শাহনাজ আক্তার’র কবিতা
মানুষ রুপি অমানুষ
মানুষের মতোই দেখতে মানুষের স্বজাত।
বন্ধু বনে এসে বিষ তীর বিধায় স্বপ্নে,
আবৃত মুখোশ খানিও খুলে যায় যত্নে।
অন্তর আত্মা দেখে শত নাটক ভুরি ভুরি।
বিচিত্র মানুষ অমানুষেরে খুজে নাহি পায়,
মানুষের মাঝেই লুকিয়ে তারা চেনা বড় দায়।
অধিষ্ঠ হয়না কভু খোলে ধ্রুব তালা।
মানুষ রুপি তারা অমানুষই সদা রয়
নিদারুন সত্য তবে উন্মোচন হয়।
..................................................
প্রিয়জনহীন জীবন, সবকিছু বন্ধ।
ভালোবাসায় দূরত্ব, নেই স্নিগ্ধতা নেই মায়া,
অভিশপ্ত জেনেও রক্ষাকারীর ছায়া।
যেনো মিছিল বিহীন মৃত্যুপুরীর রথ।
আঁধার কেটে আসবে আলো বৈরি হাওয়া জয়ে।
কুলুপ আঁটা মুখ আর দস্তানায় ঢাকা হাত,
ভিন্ন প্রদেশ লাগে আর যায়না চেনা গোত্র জাত।
জনহীন বায়ুতে জন্মে শত সবুজ মলয়।
প্রিয় বিয়োগে যায়না ছোয়া দেয়না জল।
আত্মার অস্তিত্ব নেই, নেই লোলুপ ব্যস্ততা,
তোরজোর প্রার্থনায় শুধুই চাওয়া সুস্থতা।
..................................................
কতশত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি।
তুমি আসবে বলে,
পড়শীর রটনায় কত রটেছি,
কত মন্ত্রনা কর্ণকুহরে নিয়েছি।
কাজল দিয়ে সাজিয়েছি দুনয়ন
বিনুনিতে জবা,হাতে পড়েছি কঙ্কন।
বসন্ত রঙা জামদানীর দেহ সাজে,
প্রতীক্ষার প্রহর গুনে মরি লাজে।
সাজিয়েছি দ্বার কৃষ্ণচূড়া ফুলে,
চন্দ্র তারার আকাশ থেকে
এনেছি আলো অন্দরমহলে।
বকুল মালা গাঁথি রাত ভোরে
মন আমার থাকতে চায়
প্রিয় তোমারই বাহুডোরে।
যুথি বনে ভাব হবে,
হবে প্রেম আলাপন।
কত প্রতীক্ষার প্রহর গুনি,
ছবি আঁকি তারই সারাক্ষণ।
..................................................
অলস জাতিরে স্রষ্টা নয়কো পালে।
রিযিকের ভার আছে তার হাতে ভাই,
কর্মঠ বিনে সুখী কেহ হয় নাই।
সারি বেধে চলে আর একতাই বল।
কর্মনিষ্ঠ কি?দেখো খানিক গিয়ে,
খাটুনিতে দানা ফলে সুখ জলে দিয়ে।
একতাই বল সদা মানে তারা ডেকে।
সঞ্চয় করে দুর্দিনেরও তরে
হাত নাহি পাতা লাগে দুর্ভোগে পরে।
দুর্নীতি ঘুষ সাথে মিথ্যেও বলা।
ক্ষুদ্র পিপড়া থেকে তাই শিখো ভাই,
আলস্য ফলে কভু দারিদ্র্য মোছে নাই।
..................................................
বঙ্গ নাহি বিলেত তরে রচিয়া ছিলে ফুল।
বঙ্গতে জন্মে মজিলে বাবুদের তরে,
জাহ্নবী যে কত দয়ার বুঝিলে শত পরে।
কত প্রহর গুনিয়া কাঁদে কপোতাক্ষ তীর।
বঞ্চনার পর ছাড়িয়া বিলেতের টান,
মহাকাব্য আর সনেট তুমি করিলে দান।
মেঘনাদ বধ রচিলে তুমি শুধিতে ঋণ ভর।
ভান্ডারে মোদের যে বিবিধ রতন আছে,
শর্মিষ্ঠা পদ্মাবতী তুমি হে দিলে পাছে।
সৃষ্টি তোমা বঙ্গে করে পাঠক মনে বাস।
..................................................
কত অনুনয় বিনয়,
জরাজীর্ণ দেহখানি তবুও না কেহ
বক্ষে তুলিয়া লয়।
করিয়াছি পাপেরে সন্ধি,
ভাবিনাই তপ্ত রক্তের দেহ খানি
হইবে ক্ষুদ্র বিছানায় বন্দি।
পুত্র যুগল সদা রাজপুত্র,
অভাব বুঝিতে দেইনাই কভু
এখন তাহারা রাখেনা যোগসূত্র।
মারিয়া ছিলাম গরিবের হক,
স্বজনরা ভয়ে তোষামোদ করিত
এখন কাটে অবহেলার ছক।
কই আমার নীড়,
তদবির করিবেনা মরণে কেহ
শেষ যাত্রায় হইবেনা ভীড়।
তাহাদের দেখা আজ নাই,
নিজের পাপের জবাব নিজেরে দিতে হইবে
বেলা থাকিতে শুধরাও ভাই।
..................................................
ক্ষিপ্র আষাঢ়ের আগমনী বার্তা দুলে।
জল ধারায় তব গন্ধ পাই,
বর্ষার অতলে আমি আজ লুটায়ে যাই।
নিথর প্রাণীকুল নাচের সাথে করে রব।
সবার লাগি সুখের নাহি হয়,
আসমানীরা করে উদর চিত্তের ভয়।
বর্ষন হলেই যেনো জোয়াল নিয়ে ভাগে।
আষাঢ়ে চলে নয়া কুঁড়ির মেলা,
আম্রের ঘ্রাণে আবাল বৃদ্ধের খেলা।
বিধ্বস্ত কত প্রাণী আজ সাজে সঙ।
লক্ষী আর অনিষ্টের ধামে,
নিয়মেই আষাঢ় আসে আষাঢ় নাহি থামে।
..................................................
আর কত মাখবি রঙ?
লোক দেখনো মানবতায়
আর কত সাজবি সঙ?
অনাহারে মরে,
বাইরে তোর মানবতা
নয়ন বেয়ে পরে।
স্বর্গ যে তোর হাতের কাছে,
মিথ্যা মায়ার আদলে
হারাবি যেনো তাও পাছে।
মর্ত নয়তো দূরে,
শর্ত ছাড়া রত্ন মিলে
পূণ্য কর আপন সুরে।
ভন্ড ভীরের দলে,
ঘরের মাঝেই স্বর্গ তোর
মায়ের পদতলে
..................................................
কত যে পাল্টে গিয়েছে সব, দাঁড়িয়ে দেখছি ঠায়।
দেখছিনা চেনা মুখগুলি, নতুন লাগে যেমন
কেউ বলেনা একবারও "কি হে আছেন কেমন"?
বড়ই গাছও ঠিকঠাক কাটে নাই কেউ পরে।
সাধে যাই বাড়ির ভিতর ব্যগ্র হয়ে ডাকি হায়
কেউ চেয়ে দেখে না আমায় হাসিখুশি তারা ঠায়।
আমাকে করিয়েছে গোসল বড়ই পাতার জলে।
কিভাবে তারা বলবে কথা, ভুলবেই তো সবই
কারন এখন আমি ছবি শুধুই রঙের ছবি।
..................................................
কখনো কোনো বিমর্ষ আর্তনাদ
শত আভিসার পরে
দিয়েছো কি তারে কভু সাধুবাদ?
তবুও নেই কোনো অভিযোগ,
আবহমান কালের নারী
রিক্ততায় করেনা আত্মভোগ।
অসংগতিতেও জায়া পতি হয়ে থাকতে হয়।
আছে নারীর বাপের বাড়ি, শ্বশুর বাড়ি
নারীর নিজস্ব নেই কোনো আলয়।
কত তাচ্ছিল্য, কত ধিক্কার।
দিন শেষে আমি নারী
নিরবতাই আমার বড় চিৎকার।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Facebook: facebook.com/samoiki
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments