ইসলাম প্রচারে রাসুল স. এর মুজিযা_মুহাম্মদ ইব্রাহিম বাহারী
মহান বিশ্বপালক তাঁর সসকল নবীকে মুজিযা প্রদর্শনের ক্ষমতা দদিয়েছিলেন।প্রয়োজনের ক্ষেত্রে তাঁরা তা বব্যবহার করতেন। হযরত মমুহাম্মদ স. আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ ননবী হিসাবে তাঁকে অনেক বেশি মুজিযা দান করেছেন। কিন্তু কুরাইশ নেতারা তাঁকে অনেক বেশি কষ্টিপাথরে যাচাই করলেও তিনি সহজে কোনো মুজিযা প্রদর্শন করতেন না। কারন সে সময় পবিত্র কুরআন নাযিল হচ্ছিল,আর সেটাই ছিল বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম মুজিযা। পবিত্র ককুরআনে বলা হয়েছে যে, উহারা বলে তাঁহার নিকট তাঁহার প্রভু কোনো নির্দশন প্ররণ করারহয় নাই। বল, নিদর্শন আল্লাহপাকের কাছে এবং আমি একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র এবং উহা কি তাহাদের জন্য যথেষ্ট ননিদর্শন নয় যে, আমি তোমার উপর ককিতাব নাযিল করিয়াছি যাহা ততাহাদের নিকট করা হয়। নিশ্চয়ই ইহার মধ্যে অনুগ্রহ ও হুঁশিয়ারী রয়েছে সেই সব মানুষের জন্য,যাহারা বিশ্বাস করে। নিম্নে রাসুল স. জীবনের কতিপয় মুজিযা সমুহ পাঠক সম্মুখে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি মাত্র।
মদিনায় হিজরত করার প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে একবার মক্কায় মুশরিকরা রাসুলুল্লাহ স.এর দরবারে আসলো। যাদের মধ্যে ওয়ালীদ ইবনে মুগিরা, আবু জাহল, আস ইবনে ওয়ায়েল, আস ইবনে হিসাম, আসওয়াদ ইবনে আবদে ইয়াগুছ, আসওয়াদ ইবনে মুতিব্ব,জামা ইবনে আসওয়াদ, নাজর ইবনে হাছেম প্রমূখ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। তারা নবি স.এর দরবারে আরজ করলো যদি আপনি সত্যি নবি হয়ে থাকেন তাহলে চন্দ্রকে দ্বিখণ্ডিত করে দেখান। তখন রাত্রি ছিলো, চৌদ্দ তারিখ চন্দ্র তার কিরণ ছড়াচ্ছিলো। রাসূল স. বললেন যদি এই সুজিযা দেখাতে পারি তাহলে কী তোমরা ইসলাম গ্রহণ করবে? উত্তরে তারা বললো হ্যাঁ আমরা ইমান আনবো। রাসূল স. আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে পবিত্র আঙ্গুলের ঈশারায় চন্দ্রের দিকে আঙ্গুল উত্তোলণ করতে সাথে সাথে চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হয়ে গিয়ে আবু কুবাইস নামক পাহাড়ে এবংকাইকা আন নামক পাহাড়ে দুই টুকরা পতিত হলো।
যুদ্ধের ময়দানে একবার হযরত কাতাদাহ ইবনে নো'মানের চক্ষু বেরিয়ে মুখমণ্ডলে লটকে পড়লো। রাসূল স. স্বীয় হস্ত মোবারক দ্বারা চক্ষুর আসল স্থানে রেখে দিলেন। লাভ এই হলো যে, এই চক্ষুটি অন্যটির তুলনায় উত্তম সুন্দর এবং শক্তিশালী হতে লাগলো।
রাসূল স. দরবারে কতেক জন সাহাবা বসে ছিলেন।রাসূল স. স্বীয় নয়জন স্ত্রীর নিকট খাদেম পাঠালেন যে, যদি আহার করার মতো কোনো জিনিস পাওয়া যায় তাহলে নিয়ে এসো। কিন্তু কোনো জিনিস পাওয়া যায় নি।রাসুল স. চোখে এমন একটা বকরী পড়লো যাহা এখন পর্যন্ত বাচ্চা দেয় না। রাসুল স. উহা হতে দুধ দহন করে এক এক পেয়ালা প্রত্যেক স্ত্রীর নিকট পাঠালেন। অতপরঃ সেই বকরী হতে দুধ দহন করে সকলে তৃপ্তি সহকারে পান করালেন।
কোনো এক রবিবার সাহাবি আবদ ইবনে জাহাশ রা. রাসুলস স.এর দরবারে উপস্থিত হয়ে আবেদন করলেন যে, আমার তলোয়ারটা ভেঙ্গে গিয়েছে। রাসুল স. তাঁকে একটা খেজুর গাছের ডাল দান করলেন। খেজুর গাছের ডালটি সাহাবীর হাতে পৌছা মাত্র তলোয়ারে রুপান্তরিত হয়ে গেলো।
হযরত কাতাদাহ থেকে রেওয়াতে আছে যে, এক ইয়াহুদী স্বীয় উষ্ট্রীর দুগ্ধ দহন করে রাসুল স.এর খেদমতে পেশ করেন। অতপর রাসুল স. তাঁর জন্য দোয়া করলেন -হে আল্লাহ! তুমি তাঁকে সুন্দর করে দাও। রাসুল স. দোয়া শেষে দেখা গেলো তাঁর সমস্ত চুল কালো হয়ে গেলো। বর্ণনাকারী বলেন ঐ সাহাবীর বয়স নব্বই বসর হয়েছিল এবং তাঁর মাথার একটা চুলও সাদা হয়নি।
হযরত আবু উসাইদ সাঈদী রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল স. একবার হযরত আব্বাস রা.কে বলল ন, আগামী কাল তুমি এবং তোমার ছেলে আমি না আসা পর্যন্ত ঘর থেকে বাহির হবে না। কেননা তোমাদের সাথে আমার একটি কাজ রয়েছে। অঙ্গীকার অনুযায়ী রাসুল স. তাঁদের বাড়িতে তাশরিফ আনলেন। রাসুল স. সবাইকে মিলেমিশে বসতে বললেন। অতপর সবায় তখন বসে গেলো রাসুল স. তখন একটা চাদর দ্বারা সবাইকে ঢেকে দিয়ে দোয়া করলেন। হে আল্লাহ এঁরা হচ্ছে আমার চাচা, পিতা সমতূল্য, আর এঁরা হচ্ছে আমার পরিবারের সদস্যবৃন্দ। এঁদের কে দোযখ হতে মুক্ত রাখো যেভাবে আমি তাঁদের কে ঢেকে রেখেছি। ঐ সময় দরজার প্রান্ত এবং ঘরের প্রাচীরগুলো তিনবার আমিন বলেছিল।
হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত-খাসআম গোত্রীয় লোকেরা স্বীয় মূর্তির পূজায় লিপ্ত ছিলো হঠাৎ ভিতর হতে উচ্চ আওয়াজে কতকগুলো আরবী শায়ের পড়ার শবাদ আসতে লাগলো যার মধ্যে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ ও রাসুল স.এর উপর বিশ্বাস স্থাপন করার জন্য আহবান করা হয়েছিলো। লোকেরা হতবাক হয়ে গেলো যে, ইসলাম আবার কী জিনিস? রাসুল স. বা কে? এভেবে কিছু দিন গত হলে তাদের বাছে রাসুল স.এর সংক্ষিপ্ত এবং ইসলামের মহান দাওয়াত পৌছে গেলো। এরা প্রথমতঃ এরা ইসলাম ধর্ম কে বানানো ধর্ম হিসেবে ধারনা করলো। মূর্তিগুলো প্রায় ইনলামের কথা বলতে ছিলো। মুর্কির মুখ হতে এরুপ আওয়াজ তাদেরকে পরিশেষে গোত্রের সকলে মিলে রাসুল স.এর মহান দরবারে উপস্থিত হয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণে ধন্য হলো।
হযরত আবু মূছা আশওয়ারী রা. হতে বর্ণিত, একবার আবি তালিব শিশু নবী স.কে নিয়ে কুরাইশ বংশের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবর্গের সাথে সিরিয়া সফরে গেলেন। সিরিয়া দেশের যে জায়গায় তাঁরা অবতরন করলেন সেখানে বোহায়রা নামে এক খ্রীষ্টান পাদরী ছিলেন।পাদরী বললেন এ দলে রাসুল স. আছেন। কাফেলার লোকেরা জিজ্ঞাসা করলেন কিভাবে বুঝলেন এ দলে শেষ নবী মুহাম্মদ (স. আছেন? জবাবে পাদরী বললেন-আপনারা যখন গিরিপথ হতে বের হয়ে আসলেন, তখন এমন কোনো বৃক্ষ পাথর ছিল না যা মুহাম্মদ স.কে সিজদা করেনি। পাথর আর বৃক্ষ কেবল নবী কে সিজদা করতে পারে। পরে পাদরী আবার ও দেখলেন রাসুল স. বসলেন এবং সাথে সাথে বৃক্ষরাজি নবীর দিকে ঝুকে পড়েছে। পাদরী তখন কসম দিয়ে বলতে লাগলেন যে, তাঁকে (নবী) রোম দেশে নিয়ে যাবেন না। কাঁকে রোমের লোকেরা দেখলে নবী হিসাবে চিনতে পেরে হত্যা করবে।
হযরত আনাস রা. হতে বর্ণিত, রাসুল স.এর জীবদ্দশায় একবার দূর্ভিক্ষ দেখা দিল। রাসুল স. জুময়ার দিন খুতবা পাঠ করছেন এমন সময় এক বেদুঈন ব্যক্তি তাঁর দরবারে উপস্থিত হয়ে আবেদন করতে লাগলো ইয়া রাসুলুল্লাহ স. দূর্ভিক্ষের কারনে জন্তু সমূহ মরে গেছে, নাবালক শিশুরা ক্ষুধার্ত।আপনি দুয়া করুন। রাসুল স. তৎক্ষণাৎ দুয়ার উদ্দেশ্যে হাত উঠালেন সে সময় আকাশে একখণ্ড মেঘমালাও ছিলো না। আল্লাহর কসম সাথে বড় বড় মেঘমালা সকলের দৃষ্টি গোচর হলো, তখনও পর্যন্ত রাসুল স. হাত নামাননিএবং রাসুল স. মেম্বর হতে অবতরন করেন নিয, তাঁর দাড়ি মোবারক হতে বৃষ্টির পানি ফোঁটা ফোঁটা করে পড়তে লাগলো।
⭐ FOR ANY HELP PLEASE JOIN
🔗 MY OTHERS CHANNELS
🔗 FOLLOW ME
Facebook: facebook.com/molakat
Facebook: facebook.com/afsarnizam
Instagram: instagram.com/molakat
Instagram: instagram.com/afsarnizam
Twitter: twitter.com/afsarnizam
🔗 MY WEBSITE
🔗 CALL ME
+8801819515141
🔗 E-MAILL
molakatmagazine@gmail.com
No comments