আবদুল্লাহ্ জেয়াদ নগরতোরণোপরিস্থ অতি উচ্চ মঞ্চে উঠিয়া উভয় দলের যুদ্ধ দেখিতেছিলেন। দেখিলেন, মোস্লেমের তরবারির সম্মুখে কেহই অগ্রসর হইতে পারিতেছে না। বহুতর সৈন্য মৃত্তিকাশায়ী হইয়াছে। যাহারা জীবিত আছে, তাহারাও প্রাণভয়ে দিশেহারা হইয়া পলাইতেছে। জেয়াদ মঞ্চ হইতে নামিয়াই দ্বাররককে বলিলেন, "দ্বার খুলিয়া দাও।" সৈন্যগণকে আদেশ করিলেন যে, "আমার পশ্চাদ্বর্তী হইয়া মোস্লেমকে আক্রমণ কর, আমরা সাহায্য না করিলে ওত্বে অলীদের প্রাণ কখনোই রক্ষা হইবে না।"
রাজাজ্ঞা প্রাপ্তিমাত্রই লক্ষাধিক সৈন্য জয়নাদে তুমুল শব্দ করিয়া পশ্চাদ্দিক হইতে মোস্লেমকে আক্রমণ করিল। আবদুল্লাহ্ জেয়াদ স্বয়ং যুদ্ধে আসিতেছেন, মোস্লেমের সেদিকে দৃষ্টিপাত নাই, কেবল অশ্ববল্গা দন্তে ধারণ করিয়া দুই হস্তে বিধর্মী নিপাত করিতেছেন। যাহাকে যে অবস্থায় পাইতেছেন, সেই অবস্থাতেই দেহ হইতে মস্তক ছিন্ন, কাহাকেও অশ্ব সহিত এক চোটে দ্বিখণ্ডিত করিয়া, জন্মশোধ যুদ্ধের সাধ মিটাইতেছেন। আবদুল্লাহ্ জেয়াদ পশ্চাদ্দিক হইতে মোস্লেমকে আক্রমণ করিবার উপক্রম করিলেই, ওত্বে অলীদ উচ্চৈঃস্বরে বলিলেন, "মোস্লেম ঈশ্বরের নাম মনে কর; তোমার সাহায্যের জন্য আবদুল্লাহ্ জেয়াদ লক্ষাধিক সৈন্য লইয়া আসিয়াছেন।"
মোস্লেম জেয়াদের নাম শুনিয়া চমকিতভাবে পশ্চাতে ফিরিয়া যাহা দেখিলেন, তাহাতে আর কিছুই বলিলেন না। কেবলমাত্র বলিলেন, "বিধর্মীর কথায় কে বিশ্বাস করিবে, কাফেরের ভক্তিতে যে মুসলমান ভুলিবে, তাহার দশাই এইরূপ হইবে।" মোস্লেম ভীত হইলেন না, যুদ্ধে ক্ষান্ত দিয়াও পরাজয় স্বীকার করিলেন না, পূর্বমত বিধর্মীশোণিতে মৃত্তিকা রঞ্জিত করিতে লাগিলেন। কিন্তু তাহাতে কোনই ফল হইল না। চতুর্দিক হইতে অবিশ্রান্তরূপে মোস্লেমের শরীরে শর বিদ্ধ হইতে লাগিল; সর্বাঙ্গে শোণিতধারা ছুটিল। অশ্বপদতলে বিধর্মীর রক্তস্রোত বহিতেছে, যুদ্ধক্ষেত্র মনুষ্যদেহে পরিপূর্ণ হইয়াছে, শোণিতসিক্ত মৃত্তিকায় প্রিগামী অশ্বপদ স্খলিত হইতেছে; তথাচ মহাবীর মোস্লেম শত্রুক্ষয় করিতে নিবৃত্ত হইতেছেন না। এত মারিতেছেন, কিন্তু কিছুতেই তাহার শেষ হইতেছে না। দিনমণিও সমস্ত দিন এই ঘোরতর যুদ্ধ দেখিয়া লোহিতবর্ণে অস্তমিত হইলেন।তৎসঙ্গেই ইস্লামগৌরব-রবি মহাবীর মোস্লেম লোহিত বসনে আবৃত হইয়া-জগৎ অন্ধকার করিয়া শত্রুহস্তে প্রাণবিসর্জনপূর্বক স্বর্গগামী হইলেন। মদিনার একটি প্রাণীও আর বিধর্মীর অস্ত্র হইতে রক্ষা পাইল না।
যুদ্ধাবসানে নরপতি জেয়াদ দর্পের সহিত বলিতে লাগিলেন-
"মদিনার শত্রুকুল,-মহারাজ এজিদ্ নামদারের নামের বলেই এইরূপ নির্মূল হইবে। সেইরূপ চিন্তা করিয়া কৌশলজাল বিস্তার করিয়াছিলাম, তাহাতে বাদশা নামদারের মহাশত্রু আজ সবংশে বিনষ্ট হইত, দৈববিপাকে তাহা হইল না। মোস্লেমের যে দশা ঘটিল, প্রধান শত্রু হোসেনকেও সেই দশায় পতিত হইতে হইত।দামেস্ক এবং কুফার সৈন্যের তরবারি-ধারে হোসেন-মস্তক নিশ্চয়ই দেহ-বিচ্ছিন্ন হইত। পরিবার-পরিজন-সঙ্গীরাও আজ কুফার সিংহদ্বারের সম্মুখস্থ প্রান্তরে রক্তমাখা হইয়া গড়াগড়ি যাইত। ভাগ্যক্রমে হোসেন ষষ্টি-সহস্র লোকজনসহ কুফার পথ ভুলিয়া কারবালার পথে গিয়াছে; জেয়াদের হস্ত হইতে রক্ষা পাইয়াছে। সম্পূর্ণরূপে সর্বাংশে যশ লাভ করিতে পারিলাম না, ইহাই আমার নিদারুণ আক্ষেপ! মদিনার একটি প্রাণীও আজ কুফার সৈন্যগণের হস্ত হইতে রক্ষা পায় নাই। সমুদয় শেষ হইয়া যমালয়ে গমন করিয়াছে। একটি প্রাণীও পলাইতে পারে নাই। ধন্য কুফার সৈন্য!"
গুপ্তচর, গুপ্তসন্ধানিগণ মধ্য হইতে একজন বলিল- "ধর্মাবতার! মোস্লেমের দুই পুত্র মারা যায় নাই, ধরা পড়িয়া বন্দিও হয় নাই! তাহারা যুদ্ধাবসানে, যুদ্ধক্ষেত্র হইতে অতিত্রস্তপদে নগরের মধ্যে প্রবেশ করিয়াছে। কি কৌশলে যে তাহারা কুফার সৈন্যগণচক্ষে ধূলি দিয়া প্রাণ বাঁচাইল,-আর এ পর্যন্ত যে জীবিত আছে,-ইহাই আশ্চর্য! মহারাজ! তাহারা দুই ভ্রাতা এই নগরেই আত্মগোপন করিয়া রহিয়াছে। আমরা বিশেষ সন্ধানে জানিতে পারিয়াছি, তাহারা নগরের বাহিরে যায় নাই,-যাইতে পারে নাই।"
আবদুল্লাহ্ জেয়াদ অতি ব্যস্তভাবে বলিতে লাগিলেন, "সে কী কথা? মোস্লেমের পুত্রদ্বয় জীবিত আছে?" অমাত্যগণকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, "ওহে! এ কী ভয়ানক কথা? ভুজঙ্গ হইতে ভুজঙ্গশিশুর বিষ যে অত্যধিক মারাত্মক, তাহা কি তোমরা জান না? এখনই ডঙ্কা বাজাইয়া ঘোষণা প্রচার কর। নগরের প্রতি রাজপথে, ক্ষুদ্র পথে, প্রকাশ্য স্থানে নগরবাসীর প্রতি দ্বারে ডঙ্কা, দুন্দুভি, ভেরী বাজাইয়া ঘোষণা করিয়া দাও,-যে ব্যক্তি মোসলেমের পুত্রদ্বয়কে ধরিয়া আমার নিকটে আনিতে পারিবে-সহস্র সুবর্ণমুদ্রা তৎক্ষণাৎ পারিতোষিক পাইবে। আর যে ব্যক্তি মোসলেম পুত্রদ্বয়কে আশ্রয় দিয়া গোপনে রাখিবে, প্রকাশমাত্র বিচার নাই,-কোন কথা জিজ্ঞাস্য নাই,-দ্বিতীয় আদেশের অপেক্ষা নাই, শূলদণ্ডই তাহার জীবনের সহচর। শূলদণ্ডকেই চির আলিঙ্গন করিয়া-প্রাণের সহিত আলিঙ্গন করিয়া মজ্জাভেদে মরিতে হইবে।"
আদেশমত তখনই ঘোষণা প্রচার হইল-নগরময় ঘোষণা প্রচার হইল। কতকলোক অর্থলোভে পিতৃহীন বালকদ্বয়ের অন্বেষণে ছুটিল। নানাস্থানে খুঁজিতে আরম্ভ করিল। পাহাড়-পর্বত, বন-জঙ্গল, মাঠ-ঘাট চারিদিকে সন্ধান করিয়া ব্যস্ততাসহকারে ছুটাছুটি করিয়া বেড়াইতে লাগিল।
মোস্লেমের পুত্রদ্বয় ঘোষণা প্রচারের পূর্বেই এক ভদ্রলোকের বাটীতে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছেন।সে ভদ্রলোকটি কুফা নগরের বিচারপতি (কাজী)। তিনি বালকদ্বয়ের দুঃখে দুঃখিত হইয়া আশ্রয় দিয়াছেন, পরিতোষরূপে আহার করাইয়া শয়নের ব্যবস্থা করিয়া দিয়াছেন। মহাবীর মোস্লেমের জন্য আক্ষেপ করিতেছেন। ইতিমধ্যে ঘোষণার বিবরণ শুনিয়া কাজী সাহেব নিতান্তই দুঃখিত হইলেন। কী করেন? কী উপায়ে পিতৃহীন বালক দুটির প্রাণ রক্ষা হইতে পারে, তাহারই সুযোগ-সুবিধা খুঁজিতেছেন, চিন্তা করিতেছেন। বহু চিন্তার পর সঙ্কল্প স্থির করিয়া তাঁহার জ্যেষ্ঠপুত্র 'আসাদ্কে' ডাকিয়া বলিলেন, "প্রাণাধিক পুত্র! দেখ, এই পিতৃহীন বালক দুটির প্রাণ রক্ষার উপায় করিতে হইবে। ঘোষণার বিষয় তো শুনিয়াছ! সাবধান, সতর্কে নিশীথ সময়ে বালকদ্বয়কে সঙ্গে করিয়া নগরের প্রবশেদ্বার পার হইবে। কিছুক্ষণ মদিনার পথে দাঁড়াইলেই মদিনার যাত্রীদল অবশ্যই দেখিতে পাইবে। বহু যাত্রীদলই প্রতি রাত্রিতে গমন করে, অদ্যও করিবে; তাহাদের কোন-এক দলের সহিত বালকদ্বয়কে সঙ্গী করিয়া দিলেই 'কাফেলায়' মিশিয়া নিরাপদে মদিনায় যাইতে পারিবে। বালক দুটিরও প্রাণ রক্ষা হইবে, আমরাও নরপতি জেয়াদের ঘোষণা হইতে রক্ষা পাইব।"
কাজী সাহেব এই কথা বলিয়াই দুই ভ্রাতার কোমরে পঞ্চাশ পঞ্চাশ মোহর বাঁধিয়া দিলেন এবং খাদ্যসামগ্রীও পরিমাণ মত উভয় ভ্রাতার সঙ্গে যাহা তাহারা অনায়াসে লইয়া যাইতে পারে তাহা দিয়া দিলেন।
কাজী সাহেবের পুত্র আসাদ্ পিতৃহীন বালকদ্বয়কে সঙ্গে করিয়া নিশীথ সময়ে গৃহ হইতে বহির্গত হইলেন। সাবধান সতর্কে নগরের সিংহদ্বার পার হইয়া দেখিলেন, একদল যাত্রী মদিনাভিমুখে যাইতেছে, কিন্তু তাহারা কিঞ্চিৎ দূরে গিয়া পড়িয়াছে।
আসাদ্ বলিলেন, "ভ্রাতৃগণ! দেখিতেছ! মদিনার যাত্রীদল যাইতেছে, এমন সুযোগ-সুবিধা আর নাও পাওয়া যাইতে পারে। ঐ যে যাত্রীদল যাইতেছে, তোমরা খোদার নাম করিয়া ঐ দলে মিশিয়া চলিয়া যাও। ঐ যাত্রীদলে মিশিতে পারিলে আর ভয়ের কোন কারণ থাকিবে না। তোমাদিগকে এলাহির হস্তে সঁপিলাম। যাও ভাই! আর বিলম্ব করিয়ো না। শীঘ্র যাও। ভাই সেলাম!" আসাদ্ বিদায় হইলেন। ভ্রাতৃদ্বয় ত্রস্তপদে মদিনার যাত্রীদলের পশ্চাৎ অনুসরণ করিয়া যাইতে লাগিলেন। রজনীর ঘোর অন্ধকার। বালুকাময় পথ। তদুপরি প্রাণের ভয়, দুই ভাই একত্রে দৌড়িতে লাগিলেন,-অগ্রগামী কাফেলার দিক্ লক্ষ্য করিয়া দৌড়িতে লাগিলেন।
জগৎকারণ জগদীশ্বরের মহিমার অন্ত নাই। ভ্রাতৃদ্বয় দৌড়িতে দৌড়িতে মদিনার পথ ভুলিয়া পুনরায় নগরের দিকে-কুফা নগরের দিকে আসিতে লাগিলেন। মনে মনে আশা করিয়াছিলেন, যাত্রীদল বেশি দূর যায় নাই, এখনই তাঁহাদের সঙ্গে যাইয়া দলে মিশিতে পারিব। নির্ভয়ে মদিনায় যাইয়া দুঃখিনী মায়ের চরণ দু'খানি দেখিতে পাইব। আশা করিলে কী হয়? মানুষের আশা পূর্ণ হয় কই? অদৃষ্ট ফেরে পথ ভুলিয়া-মদিনার পথ ভুলিয়া, অন্য পথে, কুফা নগরের দিকেই যে আসিতেছেন, দুই ভাই দৈবঘটনার কিছুই বুঝিতে পারিতেছেন না। ত্রস্তপদে যাইতে যাইতে সম্মুখে দেখিলেন, মশালের আলো। আলো লক্ষ্য করিয়া দৌড়িলেন। যাইয়া দেখিলেন যাত্রীদল নহে। রাজকীয় প্রহরীর দল অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত, প্রত্যেকের হস্তে জ্বলন্ত মশাল। প্রহরীদিগের সম্মুখে পড়িতেই তাহারা বালকদ্বয়কে দেখিয়া, আকার-প্রকার, তাহাদের রূপের ছটা দেখিয়াই যাহা বুঝিবার বুঝিয়া লইল। আর কি যাইবার সাধ্য আছে? ধরিয়া ফেলিল। পুরস্কার লোভে অগ্রে শহর-কোটালের নিকট লইয়া উপস্থিত করিল, নগরপাল কোটাল উভয় ভ্রাতার আকার-প্রকার দেখিয়াই বুঝিয়া লইলেন, এই বালকদ্বয়ই বীরবর মোস্লেমের হৃদয়ের সার, প্রিয় আত্মজ। নগরপাল ভ্রাতৃদ্বয়ের রূপলাবণ্য দেখিয়া যত্নপূর্বক আপন গৃহে রাখিয়া অতি প্রত্যূষে মহারাজ জেয়াদের দরবারে উপস্থিত করিলেন।
কুফাধিপতি মোস্লেম তনয়দ্বয়ের রূপলাবণ্য, মুখশ্রী, কিঞ্চিৎ কৃষ্ণ কেশের নয়নর ন দৃশ্য দেখিয়া "শিরচ্ছেদ কর" এ কথাটা আর মুখে উচ্চারণ করিতে পারিলেন না। মায়াবশে বশীভূত হইয়া বলিলেন, "এই বালকদ্বয়কে দ্বিতীয় আদেশ না হওয়া পর্যন্ত বন্দিখানায় রাখিতে বল। কারাধ্যকে আদেশ জানাও যে, ইহারা রাজকীয় বন্দি। কোন প্রকারে কষ্ট না পায়। বন্দিগৃহ হইতে বহির্গত হইতেও না পারে, কোন প্রকারে অসম্মান-অবমাননা যেন না হয়।"
দুই ভ্রাতা করজোড়ে-সবিনয়ে, তাঁহাদের মনের কথা মুখে প্রকাশ করিতে উদ্যোগী হইতেই এদিকে প্রহরীদল উভয়কে লইয়া কারাগৃহে প্রধান কার্যকারকের নিকটে চলিয়া গেল। তাঁহারা আবদুল্লাহ্ জেয়াদের নিকট একটি কথা বলিতেও সুযোগ পাইলেন না। কারাগৃহে নীত হইলে কারাধ্যক্ষ, নাম মস্কুর, উভয় ভ্রাতার রূপমাধুরী দেখিয়া এবং ইহারাই বীরশ্রেষ্ঠ বীর মোস্লেমের হৃদয়ের ধন ভাবিয়া আদর ও যত্নের সহিত ভালবাসিলেন। বন্দিগৃহে না রাখিয়া স্বীয় ভবনে উভয় ভ্রাতাকে লইয়া আহারাদি করাইলেন। বিশ্রাম জন্য শয্যা রচনা করিয়া দিয়া ভাবিতে লাগিলেন, কি করি! রাত্রি প্রভাতেই হউক কি দুদিন পরেই হউক, নরপতি নিশ্চয়ই ইহাদের শিরচ্ছেদ আজ্ঞা প্রদান করিবেন। দুইটি ভাইকে রক্ষা করি কি প্রকারে?' অনেক চিন্তার পর, অর্ধ নিশা অতীত হইলে, দুই ভ্রাতাকে জাগাইয়া বলিলেন,-"তোমরা আমার সঙ্গে সঙ্গে আইস, কোন চিন্তা নাই। আমি তোমাদিগকে রক্ষা করিব। ইহাতে আমার অদৃষ্টে যাহা থাকে হইবে। আইস, আমার সঙ্গে আইস।" মোসলেম পুত্রদ্বয় কারাধ্যরে সঙ্গে সঙ্গে চলিলেন। নগরের বাহির হইয়া কারাধ্যক্ষ কিঞ্চিৎ দূরে চলিয়া গিয়া দুই ভ্রাতাকে বলিলেন, "শুন, তোমরা মনোযোগ করিয়া শুন। এই যে পথের উপর দাঁড়াইয়াছি-এই পথ ধরিয়া 'কুদ্সীয়া' নগরে যাইবে। এই পথ ধরিয়া একটু দ্রুতপদে চলিয়া গেলে রাত্রি প্রভাতের পূর্বেই কুদ্সীয়া নগরে যাইতে পারিবে। ঐ নগরে আমার ভাই আছেন, তাঁহার নাম- এই নামটি মনে করিয়া রাখিয়ো। নাম করিলে তাঁহার বাসস্থান লোকে দেখাইয়া দিবে। আমি যে তোমাদিগকে পাঠাইতেছি, তাহার নিদর্শন আমার এই অঙ্গুরী দিতেছি, সাবধানে রাখিয়ো! কিছু বলিতে হইবে না। এই অঙ্গুরী আমার ভ্রাতাকে দিলেই তিনি তোমাদিগকে তোমাদের গম্যস্থানের কথা জিজ্ঞাসা করিবেন। তোমরা মদিনার নাম করিয়ো, যে উপায়ে হয়-যে কোন কৌশলে হয়-তোমাদিগকে তিনি মদিনায় পাঠাইয়া দিবেন। এই অঙ্গুরী লও। খোদার হাতে তোমাদিগকে সঁপিলাম। শীঘ্র এই পথ ধরিয়া চলিয়া যাও। কোন ভয়ের কারণ নাই। সর্ববিপদহর জয় জগদীশ তোমাদিগকে রা করিবেন।" ভ্রাতৃদ্বয় বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাইয়া অঙ্গুরীসহ বিদায় গ্রহণ করিয়া কুদ্সীয়ার পথে যাইতে লাগিলেন।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments