সৈয়দ শরীফ’র অনুকাব্য

 
)
আজকে আকাশ খুব কেঁদেছেজানো?
হয়তো শহর তুমিহীনা, তাই;
মেঘের ভাঁজে আবছা অভিমানও
ভাসছেকোথায় তোমায় খুঁজে পাই!
 
)
ওদিকে প্রকৃতির মেলা; পাখির ডানায় ঘুমিয়ে আছে নীলাভ আকাশ
শঙ্খচিল ফড়িঙের দখলে পুরো একটি স্বর্ণ রঙের বিকেল !
কাব্য-বৃক্ষের সাদা পাতাগুলো আকাশ ছুঁতে চায়..
আকাশ নাকি অনেক দূরের পথ, অনেকে বলে
 
)
জীবন সে তো চলছে চলার মত
বিশটা এমনিই হলো গত
কেউ আসেনি ভালবেসে
করতে তা উন্নত।
 
)
আমি আসব,
স্রষ্টার কাছে পুনর্জন্মের আবেদন কোরে
আমি পৃথিবীর বুকে মৃত্যুকে কবর দিতে আসবো।
 
)
বিশ্বাস করুন ঈশ্বর,
এই পৃথিবী আমাকে কিছুই দেয়নি;
কিছু দেবে দেবে কোরে,
আপনার যথেষ্ট দেয়াটুকুকেও নিতে বসেছে।
 
)
এই পৃথিবী বদলে গেলেও কভু
এই আমিটা বদলাবে না; দেখো,
হঠাৎ দূরে যেতেই পারিতবু
অনড়ভাবে প্রতীক্ষাতে থেকো।
 
)
যে অদৃশ্য ঈশ্বরকে চিনেছো তুমি
দৃশ্যমান মানুষ দ্বারা,
কীভাবে নির্দ্বিধায় মেনে নাও
সেই ঈশ্বরান্বেষী ধর্মের জন্য মানুষ খুন করা !
যে ঈশ্বরের দেয়া মস্তিষ্কে তুমি
অর্জন করেছো জ্ঞান,
কীভাবে সেই জ্ঞান দ্বারা শেষে
ঈশ্বরকেই করো অপমান !
 
)
শুরু করার আগেই তুমি
মারবে কেন চেষ্টাকে?
আত্মবিশ্বাস রাখবে ধরে
দেখতে হবে শেষটাকে।
 
)
অজ্ঞানতার সব বাঁধাকে পেরিয়ে,
জাগবো আলোয়, আঁধার হতে বেড়িয়ে।
তুচ্ছ করে দেখবো আমি ভয়গুলো,
বুদ্ধি দিয়ে করবো পূরণ নিজের হওয়া ক্ষয়গুলো।
 
১০)
একাত্তরে পাকসেনারা ঢুকলো যখন দেশে,
খাচ্ছিলো সব করছিলো খুন অট্ট হেসে হেসে।
রক্তস্রোতে ভাসছিলো এই বাংলাদেশের বুক,
বঙ্গবাসী বলতো কেঁদে শান্তিটা আসুক।

No comments

নির্বাচিত লেখা

আফসার নিজাম’র কবিতা

ছায়া ও অশ্বথ বিষয়ক খ-কবিতা এক/ক. সূর্য ডুবে গেলে কবরের ঘুমে যায় অশ্বথ ছায়া একচিলতে রোদের আশায় পরবাসী স্বামীর মতো অপেক্ষার প্রহর কাটায় প্রাচী...

Powered by Blogger.