রুবাইয়াত-ই-রুনা লায়লা

 

.
বাড়ছে আবার করোনা যে হচ্ছে ভীষণ ভয়
স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে হেয়ালি আর নয়
আসুন সবে মাস্ক পরি বিধিবিধান মানি
পণ করি তাই সবে মিলে ভয়কে করবো জয়।
 
.
খোকা খুকী তোমরা কোথায় বলছি শুনে যাও
মশা থেকে দূরে থাকতে মশারি টানাও?
বড়র কথা শুনতে হবে মনে রেখো তাই!
অনেক বিপদ হবে নইলে খবর শুনে নাও।
 
.
ভাইয়ের কাছে বোনের বায়না থাকে চিরদিনই
বোনেরা তাই ভাইয়ের কাছে যেনো চির ঋণী
আসুক যতোই ঝড় আর তুফান হোক না শিলাবৃষ্টি 
সম্পর্কটা এমন মধুর যেনো নুনে চিনি।
 
.
বাড়ছে আবার করোনা যে হচ্ছে ভীষণ ভয়!
স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে হেয়ালি আর নয়
আসুন সবে মাস্ক পরি বিধিবিধান মানি
পণ করি তাই সবে মিলে ভয়কে করবো জয়।
 
.
খোকা খুকী তোমরা কোথায়? বলছি শুনে যাও-
মশা থেকে দূরে থাকতে মশারি টানাও।
বড়র কথা শুনতে হবে মনে রেখো তাই!
অনেক বিপদ হবে নইলে খবর শুনে নাও।
 
.
কদম ফুলের ভাঁজে ভাঁজে পরশ মেখে রাখি
সেই সুখেতে সুর তুলেছে সোনার ময়না পাখি
বৃষ্টি ভেজা কদম পাতায় শুকাই ভেজা চুল
চুলের সুবাস ছড়ায় হাওয়ায় বলে বিহগ ডাকি।
 
.
আসুক ফিরে রঙিন আলো জ্বলক ঘরে ঘরে
বাঁধা যতো ভেঙেচুরে জাগুক নতুন করে।
এমন করে আর কতদিন ঘরে বসে রবে
মনের জোরে ফিরুক আবার দোয়া সবার তরে।
 
.
ভাঙা ঘরে চাঁদের হাসি সদা লেগে রয়
একা একা চাঁদ কুমারী কতো কথা কয়।
বধূরূপে সাজবে বলে কতোই স্বপ্ন দেখে
আসবে কবে চাঁদের কুমার ভেবেই আকুল হয়।
 
.
চেনা জানা মানুষগুলো থাকে দূরে দূরে
 ব্যস্ততারই মাঝে কভু ডাকি সুরে সুরে
এমন করেই ফুরাবে দিন কেটে যাবে বেলা
যতন করে স্মৃতিরোমন্থন রাখি যেনো মুড়ে।
 
১০.
মা যেনো এক সোনার মুকুট আঁধার ঘরের বাতি
ভাল্লাগে না মাকে ছাড়া কাটে না দিনরাতি
মায়ের মতোই এতো আপন ভবে কেহ নাই
মাকে সবে ভালোবাসো হে মানব জাতি।
 
১১.
কাজের মাঝে সকাল সাঁঝে জানায় সুপ্রভাত!
 ভালোয় ভালোয় দিনশুরুটা প্রচলিত প্রবাদ
প্রিয় জনে শুভেচ্ছাটা দেয় যে প্রতিদিনই
এমন ভাবে চিরদিনই আসুক আর্শীবাদ।
 
১২.
বৃষ্টির জলে গা ভাসাই না ভাসাই সখের তরী
বৃষ্টি ভেজা কদম ফুলের ঘ্রাণে প্রাণ যে ভরি
বৃষ্টি আমার দুঃখের সাথী বৃষ্টি আমারই সুখ
বৃষ্টি আমায় কাঁদতে শেখায় তাতেই সুখটা গড়ি।
 
১৩.
কাছের মানুষ কাছে টানে ঠেলেও বহুদূরে
কাঁদতে দেখে হাসেও আবার ডাকে করুণ সুরে
বন্ধু যিনি শত্রু তিনি বুঝি না তার ভান
বুকের মাঝে পুলক জাগায় রাখেও আবার মুড়ে।
 
১৪.
উপকারী কুকুর ভালো মানুষ যখন তা নয়
হৃদয় মাঝে থেকেও যখন দূরে দূরে রয়
বন্ধু সেজে কাছে এসে তুলে করাল ঢেউ
অভিনয়টা বুঝেও তখন আপন মানতে হয়।
 
১৫.
বর্ষা বাদল মনের কোণে থাকে বছর ধরে
কেউ রাখে না তাহার খবর অথৈ বৃষ্টি ঝরে
মেঘ জমেছে হৃদয় কোণেও ভারাক্রান্ত মন
দুঃখগুলো রবেই জমা! বন্ধু তোমার তরে।
 
১৬.
ভাবছি সখি তোমায় নিয়ে দূরাকাশে যাবো
রঙ্গন গোলাপ ফুলে ফুলে তোমায় সাজাবো,
ঝুম বৃষ্টিতে ভিজবো দু'জন মধুর আলাপনে
বিহগ হয়ে শোনাবো গান পুলকে হারাবো।
 
১৭.
ক্ষুধার জ্বালায় ছটফট করে গলির বানু খালা
মনটা তখন হাহাকারে হৃদে ধরে জ্বালা
ক্ষুধার মুক্তি কষ্টের দহন তীব্রতর হলে
লাথি মেরে ভাঙবেই তখন মনুষ্যত্বের তালা।
 
১৮.
আঁতুড় ঘরে বাঁতুর দিলে জ্বলবে নীতির আলো
আগলা পশু পাগলা হবেই চারিদিকে কালো
কুঁড়িযুক্ত ডাল ছেঁটো না আশার প্রদীপ জ্বলুক
যতন পেলে আগাছাতেও ফুটিবে ফুল ভালো।
 
১৯.
ভালোবাসা জটিল অংক মিলানো কঠিন
সহসা সে দেয় না ধরা, যায় দিনের পর দিন
কখনো বা কড়া নেড়ে দেয় যে সূর্যের হাসি
এমনতরো ভালোবাসা বাঁচুক অমলিন।
 
২০.
ভাবছো বসে জিতে গেছো পরের ক্ষতি করে
সুক্ষ্ণচালে মেদ হীন প্রাণে দুঃখ দিলে ভরে
আসল কথা প্রভু কভু যায় না ঘুমে
পড়বে ধরা বিধির খেলায় আগে-পরে।

No comments

নির্বাচিত লেখা

আফসার নিজাম’র কবিতা

ছায়া ও অশ্বথ বিষয়ক খ-কবিতা এক/ক. সূর্য ডুবে গেলে কবরের ঘুমে যায় অশ্বথ ছায়া একচিলতে রোদের আশায় পরবাসী স্বামীর মতো অপেক্ষার প্রহর কাটায় প্রাচী...

Powered by Blogger.