শাহীন রেজা'র কবিতা
মেঘরঙ ছায়ার ফড়িং
কচুরিপানার উপর একাকি একটি বক
ভেসে ভেসে যাচ্ছে কোথাও
শেষ বিকেলের মোহে,
যদি কোনোদিন বাঁধা পড়ি আমি
শানবাঁধানো সিঁড়ির আঁচলে,
তারই আগ্রহে প্রাচীন পদ্ম হয়ে
জেগে উঠবে তুমি।
পানকৌড়ি-ডাহুক হয়ে ধানসিঁড়িটির কাছে,
উজানে বাতাস আঁকে মেঘরঙ ছায়ার ফড়িং।
..................................................
পাহাড়-দেয়াল ঘেঁষে যেন অর্ফিয়াস
মোহনবাঁশীতে তার রুদ্র জাগে, জাগে দুর্জয়
ঘুঘুর ক্লান্ত ডাকে অচেতন প্রজাপতি-বীণ
মিলনের কথা রটে তারায় তারায়
ডালেডালে স্বপ্নবাকল আর অদেখার
নীলচিঠি শ্রাবণের খামে
জ্বলে শুধু জ্বলে
তাহার প্রস্হানে জল নয়ন-নিখিলে
ইলিশের জলাশয় নয় কিছু দীর্ঘ এমন
বৃক্ষের রঙগুলো এঁকে চলে ছায়াবৃক্ষ আরো।
..................................................
খানাখন্দগুলো জমিন ছেড়ে উঠে এসেছে পথে
আর শুয়োর দুপুরটা রোদ-চিকচিক লোভে
ক্রমশ গ্রাস করে নিচ্ছে ছায়াগুলো,
কয়েকটি শূণ্যলতা এবং পাতার করোটি।
আবারও পথের আঙ্গিনায়।
ভুলগুলো ভুল করে ভুল হলে
বেশ হোতো।
..................................................
যে একান্ত আগ্রহে একটি শ্রাবণরাত কাটিয়েছে নির্ঘুম শুধু এক বনচড়ুইয়ের প্রতীক্ষায়
যার আগ্রহে ঘুমের খামে ঢুকে গেছে কাকতাড়ুয়া
আর দীর্ঘ মিছিল শেষে ক্লান্ত রোদেরা খুঁজেছে
ঘুঘু'র চোখ ধূসর দহনে
যার চোখ ক্রোধে নয় জ্বলে উঠেছে অভিমানে
বিপন্ন বিষ্ময়ে খুঁজেছে কামজআশ্রয়
যার সকল প্রার্থনায় চাতকআহ্বান এবং
সমস্ত সুরে ও সৃষ্টিতে ক্রিয়াশীল বোধনের ধ্বনি
যে জেগে উঠেছে ধানরঙ শালিকের ডাকে আর
বেড়ে ওঠেছে অনাবিল পলির প্রশ্রয়ে যেন নীলাচল
কালিটি'র বৃষ্টিভেজা পথে যে খু্ঁজে পেয়েছিলো মালতীর গন্ধমাখা হার আর একান্ত নির্ভয়ে স্বপ্নশিকড় গেড়েছিলো উজানের চরে।
..................................................
বৃক্ষগুলো বঞ্চিত হবে
জোনাকস্পর্শের আনন্দ থেকে।
তোমার আমার
এবং অযুত অভ্যাসের।
যদি বেঁধে দেই
জোড়া লণ্ঠন,
রাতের আকাশ?
বুঝুক ভুল
আমি চেতন-ঘড়ির
পেন্ডুলাম হয়ে তবুও
দুলতে থাকব মহাকালের
মাথার উপর।
একা,
..................................................
মৃত্যুর আঁচড় লাগা হরিণের চোখ
করুণ বীণায় তোলে দাদরা-ঠুমরি ; আর তুমি জোনাকির মেয়ে কেমন উড়াও চাঁদ
মধুসূদনের মোহে ; ডাকো মেঘদূত।
তুমি ততটাই বদনে ছড়াও এসে
আসমানী মেঘের ঝালর।
পৃথিবীটা পথ হলে নারী হয় নদীদের মোহ,
তারপর ছোটাছুটি স্বলাজ উজানে।
কখনও হুতুম হই, কখনও বা ঘাস চিকচিক
বাদুড়ের ডানা হয়ে চেনা ভঙ্গিতে
কখনও খামচে ধরি ছায়া অন্তর্বাস।
..................................................
কিছু কথা শুধু স্মৃতি হয়
কিছু পাখি হয়ে ওঠে কবিদের সুখ
কিছু পাখি কবিতার নয়
কিছু দিন বলে কথা রাতের ভাষায়
কিছু নদী ভেসে চলে স্রোতের উজানে
কিছু চোখ জেগে থাকে চোখের আশায়
কিছু বুকে জমা শুধু আজন্মের তাপ
কিছু প্রেম চুমু হয় কালের কপোলে
কিছু প্রেমে আঁকা হয় জুলিয়েট-পাপ।
..................................................
হেঁটে যায় সেই পথ এলোমেলো পায়ে
চাঁপালতার ঘাড়ে শীষ দিতে দিতে
আহা মায়ানির্জনে ঘুমের করাত হয়ে
কেটে কেটে রৌদ্রের ফুল
আর কিছু চুমুর কুহক
'পথ-পথ' খেলা
দরজায় থেমে থাক
সাজিকের ভেলা।|
তাঁর মহাপ্রস্থানের পর শুরু হলো বিতর্ক।
সুশীল নামধারী কেউ কেউ ইন্না-লিল্লাহ উচ্চারণ না করেই মুখে তুলে নিলেন অভিশাপের ভাষা,
এবং একদল মানুষ পরম মমতায় টেনে ধরল তাঁর কফিন, আমার সন্তান থাকবে আমাদেরই বুকে; লিচুতলার নির্জনে শান্তিতে নিরাপদে।
..................................................
বায়ে তুসোর মোমজাদুঘর
তামাদি রোদের নীচে কানপেতে শুনি
বিনূনীর গান
অর্কেস্ট্রার ঝিঁঝিগুলো দুপুরে ঘুমায়
শুধু ইউক্যালিপটাস নড়ে ওঠে
ঝিরিঝিরি পাতকুয়া জলে
আর সেই নীলমাখা মেয়ে
গোপন শয্যা রেখে উড়ে যায়
নদীসংগমে
সাঁতারের প্রশ্ন এলে
হৃদয়ের চেয়ে ঢের বেশী শ্রেয়
কূয়োর প্লাবন।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Facebook: facebook.com/samoiki
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments