মানবিক কবি আরিফ মঈনুদ্দীনের অন্যতম প্রধান একটি কবিতার বইয়ের নাম দি প্রফেট স. আট ফর্মার এই কবিতার বইটি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় একটি প্রকাশনা সংস্থা অন্য প্রকাশ, ফোর কালারে বইটির দৃষ্টি নন্দন প্রচ্ছদ করেছেন প্রচ্ছদ শিল্পী মাসুম রহমান। বইটির সূচিপত্রে কবিতার সংখ্যা মোট একশত তিনটি, বইটির ভূমিকায় কবি আরিফ মঈনুদ্দীন লিখেন-
আমার এই কাব্যগ্রন্থটির নাম দি প্রফেট স.। এই নামকরণ একটি ব্যাখ্যার দাবি রাখে। বিখ্যাত লেবানিজ কবি কহলিল জিব্রান বিশ্বসাহিত্যে তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা পেয়েছেন যে কাব্যগ্রন্থটি রচনা করে সেই কাব্যগ্রন্থটির নামও দি প্রফেট। কবি-দার্শনিক জিব্রানের এই শ্রেষ্ঠ রচনা ১৯২৩ সালে প্রকাশের পর ইংরেজিতে লেখা এই বইটি প্রায় অর্ধশতাব্দীকাল ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে বেস্ট সেলার ছিল।
যা একশটিরও অধিক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। নবীজি স.কে নিয়ে লেখা হলেও বইটিতে তিনি দরুদ- এর উল্লেখ করেন নি বলে অনেকেই এই কাব্যগ্রন্থটিকে সব পয়গম্বরকে নিয়ে লেখা বলে থাকেন। কিন্তু গ্রন্থের প্রথম কবিতা 'দি প্রফেট'র প্রথম পঙক্তিটিই হলো 'আল মুস্তাফা'- এ থেকেই বোঝা যায়, 'দি প্রফেট' নবীজি মুহাম্মদ স.কে নিয়েই লেখা। জিব্রান তার কাব্যগ্রন্থটির নাম রেখেছেন 'দি প্রফেট'। এখানে নামের পাশে দরুদের উল্লেখ করা হয় নি। আমি নাম দিয়েছি দি প্রফেট স.। বলা বাহুল্য, এখানে নামের পাশে দরুদের উল্লেখ আছে। কবি হচ্ছেন সমাজের সব থেকে সংবেদনশীল মানুষ। সাহিত্যের সর্বোৎকৃষ্ট স্থানে কবিতার অবস্থান। যিনি কবিতা লেখেন, যিনি কবিতা পড়েন, যিনি কবিতা শোনেন অর্থাৎ কবি এবং কবিতার পাঠক, শ্রোতা সবাই প্রথম শ্রেণির সংস্কৃতিবান।
রাসূল স. কবিতার একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। কবিতা এমন একটি অস্ত্র যা তরবারির চেয়েও ধারালো। তাঁর সময়ের কবিদেরকে তিনি এরকম ধারালো কবিতা লিখতে প্রণোদনা দিতেন। তিনি শুধু কবি ও কবিতার পৃষ্ঠপোষকই ছিলেন না, নবুয়তের মতো গুরুদায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়েও কবি ও কবিতাকে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন সময়ে কবিতার ওপর আলোকপাত করেছেন, মন্তব্য রেখেছেন এবং বিভিন্ন জনের কবিতা শুনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এরকম একটি উল্লেখযোগ্য মন্তব্য হলো, 'যে দুটো মনোরম আভরণে বিশ্বাসীকে আল্লাহ সাজিয়ে থাকেন- কবিতা তার একটি।'
শোকে-দুঃখে, আনন্দ-বেদনায় রাসূল স. কে স্ফূর্তিতে রাখার জন্য সাহাবি কবিরা কবিতা আবৃত্তি করে শোনাতেন। সাহাবি কবিদের মধ্যে কবি হাসসান বিন সাবিতের প্রতি রাসূল স.-এর প্রবল ভালোবাসা ছিল। তাঁর কবিতা ছিল উন্মুক্ত এবং উত্তোলিত তরবারির মতো। মহানবী স. অনেককেই জীবিতাবস্থায় জান্নাতের সুসংবাদ দিয়ে ছিলেন। কবিতা লেখার পুরস্কার হিসেবে জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন হাসসান বিন সাবিত রা.। হাসসান বিন সাবিতের কবিতা শুনে রাসূল স. ঘোষণা দিয়েছিলেন, 'হে হাসসান, আল্লাহর কাছ থেকে তোমার জন্য পুরস্কার রয়েছে জান্নাত।'
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments