শাহীন রায়হান'র কবিতা
ভাবনায় শরৎ প্রকৃতি
এই শরতে বৃষ্টি ঝরা সবুজ ধানের ক্ষেতে
পুঁটি মাছের অবাক নেশা’য় বকরা থাকে মেতে
আবছা আলো আবছা আঁধার হাওয়ায় মেলে ডানা
চুনোপুঁটির ঘর বাড়ীতে বক দিয়ে যায় হানা।
বাড়তে থাকে আলোর রেখা চুঁনোপুটির গাঁয়ে
তাও মেলে না পুঁটির দেখা ক্লান্তি আসে পায়ে
চুনোপুঁটি দুষ্ট ভারি যায় লুকিয়ে দূরে-
পায় না তো বক পুঁটির দেখা যায় নীরবে উড়ে।
--------------------------------------------------
পুণ্য ভূমি
এ দেশের রূপ এ দেশের রং এ-
দেশের ভালোবাসা
দুঃখ মুছে দেয় স্বপ্ন দেখায়
জাগায় বাঁচার আশা।
মাঠে পাকা ধান মাঝি গায় গান
সোনার আলো ঝরে
নায়ে তোলে পাল রূপালী স্রোতে
নদীর দু'কূল ভরে।
দখিনা বাতাস দোল খেয়ে যায়
নতুন কুঁড়ি আসে
ঝরে কতো ফুল বনবাঁদাড়ে
হাওয়ায় সুবাস ভাসে।
রাতের শিশির বনে ঝরে যায়
জ্যোৎস্না জুড়ায় আঁখি
বাউলের সুর কতো যে মধুর
গান গেয়ে যায় পাখি।
দাও অকাতরে সবটুকু প্রেম
দুখ্টুকু নাও তুমি
তাই তোমাকে ভালোবেসে যাই
প্রিয় পুন্য ভূমি।
--------------------------------------------------
বৃষ্টির ছবি
বর্ষায় ভিজা ঘাস নদী খাল বিল
কোলাব্যাঙ সাঁতরায় উড়ে যায় চিল
গাছ ভিজে মাছ ভিজে বৃষ্টির ঝাপটায়
ব্যাঙ দেখে ফণা তুলে ইয়া বড় সাপটায়।
আকাশের বুক আজ মেঘে মেঘে কালো
বৃষ্টির টুপটাপ তবু লাগে ভালো
বিজলীর আলো এসে যেই লাগে মুখে
খোকা সেই ছবি আঁকে নিজ খোলা বুকে।
--------------------------------------------------
খাঁচা ভাঙা পাখি
ভাঙা খাঁচাটা বুকে নিয়ে আজ
করছি বিলাপ শুধু
মুখে হাসি নেই চোখ ভরা জল
দিগন্তটা ধুধু
না, আসে না, সেই সোনা পাখি
রেশম পালক ভরা
প্রিয়তম ঠোঁট টুকটুকে পায়ে
সোনার নূপুর পড়া।
স্মৃতি ভরা মন স্মৃতি বিভ্রমে
দিচ্ছে আমাকে ফাঁকি
পাখিটা তবু মনে রয়ে যায়
নির্জনে ওঠে ডাকি।
মন ভরা দুঃখ পুষে রাখি মনে
কষ্টে তাকাই দূরে
তবু ভাবি মনে ভাঙা খাঁচা কোণে
আসবে পাখি উড়ে।
--------------------------------------------------
সোনার বাংলাদেশ
আমার মায়ের আঁচল ভরা
কতো সোহাগ আদর
পাঁয়ের নিচে সবুজ শ্যামল
নরম ঘাসের চাদর।
দু'হাত ভরা সোনার ফসল
দু'চোখ ভরা পানি
হৃদয় ভরা প্রশান্তিতে
সোনার অঙ্গখানি।
অঙ্গে মায়ের রূপের ঝলক
নেইতো রূপের শেষ
রূপ কুমারী মা-ই আমার
সোনার বাংলাদেশ।
--------------------------------------------------
একটি ছবি
একটি ছবি আঁকতে গিয়ে শেষে
কত ছবি হয়ে গেল আঁকা
কোকিল ডাকা হরিণঘাটার বনে
রূপার বরণ একটি নদী রাখা।
নদীর জলে নৌকা চলে ভেসে
দাঁড়ে বসা একটি দোয়েল পাখি
সবুজ ঘাসে রঙিন প্রজাপতি
রঙ তুলিতে নিলাম যখন আঁকি।
উঠলো ফুটে শরৎ মেঘের বেশ
এই ছবিটা অন্যকিছু নয়
জোনাই জ্বলা সোনার বাংলাদেশ।
--------------------------------------------------
শরৎ মেয়ের মেঘলা আকাশ
সেদিন ছিলো আকাশ জুড়ে মেঘ
মেঘ উড়ে যায় হাওয়ার তালে তালে
একটি পাখি হন্যে হয়ে এসে
বসলো যখন ছাতিম গাছের ডালে।
বনে তখন বৃষ্টি বৃষ্টি খেলা
এঁদো ডোবায় ব্যাঙ ফড়িংয়ের মেলা
দমকা হাওয়ায় যেই উড়ে যায় ঘুড়ি
গাঁয়ের মাঠে যায় হারিয়ে বেলা।
আমার চোখে আকাশ ভরা পাখি
কোথায় যেন যাচ্ছে উড়ে উড়ে
রংতুলিতে এই ছবিটা আঁকি
শরত মেয়ের মেঘলা আকাশ জুড়ে।
--------------------------------------------------
ইচ্ছে খোকা
ঘরের পাশে বারান্দাটা খোলা
খোকা তাকায় নীল আকাশে দূরে...
মেঘের সাথে কিচিরমিচির সুরে
পাখিগুলো মনে জাগায় দোলা।
খোকা মনে পাখির ছবি আঁকে
এই পাখিটা সকল পাখির মতো
ভেসে ভেসে হাওয়ায় অবিরত
মনের সুখে কিচিরমিচির ডাকে।
খোকার মুখে লেগে আছে হাসি
এ হাসিটা লেগেই থাকে মুখে
ইচ্ছে হলে ছবি আঁকে বুকে
পাখির মতো যায় বাঁজিয়ে বাঁশি।
--------------------------------------------------
বিষখালী নদী
রূপ-রূপালী রূপের বন্যা স্নিগ্ধ জলের ধারা
কে তুলে যায় মৃদু ঢেউয়ে দু'কূল জুড়ে সাড়া
কে ধুয়ে দেয় বন পাদুকা হীরক বরণ বালি
কে এঁকে যায় স্বপ্ন বুকে? মালতি বিষখালী।
শন শন শন ঝাউয়ের শাখায় পাখির আনাগোনা
তোমার সাথে বনপাখিদের প্রেমের স্বপ্ন বোনা।
রূপ রূপ রূপ রূপার ইলিশ নৌকা সারি সারি
গাঙচিলেরা তোমায় ছুঁয়ে আকাশটা দেয় পাড়ি।
মন ভরানো প্রাণ তটিনী তোমার শীতল জলে
রাত জেগে চাঁদ হিমেল হাওয়ায় মনের কথা বলে।
তোমার চরে আছড়ে পড়ে স্মৃতির জলরাশি
প্রিয়তম নদী তোমায় বড্ড ভালোবাসি।
--------------------------------------------------
এ কেমন শরত এখন
এ কেমন শরত এখন
শ্রাবণের মেঘ থাকে আকাশে-
সারাদিন বৃষ্টি ঝরে যায়
মাঠ ঘাট জল এসে ভরে যায়
আনমনে বসে থাকে ঘুঘুটা
মেলে না সারাদিন পাখা সে-
এ কেমন শরৎ এখন
বৃষ্টিতে ভিজে থাকে ঘাস
বন জুড়ে ফুটে থাকা ফুল
এলোমেলো খুকিটার চুল
শাপলার ঝিলে ভাসা শঙ্কায়
একঝাঁক সাদাকালো পাতিহাঁস।
পুঁটি মাছের অবাক নেশা’য় বকরা থাকে মেতে
আবছা আলো আবছা আঁধার হাওয়ায় মেলে ডানা
চুনোপুঁটির ঘর বাড়ীতে বক দিয়ে যায় হানা।
তাও মেলে না পুঁটির দেখা ক্লান্তি আসে পায়ে
চুনোপুঁটি দুষ্ট ভারি যায় লুকিয়ে দূরে-
--------------------------------------------------
দুঃখ মুছে দেয় স্বপ্ন দেখায়
জাগায় বাঁচার আশা।
সোনার আলো ঝরে
নায়ে তোলে পাল রূপালী স্রোতে
নদীর দু'কূল ভরে।
নতুন কুঁড়ি আসে
ঝরে কতো ফুল বনবাঁদাড়ে
হাওয়ায় সুবাস ভাসে।
জ্যোৎস্না জুড়ায় আঁখি
বাউলের সুর কতো যে মধুর
গান গেয়ে যায় পাখি।
দুখ্টুকু নাও তুমি
তাই তোমাকে ভালোবেসে যাই
প্রিয় পুন্য ভূমি।
--------------------------------------------------
কোলাব্যাঙ সাঁতরায় উড়ে যায় চিল
গাছ ভিজে মাছ ভিজে বৃষ্টির ঝাপটায়
ব্যাঙ দেখে ফণা তুলে ইয়া বড় সাপটায়।
বৃষ্টির টুপটাপ তবু লাগে ভালো
বিজলীর আলো এসে যেই লাগে মুখে
খোকা সেই ছবি আঁকে নিজ খোলা বুকে।
--------------------------------------------------
করছি বিলাপ শুধু
মুখে হাসি নেই চোখ ভরা জল
দিগন্তটা ধুধু
রেশম পালক ভরা
প্রিয়তম ঠোঁট টুকটুকে পায়ে
সোনার নূপুর পড়া।
দিচ্ছে আমাকে ফাঁকি
পাখিটা তবু মনে রয়ে যায়
নির্জনে ওঠে ডাকি।
কষ্টে তাকাই দূরে
তবু ভাবি মনে ভাঙা খাঁচা কোণে
আসবে পাখি উড়ে।
--------------------------------------------------
কতো সোহাগ আদর
পাঁয়ের নিচে সবুজ শ্যামল
নরম ঘাসের চাদর।
দু'চোখ ভরা পানি
হৃদয় ভরা প্রশান্তিতে
সোনার অঙ্গখানি।
নেইতো রূপের শেষ
রূপ কুমারী মা-ই আমার
সোনার বাংলাদেশ।
--------------------------------------------------
কত ছবি হয়ে গেল আঁকা
কোকিল ডাকা হরিণঘাটার বনে
রূপার বরণ একটি নদী রাখা।
দাঁড়ে বসা একটি দোয়েল পাখি
সবুজ ঘাসে রঙিন প্রজাপতি
রঙ তুলিতে নিলাম যখন আঁকি।
এই ছবিটা অন্যকিছু নয়
জোনাই জ্বলা সোনার বাংলাদেশ।
--------------------------------------------------
মেঘ উড়ে যায় হাওয়ার তালে তালে
একটি পাখি হন্যে হয়ে এসে
বসলো যখন ছাতিম গাছের ডালে।
এঁদো ডোবায় ব্যাঙ ফড়িংয়ের মেলা
দমকা হাওয়ায় যেই উড়ে যায় ঘুড়ি
গাঁয়ের মাঠে যায় হারিয়ে বেলা।
কোথায় যেন যাচ্ছে উড়ে উড়ে
রংতুলিতে এই ছবিটা আঁকি
শরত মেয়ের মেঘলা আকাশ জুড়ে।
--------------------------------------------------
খোকা তাকায় নীল আকাশে দূরে...
পাখিগুলো মনে জাগায় দোলা।
এই পাখিটা সকল পাখির মতো
ভেসে ভেসে হাওয়ায় অবিরত
মনের সুখে কিচিরমিচির ডাকে।
এ হাসিটা লেগেই থাকে মুখে
ইচ্ছে হলে ছবি আঁকে বুকে
পাখির মতো যায় বাঁজিয়ে বাঁশি।
--------------------------------------------------
কে তুলে যায় মৃদু ঢেউয়ে দু'কূল জুড়ে সাড়া
কে ধুয়ে দেয় বন পাদুকা হীরক বরণ বালি
কে এঁকে যায় স্বপ্ন বুকে? মালতি বিষখালী।
তোমার সাথে বনপাখিদের প্রেমের স্বপ্ন বোনা।
রূপ রূপ রূপ রূপার ইলিশ নৌকা সারি সারি
গাঙচিলেরা তোমায় ছুঁয়ে আকাশটা দেয় পাড়ি।
রাত জেগে চাঁদ হিমেল হাওয়ায় মনের কথা বলে।
তোমার চরে আছড়ে পড়ে স্মৃতির জলরাশি
প্রিয়তম নদী তোমায় বড্ড ভালোবাসি।
--------------------------------------------------
শ্রাবণের মেঘ থাকে আকাশে-
মাঠ ঘাট জল এসে ভরে যায়
আনমনে বসে থাকে ঘুঘুটা
মেলে না সারাদিন পাখা সে-
বৃষ্টিতে ভিজে থাকে ঘাস
বন জুড়ে ফুটে থাকা ফুল
এলোমেলো খুকিটার চুল
শাপলার ঝিলে ভাসা শঙ্কায়
একঝাঁক সাদাকালো পাতিহাঁস।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments