সপ্তবর্ণা সোমা’র কবিতা
ভাসায় অশ্রুতে
বিরহেরই অনল জ্বলে দিবানিশি এ মনে
কল্পনায় সুখে স্বপ্ন দেখি যে নিরজনে!
কাজ-কর্মে লাগে না মন এক জায়গায় মতি!
আগায় না সে একটু খানি ভাসায় অশ্রুতে!
বিরহ মরণ মালা
কেমন প্রেমে জড়ালে ওগো বাড়ালে মায়ার টান!
বিচ্ছেদ জ্বালা এই জানলে পাষাণে হৃদয় বাঁধি?
চাষী যেমন প্রেম জড়িয়ে চাষাবাদ করে ফলন,
ঝিনুক তার মুক্তোখানি খোলসে জড়িয়ে থাকে
আলাদা হয়ে বিরহানলে ডাকে সে মরণটাকে!
বিচ্ছেদের যন্ত্রণা যে এমনি কঠিন জ্বালা,
সোনার সন্তান একবার ফিরে আসো
অকাল অরণ্য অঘুম নিশীথে যেমন কাটে গো ক্ষণ
অরূপের মাঝে বিকট স্বরূপে বিস্ময়ে চায় মন!
মনোলোভা যত সৃষ্টির কিরণ ক্ষীণ অতিশয় দেখে,
অয়ন অনিহা ধরে না এমনি আদরের সুরে ডাকে,
তুমিহীন সবে লাগে গো নীরব প্রিয় জনতার নেতা,
আকুলি-বিকুলি কত কৌতুহলী কত রকমারি আশা
বঙ্গদেশেতে পারবে কী দিতে কেউ এমন ভালোবাসা!
অসহায় লাগে বড্ড একাকী ভাবতে দেশের কথা
কঠোর ত্যাগের দেখিনি এমন করুণ বাস্তবতা!
ত্যাগের মহিমা বাঙালিরা দেখে নির্বাক কিছুকাল
আগস্ট মাসে পনেরো তারিখ হয়ে যায় বেসামাল!!
তুলবে কী এসে বজ্রকণ্ঠি আওয়াজে আঙ্গুল
সোনার বাংলা চায় যে সোনাই শুনতে সোনার বোল!
বাংলা মায়ের সোনার সন্তান একবার ফিরে আসো!
কষ্টে পাওয়া ফুল'টি
সেই তো সেদিন ফুল ফুটলো প্রথম বাগানে!
ঢেলে ঢেলে,
ভাবতো বারেবারে!
সেদিনই হলো উন্মোচন
ফুলের রহস্য উৎঘাটন!
চিরচেনা সকল ফুলেই
মঞ্জুরীতে আলো!
লাগে বড়ো ভালো।
না! এ ফুলটি এমন নয়!
কালো রং যে তার!
প্রথম দেখেই থমকে গেল পা!
দিলো'রে ধোঁকা।।
----------------------------------------
তোমার আশায়
তোমার ছায়া পড়ে যখনই ঐ
হিজল বনের পথে
আমি ঘর হতে,
কত অপেক্ষার প্রহর গুনি
আমার দিবস কাটে—মাসে!
যদি তাও নয়ন দুটি বদন পানে ভাসে!
উষ্ণবায়ুর ক্ষণ!
আমি ওড়না প্যাচাই রোমাল ভেবে— মুখে!
নিজেই নিজের বুকে!
হিজল শাঁখা কয়,—
শাঁখাসনে শব্দ করে,
আশার বাণী
অনেকের পদচারণ অসীমে ঢেলে,নীরবতা গিলে খায় সম্মুখে!
স্বাধীন হোক অরুন্ধতী
মন চায় তোমাকে ছুঁয়ে দেখি একবার;নিশুতি রাত নির্ঘুম কাটে অবহেলায় পাশ-বালিশটা!
মানুষ হও গরল অমৃত হবে নিকোটিন খাসা
রহস্যের ইমারতে গাঁথা জীবন,
দেহ লাগে লৌকিকতায় মায়া লাগার কামান ও!
তোমাদের রূপ তোমরাই কী আয়নাতে কভু দেখো না?
কার কাছে পাই ভরসা;ভাগে প্রেম তল্লাট ছেড়ে মন থেকে সহসা!
মানুষ হও মন, বিনে পয়সায়
রতি আনো মতির বাসায়;গরল অমৃত হবে নিকোটিন খাসায়!
গিরগিটি মানব
বিশ্বের যত সৃষ্টি খাঁটি
বিশ্বাসে আর কর্মে
জবান বেঠিক হীন মানবের
ঠাঁই নাই কোন ধর্মে।
পরার্থে যে মুল্লুক কিনে
সৎ লোকে দেয় দুঃখ
স্বার্থের বেলায় করে আপন
ফুরালেই হয় রুক্ষ!
সাধারণ এক সৌজন্যাচার
দুষ্কর তখন পাওয়া
শত চেষ্টায় তাদের কাছে
যায় না তো আর যাওয়া!
গিরগিটিদের জায়গা হবে
কোন ধর্মের কাতারে
পড়বে একদিন ঠিকই এরা
মরণ সিন্ধু সাঁতারে।।।
----------------------------------------
বিপিন সন্ধ্যায় নদ
সন্ধ্যাটা তখনো আসেনি আমার একেবারে নদ-দ্বারে,
দূরের ও পথে কিংবা ওপাড়েতে যায় না তো দেখা নায়!
তীরের পথিক নীরের আশায় আদিত্যই যায় টুটে!
নদের পাশেই বিপিনে তখন শীতল হয়ে মন হরে!
মিছে আয়োজন
সাঁঝে মিছে সূর্য হাসে
আমায় ভাসায় অশ্রুতে
কোহিনূরের ঝলক স্রোতে
মলিন করে বুক ভাসে!
স্নিগ্ধ বিকেল সমীরণে
প্রণয় আমেজ জাগায়
রিক্ত করা মনগগনে
একাকীত্ব লাগায়।
সন্ধ্যাকালে চাঁদের হাসি
মন কেড়ে নেয় বাইরে
বড্ড বেশি বেড়ায় ছোটে
ঘুরে তাইরে-নাইরে!
চন্দ্রিমাতে ভয়ে থাকি
রাহুর বিভিষিকায়
নৈবদ্য দেই মনে মনে
স্তুতি বাক্যে বিকায়!
মিছে কেনো এ আয়োজন
চক্রাকারে রাত-দিন,
বাজায় না তো তার বীণ!
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Facebook: facebook.com/samoiki
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments