সুশান্ত সৎপতি’র কবিতা

স্বভাব   
 
পাপড়ির আড়ালে
রেখেছিলে মধু
আমি স্বভাবের দোষে
আকণ্ঠ করেছি কী যে পান!
অঙ্গ আর মন সেই থেকে অবশ হয়েছে।
..................................................
 
বন্ধু    
 
নিজেকে জাগিয়ে রাখতে
কিছুটা আগুন প্রয়োজন।
জলের শব্দে ভেঙে যায় ্যান।
জীবনের কিছুটা সময় পুড়িয়ে ফেলেছি, কিছু গেছে জলে।
অপরাহ্নে একটু না হয় গাছের কাছে, নদীর কাছে কাটালাম।
কাঠবিড়ালি গঙ্গাফড়িংকে বন্ধু করে আরও একবার না হয় বালক হলাম।
..................................................
 
ময়ূর   
 
মেঘের ছায়ায় বুঝি খুঁজে পায়
ময়ূরীর মুখ, হয়তোবা বুকে তাই বেজে ওঠে ঢাক যখন বর্ষা আসে আমাদের দেশে।কিন্তু যেহেতু সে মাটির ময়ূর
পেখম সর্বদা তার মেলা থাকে।
..................................................
 
নাবিক  
 
স্বপ্ন আর স্মৃতি ভেসে থাকে
মনের দরিয়ায়, যেন ভাসমান হিমশৈল।তার ধাক্কায় ডুবে যায় আমার র্তমান।
বাবাকে সব বলবো বলে ভাবি।
কিন্তু কাছে এসে মনে হলো সর্বস্ব খোয়ানো এক নাবিককে দেখছি!
..................................................
 
প্রয়াস  
 
জলের গ্লাসে আঙুল ডুবিয়ে দেখি
বেঁকে গেছে।যেমন সংসার করে বদলে গেলেন সাধাসিধে হরেন মাস্টার।বুঝতে পারছি রিবর্তন জগতের নিয়ম।হয়তো তাই তোমাকে দেওয়া বিবাহ প্রস্তাবকে আজ ্যর্থ মহাকাশ অভিযান বলে মনে হয়।আমার কবিতা প্রয়াস, সেজকার গাছ নিয়ে পাগলামি, ছোট বোনের গায়িকা ওয়ার স্বপ্ন-সব সময়সায়রের বুকে এক একটি বুদ্বুদ।
..................................................
 
বাগান  
 
যত চাও হাসি, খুশি, হুল্লোড়, গান
হেই মারো, মারো টান বলে শয়তান
বিপদ আসলে আসে সম্পদের সাথে
ফুলে কাঁটা আর কীট সমস্ত বাগানে।
..................................................
 
প্রকৃত   
 
থেমে গেছে গান আমাদের
ভুলে গেছি কে আমি প্রকৃত!
কীট নাকি ফুলের দংশনে
মরে গেছে মন জানিনাতো।
তবু কত হিসাব নিকাশ,
তবু সং সাজি রং মেখে
মিথ্যা আর মায়া দিয়ে নিজে
নিজেকে গড়েছি কত কি যে!
..................................................
 
স্থিতি   
 
রাজার মতো থাকি।
শিকার করে উঠে যাই,
উচু ডালের বাসায়।হাড়হাভাতেরা
জুলজুল চোখে তাকায়।
বিহগীকে ডেকে দেখাই, নিজেই নিজের তারিফ করি।
যদিও ্যাধের ভয়ে মাথা ঘোরে,
পাতার আড়াল খুঁজি
পোকারা জানেনা।
..................................................
 
ঈশ্বর
 
সমুদ্র দেখলেই
নেমে পড়তে ইচ্ছা হয়।যেমন জল দেখে অস্থির হয় হাঁস।
পানকৌড়ি, ডাহুক, বক জলের কাছেই থাকে।
 
শুনেছি বয়স বাড়লে
লোক সুস্থির হয়,
তাহলে এমন করি কেন!
মন বলে-জল ঈশ্বর।
..................................................
 
কুঁড়ি
 
আমার মেজমাসি চিরকালের এক বালিকা।তার ভাষাহীনমুখে আমি স্রোতের কল্লোল টের পাই।তার মনের তল খুঁজতে গিয়ে মনে হলো
সে একটি ফুলের কুঁড়ি, আজীবন।

No comments

নির্বাচিত লেখা

আফসার নিজাম’র কবিতা

ছায়া ও অশ্বথ বিষয়ক খ-কবিতা এক/ক. সূর্য ডুবে গেলে কবরের ঘুমে যায় অশ্বথ ছায়া একচিলতে রোদের আশায় পরবাসী স্বামীর মতো অপেক্ষার প্রহর কাটায় প্রাচী...

Powered by Blogger.