বাঁশি-পাগলি ।। মাহবুবা খন্দকার : পর্ব-১৭
সকালে ডিউটিতে যাওয়ার জন্য উভয়ে আগেই তৈরি হয়ে নেয়। কীযে আকর্ষণ বুঝতে পারে না রোহান।
- চলো নিতু আগেই বেরিয়ে পড়ি। রোগীকে দেখা দরকার। জানিনে কী অবস্থা এখন।
- আমরাছাড়া কেইবা আছে ওর। চলো আজ রিক্সা নিয়ে যাওয়া যাক।
- ঠিক আছে চলো।
কোনো হৈচৈর শব্দ যেন রোগীর কানে না যায়, তাই তাকে কেবিনে রাখা হয়েছে। হাট-এটার্ক্ট হতে পারে যেকোনো সময়। শরীর খুব দুর্বল। সার্জনকে সংগে নিয়ে ওরা কেবিনের দিকে এগোয়। এখনই জ্ঞানফেরার কথা। ততক্ষণে নার্সরা মুখটা পরিষ্কার করে রেখেছে। সকাল ৯টা। দেয়ালঘড়িতে এলার্ম শোনা যায়। নিতু এগিয়ে যায় রোগীনির কাছে। চমকে ওঠে, স্বগতস্বরেই বলে ফেলে-আরে এযে বাঁশি পাগলি!
এরপর কেবিনে প্রবেশ করে রোহান। এগিয়ে যায় রোগীনির কাছে। রোগিনী চোখখুললো পিতপিত্ করে। চমকে ওঠে সে? আরও কাছে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। মহিলাটি দৃষ্টিমেলেই ডাঃ রোহানকে দেখতে পায়। চিৎকার করে ওঠে, খোকা-আমার -আ-আ-। পাগলির খোকা ডাকশুনে আকস্মিক স্মৃতি ফিরে পায় রোহান। স্মৃতিপটের অস্ফূটছায়া পরিষ্কারভাবেই দৃষ্টিতে ফিরে আসে আজ।
- মা-আ- আমিই তোমার রানা। ডাঃ রোহান জড়িয়ে ধরে তাকে।
- সার্জন বলেন আর বাঁচানো যাবেনা ডাঃ রোহান? আপনি একী করলেন?
মহিলাটি বুকের কাছে কী একটা জিনিস আঁচলে বেধে রেখেছে। হাতখানা বুকের কাছে গিয়ে থেমে যায়। ততক্ষনে নিতু আঁচলখুলে দেখতে পায়, নলের একটা বাঁশি কতযত্নে আঁচলে বেধে রেখেছে। মহিলার অবয়বে প্রশান্তির ছায়া প্রস্ফুটিত। চোখের কোণ থেকে দু’ফোঁটা তৃপ্তির শেষঅশ্রু গড়িয়ে পড়ে। রোহান দু’হাতে জাপটে ধরে বাঁশি। পরমমমতায় ঠোঁটের সাথে ছোয়ায়। সুরতোলে। এ কীসের সুরতোলে রোহান? একী অন্তরের সুর, নাকি আনন্দের, নিতু অসহায়ের মতো তার মুখের দিকে নি®পলক তাকিয়ে থাকে।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
#উপন্যাস
#অনুবাদ
#মোলাকাত
#মোলাকাত
#Molakat
#Novel
#Translation
#BanglaLiterature
#Literature
#ওয়েব_ম্যাগাজিন
#বাংলাসাহিত্য
#বাংলাসাহিত্য
#সাহিত্য
#বাঁশিপাগলি
#মাহবুবা_খন্দকার
#মাহবুবা_খন্দকার
No comments