রাসু বড়ুয়া’র ছড়া
ও পৃথিবী
সেই ঘরেতে সুখের মায়ায় টানছি দুখের ঘানি।
দুঃখ-ব্যথা দিচ্ছি তোমায় মহাসুখের জন্য
চতুর্পাশে গেঁথে রাখি বিষাক্ত সব পণ্য।
সবকিছু আজ দখল করায় দূষণ হচ্ছে জানি।
প্রাণ বাঁচাতে যেই গাছপালা যোগান দেয় অক্সিজেন
কেটেকুটে করছি উজাড় কেমন সিটিজেন।
বুক ফাটে তোর মুখ ফাটে না বুঝতে সবই পারি।
তবুও তুই বিলিয়ে দিস তোর যা আছে সব-ই
রাতে চাঁদের আলোও দিস দিনে চমক রবি।
তোর ইচ্ছাতেই এ সবকিছু বাঁচিয়ে রাখিস প্রাণ।
সুযোগ পেলেই ভুলি তোমার অশেষ দানের কথা
সৃষ্টির সেরা মানবজাতির বিলীন মানবতা।
মানুষ ছাড়া সকল প্রাণী আনন্দোল্লাস করে।
গাছপালারা হাসছে দেখো সজীব বাতাস পেয়ে
আমরা হলাম ধরাশায়ী খবর গেছে ছেয়ে।
ও পৃথিবী, বল না দেখি- হাতটি রেখে বুকে?
আতঙ্কে দিন কাটছে সবার,
আছে কিন্তু ভেবে দেখার।
গৃহকোণে বন্দি হলো,
বুক ফুলিয়ে হাঁটছি বলো?
বিশ্ব গিয়ে ঠেকছে কোথায়,
হেলাফেলায় না ভেবে হায়!
অব্যবস্থায় কেউ মরো না,
প্রাণঘাতী এই করোনা।
……………………………………………
কেউ যাব না বাইরে,
এমনটি আর নাইরে।
থাকব কোরেন্টিনে,
দুঃসময়ের দিনে।
যতই বলি কষ্ট,
জীবানু হয় নষ্ট।
হবে না হ্যান্ডসেক,
করব ওভারটেক।
হোক সে আপনজন,
থাকব সচেতন।
আসুন মেনে চলি,
অভাব সকল বলি।
পারলে ঠেকাই এসব,
বিলীন হবে সে সব।
আসবে আবার যাবে,
সবাই রক্ষা পাবে।
থাকব না কেউ ভয়ে,
করোনাকে জয়ে।
……………………………………………
মন বসে না পড়ায়,
খবরটা দূর গড়ায়।
এইভাবে কি চলে?
বাঁচতে হবে বলে।
সময় কাটায় ঘরে,
অন্যেরা কী করে।
শুনলে কাঁদে মন,
গোনে আশায় ক্ষণ।
যাচ্ছে সময় বয়ে,
করোনাকে জয়ে।
সুরক্ষিত তবে,
মুখরিত হবে।
……………………………………………
যৎসামান্য মাইনে,
বেশি কিছু চাইনে।
কষ্ট দিয়ে ঢাকা,
শহরে আজ থাকা।
সাহস যোগায় মনে,
ক'টা টিউশনে।
ছিলাম হাসিখুশি,
সব-ই নিতাম পুষি।
বলতো সবাই সুখী,
ছিলাম নাতো দুখি।
চলি হিসেব কষে,
শুধুই ভাবি বসে।
কড়া নাড়ে দোরে,
তাড়াবে কোন্ জোরে।
করলো ধারা জারি,
টিকতে কি আর পারি?
রাতের পরে রাত,
হলাম কুপোকাত!
আলসেমিতে বন্দি ঘরে বিদ্যালয়ও বন্ধ,
এমন দিনে নতুন বছর পাইনি নতুন ড্রেস,
জন্মদিনটা পালন হতো- কী আনন্দ বাসায়!
পড়াশোনাও নিয়ে গেলো, নিচ্ছে যে প্রাণ কেড়ে,
……………………………………………
এই শহরে আসা,
থাকতো কাঁদা হাসা।
সুখের রেখা অল্প,
নতুন জীবন গল্প।
গিন্নীর কাঁধে নিলো,
আমার উপর ছিলো।
কাস্টমারও বাড়ে,
ভিড়ছে আমার পাড়ে!
বাড়াই লোকবল,
মুছাই চোখের জল।
যেই না দিলো হানা,
ভেঙে আকাশ খানা!
বন্ধ রুটিরুজি,
ছিলাম জনম দুখি,
বসে মুখোমুখি।
……………………………………………
নেইতো বোঝার উপায়,
যেভাবে হাত চুবায়।
আবার ফটোসেশন,
পাক্কা অটোমেশন।
আঁটে ফন্দিফিকির,
বাঁচতে করে জিকির।
যে যেভাবে পারে,
কত চুপিসারে।
খাটতি দেখে পণ্যের।
সুযোগ বুঝে দাম বাড়িয়ে
পকেট হাতায় অন্যের।
যায় কি তারে চেনা?
প্রশাসন আর সেনা।
ঘুরছে এপাশ ওপাশ,
ডাকছে কী সর্বনাশ।
হয় কি যথাবিহিত?
সামনে বিপদ নিহিত।
নেই তো আশার বাণী,
শুকায় বুকের পানি।
বন্ধী জীবন খাতা,
যাচ্ছে ঘুরে মাথা।
……………………………………………
কাঁপছে গোটা দুনিয়াদারী,
বাঘ-মোষে জল খায় একঘাটে।
বাইরে গিয়ে ভুল করো না,
ঘুরছে মানুষ যথাতথা।
করোনার-ই লক্ষণ বলে,
এ যন্ত্রণা ভীষণ জ্বালায়।
সময় থাকতে ব্যবস্থা নিন,
দূরত্ব হোক মেলামেশায়।
বন্দীদশা শহর পাড়ায়,
লিখে পড়ে কেউ করে পার।
দুশ্চিন্তা সব মাথায় ঘুরায়,
কাঠখড় পোড়ে এসব মিলায়।
মানসম্মান সব ধুলায় লুটে,
মধ্যবিত্ত ডুবে লজ্জায়।
মোটা মাথায় বুদ্ধি গড়ায়,
মজুত করে সঙ্কট বাড়ায়।
ব্যস্ত থাকে বাধতে মোছায়,
খাটের নীচে তেলও তালে!
সব অর্জন কি রসাতলে!
সবাই মিলে করবো তাড়া।
যুদ্ধ লড়াই নিত্য সাথী,
হে করোনা, শোন- গুডবাই।
……………………………………………
দিনে দিনে বাড়ছে শুধুই মৃত্যুহারের অংক।
জানিনা এর শেষটা কোথায়, কোথায় গিয়ে টেকে
কোন কারণে দিল স্রষ্টা এমন ভাগ্য এঁকে।
নিজের সাথে নিজেই করে বাঁচা-মরার সন্ধি।
ধনী-গরীব যাচ্ছেনা বাদ, ছোট কিংবা বড়
করোনার এই আক্রমণে হচ্ছে জড়সড়।
রোগের ভয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে কখনও কি থামতাম!
নৈতিকতা-ই দিতে পারে শক্তি সাহস, জিততে।
আপন আলোয় পথ দেখাবে বিশ্ব মানবতার।
সব ভেদাভেদ ভুলে আসুন মানুষ হতে শিখি
নতুন আলোয় নতুন দিনের এক ইতিহাস লিখি।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Facebook: facebook.com/samoiki
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments