করোনা সচেতনতা সংখ্যা ২০২০ ।। পর্ব-১
মানব রাজ্যত্বে মানুষ অসহায় হয়ে উঠেছে। সাথে পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণীও মানুষের অমানবিক অত্যাচারে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার উপক্রম। অনেক প্রাণী তাদের বংশ রক্ষায় কোনো প্রকার প্রটেকশন তৈরি করতে না পেরে চিরতরে হারিয়ে গেছে। মানুষ মানুষকে নির্মম অত্যাচার করেছে। এক জাতি অন্য জাতিকে নির্মূল করা জন্য তৈরি করেছে মানব হত্যার সরন্জাম। তারপর ঝাপিয়ে পড়েছে জাতিতে জাতিতে, ধর্মে ধর্মে, দেশে দেশে। আজ পৃথিবী যেন মানব পাপের কুণ্ডলিতে পরিণত হয়েছে। মানুষ ফরিয়াদ করেছে প্রভুর কাছে, গাছ ফরিয়াদ করেছে প্রভুর কাছে, মাছ ফরিয়াদ করেছে প্রভুর কাছে, প্রাণীরা ফরিয়াদ করেছে প্রভুর কাছে। নদী, সমুদ্র, পাহাড়, মরুভূমি ফরিয়াদ করেছে প্রভুর কাছে। বায়ুমণ্ডল ফরিদায় করেছে প্রভুর কাছে। প্রভুর মানবের অত্যাচার থেকে আমাদের বাচান।
-আফসার নিজাম, সম্পাদক
মানুষ তুমিই বলো :: ফারুক নওয়াজ
এ দুর্যোগ মুছে দিতে সম্মিলিত এই আহ্বান :: তৈমুর খান
ভাইরাস :: প্রবীর চট্টোপাধ্যায়
থুতু :: আমিনুল ইসলাম
শাটডাউন :: নয়ন আহমেদ
করোনায় করো না :: আতিক হেলাল
এই করোনা'র বংশ :: উৎপলকান্তি বড়ুয়া
জীবন চলার গতি :: শেলীনা আকতার খানম
সঙ্গনিরোধ :: শুভ্রাশ্রী মাইতি
করোনা :: কাজী জহিরুল ইসলাম
পৃথিবী ২০২০ :: ফজলুল হক তুহিন
বিপণ্ণ কওম: আমার প্রার্থনা :: ফরিদ ভূঁইয়া
শ্বাসকষ্ট নয়, দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গী যত :: জেবুননেসা হেলেন
মানুষ তুমি :: হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
করোনা ভাই করোনা :: রাজকুমার খাটুয়া
করোনা মুক্তির গান :: মাহফুজুর রহমান আখন্দ
জীবাণুপুস্প :: শেলী নাজ
করোনাভাইরাস :: আসলাম প্রধান
ভাইরাসের নাম করোনা :: রানা জামান
আমি করোনা, আমাকে আর রাগাইওনা :: এমিলি ডিকিনসন্
ফারুক নওয়াজ
বিহগবিহীন আকাশের মন ভারী..
একাকীত্বের নিঃসীম মহামারী।
নাও পড়ে আছে, শূন্যতা ঘাটজুড়ে
এই ভরাদিনে চুপচাপ চাষিপাড়া
হাহাকার ওঠে মাটির হৃদয় খুঁড়ে।
তৈমুর খান
কোথায় দাঁড়াব তবে?
এই সভ্যতাও এবার ধ্বংস হবে?
মানুষ আজ মানুষ হতে দূরে
প্রহরে প্রহরে মৃত্যুর ঘন্টা বাজে
শফথ নেয় বাঁচার অঙ্গীকারে
স্পর্শহীন স্বপ্নের ভিতরে
কোথাও এক সুখবর তার
নতুন সকালের অপেক্ষা করে।
পরিচ্ছন্ন প্রাত্যহিকের আলোকে
নিজেকে আবার পুনর্নির্মাণ করি ;
ছিন্ন সুর বেঁধে নিয়ে দারুণ দুঃসাহসে
দাঁড়াই এই জীবনের প্রগলভ বিশ্বাসে।
বিজ্ঞান সত্যের জয় চেতনা ফিরে পেলে
আবার পলাশ ফোটে আমাদের উৎসবে
আবার গার্হস্থ্য জীবনে প্রদীপ্ত সভ্যতা
সচল হয়, সংগ্রামী এ মনস্বী আত্মার কাছে।
দিকে দিকে দিগন্তের পথে উঠেছে আজান
ধৈর্য আর নিষ্ঠার কর্তব্য সমাপন হলে
ফিরে পাব আবার আবার এই নম্র যাপন
স্তব্ধ হবে কালের করাল কণ্ঠের গান।
প্রবীর চট্টোপাধ্যায়
তবু তো তুমি আছ চার দেওয়াল ঘেরা
উন্মুক্ত জানালায় দেখছ খোলা আকাশ
হয়তো হারিয়েছ অভ্যাস হটাৎ অতীতে ফেরা
তার কথা ভাবো যে ফেলছে দীর্ঘশ্বাস
সরকারি কফিন ছেয়ে গেছে বিশ্ব খবরে।
আমিনুল ইসলাম
আমরা কিন্তু ভিনদেশি কাউকে থুতু দিই না।
আমাদের আত্মপ্রতিকৃতিতেও থুতু দিই।
আমরা সময়ে অসময়ে থুতু দিই।
আমরা ডানে-বামে, উর্ধ্বে-নিম্নে, সামনে-পেছনে
সবদিকে থুতু দিয়ে রচনা করেছি তন্তুজালের মতো নিষ্ঠীবনফাঁদ।
আর এই থুতুব্যুহ ভেদ করে এমন সাধ্য কার!
শাটডাউন
হ্যাঁ, যে বিষণ্নতার বোতাম লাগাচ্ছে,
তাকে সূর্যমুখীর দিকে চোখ ফেরাতে বলো।
হ্যাঁ, মানুষকে বলো, পাড়ি দিয়ে যাও ধানখেতের দিকে।
যাও গমখেতের হৃৎপিণ্ডের দিকে।
শাটডাউন। অস্ত যাচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ।
শাটডাউন। অস্ত যাচ্ছে ঘৃণা।
শাটডাউন। অস্ত যাচ্ছে পচা সভ্যতা।
যাও, শান্ত আমগাছটির নিচে, দয়ালু ছায়ায়।
যাও, মাটির সৌরভ মেখে মেখে পড়শীর বাড়ি।
যাও বিমুগ্ধ গন্তব্যে।
শাটডাউন। অস্ত যাচ্ছে জাত্যভিমান।
আতিক হেলাল
সবকিছু ধরো না
সব যানে চড়ো না
‘মাখামাখি’ গড়ো না
ফাঁদে যেন পড়ো না
আয়েশটা বড় না
ভালো থেকে সরো না
নীতি থেকে নড়ো না
উৎপলকান্তি বড়ুয়া
আমি থাকি তোমার ঘরে তুমি,
সঙ্গে নিয়ে আপন পরিজন,
লোকসমাগম মনকে করে থির,
কোলাকুলি হাত-বুকে, না ছুঁয়ে,
থাকা, চাই- সুস্থ পরিবেশ,
শেলীনা আকতার খানম
এই 'করোনা'র ডরে,
বেশ ক'টাদিন ধরে।
প্রাণ করে দেয় শেষ,
থমথমে আজ দেশ।
সুস্থ থাকলে হলে,
কেমন করে চলে?
নিয়ম নীতির প্রতি,
জীবন চলার গতি।
শুভ্রাশ্রী মাইতি
জীবন, মৃত্যু- দুইয়ের মাঝে প্রশ্ন জাগায় ভয়।
পায়ে পায়ে মৃত্যুমিছিল, আতংক শুনশান
আপন পরের ঘুচিয়ে প্রভেদ, মুখোশই রূপটান।
হাত রেখো না হাতের পরে, বার বার ধোও জলে
অট্টহাস্য শত্রু হাসে জন-জমায়েত পেলে।
আক্রমণে খুব গোপনে করছে সে ধরাশায়ী
মরছে মানুষ লাখে লাখে, নেই ওষুধ জীবনদায়ী।
দূরত্ব সেই রাখতে হবে বাঁচতে এমন দিনে
স্বাস্হ্যবিধি বেজায় দামী, চলতে হবে মেনে।
তোমার হেলায়, তোমার ভুলে আসবে দারুণ বিপদ
অপেক্ষাতে শত্রু আছে, ধূর্ত যেন শ্বাপদ।
দূরে থেকেই পাশে থাকো, সাহস রাখো মনে
সঙ্গনিরোধ হাতিয়ার হোক, জিতবো লড়াই ক্ষণে।
কাজী জহিরুল ইসলাম
পৃথিবীর অ্যাভেন্যুগুলোতে;
টন টন কাগজে হচ্ছে না ছাপা সভ্যতার অগ্রগতি;
ছত্রিশ হাজার গ্যালন জ্বালানি
পুড়িয়ে প্লেনের সিঁড়ি থেকে নামছে না পরিবেশবিদ
রিও ডি জেনেরিওর বিমানবন্দরে।
ট্রপিক্যাল দেশের ধনী লোকেরা
এসি বন্ধ করে খুলে দিয়েছে দখিনের জানালা;
পৃথিবীর আকাশে
মানুষ্য-নির্মিত কালো মেঘ নেই আজ এক ছোপ;
বাঁধাহীন বৃষ্টি, উড়ছে দূরন্ত মেঘ কচি বসন্তের, বন্যপ্রাণীরা পেয়েছে শিকারীর ভয়হীন অভয়ারণ্য;
স্বচ্ছ নীল আকাশ থেকে বহু বহুকাল পড়ে
ঝরে পড়ছে বিশুদ্ধ রোদের রেণু।
দাঁড়িয়ে দেখছে নিজেদের কদর্য মুখ;
উদ্বৃত্ত খাবার নিয়ে তারা বুঝি এখনই ছুটে যাবে
দূর পাহাড়ের ভূখা মানুষের দেশে।
দাস-বাণিজ্যের গ্লানি
ফুটে উঠেছে শ্বেতাঙ্গ বণিকের দাম্ভিক চোয়ালে।
নির্বিষ ধর্মযাজকেরা ফিরে পাবে নিরাপদ ধর্মশালা,
১২ লক্ষ শহিদের পরিবার ফিরে পাবে স্বাধীন তিব্বত,
আশৈশব নির্বাসিত বৃদ্ধ দালাইলামা
ফিরে আসবে মাতৃভূমির পবিত্র পাথরে।
নিষ্ঠুর ডলফিন-ঘাতকেরা;
দূরন্ত ষাঁড়ের দেহ খুঁচিয়ে হত্যা করে যে ম্যাটাডোর,
বীরত্বের বদলে আজ সে
নিজের কাপুরুষত্বের জন্য লজ্জায় ঢাকে মুখ
মাদ্রিদের অস্তগামী লাল সূর্যের নিচে।
ক্যারিয়ার-নেশায় সন্তানের মুখ বিস্মৃত যে নারীর
আজ তারা সকলেই ফিরেছে ঘরে,
উপাসনালয়ের চেয়ে পবিত্র যে পরিবার
সেখানেই তারা হয়েছে থিতু।
ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনায় নতজানু,
"প্রত্যেকে মোরা পরের তরে" হয়ে উঠছে
পৃথিবীর প্রধান স্লোগান।
আকাশের পাখির দিকে, অরণ্যের পশুর দিকে, সমুদ্রের মাছের দিকে তাকিয়ে আজ
মানুষ উপলব্ধি করছে, ওরা আমাদেরই সহোদর।
যে পৃথিবীকে তুমি দিনের পর দিন বিষপ্রয়োগে
করেছ অসুস্থ
আজ সে একটু একটু করে সেরে উঠছে,
শুদ্ধ হচ্ছে, সুস্থ হয়ে উঠছে।
প্রকৃতির তৈরি এক মহৌষধ এই করোনা ফুল
অসুস্থ পৃথিবীকে সুস্থ করে তোলার দাওয়াই।
ফজলুল হক তুহিন
অথচ আমারই পাপের পাথর পাহাড় হয়ে ছুঁয়েছে আকাশ
সমস্ত নির্মল বায়ু বিষময় করে নিশ্বাসের করেছি অযোগ্য
নদী সমুদ্রের ঢেউ, জলতরঙ্গের ধ্বনি দূষণে দূষণে জীবনের শত্রু
বির্স্তীণ জমিন বীজের বিপক্ষে
বিনাশের রসায়নে অঙ্কুরের অবসান
আমরা এখন ক্রমাগত মরণরেখার কাছাকাছি!
অনিশ্চিত অতল গহ্বরে নিমজ্জিত
বস্তুর ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে আমি সেচ্ছায় গর্বিত বস্তুবন্দি
মানবিক সবকিছু এখন আমার কাছে আবর্জনা
আমি সজ্জিত বর্ণিল সভ্যতার উদ্ধত সন্তান
আমি তাই বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো একাকী ফেনিল।
আমার আত্মায় ঘর বেঁধেছে আরব্য রজনীর ভূতের মতন
আমাদের শরীরে শহরে গাঁয়েগঞ্জে জনপদে সবখানে
ঘামের মতন লেপ্টে আছে ভয়ঙ্কর ভাইরাস-
অনন্ত বাঁচার ইচ্ছা আজ তাই ডুকরে ডুকরে কাঁদে রাত্রিদিন
নূহের প্লাবনে যেনো নিঃসহায় নিরুপায়
লূতের শহরে আসন্ন মৃত্যুর অপূর্ব মহড়া !
প্রযুক্তির অহঙ্কার- সবই এখন বড্ড হাস্যকর অর্থহীন মূল্যহীন
মৃত্যুগন্ধময়
বিনাশের পথে ধাবমান এক করুণ কোরাস !
কতো প্রাণদীপ নিভে যাবে এই মহামারী মৃত্যুর মিছিলে
আসন্ন দুর্ভিক্ষ পথে প্রান্তরে সড়কে কতো সহস্র কবর রচনা করবে
তখন আমিও আর চিৎকার করে জ্বলে উঠতে পারবো না এই বলে-
মৃত-সভ্যতার দাস স্ফীতমেদ শোষক সমাজ।
মানুষের অভিশাপ নিয়ে যাও আজ।
তারপর আসিলে সময়
বিশ্বময়
তোমার শৃঙ্খলগত মাংসপিন্ডে পদাঘাত হানি
নিয়ে যাব জাহান্নাম দ্বার-প্রান্তে টানি;
তুমি ধ্বংস হও।"
ফরিদ ভূঁইয়া
খেলে না আমার ভেতর
নিশ্বাসে নিশ্বাসে গুপ্ত ফাঁদ পেতে পেতে
মানবের যাবতীয় অনিষ্ট অশনি হয়ে ধেয়ে
আসছে আসছে...
সবুজের পত্রালি পাঠের দিয়েছ আমায়
তারুণ্য সময়...
নসিহতের কায়েমি ছবক তবক থেকে
আমাকে যোজন দূরে
সটান বুকের ছাতি সামিয়ানা মেলে
নূর জ্বেলে দাঁড়াতে সাহস দাও
মানবিকতার পথে আলোর উদয়।
জেবুননেসা হেলেন
তুষারপাত।
ঝর্ণাধারার মতও একদিন ছিলেম দৈনন্দিন কপালের নীচের
দৃষ্টিকাঁচের বৃষ্টিপাতের ধারাপাত সঙ্গী আমি।
এখন আমি আকাশপাতাল আর ভাবি না।
ভাবতে শিখেছি নিসর্গ আমার সঙ্গীসাথী।
অক্ষরবন্দী এই যে ভার্চুয়াল কাগজগুলো,
তুমি আমার বন্ধু বলেই, সময় অসময় সঙে নিয়ে হাসি কাঁদি।
জীবন যুদ্ধের ভাগবাটোয়ারা কিছুটা হলেও
মিলেমিশে আড্ডা গানে সামিল সবে।
ভয়ভীতিটাও আপন মত...
চেতনায় বাঙালি বলেই একই রকম সবার ক্ষত।
হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
যা সব ছিল তাড়িয়ে দিলে
চারপাশে সব ধ্বংস করে
বাঁচবে না কেউ সবাই মিলে।
তুলতে গিয়ে একশো তলা
বিরুদ্ধে কেউ বলতে গেলে
দু'হাত দিয়ে টিপছো গলা।
হারিয়ে গেছে জীবন থেকে
চড়ুই শালিক ময়না টিয়া
হারিয়ে গেছে সবুজ থেকে।
খুন করেছ- মানুষ তুমি
তোমার হাতের অস্ত্রাঘাতে
জন্মভূমি মৃত্যুভূমি।
বেঁচে যাব এ পাপ থেকে
বাঁচবে নাকো মানুষ তুমি
যতই তুমি রাখো ঢেকে।
কাল আসবে অন্যকিছু
নিজের হাতে যা করেছো
ছাড়বে না পাপ তোমার পিছু।
তবুও কিছু সময় আছে
গাছ পাখিদের ভালোবাসো
আপন করে ডাকো কাছে।
রাজকুমার খাটুয়া
লকডাউনে ঘরেই থাকো ইচ্ছে হলেও তোড়োনা
করোনা ভাই করোনা !
না লাগলে মন পরিবারের সাথেতে মন ভরোনা
করোনা ভাই করোনা!
না মানলে তা মোড়ের মাথায় ছটকে ছটকে মরোনা!
মাহফুজুর রহমান আখন্দ
আল্লাহ তুমি রহম করো
সবাই মিলে বলি
ঘুরবো নাকো আর
সাবান দিয়ে দুহাত ধোবো
থাকবো পরিস্কার
খেলার মাঠে যাবো নাকো
বাড়ির ভেতর খেলি
রাস্তা ঘাটে জটলা পেকে
করবো না হৈচৈ
দুহাত তুলে তুলে
মহামারি দিয়ো নাকো
আমাদেরী ভুলে
তোমার চেয়ে কে আছে গো
বেশি শক্তিশালী।
শেলী নাজ
ষড়যন্ত্রমূলক এ অমানিশা, আকাশজানালা
রুদ্ধ, তবু এলো উহানের পাখি, মৃত্যুবীজ ঠোঁটে
সাজি ভ’রে গেছে নৃমুণ্ডূতে, যেন শব উৎসব
গোরখোদকও ক্লান্ত, লাশ জমে শূন্য করপুটে
মুখোশে ঢেকেছি মুখ, বাতাসে সঙ্গীত প্রেতিনীর
ব্যার্থ হল পুরুতের শ্লোক, হাত ধুতে ধুতে ক্লান্ত
জীবাণুপুষ্পেই সাজিয়ে তুলছি মৃতের মন্দির
মৃত চুমুগুলো ফের জন্মাবে সেখানে? হাত ধুয়ে
মুছে ফেলি পাপ, মাংসশিকারির রক্ত, স্পর্শ লোভে
জেগে থাকি মড়কের রাতে, যেন মরে গিয়ে বাঁচি
এসব জীবাণুপুস্প গুঁজে রাখি রুদ্ধ কবরীতে
সূর্যের দস্তানা পড়া ভোর জানি শোনাবে ভৈরবী!
আসলাম প্রধান
এ ঘাতক জৈব; তার হবে কী বিচার ?
রানা জামান
যদি কাউকে ধরে ফেলে
রোগীর দিকে সরো না
কেনাকাটায় বাইরে গেলে
কারো গায়ে পড়ো না
বাঁচতে চাইলে আপাতত
যানবাহনে চড়ো না
আপন নিঃশ্বাস শত্রু এখন
হাতে হাঁচি ক্ষরো না
মনে রেখো আল্লার চেয়ে
তুমি কিন্তু বড়ো না।
মূল: এমিলি ডিকিনসন্
ভাবানুবাদ: আনিস মুহম্মদ
পাগলা মহিষের মতো এত ছুটাছুটি করো না,
ব্যাঙের মতো উদ্ভট লাফালাফি করে
লুটোপুটি খাওয়া কাদার ভেতর।
পতিত সময়ের পঙ্কিলে ডুবে
নর্দমায় গড়াগড়ি খেতে খেতে
নিজের নাম জাহির করে বলো কী লাভ!
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
#বিশেষসংখ্যা
#মোলাকাত
#সাহিত্য_ম্যাগাজিন
#মোলাকাত
#সাহিত্য_ম্যাগাজিন
#Molakat
#ওয়েব_ম্যাগাজিন
#সাহিত্য
#ওয়েব_ম্যাগাজিন
#সাহিত্য
#করোনা_সচেতনতা_সংখ্যা
#ফারুক_নওয়াজ
#তৈমুর_খান
#প্রবীর_চট্টোপাধ্যায়
#আমিনুল_ইসলাম
#নয়ন_আহমেদ
#আতিক_হেলাল
#উৎপলকান্তি_বড়ুয়া
#শেলীনা_আকতার_খানম
#শুভ্রাশ্রী_মাইতি
#কাজী_জহিরুল_ইসলাম
#ফজলুল_হক_তুহিন
#ফরিদ_ভূঁইয়া
#জেবুননেসা_হেলেন
#হরিৎ_বন্দ্যোপাধ্যায়
#রাজকুমার_খাটুয়া
#মাহফুজুর_রহমান_আখন্দ
#শেলী_নাজ
#আসলাম_প্রধান
#রানা _জামান
#এমিলি_ডিকিনসন
#আফসার_নিজাম
No comments