দাদা
এখন হাইডিকে স্কুলে পাঠাতেও প্রস্তুত। কিন্তু এই শীতে সে গ্রামে যেতে পারলো না। খুব
বেশি তুষার পড়েছিল। সবচেয়ে ভালো হতো, ডরফ্লিতে একটি ঘর নিতে পারলে।
দাদা
চার্চের পাশেই একটা পুরনো বাড়ি নিলো। কয়েকটি রুমের ছাদ ছিল না। কয়েকটি রুমের দেয়াল
ভাঙাচোরা। মেরামতের কাজে দাদা খুব দক্ষ ছিলেন। তিনি তাদের ব্যবহারের জন্য তিনটি রুম
প্রস্তুত করলেন। আরেকটি বড় রুম প্রস্তুত করলেন ছাগল রাখার জন্য। শীতের শুরুতেই তারা
সবাই নতুন বাড়িতে গিয়ে উঠলো।
পরের
সপ্তায় প্রচুর তুষারপাত হলো। গোট পিটারের বাড়ির জানালা পর্যন্ত তুষারের ভরে গেলো। কিন্তু
তুষার পিটারকে ডরফ্লিতে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারেনি। সে তার স্লোজ গাড়িতে চড়ে যে
কোনো জায়গায় যেতে পারতো। তাই প্রতিদিনই তার মা তাকে স্কুলে পাঠাতেন। কিন্তু প্রায়ই
সে স্কুলে যেতো না। সে তুষারের উপর খেলা করতো। আর স্কুলি ছুটির পর সে হাইডিকে দেখতে
আসতো।
তুষারের
কারনে হাইডি দাদিমাকে দেখতে যেতে পারেনি। তুষার শক্ত হলে, পিটার হাইডিকে নিয়ে আসে।
দাদিমার চেয়ারটি খালি ছিল। ব্রিজিট্টা বললেন,
মা
অসুস্থ। তিনি শয্যাশায়ী।”
হাইডি
দাদিমাকে বিছানায় দেখতে চায়নি। তার মন খুব খারাপ হলো। সে জিজ্ঞেস করলো, “তুমি কি খুব
অসুস্থ?”
“না,
না। আমি এখনো তোমার দেয়া সুন্দর রোলগুলো খেতে পারি।”
“ওহ,
তোমার বিছানায় সামনের অংশটা দেবে গেছে। তোমার পায়ের পাতাগুলো তোমার মাথার চেয়েও উঁচু
দেখা যাচ্ছে।”
“হুম,
বিছানাটি দুর্বল হয়ে গেছে।” কষ্ট নিয়ে বললেন দাদিমা। তারপরেই হাইডকে অনুরোধ করে বললেন,
“তুমি কি আমাকে একটি গান পড়ে শোনাবে?” হাইডি পড়ে শোনালো। তার চেহারা আবারো খুশিতে উজ্জ্বল
হয়ে গেলো।
হাইডি
জানতো যে এই শীতে সে দাদিমাকে প্রা্য়ই দেখতে আসতে পারবে না। তাই তাকে সাহায্য করার
একটি উপায় খুঁজে বের করলো।
“পিটার,
তোমাকে পড়তে শিখতে হবে। আমি তোমাকে পড়াবো।”
পিটার
প্রথমে শিখতে চায়নি। কিন্তু যখন হাইডি রেগে গেলো তখন সে শিখতে রাজি হয়ে গেলো। স্কুল
ছুটির পর সে প্রতিদিনই হাইডির বাসায় চলে যেতো। ক্লারার একটি পুরনো বই নিয়ে তারা দুজন
পড়ালেখা করতো। পড়া শেষ হলে দাদা ও হাইডির সাথে পিটার খাবারে অংশগ্রহন করতো। আর এটাই
পিটারের সবচেয়ে বেশি ভালো লাগতো।
এক
সন্ধ্যায় পিটার বাড়িতে গিয়ে বললো, “আমি কি এখন এটি করতে পারি।”
“তুমি
কী করতে পারো প্রিয় সোনা আমার?” তার মা জিজ্ঞেস করলেন।
“আমি
পড়তে পারি। আমি এখন একটি গান পড়ে শোনাবো।” পিটার বললো।
“বিজিট্টা
তাকে গানের বই এনে দিলেন। সে একটি গান পড়ে শোনালো।
“বাহ্!
খুব চমৎকার হয়েছে।” তার মা খুব খুশি হলেন্। তবে দাদিমা কিছুই বলেননি।
পরদিন
স্কুলে, শিক্ষক পিটারের পড়া শুনে অত্যন্ত অবাক হলেন। “পিটার! তুমি পড়তে পারো? ভালোইতো।
কীভাবে এটি ঘটলো?”
“হাইডি।
হাইডি আমাকে শিখিয়েছে।” বললো পিটার।
প্রতি
সন্ধ্যায় সে দাদিমাকে একটি গান পড়ে শোনায়। কিন্তু তার পড়াটা হাইডির পড়ার মতো হয় না।
কারন সে কঠিন শব্দগুলো বাদ দিয়ে যায়।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments