকির হাতে।
..................................................
ষ-ষড়ঋতু
ষড়ঋতুর বাংলাদেশ
ছড়ায় শুধু সুখ,
ফুল-ফলে ভরে থাকে
বাংলা মায়ের মুখ।
..................................................
স-সিংহ
সিংহ হলো বনের রাজা
রাগলে কাঁপে বন,
লোহার খাচায় বন্দি হলে
তখন মরা মন।
..................................................
হ-হিংসা
হিংসা করা নয়তো ভালো
অনেক ক্ষতি হয়,
ভালোবাসা দিয়ে এসো
হিংসা করি জয়।
..................................................
ড়-ঝড়
চৈত্র শেষে মেঘ কড়কড়
কাল বৈশাখীর ঝড়,
সবুজ গুটি আছড়ে পড়ে
উড়ায় মাঠের খড়।
..................................................
ঢ়- আষাঢ়
আষাঢ় এলো শুরু হলো
মেঘ বৃষ্টির খেলা,
মেঘের মেলায় সূর্য ঢাকে
যায় না দেখা বেলা।
..................................................
য়- ময়না
ময়না মেয়ে আয়না দেখে
পরবে নাকি গয়না,
গয়না পেলে মনটা ভালো
নইলে কথা হয় না।
..................................................
ৎ- শরৎ
শরৎ এলে কাশফুলেরা
ফোটে নদীর বাঁকে,
শিউলী- বেলী কাঠালচাপার
গন্ধ আসে নাকে।
..................................................
ং- চিংড়ি
চিংড়ি মাছের অনেক কদর
চাই যে প্রতিদিন,
চিংড়ি আছে কয়ক জাতের
সবার স্বাদে ভিন।
..................................................
ঃ- দুঃখ
দুঃখ আছে বলেই এত
মহান লাগে সুখ,
জীবন জুড়ে থাকবে লেগে
দুঃখ- সুখের মুখ।
..................................................
ঁ- চাঁদ
চাঁদের হাসি ছড়ায় খুশি
ঈদ এসেছে ঈদ,
চাঁদের হাসি বলল বুঝি
ফেলতে ছুড়ে জিদ।
..................................................
..................................................
আসবে না আর তেড়ে,
আমার উঠোন ছেড়ে।
..................................................
খোকা খুকি হাসে,
গরিব-দুখির পাশে।
..................................................
সবাই ভালোবাসি,
জেলের ঘরে হাসি।
..................................................
আবু-হাবুর জিদ,
হাসবে সুখে হৃদ।
..................................................
উট পাখিকে নয়,
একটুও নেই ভয়।
..................................................
প্রিয় পাখি-ফুল,
ভাটি নদীর কূল।
..................................................
কাশের বনে হাসে,
..................................................
ফাগুন মাসের আট,
বসলো সেদিন হাট।
..................................................
সবার সাথে সবে,
জয়ের দেখা হবে।
..................................................
অনেক লাগে ভয়,
তাইতো খেতে হয়।
..................................................
আসবে ফিরে বল,
দেশী নানান ফল।
..................................................
..................................................
জানতে হবে খুব,
দিতেই হবে ডুব।
..................................................
করলে কিছু দান,
উহার প্রতিদান।
..................................................
টুকটুকে লাল ফুল,
খুশিতে মশগুল।
..................................................
যাচ্ছে সময় ঠিক,
হাসবে জীবন ফিক্।
..................................................
ঙ- ব্যাঙ
ডাকছে ব্যাঙের ছা,
ভেজায় খুকু পা।
..................................................
থাকে ঘরের কোনে,
নিজেই বাসা বোনে।
..................................................
ডাকছে মুয়াজ্জিন,
ডাকছে প্রতিদিন।
..................................................
খেতেও অনেক ভালো,
অনেকখানি কালো।
..................................................
ভাঙ্গে সারাক্ষণ,
কেঁদে ফেরে মন।
..................................................
স্বভাবটা খুব ভালো,
বলেই ফেলে হ্যালো।
..................................................
ফেলে নদী গাঁও,
আমায় নিয়ে যাও।
..................................................
যাদের কাটে দিন,
সুখে হই রঙ্গিন।
..................................................
দেখছে বসে খোকা,
টুনি খোঁজে পোকা।
..................................................
আছে অনেক গুন,
চাইতো মরিচ-নূন।
..................................................
মনে সদা ভয়,
কখন দেখা হয়!
ভেতরটা হয় লাল,
গ্রীষ্ম ঋতুর কাল।
..................................................
তবুও নেই সুখ,
তাইতো মনে দুখ।
..................................................
ডাকে মধুর সুরে,
লেজটা মেলে-ঘুরে।
..................................................
ইঁদুর ধরে খুব,
এক্কেবারেই চুপ।
..................................................
বাগ-বাগিচার ভীড়,
নানান পাখির নীড়।
..................................................
ওদের কাছে ডাকি,
ওদের ছবি আঁকি।
..................................................
করছে ফড়িং তাক,
পুচ্ছ কালো কাক।
..................................................
পড়তে পড়ার বই,
আড়াল যদি হই।
..................................................
খোদার মহান দান,
রাখতে হবে মান।
..................................................
মধু বয়ে আনে,
জ্ঞানী সবাই জানে।
..................................................
একটা স্বাধীন দেশ,
নামে বাংলাদেশ।
..................................................
রক্তজবা হাসে,
খুকি ভালোবাসে।
..................................................
বুনতে মাঠে ধান,
নাচবে সুখে প্রাণ।
..................................................
সুবাস ছাড়ে রাতে,
খোকা-খুকির হাতে।
..................................................
ছড়ায় শুধু সুখ,
বাংলা মায়ের মুখ।
..................................................
রাগলে কাঁপে বন,
তখন মরা মন।
..................................................
অনেক ক্ষতি হয়,
হিংসা করি জয়।
..................................................
কাল বৈশাখীর ঝড়,
উড়ায় মাঠের খড়।
..................................................
মেঘ বৃষ্টির খেলা,
যায় না দেখা বেলা।
..................................................
পরবে নাকি গয়না,
নইলে কথা হয় না।
..................................................
ফোটে নদীর বাঁকে,
গন্ধ আসে নাকে।
..................................................
চাই যে প্রতিদিন,
সবার স্বাদে ভিন।
..................................................
মহান লাগে সুখ,
দুঃখ- সুখের মুখ।
..................................................
ঈদ এসেছে ঈদ,
ফেলতে ছুড়ে জিদ।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments